সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

হাদিস ও হাদিসের ব্যাখ্যা ঈমানের বাড়তি-কমতি

Abdul fattah

Well-known member

Threads
52
Comments
54
Reactions
383
Credits
581
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿وَمَا زَادَهُمۡ إِلَّآ إِيمَٰنٗا وَتَسۡلِيمٗا﴾ [الاحزاب : ٢٢]​

“এতে তাদের ঈমান ও আত্মসমর্পণই বৃদ্ধি পেলো”। [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ২২]

﴿وَيَزۡدَادَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِيمَٰنٗا﴾ [المدثر: ٣١]​

“আর মুমিনদের ঈমান বেড়ে যায়”। [সূরা আল-মুদ্দাসসির, আয়াত: ৩১]

﴿فَأَمَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ فَزَادَتۡهُمۡ إِيمَٰنٗا﴾ [التوبة: ١٢٤]​

“অতএব, যারা মুমিন নিশ্চয় তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করেছে”। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ১২৪]

﴿فَٱخۡشَوۡهُمۡ فَزَادَهُمۡ إِيمَٰنٗا﴾ [ال عمران: ١٧٣]​

“সুতরাং তাদেরকে ভয় করো; কিন্তু তা তাদের ঈমান বাড়িয়ে দিয়েছিল”। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৭৩]

﴿لِيَزۡدَادُوٓاْ إِيمَٰنٗا مَّعَ إِيمَٰنِهِمۡ﴾ [الفتح: ٤]​

“যেন তাদের ঈমানের সাথে ঈমান বৃদ্ধি পায়”। [সূরা আল-ফাতহ, আয়াত: ৪]

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ، قَالَ: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: حَتَّى إِذَا خَلَصَ الْمُؤْمِنُونَ مِنَ النَّارِ، فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ بِأَشَدَّ مُنَاشَدَةً لِلَّهِ فِي اسْتِقْصَاءِ الْحَقِّ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ لِلَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لِإِخْوَانِهِمُ الَّذِينَ فِي النَّارِ، يَقُولُونَ: رَبَّنَا كَانُوا يَصُومُونَ مَعَنَا وَيُصَلُّونَ وَيَحُجُّونَ، فَيُقَالُ لَهُمْ: أَخْرِجُوا مَنْ عَرَفْتُمْ، فَتُحَرَّمُ صُوَرُهُمْ عَلَى النَّارِ، فَيُخْرِجُونَ خَلْقًا كَثِيرًا قَدِ أَخَذَتِ النَّارُ إِلَى نِصْفِ سَاقَيْهِ، وَإِلَى رُكْبَتَيْهِ، ثُمَّ يَقُولُونَ: رَبَّنَا مَا بَقِيَ فِيهَا أَحَدٌ مِمَّنْ أَمَرْتَنَا بِهِ، فَيَقُولُ: ارْجِعُوا فَمَنْ وَجَدْتُمْ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالَ دِينَارٍ مِنْ خَيْرٍ [ص: فَأَخْرِجُوهُ، فَيُخْرِجُونَ خَلْقًا كَثِيرًا، ثُمَّ يَقُولُونَ: رَبَّنَا لَمْ نَذَرْ فِيهَا أَحَدًا مِمَّنْ أَمَرْتَنَا، ثُمَّ يَقُولُ: ارْجِعُوا فَمَنْ وَجَدْتُمْ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالَ نِصْفِ دِينَارٍ مِنْ خَيْرٍ فَأَخْرِجُوهُ، فَيُخْرِجُونَ خَلْقًا كَثِيرًا، ثُمَّ يَقُولُونَ: رَبَّنَا لَمْ نَذَرْ فِيهَا مِمَّنْ أَمَرْتَنَا أَحَدًا، ثُمَّ يَقُولُ: ارْجِعُوا فَمَنْ وَجَدْتُمْ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ مِنْ خَيْرٍ فَأَخْرِجُوهُ، فَيُخْرِجُونَ خَلْقًا كَثِيرًا ثُمَّ يَقُولُونَ: رَبَّنَا لَمْ نَذَرْ فِيهَا خَيْرًا "، وَكَانَ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ يَقُولُ: إِنْ لَمْ تُصَدِّقُونِي بِهَذَا الْحَدِيثِ فَاقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ: ﴿إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَظۡلِمُ مِثۡقَالَ ذَرَّةٖۖ وَإِن تَكُ حَسَنَةٗ يُضَٰعِفۡهَا وَيُؤۡتِ مِن لَّدُنۡهُ أَجۡرًا عَظِيمٗا٤﴾ [النساء : ٤٠] فَيَقُولُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: شَفَعَتِ الْمَلَائِكَةُ، وَشَفَعَ النَّبِيُّونَ، وَشَفَعَ الْمُؤْمِنُونَ، وَلَمْ يَبْقَ إِلَّا أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ، فَيَقْبِضُ قَبْضَةً مِنَ النَّارِ، فَيُخْرِجُ مِنْهَا قَوْمًا لَمْ يَعْمَلُوا خَيْرًا قَطُّ قَدْ عَادُوا حُمَمًا، فَيُلْقِيهِمْ فِي نَهَرٍ فِي أَفْوَاهِ الْجَنَّةِ يُقَالُ لَهُ: نَهَرُ الْحَيَاةِ، فَيَخْرُجُونَ كَمَا تَخْرُجُ الْحِبَّةُ فِي حَمِيلِ السَّيْلِ».​

