ফাযায়েলে আমল উত্তম চরিত্র

Habib Bin TofajjalVerified member

If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Joined
Nov 25, 2022
Threads
690
Comments
1,228
Solutions
17
Reactions
7,152
আপনি মানুষের সঙ্গে উত্তম আচরণ করুন। তাদের সঙ্গে সদাচরণ করুন। তাদের বিপদাপদে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। সাধ্যানুযায়ী তাদেরকে সাহায্য করুন। আল্লাহ তাদের যেসব নেয়ামত ও অনুগ্রহ দান করেছেন, তা নিয়ে হিংসাবিদ্বেষ পরিহার করুন। তাদের কোনো দোষত্রুটি আপনি জানলে তা প্রচার না করে গোপন রাখুন। তারা কষ্ট পায় এমন কথা, কাজ ও আচরণ পরিহার করুন। এভাবে নিজেকে সজ্জিত করতে পারলে, দেখবেন তারা আপনার জন্য আপনার উপস্থিতিতে ও অনুপস্থিতিতে দুআ করবে। আবূ হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের সম্পদের মাধ্যমে মানুষকে সংকুলান করতে সক্ষম হবে না। তবে উৎফুল্ল চেহারা ও উত্তম চরিত্রের মাধ্যমে সংকুলান করতে সক্ষম হবে।’[1]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, ‘যে-ব্যক্তি আল্লাহর নামে নিরাপত্তা চায়, তাকে নিরাপত্তা দাও। যে-ব্যক্তি আল্লাহর নামে ভিক্ষা চায়, তাকে দাও। যে-ব্যক্তি তোমাদেরকে দাওয়াত করে তার ডাকে সাড়া দাও। যে-ব্যক্তি তোমাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করে তোমরা তার উত্তম প্রতিদান দাও। প্রতিদান দেওয়ার মতো কিছু না পেলে তার জন্য ততক্ষণ দুআ করতে থাকো, যতক্ষণ না তোমরা অনুধাবন করতে পার যে, তোমরা তার প্রতিদান দিতে পেরেছো।’[2]

আমরা আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ দেখতে পাই, যারা মানুষের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার কারণে এবং তাদের মাধ্যমে মানুষজন কষ্ট পাওয়ার কারণে যখনই তাদের নাম সামনে আসে, তখন মানুষ তাদেরকে গালমন্দ করে, তাদেরকে লানত করে এবং তাদের জন্য বদদুআ করে।

অপরপক্ষে এমন অনেক মানুষকে দেখতে পাওয়া যায়, যাদের ভালো আচরণ ও বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতার কারণে মানুষজন তাদের ব্যাপারে মুগ্ধ থাকে। ফলে তাদের নাম স্মরণে আসলে বা তাদের নাম আলোচনায় আসলে মানুষেরা তাদের সুনাম করে, তাদের প্রশংসা করে এবং তাদের জন্য দুআ করে। কাজেই আপনি নিজেকে এমনভাবে গড়ে তুলেন যে, আপনার জীবিত অবস্থায় তো দূরের কথা আপনার মৃত্যুর পরও মানুষজন আপনার জন্য দুআ করবে এবং তাদের দুআর উপকার পরকালে পেতে থাকবেন।


[1] সহীহুত তারগীব ওয়াত তারহীব, ২৬৬১; আলবানী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।
[2] সুনানু আবী দাউদ, ১৬৭২; সুনানুন নাসায়ী, ২৫৬৭, সহীহুল জামি, ৬০২১; আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
 
Similar threads Most view View more
Back
Top