সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।
Mahmud ibn Shahidullah

প্রবন্ধ ইসলামী জামা‘আতের মূল স্তম্ভ (১৩তম কিস্তি)

Mahmud ibn Shahidullah

Knowledge Sharer

ilm Seeker
Q&A Master
Salafi User
Threads
520
Comments
533
Reactions
5,445
Credits
2,602
যথাযোগ্যকে যথাস্থানে নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা গ্রহণ

সাংগঠনিক বিচক্ষণতা ও অগ্রগতির একটি অন্যতম লক্ষণ হলো, যে ব্যক্তি যে কাজের যোগ্য তাকে সেই কাজে নিয়োগ করা ও সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যোগ্যতা মূলত তিন প্রকার, যেমন: দৈহিক, মানসিক ও মেধাগত। এগুলোর সবই আবার দু’প্রকার, যেমন: স্বভাবগত বা সৃষ্টিগত এবং উপার্জিত বা অভিজ্ঞতালব্ধ। কারো ভিতরে যদি এ সব কিছুর সমন্বয় ঘটে তাহলে সেটা অনেক বিশাল ব্যাপার; কিন্তু তা সাধারণত খুব কম লোকের ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে। তবে যার মধ্যে যে যোগ্যতা অধিকহারে পলিক্ষিত হয়, তাকে সেই কাজে নিয়োগ করা বা সেই আসনে আসীন করা ও তার নিকট থেকে সেই বিষয়ে অধিক হারে ফায়দা নেয়া সার্বিক দিক থেকে সঙ্গত ও ফলপ্রসূ। অপরদিকে যে যেটা পারে না বা যার যে কাজে যোগ্যতা নেই, তাকে সে ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ দিয়ে অপ্রয়োজনে কষ্ট দেয়া বা কাজের ক্ষতি করার কোনো অর্থ নেই, তবে কাজ শিখানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া সেটি অন্য বিষয়। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন,

وَ فَوۡقَ کُلِّ ذِیۡ عِلۡمٍ عَلِیۡمٌ​

‘আর প্রত্যেক জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তির উপর অধিক জ্ঞানী রয়েছেন’ (সূরা ইউসুফ : ৭৬)। আর হাদীসে এসেছে,

عَنْ عَائِشَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ أَمَرَنَا رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَنْ نُنَزِّلَ النَّاسَ مَنَازِلَهُمْ.​

আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, ‘নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন আমরা লোকদেরকে তাদের নিজ-নিজ অবস্থান হিসাবে মর্যাদা প্রদান করি’।[১] আরবীতে প্রচলিত কথা আছে,

لِكُلِّ فَنٍّ رِجَالٌ​

‘প্রত্যেক বিষয়ের জন্য বিশেষজ্ঞ ও যথাযোগ্য লোক রয়েছে’। এক ইংরেজ কবি তার কবিতায় আহ্বান জানিয়েছেন,


Give us man;

Man from every rank;

Free fresh and frank.


শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) যথাযোগ্য ব্যক্তিকে যথাস্থানে নিয়োগ দেয়ার গুরুত্ব প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন,

)قال شيخُ الإسلام ابنُ تَيمِية "فَيَجبُ عَلى وَلي الأَمر أنْ يُولي عَلى كلّ عَمل من أَعمَال المُسلمينَ أَصلَح مَن يَجدُه لِذَلك العَمل. قال النَّبيُّ ﷺ "مَن وَلي مِن أَمر المُسلمين شَيئًا فوَلَّى رَجلًا وهُو يَجِدُ مَن هُو أَصلَح للمُسلمين منهُ، فَقدْ خانَ اللهَ ورَسولَه". وفي رواية: "مَن وَلَّى رَجلًا عَلى عِصابَة، وهٌو يَجدُ في تلك العصابَة مَن هُو أَرضَى لله منهُ، فَقد خانَ اللهَ ورَسولَه وخانَ المُؤمنين". (رواه الحاكم في صحيحه). وروى بعضُهم أنَّه من قول عُمر رَضي اللهُ عَنه.. .. وقالَ عُمرُ بن الخطَّاب رَضي اللهُ عنه: "مَن وَلي من أَمر المُسلمين شَيئاً فَولَّي رَجلًا لِمَودَّة أو قَرابَة بَينهُما، فَقد خانَ اللهَ ورَسولَه والمُسلمين". وهذا واجب عليه"​

