- Views: 586
- Replies: 1
আমরা আমাদের দ্বীনকে খারেজী,জাহমী,মুতাজিলা,শিয়া কিংবা কোনো বিদ’আতী ভ্রষ্ট ফের্কার কাছে বিক্রি করে দেইনি! যখন তারা দ্বীন ইসলামের উপর আঘাত(বিকৃতি) হানবে তখনই তাদের সমালোচনা করা হবে তাদের রদ করা হবে।
৩৫ হিজরী সালে (৬৫৬ খৃঃ) ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান উসমান ইবনু আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে যারা নির্মমভাবে শহীদ করেছে তাদের ব্যাপারে আমাদের শিথিলতা নেই । আমি খারেজীদের কথা বলছি, যাদের ব্যাপারে আল্লাহর রাসুল সাঃ বলছেন ‘খারেজীরা জাহান্নামের কুকুর’। (তিরমিযী ৩০০০, সহীহ আল জামি‘ ৩৩৪৭)
আমরা সেইসব ব্যাক্তির ব্যাপারে শিথিলতা অবলম্বন করতে পারিনা যারা, আল্লাহর নাম ও গুণ অস্বীকার করে ! যারা কিনা আল্লাহর যথাযত মর্যাদা দিতে পারেনা । আমি বলছি জাহমীদের কথা।
যাদের ব্যাপারে, আল ইমাম, আল হাফিয, আল মুহাদ্দিস, শাইখুল ইসলাম আবূ মুহাম্মাদ ‘আবদুল গানী আল-মাক্বদিসী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
বিদ’আতীকে বিদ’আতী বলা, খারেজীকে খারেজী বলা জাহমীদে জাহমী বলাই হলো আহলুস সুন্নাহর মানহায,
ভাই মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ মৃধাঃ বিদ‘আতীকে যে বিদ‘আতী বলে না, তার ব্যাপারে বর্তমান যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম ‘আব্দুল-মুহসিন আল-‘আব্বাদ আল-বদর (حفظه الله)’র ফাতওয়া— অনুবাদ করেছিলেন খুব সুন্দর করেই!
প্রশ্ন: “শাইখ, গতকাল আপনি বলেছেন, যে ব্যক্তি বিদ‘আতীকে বিদ‘আতী বলে না, তাকে তার (বিদ‘আতীর) মতাবলম্বী গণ্য করা হবে না। আর যে তাকে (বিদ‘আতীকে) বিদ‘আতী বলে, তার অনুসরণ করাও তার জন্য জরুরি নয়। কিছু ‘আলিম বলেছেন, যে ব্যক্তি বিদ‘আতীকে বিদ‘আতী বলে না, তাকে ঐ বিদ‘আতীরই মতাবলম্বী গণ্য করা হবে। এক্ষেত্রে যে মতপার্থক্যের সৃষ্টি হলো, তা কি শব্দগত (মতপার্থক্য)?
শাইখ: ❝বিদ‘আতী…বিদ‘আত..। হ্যাঁ, কিছু মানুষ আছে যারা বিদ‘আতী। তাদের বিষয় সুস্পষ্ট। তারা সুন্নাহ থেকে বহুদূরে অবস্থান করছে, তারা আহলুস-সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত নয়, আর তারা সুন্নাহর সাথে যুদ্ধ করছে। সুন্নাহ রয়েছে এক উপত্যকায়, আর তারা রয়েছে আরেক উপত্যকায়। এদেরকে যে ব্যক্তি বিদ‘আতী বলে না, সেও বিদ‘আতী—এতে কোনো সন্দেহ নেই।
পক্ষান্তরে কিছু মানুষ রয়েছে যাদের ভুল হয়েছে, তথাপি তারা আহলুস-সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ, সামান্য কোনো ভুল বা গলদ বুঝ। একথা বলা হবে না যে, এরাও ঐ বিদ‘আতীদের মতো। আর এও বলা হবে না যে, এই ব্যক্তিকে যে বিদ‘আতী বলে না সেও বিদ‘আতী। না‘আম।❞
