‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

ঋণমুক্তির মা’ছুর দু‘আসমূহ

Farhad Molla

Susceptible

Exposer
Q&A Master
Reporter
Salafi User
Threads
141
Comments
218
Solutions
1
Reactions
1,403
Credits
1,274
ঋণমুক্তির মা’ছুর দু‘আসমূহ

এক)

عَنْ عَلِيٍّ رضى الله عنه أَنَّ مُكَاتَبًا، جَاءَهُ فَقَالَ إِنِّي قَدْ عَجَزْتُ عَنْ كِتَابَتِي فَأَعِنِّي.‏ قَالَ أَلاَ أُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ عَلَّمَنِيهِنَّ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ لَوْ كَانَ عَلَيْكَ مِثْلُ جَبَلِ صِيرٍ دَيْنًا أَدَّاهُ اللَّهُ عَنْكَ قَالَ "‏قُلِ اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ"‏

আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, একজন মুকাতিব (লিখিত চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কৃতদাস) তার নিকট এসে নিবেদন করলো, ‘আমি আমার নির্ধারিত অর্থ দিতে অপারগ, অতএব আপনি আমাকে সাহায্য করুন।’ (এ কথা শুনে) তিনি বললেন, “তোমাকে কি এমন দু‘আ শিখিয়ে দিব না, যা রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে শিখিয়েছিলেন? যদি তোমার ওপর পর্বত সমপরিমাণ ঋণও থাকে, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তোমার পক্ষ থেকে তা পরিশোধ করে দিবেন। বলো,

اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ

অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমার জন্য আপনার হালাল রিযিক দিয়ে হারাম রিযিক থেকে যথেষ্ট করুন এবং আপনি ছাড়া অন্য সকল থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী করুন।” [হাসান; সহীহ তিরমিযী- ৩৫৬৩; মুসনাদ আহমাহ- ১৩২১]

দুই)

عَنْ سُهَيْلٍ، قَالَ كَانَ أَبُو صَالِحٍ يَأْمُرُنَا إِذَا أَرَادَ أَحَدُنَا أَنْ يَنَامَ أَنْ يَضْطَجِعَ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَنِ ثُمَّ يَقُولُ ‏"‏اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ وَرَبَّ الأَرْضِ وَرَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ رَبَّنَا وَرَبَّ كُلِّ شَىْءٍ فَالِقَ الْحَبِّ وَالنَّوَى وَمُنْزِلَ التَّوْرَاةِ وَالإِنْجِيلِ وَالْفُرْقَانِ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ شَىْءٍ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ اللَّهُمَّ أَنْتَ الأَوَّلُ فَلَيْسَ قَبْلَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الآخِرُ فَلَيْسَ بَعْدَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الظَّاهِرُ فَلَيْسَ فَوْقَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الْبَاطِنُ فَلَيْسَ دُونَكَ شَىْءٌ اقْضِ عَنَّا الدَّيْنَ وَأَغْنِنَا مِنَ الْفَقْرِ"‏

সুহাইল রাহিমাহুল্লাহ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ সালিহ আমাদেরকে আদেশ করতেন, “যখন আমাদের কেউ ঘুমাতে যায় সে যেন ডান পার্শ্বে কাত হয়ে ঘুমায়, এরপর যেন বলে,
اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ وَرَبَّ الأَرْضِ وَرَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ رَبَّنَا وَرَبَّ كُلِّ شَىْءٍ فَالِقَ الْحَبِّ وَالنَّوَى وَمُنْزِلَ التَّوْرَاةِ وَالإِنْجِيلِ وَالْفُرْقَانِ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ شَىْءٍ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ اللَّهُمَّ أَنْتَ الأَوَّلُ فَلَيْسَ قَبْلَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الآخِرُ فَلَيْسَ بَعْدَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الظَّاهِرُ فَلَيْسَ فَوْقَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الْبَاطِنُ فَلَيْسَ دُونَكَ شَىْءٌ اقْضِ عَنَّا الدَّيْنَ وَأَغْنِنَا مِنَ الْفَقْرِ

অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আপনি আকাশমণ্ডলী, যমীন ও মহান আরশের রব, আমাদের রব ও সব কিছুর পালনকর্তা, আপনি শস্য ও বীজের সৃষ্টিকর্তা, আপনি তাওরাত, ইনজীল ও কুরআনের অবতীর্ণকারী, আমি আপনার নিকট সকল বিষয়ের খারাবি হতে আশ্রয় চাই। আপনিই একমাত্র সব বিষয়ের পরিচর্যাকারী। হে আল্লাহ! আপনিই শুরু, আপনার আগে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই এবং আপনিই শেষ, আপনার পরে কোন কিছু নেই। আপনিই প্রকাশ্য, আপনার উর্ধ্বে কেউ নেই; আপনিই গুপ্ত, আপনার অগোচরে কিছু নেই। আমাদের ঋণকে আদায় করে দিন এবং অভাব থেকে আমাদের সচ্ছলতা দিন।” [সহীহ মুসলিম- ২৭১৪; সহীহ তিরমিযী- ৩৪০০; ইবনে মাজাহ- ৩৮৭৩]

তিন)

حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ أَبِي عَمْرٍو، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ ﷺ يَقُولُ "‏اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ، وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ"‏‏.‏

আনাস ইবনে মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলতেন,

“اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ، وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ

হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই- দুশ্চিন্তা, পেরেশানী, অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরুষতা, কৃপণতা, ঋণভার ও মানুষের প্রভাবাধীন হওয়া থেকে।” [সহীহ বুখারী- ৬৩৬৯]

চার)

عن أنس قال: قال رسول الله ﷺ لمعاذ : ألا ‌أعلمك ‌دعاء ‌تدعو ‌به ‌لو ‌كان ‌عليك مثل جبل دينا لأدى الله عنك؟ قل يا معاذ اللَّهُمَّ مَالِكُ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ بِيَدِكَ الْخَيْرِ إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ رَحْمَانُ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ تُعْطِيهُمَا مَنْ تَشَاءُ وَتَمْنَعُ مِنْهُمَا مَنْ تَشَاءُ ارْحَمْنِي رَحْمَةً تُغْنِينِي بِهَا عَنْ رَحْمَةِ مَنْ سِوَاكَ

আনাস ইবনে মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “হে মু‘আয! আমি কি তোমাকে এমন একটি দু‘আ শিখিয়ে দিব না যা পাঠ করলে তুমি পাহাড় পরিমাণ ঋণ থেকেও মুক্তি পাবে? হে মু‘আয তুমি বলো:

اللَّهُمَّ مَالِكُ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ بِيَدِكَ الْخَيْرِ إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ رَحْمَانُ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ تُعْطِيهُمَا مَنْ تَشَاءُ وَتَمْنَعُ مِنْهُمَا مَنْ تَشَاءُ ارْحَمْنِي رَحْمَةً تُغْنِينِي بِهَا عَنْ رَحْمَةِ مَنْ سِوَاكَ

অর্থাৎ, হে আল্লাহ, রাজাধিরাজ সকল রাজত্বের মালিক, আপনি যাকে ইচ্ছা রাজত্ব প্রাদান করেন এবং যার থেকে ইচ্ছা রাজত্ব ছিনিয়ে নেন। আপনি যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন এবং যাকে ইচ্ছা অপমানিত করেন। আপনার হাতেই কল্যাণ। নিশ্চয় আপনি সকল বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান। পার্থিব জগৎ এবং পারলৌকিক জগতের মহাকরুণাময় ও অপার দয়াশীল। আপনি যাকে ইচ্ছা এই করুণারাজী প্রদান করেন এবং যাকে ইচ্ছা বঞ্চিত করেন। আপনি আমাকে এমন রহমত প্রদান করুন যে রহমত আমাকে আপনি ছাড়া অন্য কারও করুণা থেকে অমুখাপেক্ষী বানাবে।” [তাবারানী, আল-মু’জামুল কাবীর- ৫৫৮; সহীহুত তারগীব ওয়াত তারহীব- ১৮২১]

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা আমাদের সকলকে অধিক পরিমাণে দু‘আগুলোর ওপর আমল করার তাওফীক্ব দান করুন। সকল প্রকার ঋণ ও মানুষের প্রতি মুখাপেক্ষীতা থেকে আমাদের রক্ষা করুন।

সম্পাদনায়,
শাইখ ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ হাফিযাহুল্লাহ
২৯ যুলহিজ্জাহ ১৪৪৫ হিজরী, ৬ জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
 

Share this page