‘আর ‘ওলিউল আমর’-এর (যথাযথ কর্তৃত্বের অধিকারী/Competent authority) জন্য ওয়াজিব হল, মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ (রাষ্ট্রীয়, জাতীয়সহ অন্যান্য) প্রত্যেকটি কাজের ক্ষেত্রে যে বিষয়ে যে ব্যক্তিকে অতি যোগ্য হিসাবে তিনি প্রাপ্ত হবেন তাকে নিয়োগ দিবেন। তিনি কাউকে এজন্য প্রাধান্য দিবেন না যে, সে দায়িত্ব চেয়েছে কিংবা আগে আবেদন করেছে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুসলিমদের কোনো বিষয়ে ওলিউল আমর (কর্তৃত্বশীল) হলো আর মুসলিমদের জন্য অধিকতর যোগ্যতার অধিকারীকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে নিয়োগ দিল, তাহলে সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে (আমানতের) খেয়ানত করলো’। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি (কর্তৃত্বশীল) কোনো দলের দায়িত্বে এমন কাউকে নিয়োগ দিল এমতাবস্থায় যে, সে দলের মধ্যে তার চেয়ে অধিক সন্তোষজনক যোগ্যতার লোক বিদ্যমান রয়েছে, তাহলে সে আল্লাহর সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে খিয়ানত করলো এবং মুমিনদের সাথে খিয়ানত করলো’। (ইমাম হাকিম তাঁর সহীহতে বর্ণনা করেছেন)। কেউ কেউ বলেছেন যে, এ কথাটি ‘উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর। ... আর ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুসলিমদের কোনো কর্তৃত্ব পেল আর সে বন্ধুত্ব বা আত্মীয়তার ভিত্তিতে কাউকে (রাষ্ট্রীয়, জাতীয় সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে) নিয়োগ দিল, তাহলে সে আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং মুসলিমদের সাথে আমানতের খেয়ানত করল; আর (নির্মোহভাবে) যথাযোগ্য লোককে যথাস্থানে নিয়োগ দেয়া কর্তৃত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির জন্য ওয়াজিব’।[২]

শাইখুল ইসলাম আরো বলেন,

فيجب عليه البحث عن المستحقين للولايات من نوابه على الأمصار من الأمراء الذين هم نواب ذي السلطان والقضاة ونحوهم، ومن أمراء الأجناد ومقدمي العساكر الصغار والكبار وولاة الأموال من الوزراء والكتاب . . . أن يستنيب ويستعمل أصلح من يجده؛ وينتهي ذلك إلى أئمة الصلاة والمؤذنين والمقرئين والمعلمين وأمراء الحج ...​

‘ওলিউল আমরের (যথাযথ কর্তৃপক্ষের) জন্য ওয়াজিব হলো যে, তিনি দায়িত্ব পালনের জন্য যথাযোগ্য হক্দার লোকদেরকে খুঁজে বের করবেন, সে দায়িত্ব হোক বিভিন্ন অঞ্চলের আমীর তথা শাসন ক্ষমতার অধিকারী সুলত্বানের নওয়াব, গভর্নরগণ (Governors/Commissioners বা অন্যান্য প্রতিনিধিগণ) অথবা ক্বাযীগণ (বিচারকগণ/Judges) ইত্যাদি সেনাবাহিনীর আমীরগণ (উচ্চপদস্থ অধিনায়কগণ/Army Generals), সামরিক বাহিনীর (পুলিশ সহ) বড় বা ছোট পদের কমান্ডারগণ (Commanders), অর্থনৈতিক দায়িত্বশীলগণ, উযিরগণ (Ministers), সচিবগণ (Secretaries) ... এসকল ক্ষেত্রে তিনি অধিকতর যোগ্য যাকে পাবেন তাকে প্রতিনিধিত্ব দিবেন ও নিয়োগ করবেন। আর এ বিষয়টি সালাতের ইমামগণ, মুয়ায্যিনগণ, কুরআন শিক্ষা দানকারীগণ, পাঠাগারের শিক্ষকগণ, হজ্জের আমীরগণ ... ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য’।[৩] তিনি আরো বলেন,