“শেষ নাগাদ মুমিনরা জাহান্নাম থেকে নাজাত পেয়ে যাবে। সেই সত্তার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ, তোমাদের কেউ নিজের অধিকার আদায়ের দাবীতে, ততোখানি অনমনীয় নও যতোখানি কঠোর হবে কিয়ামতের দিন মুমিনরা আল্লাহর কাছে তাদের সে সব ভাইদের মুক্তির জন্যে যারা জাহান্নামে চলে গেছে। তারা বলবে, হে আমাদের রব! তারা আমাদের সাথে সাওম পালন করতো, সালাত পড়তো এবং হজ করতো। তখন তাদেরকে বলা হবে, যাও, তোমরা যাদেরকে চিনো তাদেরকে বের করে নিয়ে আসো। অতঃপর জাহান্নামের আগুন তাদের চেহারার জন্য হারাম হয়ে যাবে। তারা বহু সংখ্যক লোককে জাহান্নাম থেকে বের করে আনবে। আগুন এদের কারো পায়ের নলা পর্যন্ত এবং কারো পায়ের গোড়ালী পর্যন্ত জ্বালিয়ে ফেলবে। অতঃপর তারা বলবে, হে আমাদের রব, এখন এমন কোনো ব্যক্তি অবশিষ্ট নেই, যাদেরকে বের করার জন্যে আপনি নির্দেশ দিয়েছিলেন। অতঃপর আল্লাহ বলবেন, আবার যাও। যাদের অন্তরে এক দীনার পরিমাণ কল্যাণ (ঈমান) দেখতে পাবে, তাদেরকে বের করে আনো। এবার তারা অনেক লোককে বের করে নিয়ে আসবে। তারা আবার বলাবে, হে আমাদের রব, এমন কোনো ব্যক্তিকে আমরা বাদ দিইনি, যাদেরকে বের করার জন্যে আপনি নির্দেশ করেছিলেন। অতঃপর তিনি তাদেরকে বলবেন, পুনরায় যাও, যাদের অন্তরে অর্ধদীনার পরিমাণ ঈমান পাবে, তাদেরকে বের করে আনো। এবার তারা বহু লোককে বের করে আনবে। তারা ফিরে এসে বলবে, হে আমাদের রব, আপনি যাদেরকে আনার নির্দেশ করেছিলেন, এমন কোনো ব্যক্তিকে আমরা রেখে আসি নি। আল্লাহ বলবেন, পুনরায় যাও, যাদের অন্তরে বিন্দু পরিমাণ ঈমান পাবে তাদেরকে বের করে নিয়ে আসো। এবারও তারা বহু সংখ্যক লোক বের করে নিয়ে আসবে এবং ফিরে এসে বলবে, হে আমাদের রব, সামান্য পরিমাণ ঈমানদার আর একজন লোককেও আমরা জাহান্নামে অবশিষ্ট রেখে আসি নি।

হাদীসের বণর্নাকারী আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, যদি তোমরা আমাকে এ হাদীসের ব্যাপারে বিশ্বাস না করো, তা হলে আমার কথার সত্যতা প্রমাণের এ আয়াতটি পাঠ করে নাও:

﴿إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَظۡلِمُ مِثۡقَالَ ذَرَّةٖۖ وَإِن تَكُ حَسَنَةٗ يُضَٰعِفۡهَا وَيُؤۡتِ مِن لَّدُنۡهُ أَجۡرًا عَظِيمٗا٤﴾ [النساء : ٤٠]​

“নিশ্চয় আল্লাহ অনু পরিমাণও জুলুম করেন না। আর যদি সেটি ভালো কাজ হয়, তিনি তাকে বহুগুণ করে দেন এবং তাঁর পক্ষ থেকে মহা প্রতিদান প্রদান করেন”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৪০] অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, ফিরিশতাগণ, নবীগণ এবং মুমিনরা সবাই শাফা‘আত করে অবসর হয়েছে। এখন (আমি) ‘আরহামুর রাহেমিন’ পরম দয়ালু ব্যতীত আর কেউ অবশিষ্ট নেই। তখন তিনি এক মুষ্টি ভর্তি এক দল লোককে জাহান্নাম থেকে বের করবেন। তিনি এমন সব লোককে বের করে আনবেন, যারা কখনো কোনো নেক আমল করে নি। এরা জ্বলে পুড়ে কয়লার মতো হয়ে গেছে। অতঃপর তাদেরকে জান্নাতের দ্বারদেশে নাহরুল হায়াত’ নামক একটি ঝর্ণায় নামানো হবে। তারা এখান থেকে এমন ভাবে সজীব হয়ে বের হবে যেমন বন্যার আবজর্নাময় ভেজা মাটিতে বীজ অংকুরিত হয়ে বেড়ে ওঠে”।

মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি, সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৪৩৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৮৩।

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَدْخُلُ أَهْلُ الجَنَّةِ الجَنَّةَ، وَأَهْلُ النَّارِ النَّارَ»، ثُمَّ يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: «أَخْرِجُوا مِنَ النَّارِ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ مِنْ إِيمَانٍ. فَيُخْرَجُونَ مِنْهَا قَدِ اسْوَدُّوا، فَيُلْقَوْنَ فِي نَهَرِ الحَيَا، أَوِ الحَيَاةِ - شَكَّ مَالِكٌ - فَيَنْبُتُونَ كَمَا تَنْبُتُ الحِبَّةُ فِي جَانِبِ السَّيْلِ، أَلَمْ تَرَ أَنَّهَا تَخْرُجُ صَفْرَاءَ مُلْتَوِيَةً».​

আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “জান্নাতে জান্নাতীরা এবং জাহান্নামীরা জাহান্নামে প্রবেশ করবেন। পরে আল্লাহ তা‘আলা (ফিরিশতাদের) বলবেন, যার অন্তরে একটি সরিষা পরিমাণও ঈমান রয়েছে, তাকে জাহান্নাম থেকে বের করে নিয়ে আসো। তারপর তাদের জাহান্নাম থেকে বের করা হবে এমন অবস্থায় যে, তারা (পুড়ে) কালো হয়ে গেছে। এরপর তাদের বৃষ্টিতে বা হায়াতের [বর্ণনাকারী মালিক রহ. শব্দ দু’টির কোনটি এ সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করেছেন] নদীতে ফেলা হবে। ফলে তারা সতেজ হয়ে উঠবে, যেমন বন্যার পানির পাশে ঘাসের বীজ গজিয়ে উঠে। তুমি কি দেখতে পাওনা সেগুলো কেমন হলুদ রঙের হয় ও ঘন হয়ে গজায়”?

মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি, সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৮৪, হাদীসের শব্দ বুখারীর চয়নকৃত।

عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَفِي قَلْبِهِ وَزْنُ شَعِيرَةٍ مِنْ خَيْرٍ، وَيَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَفِي قَلْبِهِ وَزْنُ بُرَّةٍ مِنْ خَيْرٍ، وَيَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَفِي قَلْبِهِ وَزْنُ ذَرَّةٍ مِنْ خَيْرٍ»​

আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে কেউ ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলবে আর তার অন্তরে একটি যব পরিমাণও নেকী থাকবে, তাকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে এবং যে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলবে আর তার অন্তরে একটি অনু পরিমাণও নেকী থাকবে তাকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে।

মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি, সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৯৩:৩২৫।

عَنْ عَبْدِ اللهِ بن مسعود، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَدْخُلُ النَّارَ أَحَدٌ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةِ خَرْدَلٍ مِنْ إِيمَانٍ، وَلَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ أَحَدٌ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةِ خَرْدَلٍ مِنْ كِبْرِيَاءَ».​

আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমান থাকবে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। আর যে ব্যক্তির অন্তরে এক সরিষার দানা পরিমাণ অহমিকা থাকবে সেও জান্নাতে প্রবেশ করবে না”।

