ইমাম আবু হানিফা কর্তৃক ঐ ব্যক্তিকে কাফের ঘোষণা; যে আল্লাহ কি আসমানে নাকি যমীনে, এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া থেকে বিরত থাকবে :
ইমাম আবু হানীফা (রাহিমাহুল্লাহ) থেকে বর্ণিত তার ছাত্রদের নিকট এ প্রসিদ্ধ কথায় তিনি তাকে কাফের বললেন, যে বলে আল্লাহ আসমানে নাকি যমীনে তা আমি জানি না। সুতরাং সে ব্যক্তি কেমন হবে যে ব্যক্তি (আরশের উপরে থাকা) অস্বীকারকারী, নাকচকারী? যে বলে যে, তিনি আসমানের উপর না অথবা বলেন তিনি আসমানেও না যমীনেও না। আর ইমাম আবু হানীফা (রাহিমাহুল্লাহ) উপরোক্ত ব্যক্তির কাফের হওয়ার ওপর দলীল হিসেবে আল্লাহর বাণী: “রহমান আরশের উপর উঠেছেন" [সূরা ত্বা-হা: ০৫] দ্বারা দলীল পেশ করে বলেন:
'আর তার আরশ সপ্ত আকাশের উপরে। এর দ্বারা তিনি বর্ণনা করে দিলেন যে, নিশ্চয় আল্লাহ সপ্ত আকাশের উপরে, আরশের উপরে। আর আরশের উপরে উঠা প্রমাণ করছে যে, আল্লাহ স্বয়ং আরশের উপরে।'
ইমাম আবু হানীফা (রাহিমাহুল্লাহ) তারপরেই ঐ ব্যক্তিকে কাফের বললেন, যে তাঁর আরশের উপর উঠাকে মানে তবে আরশ আসমানে নাকি যমীনে এ বিষয়ে সে নীরব থাকে। কেননা সে আল্লাহর আসমানের উপর থাকাকে অস্বীকার করলো। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কেননা সে আল্লাহর উপরে থাকাকে অস্বীকার করছে, অথচ আল্লাহ সকল উপরস্থ জিনিসের উপরে রয়েছেন। আর তাকে ডাকা হয় উপরের দিকে, নিচের দিকে নয়। এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহিমাহুল্লাহ)'র স্পষ্ট ঘোষণা দেয়া যে, তিনি ঐ ব্যক্তিকে কাফের বললেন যে আল্লাহর উপরে হওয়াকে অস্বীকার করে। তিনি এর যুক্তি হিসেবে পেশ করলেন যে, আল্লাহ উপরস্থ সবকিছুর উপরে, আর তাকে উপরের দিকে ডাকা হয়, নিচের দিকে নয়। আর এই দুটি দলীলই স্বভাবজাত ও বুদ্ধি-বিবেক সম্মত; কেননা অন্তর স্বভাবতই এ স্বীকৃতি দেয় যে, আল্লাহ উপরে। এটাও স্বীকৃতি দেয় যে, তাকে ঊর্ধ্ব দিকে ডাকা হয়, নিম্ন দিকে নয়।
এখানে অপর বর্ণনাটি এ বিষয়টিকে আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে, যেখানে ইমাম আবু হানীফা বলেছেন, “যদি সে আল্লাহর উপরে থাকার বিষয়টিকে অস্বীকার করে তবে সে কাফের হয়ে যাবে”
— এটি বর্ণনা করেছেন ইমাম যাহাবী তার আল উলু গ্রন্থে, পৃ. ১০১-১০২; মুখতাসারুল উলু পৃ. ১৩৭। আর এটি ইমাম ইবন কুদামা আল-মাকদেসীও ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেছেন, তার 'ইসবাতু সিফাতিল উলু' গ্রন্থে, পৃ. ১৭০০
— আল ফাতওয়া আল হামাউইয়্যাহ আল কুবরা, মূল: ইমাম ইবনে তাইমিয়া, অনুবাদ সম্পাদনা টীকা: ড. আবু বকর মুহাম্মদ জাকারিয়া, প্রকাশনায়: কমিউনিটি ওয়েলফেয়ার ইনিশিয়েটিভ