فيَجبُ على كلّ مَن ولي شَيئاً من أمرِ المُسلِمين مِن هَؤلاء وغيرِهم أن يَستعمِل فيما تَحتَ يدِه في كلِّ مَوضع أصلَح مَن يَقدِر عليه، ولا يُقدّم الرَّجل لِكونِه طَلبَ الوِلاية أو سَبق في الطلب؛ بَل يَكون ذلك سَببا لِلمَنع. فإنَّ النَّبيَّ ﷺ قال: "إنَّا لا نُولِّي أمرَنا هذا مَن طلَبَه.​

‘সুতরাং যে ব্যক্তি মুসলিমদের কোনো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব লাভ করলেন, তার জন্য ওয়াজিব হল, তার কর্তৃত্বের আওতায় প্রত্যেক জায়গাতে তিনি সাধ্যানুযায়ী অধিক যোগ্য লোককে নিয়োগ দিবেন। আর কাউকে এজন্য নিয়োগ দিবেন না যে সে দায়িত্ব চেয়েছে বা অপরের চাইতে আগে প্রার্থী হয়েছে; বরং এ ধরনের কর্ম তার নিয়োগ না পাবার কারণ হিসাবে দেখা দিবে। কেননা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘আমরা আমাদের এ জাতীয় দায়িত্ব গুরু-দায়িত্ব যে ব্যক্তি (লোভাতুর হয়ে অন্যায়ভাবে) চায় তাকে দেই না’।[৪] শাইখুল ইসলাম আরো উল্লেখ করেন,

فإنْ عدلَ عن الأحقِّ والأصلحِ إلى غيرِه لِأجلِ قَرابة بَينهما أو وَلاء عِتاقة أو صَداقَة أو مُرافَقة في بَلد أو مَذهب أو طَريقة أو جِنس: كالعربيَّة والفارسيَّة والتركية أو لِرِشوَة يأخذُها منه مِن مال أو مَنفعة أو غيرِ ذلك من الأسبابِ أو لِضَغن في قلبه على الأحقِّ أو عَداوةٍ بَينهما: فقد خانَ اللهَ ورسولَه والمُؤمِنين، ودخلَ فيما نَهى عَنه في قولِه تَعالَى: { یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَخُوۡنُوا اللّٰہَ وَ الرَّسُوۡلَ وَ تَخُوۡنُوۡۤا اَمٰنٰتِکُمۡ وَ اَنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ- وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّمَاۤ اَمۡوَالُکُمۡ وَ اَوۡلَادُکُمۡ فِتۡنَۃٌ ۙ وَّ اَنَّ اللّٰہَ عِنۡدَہٗۤ اَجۡرٌ عَظِیۡمٌ }؛ فإنَّ الرَجلَ لِحُبِّه لِوَلَدِه أو لِعتِيقِه قد يُؤثِره في بَعضِ الوِلايات، أو يُعطيه ما لا يَستَحقُّه؛ فيَكون قد خانَ أمانتَه؛ وكذلك قد يُؤثرُه زِيادة في مالهِ أو حفظِه بأخذِ ما لا يَستحِقُّه أو مُحابَاة من يُداهِنُه في بَعض الوِلايات؛ فيَكون قد خانَ اللهَ ورسولَه وخانَ أمانتَهُ".​