কেউ যখন বিদ‘আতীদের রদ করতে যায়, তখন কতিপয় ব্যক্তির কথায় খুবই আশ্চর্য হই, যখন তাঁরা বলেন যে, বিদ‘আতীদের রদ করা ঠিক নয়, কারণ এতে মনোমালিন্য ও বিভেদ সৃষ্টি হয়। কী ধরনের ইবলিসি কথা! এটা তো ওই কাফিরদের কথা, যাদের ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেছেন, وَدُّوا لَوْ تُدْهِنُ فَيُدْهِنُونَ “তারা চায় যে, তুমি যদি আপসকামী হও, তবে তারাও আপসকারী হবে।” [সূরাহ ক্বালাম: ৯]
ইমাম যাহাবী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭৪৮ হি.] হাদীসশাস্ত্রের হাফিয শাইখুল ইসলাম ইমাম আবূ ইসমা‘ঈল ‘আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ আল-আনসারী আল-হারাউয়ী (রাহিমাহুল্লাহ)’র [মৃত: ৪৮১ হি.] জীবনচরিতে লিখেছেন,
আহলুস সুন্নাহ’র এই মহান ইমামের প্রতি আল্লাহ রহম করুন। তিনি তরবারির সামনেও আহলুস সুন্নাহ’র এই মূলনীতির ব্যাপারে বিদ‘আতীদের সাথে আপোষ করেননি। সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহ।
বিদ’আতীরা আল্লাহর রাসুলের সুন্নাহকে জবেহ করছে, আর চালু করছে নিত্যনতুন বিদ’আহঃ আমরা এদের সাথে আপোষ করবো না।
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] বলেছেন,
সুতরাং আমরা আমাদের সালাফদের মানহাযের উপর অটল থাকবো, যদি তাদের সাথে আমাদের সালাফরা ঐক্য খুজতেন তাহলে বাগদাদের রাস্তায় মার খাওয়া লাগতো না ইমাম আহমাদের।
যুগে যুগে যারা সত্য দ্বীনের খেদমতে নিজেদের জীবন ও যৌবন ব্যয় করেছেন, তাদের কেউই যুলুম-নির্যাতন থেকে রেহাই পান নি। শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমীয়ার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ইসলামের নামে প্রচলিত ভ্রান্ত মতবাদের কঠোর প্রতিবাদ করার কারণে স্বার্থবাদী ও বিদ্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রের স্বীকার হন অতপর তাকে কারারুদ্ধ করা হয়। তাঁর কারাবরণের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। ইতিহাসের কিতাবসমূহে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি বিভিন্ন মেয়াদে ২১বার কারা বরণ করেছেন।
কেন কারাবরণ করেছিলেন? ঐযে আজকের সো-ক্লড শাইখ,মুফতি,মাক্কী কিংবা আযহারীর মত ঐক্য খুজে বেড়াননি দ্বীন বিকৃতকারী মানহয-এর সাথে। আক্বীদাহ্’র ক্ষেত্রে আহলুস সুন্নাহর ইমামগণ ছিলেন অত্যন্ত কঠোর।
আমরা আমাদের ইমামদের মাথার তাজ মনে করি, তাদের মানহায অনুসরণ করি। আজকে যার বা যাদের এই মানহায পছন্দ হয়না সে বা তারা ঐসকল ভ্রষ্ট লোকদের সাথে ঐক্য খুজে বেড়ায় যারা, আল্লাহর মর্যাদা দিতে যানে না, পারেনা রাসুলুল্লাহর সুন্নাহকে জীবিত করতে বরং সুন্নাহ গুলোকে ধরে ধরে জবেহ করে।
এদের সাথে ঐক্য তখন আসবে যখন এরা আক্বীদাহ ও মানহাযে সালাফদের পথ অনুসরণ করবে এর আগে নয়!