সহীহ, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯১:১৪৮।

عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا مُيِّزَ أَهْلُ الْجَنَّةِ، وَأَهْلُ النَّارِ، فَدَخَلَ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ، وَأَهْلُ النَّارِ النَّارَ، قَامَتِ الرُّسُلُ فَشَفَعُوا، فَيَقُولُ: انْطَلِقُوا - أَوْ اذْهَبُوا - فَمَنْ عَرَفْتُمْ، فَأَخْرِجُوهُ، فَيُخْرِجُونَهُمْ قَدِ امْتُحِشُوا، فَيُلْقُونَهُمْ فِي نَهَرٍ - أَوْ عَلَى نَهَرٍ - يُقَالَ لَهُ: الْحَيَاةُ "، قَالَ: " فَتَسْقُطُ مَحَاشُّهُمْ عَلَى حَافَةِ النَّهَرِ، وَيَخْرُجُونَ بِيضًا مِثْلَ الثَّعَارِيرِ، ثُمَّ يَشْفَعُونَ، فَيَقُولُ: اذْهَبُوا - أَوْ انْطَلِقُوا - فَمَنْ وَجَدْتُمْ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالَ قِيرَاطٍ مِنْ إِيمَانٍ فَأَخْرِجُوهُمْ "، قَالَ: " فَيُخْرِجُونَ بَشَرًا، ثُمَّ يَشْفَعُونَ، فَيَقُولُ: اذْهَبُوا أَوْ انْطَلِقُوا، فَمَنْ وَجَدْتُمْ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلَةٍ مِنْ إِيمَانٍ فَأَخْرِجُوهُ، ثُمَّ يَقُولُ اللهُ: أَنَا الْآنَ أُخْرِجُ بِعِلْمِي وَرَحْمَتِي" قَالَ: "فَيُخْرِجُ أَضْعَافَ مَا أَخْرَجُوا وَأَضْعَافَهُ، فَيُكْتَبُ فِي رِقَابِهِمْ عُتَقَاءُ اللهِ، ثُمَّ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ فَيُسَمَّوْنَ فِيهَا الْجَهَنَّمِيِّينَ».​

জাবির রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “জান্নাতীরা যখন জান্নাতে ও জাহান্নামীরা যখন জাহান্নামের জন্য আলাদা করা হবে এবং জান্নাতীরা যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নামীরা যখন জাহান্নামে প্রবেশ করবে তখন রাসূলগণ দাঁড়িয়ে সুপারিশ করতে চাইবেন, তখন তাদের বলা হবে, যাও বা চলো, তোমরা জাহান্নামে গিয়ে দেখো যাদেরকে তোমরা চিনো তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে নিয়ে এসো। তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে নিয়ে আসা তৎক্ষণাৎ তাদের চেহারা জ্বলে পুড়ে দগ্ধ হয়ে গেছে। তখন তাদেরকে ঝর্ণায় বা ‘হায়াত’ নামক নহরে এ নিক্ষেপ করা হবে। তাদের দগ্ধ শরীর সে নহরের দু‘পার্শ্বে এমন শুভ্রভাবে উদ্ভূত হবে, যেমন কোনো (বন্যার আবর্জনাস্থিত বীজ থেকে) তৃণ উদ্ভূত হয়। অতঃপর আবার শাফা‘আত করা হবে। অতঃপর বলা হবে, চলো বা যাও, তোমরা জাহান্নামে গিয়ে যাদের অন্তরে ‘কিরাত’ (ইঞ্চি) পরিমাণ ঈমান পাবে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে নিয়ে আস ফলে একদলকে বের করে নিয়ে আসা হলো। অতঃপর আবার শাফা‘আত করবে, তাদেরকে বলা হবে চলো বা যাও, যাদের অন্তরে সরিষা পরিমাণ ঈমান পাবে তাদেরকে বের করে নিয়ে আসো। অতঃপর মহান আল্লাহ বলবেন, আমি এখন আমার ইলম ও রহমত অনুযায়ী মুক্ত করে আনবো। বর্ণনাকারী বলেন, ফলে অন্যরা যা বের করে এনেছে আল্লাহ তা‘আলা তার থেকে বহুগুণ বেশি বিশাল একদল জাহান্নামীকে মুক্ত করে নিয়ে আসলেন। তাদের গর্দানে লিখা থাকবে ‘উতাকাউল্লাহ’ «عُتَقَاءُ الله» (আল্লাহর আযাদকৃত)। অতঃপর তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদেরকে জান্নাতীরা ‘জাহান্নামী’ (জাহান্নাম থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত) বলে আখ্যায়িত করবে”।

হাসান, মুসনাদ আহমদ, হাদীস নং ১৪৪৯১, ১৫০৪৮; ইবন হিব্বান, হাদীস নং ১৮৩, তিনি বলেছেন।

عَنْ جُنْدُبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ فِتْيَانٌ حَزَاوِرَةٌ، «فَتَعَلَّمْنَا الْإِيمَانَ قَبْلَ أَنْ نَتَعَلَّمَ الْقُرْآنَ، ثُمَّ تَعَلَّمْنَا الْقُرْآنَ فَازْدَدْنَا بِهِ إِيمَانًا».​

জুনদুব ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলাম। আমরা ছিলাম শক্তিশালী এবং সক্ষম যুবক। আমরা কুরআন শেখার পূর্বে ঈমান শিখেছি। অতঃপর কুরআন শিখেছি এবং তা দ্বারা আমাদের ঈমান বাড়িয়ে নিয়েছি”।

হাসান, ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৬১।

হাদীসে উল্লিখিত «حَزَاوِرَةٌ » এর অর্থ হলো শক্তিশালী ও সক্ষম যুবক।
 
COMMENTS ARE BELOW
Top