‘যদি তিনি বেশি হক্দার ও অধিকতর যোগ্যকে পাশ কাটিয়ে অন্যের দিকে মোড় নেন, তাদের পরস্পরের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্কের কারণে কিংবা মুক্ত করার সম্পর্কের কারণে কিংবা বন্ধুত্বের কারণে কিংবা আঞ্চলিকতার সম্পর্কের কারণে কিংবা সম-মাযহাব, সম-ত্বরিকাহ বা সম-সমপ্রদায় যেমন: আরবী, ফার্সি, তুর্কী ইত্যাদি হওয়ার কারণে অথবা তার কাছ থেকে মালের কিংবা অন্য লাভজনক কিছুর ঘুষ পাওয়া ইত্যাদি কারণে কিংবা অধিকতর হক্দার যোগ্যের বিরুদ্ধে অন্তরে হিংসা থাকার কারণে কিংবা উভয়ের মধ্যে দুশমনির কারণে তাকে (অধিক যোগ্যকে) বাদ দিয়ে অধিকতর অযোগ্যকে নিয়োগ দেন, তাহলে তিনি আল্লাহর সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে এবং মুমিনদের সাথে বিশ^াসঘাতকতা করলেন, এবং তিনি আল্লাহর এই কালামে বিঘোষিত নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ে গেলেন: ‘হে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের (আমানতের) খেয়ানত করো না এবং তোমরা নিজেরা পরস্পরের (আমানতের) খেয়ানত করো না! আর জেনে রেখো! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি অবশ্যই এক পরীক্ষা। আর নিশ্চয় আল্লাহ, তাঁরই কাছে রয়েছে মহাপুরস্কার’ (সূরা আল-আনফাল : ২৭-২৮)। কেননা কর্তা-ব্যক্তি তাঁর সন্তানের প্রতি কিংবা আযাদকৃতের প্রতি ¯েœহ, ভালোবাসা তথা স্বজনপ্রীতির কারণে তাকে কোনো দায়িত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে প্রধান্য দিতে পারেন, কিংবা যা তার হক্ নয় তা তাকে দিয়ে দিতে পারেন। আর এমত কর্মের জন্য তিনি তার আমানতের খিয়ানত করলেন। অনুরূপ মাল বর্ধনের বা সংরক্ষণের দিকে লক্ষ্য করে কারো কাছ থেকে অবৈধভাবে কিছু গ্রহণ করে কিংবা তৈল মর্দনকারীর প্রতি ভালোবাসা বশতঃ তাকে রাষ্ট্রীয় কোনো পদ দিয়ে দিতে পারেন। এরূপ কর্মের মাধ্যমে তিনি আল্লাহর সাথে, তাঁর রাসূলের সাথে এবং মুমিনদের সাথে আমানতের খিয়ানত করলেন’।[৫] শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) আরো বলেন,

قال شيخ الإسلام ابن تيمية أيضاً : "أداءُ الأماناتِ إلى أهلِها والحكمُ بالعدلِ : هذان جماعُ السياسةِ العادلةِ والولاياتِ الصالحةِ​

‘(রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো) আমানত যথাযোগ্য হক্দারের কাছে পৌঁছে দেয়া এবং ন্যায়পরায়ণতার সাথে ফয়ছালা করা। ন্যায়ানুগ রাজনীতি ও সুশাসন উল্লেখিত বিষয়দ্বয়ের মধ্যেই সমন্বিত ও সন্নিহিত’।[৬] আর এ ক্ষেত্রে আমানত (প্রধানতঃ) দুই প্রকার:

১. রাষ্ট্রপরিচালনা ও শাসনকার্যে লোক নিয়োগের সাথে সম্পর্কিত আমানত।

২. অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট আমানত।[৭]

নেতৃত্ব করা ও শাসনকার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে যথাকর্মের জন্য অধিকতর যোগ্য লোক চিনতে পারা খুবই জরুরী বিষয়। শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) এ বিষয়ে বলেন,

وأَهَمُّ ما فِي هَذا البَابِ مَعرِفَة الأَصلَح، وذَلِك إِنَّما يَتمّ بِمَعرفَة مَقصود الوِلاية، فإِذا عُرِفَت المَقاصِد والوَسائِل تَمَّ الأمرُ، لِهَذا لَمَّا غَلبَ عَلى أَكثَر المُلوكِ قَصد الدُنيا دُون الدِّين، قَدَّمُوا فِي وِلايتِهم من يُعِينُهم عَلى تِلكَ المَقاصِد ...​

