‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

হাদিস ও হাদিসের ব্যাখ্যা ঈমানের ব্যাপারে ইন-শাআল্লাহ বলা

Abdul fattah

Well-known member

Threads
44
Comments
46
Reactions
328
Credits
506
আওযা‘ঈ রহ. আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণীর ব্যাপারে বলেছেন,

﴿لَتَدۡخُلُنَّ ٱلۡمَسۡجِدَ ٱلۡحَرَامَ إِن شَآءَ ٱللَّهُ ءَامِنِينَ﴾ [الفتح: ٢٧]

“তোমরা ইনশাআল্লাহ নিরাপদে তোমাদের মাথা মুণ্ডন করে এবং চুল ছেঁটে নির্ভয়ে আল-মাসজিদুল হারামে অবশ্যই প্রবেশ করবে”। [সূরা আল-ফাতহ, আয়াত: ২৭] তিনি বলেন, আল্লাহ অবশ্যই জানেন যে, তারা নিঃসন্দেহে মসজিদে হারামে প্রবেশ করবেন; তারপরেও তিনি ইনশাআল্লাহ বলেছেন। (সুতরাং ইনশাআল্লাহ বললে সন্দেহযুক্ত হয়ে যাবে তা শুদ্ধ নয়)।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَى الْمَقْبُرَةَ، فَقَالَ: «السَّلَامُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ، وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللهُ بِكُمْ لَاحِقُونَ، وَدِدْتُ أَنَّا قَدْ رَأَيْنَا إِخْوَانَنَا» قَالُوا: أَوَلَسْنَا إِخْوَانَكَ؟ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ: «أَنْتُمْ أَصْحَابِي وَإِخْوَانُنَا الَّذِينَ لَمْ يَأْتُوا بَعْدُ» فَقَالُوا: كَيْفَ تَعْرِفُ مَنْ لَمْ يَأْتِ بَعْدُ مِنْ أُمَّتِكَ؟ يَا رَسُولَ اللهِ فَقَالَ: «أَرَأَيْتَ لَوْ أَنَّ رَجُلًا لَهُ خَيْلٌ غُرٌّ مُحَجَّلَةٌ بَيْنَ ظَهْرَيْ خَيْلٍ دُهْمٍ بُهْمٍ أَلَا يَعْرِفُ خَيْلَهُ؟» قَالُوا: بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ: «فَإِنَّهُمْ يَأْتُونَ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنَ الْوُضُوءِ، وَأَنَا فَرَطُهُمْ عَلَى الْحَوْضِ أَلَا لَيُذَادَنَّ رِجَالٌ عَنْ حَوْضِي كَمَا يُذَادُ الْبَعِيرُ الضَّالُّ أُنَادِيهِمْ أَلَا هَلُمَّ فَيُقَالُ: إِنَّهُمْ قَدْ بَدَّلُوا بَعْدَكَ فَأَقُولُ سُحْقًا سُحْقًا».

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, “একবার রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি কবরস্থানে এসে বললেন, তোমাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। এটা মুমিনদের ঘর। ইনশাআল্লাহ আমরাও তোমাদের সাথে এসে মিলবো। আমার বড় ইচ্ছা হয় আমাদের ভাইদেরকে দেখি। সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা কি আপনার ভাই নই? তিনি বললেন, তোমরা তো আমার সাহাবী। আর যারা এখনো (পৃথিবীতে) আসে নি তারা আমাদের ভাই। সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনার উম্মাতের মধ্যে যারা এখনো (পৃথিবীতে) আসে নি তাদেরকে আপনি কীভাবে চিনবেন? তিনি বললেন, কেন? যদি কোনো ব্যক্তির কপাল ও হাত-পা সাদাযুক্ত ঘোড়া সম্পূর্ণ কালো ঘোড়ার মধ্যে মিশে যায় তবে সে কি তার ঘোড়াকে চিনে নিতে পারে না? তারা বললেন, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তিনি বললেন, তারা (আমার উম্মাত) সেদিন এমন অবস্থায় আসবে যে, অযুর ফলে তাদের মুখ-মণ্ডল হবে নুরানী এবং হাত-পা দীপ্তিময়। আর হাউযের পাড়ে আমি হবো তাদের অগ্রনায়ক। জেনে রাখো, কিছু সংখ্যক লোককে সেদিন আমার হাউয থেকে হটিয়ে দেওয়া হবে যেমনিভাবে পথহারা উটকে হটিয়ে দেওয়া হয়। আমি তাদেরকে ডাকব, এসো এসো। তখন বলা হবে, এরা আপনার পরে (আপনার দীনকে) পরিবর্তন করে দিয়েছিল। তখন আমি বলবো, দূর হও, দূর হও”।

সহীহ, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৯।

সুফিয়ান সাওরী রহ. বলেন, যে ব্যক্তি ‘আমি ইনশাআল্লাহ মুমিন’ একথা বলতে অপছন্দ করে সে আমাদের কাছে মুরজিয়াহ ফের্কার অন্তর্ভুক্ত –একথা বলে তিনি তাঁর কণ্ঠ উঁচু করেন-। অনুরূপ একলোক ‘আলকামা রহ. কে জিজ্ঞেস করলেন, অপনি কি মুমিন? তিনি বললেন, ইনশাআল্লাহ আশা করি আমি মুমিন। ইমাম বায়হাকী রহ. শু‘আবুল ঈমানে (১/৩৮) বলেন, আমরা একথা সাহাবী, তাবেয়ী ও সৎ উত্তরসূরীদের এক বিরাট দল থেকে বর্ণনা করেছি।
 
COMMENTS ARE BELOW

Arman_Bhuiyan

New member

Threads
0
Comments
3
Reactions
0
Credits
12
তাহলে ইনশা'আল্লাহ বলাটা হল অনেকটা আল্লাহ'র সুদৃষ্টি এবং দয়ার প্রতি ভালো ধারনা করার মতন। একজন মুমিন ইনশা'আল্লাহ বলে তার ঈমানের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়, এতে আল্লাহর উপর তার অবিচল আস্তা এবং আশার মৌখিক প্রকাশ। নিশ্চয়ই আল্লাহ আর রহমানুর রাহিম।
 

Share this page