ইমাম আবু হানীফা (রাহিমাহুল্লাহ) থেকে বর্ণিত তার ছাত্রদের নিকট এ প্রসিদ্ধ কথায় তিনি তাকে কাফের বললেন, যে বলে আল্লাহ আসমানে নাকি যমীনে তা আমি জানি না। সুতরাং সে ব্যক্তি কেমন হবে যে ব্যক্তি (আরশের উপরে থাকা) অস্বীকারকারী, নাকচকারী? যে বলে যে, তিনি আসমানের উপর না অথবা বলেন তিনি আসমানেও না যমীনেও না। আর ইমাম আবু হানীফা (রাহিমাহুল্লাহ) উপরোক্ত ব্যক্তির কাফের হওয়ার ওপর দলীল হিসেবে আল্লাহর বাণী: “রহমান আরশের উপর উঠেছেন" [সূরা ত্বা-হা: ০৫] দ্বারা দলীল পেশ করে বলেন:
'আর তার আরশ সপ্ত আকাশের উপরে। এর দ্বারা তিনি বর্ণনা করে দিলেন যে, নিশ্চয় আল্লাহ সপ্ত আকাশের উপরে, আরশের উপরে। আর আরশের উপরে উঠা প্রমাণ করছে যে, আল্লাহ স্বয়ং আরশের উপরে।'
ইমাম আবু হানীফা (রাহিমাহুল্লাহ) তারপরেই ঐ ব্যক্তিকে কাফের বললেন, যে তাঁর আরশের উপর উঠাকে মানে তবে আরশ আসমানে নাকি যমীনে এ বিষয়ে সে নীরব থাকে। কেননা সে আল্লাহর আসমানের উপর থাকাকে অস্বীকার করলো। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কেননা সে আল্লাহর উপরে থাকাকে অস্বীকার করছে, অথচ আল্লাহ সকল উপরস্থ জিনিসের উপরে রয়েছেন। আর তাকে ডাকা হয় উপরের দিকে, নিচের দিকে নয়। এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহিমাহুল্লাহ)'র স্পষ্ট ঘোষণা দেয়া যে, তিনি ঐ ব্যক্তিকে কাফের বললেন যে আল্লাহর উপরে হওয়াকে অস্বীকার করে। তিনি এর যুক্তি হিসেবে পেশ করলেন যে, আল্লাহ উপরস্থ সবকিছুর উপরে, আর তাকে উপরের দিকে ডাকা হয়, নিচের দিকে নয়। আর এই দুটি দলীলই স্বভাবজাত ও বুদ্ধি-বিবেক সম্মত; কেননা অন্তর স্বভাবতই এ স্বীকৃতি দেয় যে, আল্লাহ উপরে। এটাও স্বীকৃতি দেয় যে, তাকে ঊর্ধ্ব দিকে ডাকা হয়, নিম্ন দিকে নয়।
এখানে অপর বর্ণনাটি এ বিষয়টিকে আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে, যেখানে ইমাম আবু হানীফা বলেছেন, “যদি সে আল্লাহর উপরে থাকার বিষয়টিকে অস্বীকার করে তবে সে কাফের হয়ে যাবে”
— এটি বর্ণনা করেছেন ইমাম যাহাবী তার আল উলু গ্রন্থে, পৃ. ১০১-১০২; মুখতাসারুল উলু পৃ. ১৩৭। আর এটি ইমাম ইবন কুদামা আল-মাকদেসীও ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেছেন, তার 'ইসবাতু সিফাতিল উলু' গ্রন্থে, পৃ. ১৭০০
— আল ফাতওয়া আল হামাউইয়্যাহ আল কুবরা, মূল: ইমাম ইবনে তাইমিয়া, অনুবাদ সম্পাদনা টীকা: ড. আবু বকর মুহাম্মদ জাকারিয়া, প্রকাশনায়: কমিউনিটি ওয়েলফেয়ার ইনিশিয়েটিভ