‘আর কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ হলো অধিকতর যোগ্য লোক চিনতে পারা ও তাকে যথাস্থানে নিয়োগ দেয়া। আর এটি তখনই যথাযথভাবে কার্যকর হবে, যখন কর্তত্বের লক্ষ্য উদ্দেশ্য অবগত হওয়া যাবে। যখন উদ্দেশ্যাবলী ও সেগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমগুলো পরিজ্ঞাত হবে তখন কাজটি যথাযথভাবে পূর্ণতা লাভ করবে। আর এ জন্যই দেখা যায় যে, যখন অধিকাংশ বাদশাহ’র (রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাসীন) মধ্যে দ্বীন বাদ দিয়ে দুনিয়ার লক্ষ্য (ব্যক্তি স্বার্থের ভ্রান্ত লক্ষ্য) প্রাধান্য পেয়েছে তখনই তারা তাদের (রাষ্ট্রীয়, জাতীয় ইত্যাদি) গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে তাদেরকেই নিয়োগ দিয়েছেন যারা তাদেরকে তাদের দুনিয়াবি উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সহযোগিতা করেছে...’।[৮] শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) আরো বলেন,

إذا عَرفَ هذا، فَلَيس علَيه أن يَستعمِل إلَّا الأَصلَح المَوجُود، وقَد لا يَكُون فِي مَوجُودِه مَن هُو أَصلَح لِتِلك الوِلايَة، فَيَختارُ الأَمثَل فَالأمثًل فِي كُلِّ مَنصب بِحَسبه. وإذا فَعلَ ذَلك بَعد الاِجتِهادِ التَّام وأخَذَه لِلوِلاية بِحَقِّها، فَقَد أدَّى الأَمانَة وقَام بِالوَاجِب فِي هَذا ، وصَارَ فِي هَذا مِن أَئِمَّة العَدل المُقسِطِين عِند اللهِ، وإنْ اختَلَّ بَعض الأُمُور بِسبَب مِن غَيره إذا لَمْ يُمكِن إلَّا ذَلِك، فإنَّ اللهَ يَقُول: { فَاتَّقُوا اللّٰہَ مَا اسۡتَطَعۡتُمۡ} (التغابن: 17). ويَقُول: { لَا یُکَلِّفُ اللّٰہُ نَفۡسًا اِلَّا وُسۡعَہَا) (البقرة:286) ... وقال النَّبِيُّ ﷺ: " إِذَا أَمَرْتُكُمْ بِأَمْرٍ فَأْتُوا مِنْهُ مَا اسْتَطَعْتُمْ. (البخاري ومسلم). لكن إن كان منه عَجز بلا حاجة إليه أو خِيانة عُوقب على ذلك. ويَنبَغي أن يعرفَ الأصلَح فِي كُلِّ مَنصب، فإنَّ الوِلايةَ لَها رُكنان: القُوَّة والأَمانَة".​

‘কর্তৃত্বশালী (Competent authority) ব্যক্তি যখন এ বিষয়গুলো জানতে ও বুঝতে পারলেন, তখন তিনি বিদ্যমান লোকদের মধ্য থেকে যে অধিকতর যোগ্য তাকে ছাড়া অন্য কাউকে নিয়োগ দিবেন না। হতে পারে যে, বিদ্যমানদের মধ্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তিটির বাইরেও আর কাউকে অধিক যোগ্য হিসাবে পাওয়া যাচ্ছে না, তাহলে তিনি প্রত্যেক পদের (Post/Portfolio) জন্য অপেক্ষিকভাবে যিনি উত্তম তাকেই নির্বাচিত করবেন ও নিয়োগ দিবেন। চূড়ান্ত প্রচেষ্টার পর যদি কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনিচ্ছাকৃত সামান্য ত্রুটি-বিচ্যুতি ঘটে যায়, তাহলেও আমানত আদায় হয়ে যাবে। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর যতটা পার’ (সূরা আত্-তাগাবূন : ১৬)।
তিনি আরো বলেন, ‘আল্লাহ কোনো ব্যক্তিকে তার সাধ্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৮৬)।
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘আমি যখন তোমাদেরকে কোনো কিছুর নির্দেশ প্রদান করি, তা তোমাদের সাধ্যানুযায়ী কর’![৯]
কিন্তু যদি ইচ্ছাপূর্বক অপরাগতা প্রকাশ করেন বা বিশ্বাসঘাতকতা করে ভুল নিয়োগ দেন; তাহলে সেটি অন্যায় ও আল্লাহর কাছে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। তাঁর জন্য উচিত হলো প্রত্যেক দায়িত্বের জন্য সর্বোচ্চ যোগ্য ব্যক্তিকে চিনতে ও জানতে পারা। আর রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীল ও কর্মকর্তার মৌলিক যোগ্যতা হলো দু’টি: কর্ম-শক্তি (সক্ষমতা ও দক্ষতা) এবং আমানতদারী’।[১০]