যারা আমার রবের ব্যাপারে নিম্ন মানের ধারণা করে আমরা তাদের সাথে কখনো আপোষ করবোনা, আমরা তাদেরকে আমাদের ভাই বলবো না যারা উম্মুল মু’মিনীনদের গালি দেয়, আমরা তাদের সাথে উঠাবসা করবো না যারা রাসুলুল্লাহর সুন্নাহ’কে জবেহ করে বিদ’আত প্রচলন ও এর উপর অটল থাকে, আমরা তাদেরকে রদ করেই যাবো যাদের পুর্বসূরী হচ্ছে উসমান রাঃ এর হত্যাকারী।
পরিশেষে,
৩৫ হিজরী সালে (৬৫৬ খৃঃ) ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান উসমান ইবনু আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে যারা নির্মমভাবে শহীদ করেছে তাদের ব্যাপারে আমাদের শিথিলতা নেই । আমি খারেজীদের কথা বলছি, যাদের ব্যাপারে আল্লাহর রাসুল সাঃ বলছেন ‘খারেজীরা জাহান্নামের কুকুর’। (তিরমিযী ৩০০০, সহীহ আল জামি‘ ৩৩৪৭)
আমরা সেইসব ব্যাক্তির ব্যাপারে শিথিলতা অবলম্বন করতে পারিনা যারা, আল্লাহর নাম ও গুণ অস্বীকার করে ! যারা কিনা আল্লাহর যথাযত মর্যাদা দিতে পারেনা । আমি বলছি জাহমীদের কথা।
যাদের ব্যাপারে, আল ইমাম, আল হাফিয, আল মুহাদ্দিস, শাইখুল ইসলাম আবূ মুহাম্মাদ ‘আবদুল গানী আল-মাক্বদিসী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
জেনে রাখুন — ইসলাম ও এর অনুসারীদের ক্ষতি সাধিত হয় তিন ধরনের দলের মাধ্যমে:
– [আক্বীদাতুল হাফিয ‘আবদুল গানী, পৃষ্ঠা নং: ১২১]
- প্রথম দল আল্লাহর সিফাত সংক্রান্ত হাদীস প্রত্যাখ্যান ও এসব হাদীসের বর্ণনাকারীদের মিথ্যুক সাব্যস্ত করে। এসব লোকেরা ইসলাম ও এর অনুসারীদের জন্য কাফিরদের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর।
- আরেক দল এগুলোকে সহীহ বলে বিশ্বাস করে ও গ্রহণ করে, তবে এগুলোর অর্থ বিকৃত করে। এসব লোকেরা ক্ষতির দিক থেকে প্রথম দলের চাইতে অনেক বেশি নিকৃষ্ট।
- তৃতীয় দলটি প্রথম মত দুটি মিলিত করে। তাদের দাবি অনুযায়ী, তারা আল্লাহ থেকে যেকোন দৈহিক বৈশিষ্ট্য অপসারিত করে, যখন কিনা তারা মিথ্যা বলছে। এটি তাদেরকে প্রথম মত দুটি গ্রহণ করার দিকে পরিচালিত করে। এবং ভয়াবহতার দিক দিয়ে তারা প্রথম দুই দলের চেয়ে নিকৃষ্ট।
বিদ’আতীকে বিদ’আতী বলা, খারেজীকে খারেজী বলা জাহমীদে জাহমী বলাই হলো আহলুস সুন্নাহর মানহায,
ভাই মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ মৃধাঃ বিদ‘আতীকে যে বিদ‘আতী বলে না, তার ব্যাপারে বর্তমান যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম ‘আব্দুল-মুহসিন আল-‘আব্বাদ আল-বদর (حفظه الله)’র ফাতওয়া— অনুবাদ করেছিলেন খুব সুন্দর করেই!
ﺍﻟﺴّﺆﺍﻝ :
”ﺷﻴﺨﻨﺎ ﺫﻛﺮﺗﻢ ﺃﻣﺲ ﺃﻥ ﻣﻦ ﻟﻢ ﻳﺒﺪﻉ ﺍﻟﻤﺒﺘﺪﻉ ﻻ ﻳﻠﺤﻖ ﺑﻪ , ﻭ ﻻ ﻳﻠﺰﻣﻪ ﺃﻥ ﻳُﺘﺎﺑﻊ ﻣﻦ ﺑﺪّﻋﻪ ، ﻭﺫﻛﺮ ﺑﻌﺾ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﺃﻥ ﻣﻦ ﻟﻢ ﻳُﺒَﺪّﻉ ﺍﻟﻤﺒﺘﺪﻉ ﻳُﻠْﺤﻖُ ﺑﻪ , ﻓﻬﻞ ﺍﻟﺨﻼﻑ ﻓﻲ ﻫﺬﺍ ﻟﻔﻈﻲ؟ “
”ﺷﻴﺨﻨﺎ ﺫﻛﺮﺗﻢ ﺃﻣﺲ ﺃﻥ ﻣﻦ ﻟﻢ ﻳﺒﺪﻉ ﺍﻟﻤﺒﺘﺪﻉ ﻻ ﻳﻠﺤﻖ ﺑﻪ , ﻭ ﻻ ﻳﻠﺰﻣﻪ ﺃﻥ ﻳُﺘﺎﺑﻊ ﻣﻦ ﺑﺪّﻋﻪ ، ﻭﺫﻛﺮ ﺑﻌﺾ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﺃﻥ ﻣﻦ ﻟﻢ ﻳُﺒَﺪّﻉ ﺍﻟﻤﺒﺘﺪﻉ ﻳُﻠْﺤﻖُ ﺑﻪ , ﻓﻬﻞ ﺍﻟﺨﻼﻑ ﻓﻲ ﻫﺬﺍ ﻟﻔﻈﻲ؟ “
প্রশ্ন: “শাইখ, গতকাল আপনি বলেছেন, যে ব্যক্তি বিদ‘আতীকে বিদ‘আতী বলে না, তাকে তার (বিদ‘আতীর) মতাবলম্বী গণ্য করা হবে না। আর যে তাকে (বিদ‘আতীকে) বিদ‘আতী বলে, তার অনুসরণ করাও তার জন্য জরুরি নয়। কিছু ‘আলিম বলেছেন, যে ব্যক্তি বিদ‘আতীকে বিদ‘আতী বলে না, তাকে ঐ বিদ‘আতীরই মতাবলম্বী গণ্য করা হবে। এক্ষেত্রে যে মতপার্থক্যের সৃষ্টি হলো, তা কি শব্দগত (মতপার্থক্য)?
