• আসসালামু আলাইকুম, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের ফোরামে মেজর কিছু চেঞ্জ আসবে যার ফলে ফোরামে ১-৩ দিন মেইনটেনেন্স মুডে থাকবে। উক্ত সময়ে আপনাদের সকলকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

বিভিন্ন ফিরকা ইহসান, মুরাক্বাবাহ ও মেডিটেশন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ লেখনী

Threads
4
Comments
5
Reactions
39
Credits
21
ইহসানঃ কোনো সন্দেহ নেই যে ইহসান হচ্ছে দীনের সর্বোচ্চ স্তর। আর ইহসান বলতে বুঝায় আল্লাহর হক্ক ও বান্দার হক সর্বোত্তম পদ্ধতিতে আদায় করা।

রাসূল (ﷺ) বলেন,

إن الله كتب الإحسان في كل شيء فإذا قتلتم فأحسنوا القتلة وإذا ذبحتم فأحسنوا الذبحة …….​

এ হচ্ছে মাখলুকের সাথে ইহসান।

রাসূল (ﷺ) আরো বলেন,

الإحسان أن تعبد الله كأنك تراه فإن لم تكن تراه فإنه يراك​

এ হচ্ছে খালেকের হকের ব্যাপারে ইহসান।

মুরাকাবাঃ মূলত ইবাদতে ইহসান,

‎فإن لم تكن تراه فإنه يراك​

এর ব্যাখ্যায় বড় বড় যাহিদ দুনিয়াবিমুখ আবেদদের মাধ্যমে এ “মুরাকাবাহ” পরিভাষাটির সূত্রপাত হয়।

আল্লাহর ইবাদতকে কীভাবে যাবতীয় লৌকিকতার পাপ থেকে পরিচ্ছন্ন রাখবে সেটাই ছিল তার উদ্দেশ্য।

ইবাদতকে আল্লাহর জন্য খালেস কীভাবে করতে হবে সেটাই ছিল এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।

পরিভাষাটির শুদ্ধাশুদ্ধ নিয়ে আমি আজ বিতর্কে জড়াতে চাচ্ছি না। কারণ উম্মতের গ্রহণযোগ্য অনেক আলেম সেটা ব্যবহার করেছেন। তবে কুরআন ও সুন্নাহর পরিভাষাটিকে সর্বদা আঁকড়ে থাকার বিশেষ যে উপকারিতা রয়েছে তা বর্তমানে মুরাকাবাহ শব্দটির অপব্যবহারেই বুঝা যাচ্ছে।

বস্তুত ইহসানের একটি অংশ “মুরাকাবাহ” নামে একদল সাধকের দ্বারা ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিল।

মেডিটেশন, ধ্যান, যোগব্যায়ামঃ
ধীরে ধীরে ইহসান ও মুরাকাব তার মূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজেই একটি উদ্দেশ্য হয়ে যায়। লৌকিকতাই যার সারকথা হয়ে দাঁড়ায়।

এর সাথে যুক্ত হয়েছে ভণ্ড সূফী শ্রেণির “তাসাওউরে শায়খ” ও বিভিন্ন কিছুর ধ্যানের প্রবর্তন। যা ছিল হিন্দু এবং বৌদ্ধদের থেকে ধার করা। পরবর্তীতে আমাদের দেশের তথাকথিত সূফীদের কাছে তা নতুন আঙ্গিকে নতুন রূপে প্রতিষ্ঠা পেলো।

এরপর সেটি মহাজাতকের মত সর্বধর্ম লণ্ডভণ্ডকারী প্রতারকদের দ্বারাও ম্যাল প্রাকটিস করা হতে থাকলো। আলেমরা চুপ থাকলো, কিছু সূফী লোক খুশি হলো যে এটাও চলে ওটাও চলে। ধীরে ধীরে এটি তার শেকড় গভীরে গাড়তে লাগলো। কেউ কেউ কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে জাতির ভবিষ্যৎ সন্তানদের আফিম দিয়ে বুঁদ করে রাখার দারুন অস্ত্র পেল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেটাকে প্রবর্তনের বিষয় হিসেবে দাঁড় করানো হলো।

আমাদের অবশ্যই এটা মনে গেথে নেয়া দরকার যে, তারা তাদের এ ভণ্ডামীকে “মুরাকাবাহ” নাম দিলেও তা মূলত হিন্দু যোগীদের যোগ ব্যায়াম। রমেশ যোগীদের দ্বারা প্রবর্তিত নতুন ধর্ম। আমাদেরকে অবশ্যই এর বিপক্ষে থাকতে হবে। ইসলাম পরিপূর্ণ, সেখানে অন্য ধর্ম কিংবা মতবাদের অনুপ্রবেশ একেবারেই নিষিদ্ধ।


প্রফেসর ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
Link: Log into Facebook
 
Last edited by a moderator:
COMMENTS ARE BELOW
Top