এখানে উল্লেখ্য, সাধ্য ও অসাধ্যের নামে, ইজতিহাদ ও সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের ধুয়া তুলে গাফলতি করে বা হঠকারিতার আশ্রয় নিয়ে শরী‘আতের বিধি-বিধানের কোনো ধরনের লঙ্ঘন এবং আমানতের খেয়ানত করার কোনো অবকাশ নেই। শরী‘আতের সীমারেখা ও মূলনীতি অবশ্যই যথাযথভাবে অনুসরণ করে নিয়োগ ও দায়িত্ব বণ্টন সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের দিকে অগ্রসর হতে হবেÑ যা খাঁটি তাক্ওয়া, সুগভীর শরী‘আতী জ্ঞান, প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা ও সুনিপুণ বিশ্লেষণের মাধ্যমেই সম্ভব।

শাইখুল ইসলাম আরো বলেন, ‘শক্তি (সক্ষমতা) ও আমানত, এ দু’টি গুণ একত্রে খুব কম লোকের মধ্যে পাওয়া যায়। আর এ জন্যই ‘উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলতেন, ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে ফাসেকের শক্তি আর বিশ্বস্ত লোকের দুর্বলতার অভিযোগ করছি’। রাষ্ট্রীয় প্রত্যেকটি বিশেষ দায়িত্বের জন্য যথাযোগ্য লোক নিয়োগ দেয়া ওয়াজিব। যদি দু’জন লোক নিযুক্ত হন; তাদের একজন বেশি আমানতদার আর অপরজন বেশি শক্তিশালী, তাহলে তাদের দু’জনের মধ্যে যিনি নির্দিষ্ট দায়িত্বটির জন্য বেশি কার্যকর ও উপকারী এবং কম ক্ষতিকর সাব্যস্ত হবেন, তাকেই সেখানে প্রাধান্য দিতে হবে। সুতরাং যুদ্ধের ইমারত (সেনাপতিত্ব¡) প্রদানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে শক্তিশালী ও সাহসী ব্যক্তিকে দুর্বল অপারগের উপর, যদিও বা শক্তিশালী ও সাহসী ব্যক্তির মধ্যে কিছু পাপাচার বা ত্রুটিবিচ্যুতি থাকে- পক্ষান্তরে দুর্বল ব্যক্তি যদি অধিকতর দ্বীনদার ও আমানতদার হন।

যেমনটা ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল (রাহিমাহুল্লাহ)-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, দু’ব্যক্তি যুদ্ধের আমীর (প্রস্তাবিত) হলেন, একজন শক্তিশালী কিন্তু কিছুটা গুনাহগার, আরেকজন অতি সৎ কিন্তু দুর্বল বা অযোগ্য, তখন কার অধীনে যুদ্ধ করতে হবে? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি শক্তিশালী অথচ গুনাহগার; কেননা তার শক্তি মুসলিমদের অনুকূলে কাজে লাগবে আর তার পাপকর্ম তার নিজের জন্য। আর যে কমজোর সৎ, তার সততা তার নিজের জন্য, কিন্তু তার দুর্বলতা (সেনাপতি হিসাবে) মুসলিমদের স্বার্থের প্রতিকূলে। সুতরাং শক্তিশালী গুনাহগারের সেনাপতিত্বেই যুদ্ধ করতে হবে’।[১১]
এজাতীয় ক্ষেত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা গুনাহগার লোকের দ্বারাও এই দ্বীনকে শক্তিশালী করে থাকেন’।[১২] আর যদি সেনাপতি গুনাহগার না হয় (এবং শক্তিশালীও হয়) তাহলে সে-ই (গুনাহগার সেনাপতির চাইতে) উত্তম’। শাইখুল ইসলাম আরো বলেন,