الشيخ :
❞ﺍﻟﻤﺒﺘﺪﻉ .. ﺍﻻﺑﺘﺪﺍﻉ .. ﻧﻌﻢ ﻓﻴﻪ ﻧﺎﺱ ﺃﻫﻞ ﺑﺪﻉ , ﻭﺍﺿﺤﺔ ﺃﻣﺮﻫﻢ , ﺑﻌﻴﺪﻭﻥ ﻋﻦ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭ ﻟﻴﺴﻮﺍ ﻣﻦ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭ ﻣﺤﺎﺭﺑﻮﻥ ﻟﻠﺴﻨﺔ، ﻭﺍﻟﺴﻨﺔ ﻓﻲ ﻭﺍﺩ ﻭ ﻫﻢ ﻓﻲ ﻭﺍﺩ ﺁﺧﺮ، ﻫﺆﻻﺀ ﻣﻦ ﻻ ﻳﺒﺪّﻋﻬﻢ ﻻ ﺷﻚّ ﺃﻧّﻪ ﻣﺒﺘﺪﻉ، ﺃﻣّﺎ ﻳﻌﻨﻲ ﺃﻧﺎﺱ ﻳﺤﺼﻞ ﻋﻨﺪﻫﻢ ﺧﻄﺄ ﻣﻦ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭ ﻳﺤﺼﻞ ﻋﻨﺪﻫﻢ .. ﻳﻌﻨﻲ .. ﺷﻲﺀ ﻣﻦ ﺍﻟﺨﻄﺄ ﺃﻭ ﻓﻬﻢ ﺧﺎﻃﺊ، ﻓﻬﺆﻻﺀ ﻻ ﻳُﻘﺎﻝ ﺃﻧﻬﻢ ﻣﺜﻞ ﺃﻭﻟﺌﻚ , ﻭ ﻻ ﻳﻘﺎﻝ ﺃﻥ ﻣﻦ ﻟﻢ ﻳﺒﺪّﻉ ﻫﺬﺍ ﻳﺼﻴﺮ ﻣﺒﺘﺪﻉ ، ﻧﻌﻢ.❝ ﺍﻫـ
❞ﺍﻟﻤﺒﺘﺪﻉ .. ﺍﻻﺑﺘﺪﺍﻉ .. ﻧﻌﻢ ﻓﻴﻪ ﻧﺎﺱ ﺃﻫﻞ ﺑﺪﻉ , ﻭﺍﺿﺤﺔ ﺃﻣﺮﻫﻢ , ﺑﻌﻴﺪﻭﻥ ﻋﻦ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭ ﻟﻴﺴﻮﺍ ﻣﻦ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭ ﻣﺤﺎﺭﺑﻮﻥ ﻟﻠﺴﻨﺔ، ﻭﺍﻟﺴﻨﺔ ﻓﻲ ﻭﺍﺩ ﻭ ﻫﻢ ﻓﻲ ﻭﺍﺩ ﺁﺧﺮ، ﻫﺆﻻﺀ ﻣﻦ ﻻ ﻳﺒﺪّﻋﻬﻢ ﻻ ﺷﻚّ ﺃﻧّﻪ ﻣﺒﺘﺪﻉ، ﺃﻣّﺎ ﻳﻌﻨﻲ ﺃﻧﺎﺱ ﻳﺤﺼﻞ ﻋﻨﺪﻫﻢ ﺧﻄﺄ ﻣﻦ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭ ﻳﺤﺼﻞ ﻋﻨﺪﻫﻢ .. ﻳﻌﻨﻲ .. ﺷﻲﺀ ﻣﻦ ﺍﻟﺨﻄﺄ ﺃﻭ ﻓﻬﻢ ﺧﺎﻃﺊ، ﻓﻬﺆﻻﺀ ﻻ ﻳُﻘﺎﻝ ﺃﻧﻬﻢ ﻣﺜﻞ ﺃﻭﻟﺌﻚ , ﻭ ﻻ ﻳﻘﺎﻝ ﺃﻥ ﻣﻦ ﻟﻢ ﻳﺒﺪّﻉ ﻫﺬﺍ ﻳﺼﻴﺮ ﻣﺒﺘﺪﻉ ، ﻧﻌﻢ.❝ ﺍﻫـ
শাইখ: ❝বিদ‘আতী…বিদ‘আত..। হ্যাঁ, কিছু মানুষ আছে যারা বিদ‘আতী। তাদের বিষয় সুস্পষ্ট। তারা সুন্নাহ থেকে বহুদূরে অবস্থান করছে, তারা আহলুস-সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত নয়, আর তারা সুন্নাহর সাথে যুদ্ধ করছে। সুন্নাহ রয়েছে এক উপত্যকায়, আর তারা রয়েছে আরেক উপত্যকায়। এদেরকে যে ব্যক্তি বিদ‘আতী বলে না, সেও বিদ‘আতী—এতে কোনো সন্দেহ নেই।