)وقال شيخُ الإسلام أيضاً "كان النبي ﷺ يَستعمِل خالدَ بن الوَليدِ على الحَرب مُنذ أن أسلَم، وقال:"إنَّ خالداً سَيف سلَّه اللهُ على المُشركين"؛ مع أنَّه كان أحياناً قد كان يَعمل ما يُنكره النَّبي ﷺ حَتى إنَّه مَرَّةً قام ورَفع يَديه إلى السماء وقال : "اللهُمَّ إنِّي أبرأ إليك مِمَّا فَعل خالد" . . . ومَع هذا فَما زالَ يُقدّمه في إمارة الحَرب؛ لأنَّه كان أصلَح في هذا الباب مِن غيره، و فَعل ما فَعل بِنَوع تَأويل. وقال شيخ الإسلام : وكان أبو ذَر أصلَح من خالد في الأمانَة والصدقِ ومَع ذلك قال له النَّبي ﷺ : " يَا أَبَا ذَرٍّ ! إِنِّى أَرَاكَ ضَعِيفًا وَإِنِّى أُحِبُّ لَكَ مَا أُحِبُّ لِنَفْسِى لاَ تَأَمُّرَنَّ عَلَى اثْنَيْنِ وَلاَ تَوَلَّيَنَّ مَالَ يَتِيمٍ"​

‘নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খালেদ বিন ওয়ালিদকে তাঁর ইসলাম গ্রহণের সময় থেকেই যুদ্ধের কমান্ডার (ঈড়সসধহফবৎ) হিসাবে নিযুক্ত করে এসেছেন এবং বলেছেন: ‘খালেদ হলো এমন তরবারী যাকে আল্লাহ্ মুশরিকদের বিরুদ্ধে উম্মুক্ত করেছেন’।[১৩] যদিও তিনি কখনো কখনো (যুদ্ধের সময়) এমন কিছু কাজ করে বসতেন, যা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অপসন্দ করতেন ও তজ্জন্য ভর্ৎসনাও করতেন। এমনকি একবার তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে দু’হাত তুলে বললেন, ‘হে আল্লাহ! খালেদ যা করেছে তার জন্য আমি আপনার কাছে দায়মুক্ততা ঘোষণা করছি’।[১৪]

এতৎসত্ত্বেও তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) তাকেই (খালিদকেই) যুদ্ধের আমীর বা সেনাপতি হিসাবে অগ্রাধিকার দিতেন; কেননা তিনি এ কাজে অপরের চাইতে বেশি যোগ্য ছিলেন। আর তিনি যদি কোথাও কিছু ত্রুটি করে থাকেন, তা ছিল তার ইজতিহাদ বা প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সরাসরি দলীলের অনুপস্থিতিতে জ্ঞান-বুদ্ধি-বিবেচনার প্রয়োগ (জেনেশুনে শরী‘আতের দলীলের বিরোধিতা করা নয়)। আবূ র্য (রাযিয়াল্লাহু আনহু) খালিদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) চেয়ে বেশি যোগ্য ছিলেন আমানত (অতি নিখুঁত) ও সততার দিক থেকে, তা সত্ত্বেও (তিনি যখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে কোনো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব চাইলেন, তখন তাঁর স্কন্ধে হাত মেরে) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বলেছেন:

يا أبا ذَرّ! إنَّكَ ضَعيفٌ، وإنَي أُحِبُّ لَك ما أُحِبُّ لِنَفسي، لا تَأمُرَنَّ بَينَ اثْنَيْنِ ولا تَوَلَّيَنَّ مَالَ يَتِيمٍ​

‘হে আবূ র্য! আমি তোমাকে (দুনিয়াবি বিষয়াবলি ও মনস্তাত্বিক দিক থেকে) কমজোর দেখতে পাচ্ছি, আর আমি নিজের জন্য যা ভালোবাসি তা তোমার ক্ষেত্রেও ভালোবাসি। তুমি কখনো দুইজনের মধ্যে কোনো বিচার-ফয়ছালা করবে না আর কখনো ইয়াতীমের মালের দায়-দায়িত্ব নিবে না’![১৫] আবূ র্য (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-কে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেছেন,

وقال ﷺ لِأبي ذَر: "يَا أَبَا ذَرٍّ! إِنَّكَ ضَعِيْفٌ وَإِنَّهَا أَمَانَةٌ وَإِنَّهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ خِزْىٌ وَنَدَامَةٌ إِلَّا مَنْ أَخَذَهَا بِحَقِّهَا وَأَدَّى الَّذِى عَلَيْهِ فِيهَا​