পক্ষান্তরে কিছু মানুষ রয়েছে যাদের ভুল হয়েছে, তথাপি তারা আহলুস-সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ, সামান্য কোনো ভুল বা গলদ বুঝ। একথা বলা হবে না যে, এরাও ঐ বিদ‘আতীদের মতো। আর এও বলা হবে না যে, এই ব্যক্তিকে যে বিদ‘আতী বলে না সেও বিদ‘আতী। না‘আম।❞
কেউ যখন বিদ‘আতীদের রদ করতে যায়, তখন কতিপয় ব্যক্তির কথায় খুবই আশ্চর্য হই, যখন তাঁরা বলেন যে, বিদ‘আতীদের রদ করা ঠিক নয়, কারণ এতে মনোমালিন্য ও বিভেদ সৃষ্টি হয়। কী ধরনের ইবলিসি কথা! এটা তো ওই কাফিরদের কথা, যাদের ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেছেন, وَدُّوا لَوْ تُدْهِنُ فَيُدْهِنُونَ “তারা চায় যে, তুমি যদি আপসকামী হও, তবে তারাও আপসকারী হবে।” [সূরাহ ক্বালাম: ৯]
ইমাম যাহাবী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭৪৮ হি.] হাদীসশাস্ত্রের হাফিয শাইখুল ইসলাম ইমাম আবূ ইসমা‘ঈল ‘আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ আল-আনসারী আল-হারাউয়ী (রাহিমাহুল্লাহ)’র [মৃত: ৪৮১ হি.] জীবনচরিতে লিখেছেন,
قال ابن طاهر سمعته—يعني أبا إسماعيل الـهروي—يقول: عُرِضتُ على السيف خمسَ مراتٍ لا يُقال لـي: ارجع عن مذهبك، ولكن يُقال لـي: اسكتْ عمَّنْ خالفكَ ، فأقول: لا أسكت.
“ইবনু ত্বাহির বলেছেন, আমি আবূ ইসমা‘ঈল আল-হারাউয়ীকে বলতে শুনেছি, “আমাকে পাঁচবার তরবারির সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু আমাকে বলা হয়নি যে, তুমি তোমার মতাদর্শ থেকে ফিরে আস। বরং আমাকে বলা হয়েছে, তুমি তোমার (আদর্শ) বিরোধীদের ব্যাপারে চুপ থাক। আমি বলেছি, আমি চুপ থাকব না”।
[ইমাম যাহাবী (রাহিমাহুল্লাহ), সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা; খণ্ড: ১৮; পৃষ্ঠা: ৫০৯; মুআসসাতুর রিসালাহ কর্তৃক প্রকাশিত; সন: ১৪২২ হি./২০০১ খ্রি.