‘হে আবূ যর! নিশ্চয় তুমি (দুনিয়াবী বিষয়াবলী ও মনস্তাত্বিক দিক থেকে) কমজোর; আর ইমারত (নেতৃত্ব) হলো আমানত এবং এটি ক্বিয়ামতের দিন অপমান ও অনুতাপের কারণ; একমাত্র সে-ই (রক্ষা পাবে) যে এটা গ্রহণ করবে হক্-এর সাথে এবং এক্ষেত্রে তার উপর আরোপিত দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করবে’।[১৬]

(ইসলামে দায়িত্ব চাওয়া ও কর্মের জন্য দরখাস্ত করার বিধি-বিধান নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা এ অধ্যায়ের ‘কেন্দ্রীয় আমীরের অনুপস্থিতিতে স্থানীয় আমীরের ইজতিহাদ’ শীর্ষক অনুচ্ছেদে করা হবে ইন্শা-আল্লাহ্।)


তথ্যসূত্র :
[১]. সহীহ মুসলিম, মুকাদ্দিমাহ (শারহ সহ), পৃ. ১৬, (দারুস্সালাম), পৃ. ৬৭৩; আবূ দাঊদ, বিভাগ: আদব, অধ্যায়: লোকদেরকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয়া, হা/;৪৮৪২। উল্লেখ্য, উক্ত হাদীসে সনদগত ত্রুটি থাকলেও সহীহ মুসলিমে এমর্মে আরেকটি হাদীস এসেছে- হা/৬৭৩।
[২]. আস্সিয়াসাহ্ আশ্শার’ইয়্যাহ্, পৃ. ৭।
[৩]. প্রাগুক্ত, পৃ. ৭-৮।
[৪]. প্রাগুক্ত, পৃ. ৮; হাদীস : সহীহ বুখারী, ইজারাহ, হা/২২৬১, আল-আহকাম, হা/৭১৪৯; সহীহ মুসলিম, ইমারাহ, হা/৪৭১৭,
[৫]. প্রাগুক্ত, পৃ. ৯।
[৬]. আস্সিয়াসাহ্ আশ্-শার’ইয়্যাহ, পৃ. ৬।
[৭]. প্রাগুক্ত, পৃ. ৭, ২৪।
[৮]. আস্সয়াসাহ্ আশ্শার’ইয়্যাহ, পৃ. ২০।
[৯]. সহীহ বুখারী, আল-ই‘তিছাম বিল-কিতাব ওয়াস্সুন্নাহ, অধ্যায়: নবীর সুন্নাতের অনুসরণ, হা/৭২৮৮; সহীহ মুসলিম, ফাযায়েল, অধ্যায়: নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সম্মান করা এবং বেশি বেশি অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন না করা, হা/৬১১৩; আস্সিয়াসাহ্ আশ্শার’ইয়্যহ, পৃ. ১২)।
[১০]. আস্-সিয়াসাহ আশ্-শার’ইয়্যাহ, পৃ. ১২।
[১১]. আসসিয়াসাহ্ আশ্শারইয়্যাহ, পৃ. ১৫।
[১২]. সহীহ বুখারী, আল-জিহাদ, হা/৩০৬২, আল-মাগাযী, হা/৪২০৪।
[১৩]. সহীহ বুখারী, আল-মাগাযী (অংশবিশেষ), হা/৪২৬২।
[১৪]. সহীহ বুখারী, আল-মাগাযী, হা/৪৩৩৯।
[১৫]. প্রাগুক্ত, পৃ. ১৫-১৬; (হাদীস : সহীহ মুসলিম, ইমারাহ্, অধ্যায়: অপ্রয়োজনে ইমারত (নেতৃত্ব) নেয়া মাকরূহ, হা/৪৭২০)।
[১৬]. সহীহ মুসলিম, ইমারাহ, অধ্যায়: প্রাগুক্ত, হা/৪৭১৯।


-ড. মুহাম্মাদ মুছলেহুদ্দীন​

* অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।​
 
Last edited:
Top