আহলুস সুন্নাহ’র এই মহান ইমামের প্রতি আল্লাহ রহম করুন। তিনি তরবারির সামনেও আহলুস সুন্নাহ’র এই মূলনীতির ব্যাপারে বিদ‘আতীদের সাথে আপোষ করেননি। সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহ।
বিদ’আতীরা আল্লাহর রাসুলের সুন্নাহকে জবেহ করছে, আর চালু করছে নিত্যনতুন বিদ’আহঃ আমরা এদের সাথে আপোষ করবো না।
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] বলেছেন,
الرادّ على أهل البدع مجاهد، حتى كان يحيى بن يحيى يقول: الذب عن السنّة أفضل الجهاد.
“বিদ‘আতীদের রদকারী একজন মুজাহিদ। এমনকি ইয়াহইয়া বিন ইয়াহইয়া বলেছেন, ‘সুন্নাহকে ডিফেন্ড করা সর্বোত্তম জিহাদ’।”
– [নাক্বদুল মানত্বিক্ব, পৃষ্ঠা: ১২; গৃহীত: শাইখ খালিদ বিন দ্বাহউয়ী আয-যাফীরী (হাফিযাহুল্লাহ), ইজমা‘উল ‘উলামা ‘আলাল হাজরি ওয়াত তাহযীরি মিন আহলিল বিদা‘; পৃষ্ঠা: ১০৪; মাকতাবাতুল আসালাতিল আসারিয়্যাহ, জেদ্দা কর্তৃক প্রকাশিত; সন: ১৪২৩ হি./২০০২ খ্রি. (৩য় প্রকাশ)] ।
সুতরাং আমরা আমাদের সালাফদের মানহাযের উপর অটল থাকবো, যদি তাদের সাথে আমাদের সালাফরা ঐক্য খুজতেন তাহলে বাগদাদের রাস্তায় মার খাওয়া লাগতো না ইমাম আহমাদের।
যুগে যুগে যারা সত্য দ্বীনের খেদমতে নিজেদের জীবন ও যৌবন ব্যয় করেছেন, তাদের কেউই যুলুম-নির্যাতন থেকে রেহাই পান নি। শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমীয়ার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ইসলামের নামে প্রচলিত ভ্রান্ত মতবাদের কঠোর প্রতিবাদ করার কারণে স্বার্থবাদী ও বিদ্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রের স্বীকার হন অতপর তাকে কারারুদ্ধ করা হয়। তাঁর কারাবরণের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। ইতিহাসের কিতাবসমূহে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি বিভিন্ন মেয়াদে ২১বার কারা বরণ করেছেন।
কেন কারাবরণ করেছিলেন? ঐযে আজকের সো-ক্লড শাইখ,মুফতি,মাক্কী কিংবা আযহারীর মত ঐক্য খুজে বেড়াননি দ্বীন বিকৃতকারী মানহয-এর সাথে। আক্বীদাহ্’র ক্ষেত্রে আহলুস সুন্নাহর ইমামগণ ছিলেন অত্যন্ত কঠোর।
আমরা আমাদের ইমামদের মাথার তাজ মনে করি, তাদের মানহায অনুসরণ করি। আজকে যার বা যাদের এই মানহায পছন্দ হয়না সে বা তারা ঐসকল ভ্রষ্ট লোকদের সাথে ঐক্য খুজে বেড়ায় যারা, আল্লাহর মর্যাদা দিতে যানে না, পারেনা রাসুলুল্লাহর সুন্নাহকে জীবিত করতে বরং সুন্নাহ গুলোকে ধরে ধরে জবেহ করে।
এদের সাথে ঐক্য তখন আসবে যখন এরা আক্বীদাহ ও মানহাযে সালাফদের পথ অনুসরণ করবে এর আগে নয়!
যারা আমার রবের ব্যাপারে নিম্ন মানের ধারণা করে আমরা তাদের সাথে কখনো আপোষ করবোনা, আমরা তাদেরকে আমাদের ভাই বলবো না যারা উম্মুল মু’মিনীনদের গালি দেয়, আমরা তাদের সাথে উঠাবসা করবো না যারা রাসুলুল্লাহর সুন্নাহ’কে জবেহ করে বিদ’আত প্রচলন ও এর উপর অটল থাকে, আমরা তাদেরকে রদ করেই যাবো যাদের পুর্বসূরী হচ্ছে উসমান রাঃ এর হত্যাকারী।
পরিশেষে,
لَّقَدْ كَانَ لَكُمْ فِى رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُوا اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْءَاخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا
যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রসূলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। [আহযাবঃ২১]