ইমাম মাহদীর আর্বিভাব হবে প্রাচ্যে। কেননা হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের একটি খনিজ সম্পদের নিকট পরপর তিনজন খলীফার পুত্র নিহত হবে। তাদের কেউ সেই খনিজ সম্পদ দখল করতে পারবে না। অতঃপর প্রাচ্যদেশ থেকে কালো পতাকা উড্ডীন করা হবে। তারা তোমাদেরকে এত ব্যাপক ভাবে হত্যা করবে যে, ইতোপূর্বে কোন জাতি তদ্রুপ করে নি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো কিছু বলেছেনঃ যা আমার মনে নেই। তিনি আরো বলেনঃ তাকে আত্মপ্রকাশ করতে দেখলে তোমরা বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তার সাথে যোগদান করো। কারণ সে আল্লাহর খলীফা মাহদী।
(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪০৮৪; ইমাম যাহাবী ও হাকিম বলেন হাদীসটি বুখারী মুসলিমের শর্তে সহীহ। ইমাম ইবনে কাসীর বলেন হাদীসটি সহীহ। শাইখ আলবানী বলেন 'আল্লাহর খলিফা' অংশটুকু ছাড়া পুরো হাদীসটি সহীহ, সিলসিলাহ যয়িফাহ ওয়াল মাযূআহ, ১/১১৯-১২১)
ইমাম ইবনু কাসির (রহ.) বলেন: “এ হাদিসে 'ধনভান্ডার' দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে 'কাবার ধনভান্ডার'। এটা হস্তগত করতে তিনজন রাজপুত্র লড়াইয়ে লিপ্ত হবে। এমনকি এক পর্যায়ে শেষ যামানা চলে আসবে। ইমাম মাহদির আবির্ভাব ঘটবে। তিনি প্রাচ্যের কোনো এক রাষ্ট্রে আত্মপ্রকাশ করবেন। কোনো সুরঙ্গ পথ হতে তিনি প্রকাশ পাবেন না। বর্বর রাফেজিদের ধারণা হলো, তিনি এখন আমাদের মাঝেই বিদ্যমান। কিন্তু তিনি আত্মপ্রকাশ করছেন না। তাই তারা শেষ যামানায় ইমাম মাহদির আবির্ভাবের প্রতীক্ষায় অপেক্ষমান। বিকার তাদের এ অপেক্ষা। অবশ্যই এটা শয়তানের পক্ষ হতে বড়োই হত্যাশাজনক, বিপথগামী
কাজ। এর পক্ষে না আছে কোন দলিল-প্রমাণ, না আছে কোন যুক্তি বা কোন ধরণের হিকমত। প্রাচ্যের কতক মানুষ তাকে শক্তি যোগাতে সাহায্য করবেন। তারা তাঁর হয়ে সালতানাত কায়েম করবেন। তারা তাঁর শক্তির অবকাঠামো হিশেবে কাজ করবেন। তাদের বিজয়ের ঝান্ডা হবে কালো রঙের। পতাকাটি হবে অত্যন্ত মর্যাদাসম্পন্ন এবং মানানসই। কেননা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পতাকা ছিল কালো রঙের। পতাকাটির নাম ছিল ‘ইক্বাব'।তিনি আরো বলেন : “ইমাম মাহদি অত্যন্ত প্রশংসিত, খুবই মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি। তিনি আগমন করবেন শেষ যামানায়। তার আবির্ভাব হবে প্রাচ্যের দিক হতে। মানুষেরা বায়তুল্লাহয় তাঁর নিকট বায়আত গ্রহণ করবে। এ সবগুলো বিষয় হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।" (আন-নিহায়া : ১/২৯-৩০)
[সূত্র: 'ইমাম মাহদীর আগমন' বই (ড.মাহমুদ আল মিসরী)]
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের একটি খনিজ সম্পদের নিকট পরপর তিনজন খলীফার পুত্র নিহত হবে। তাদের কেউ সেই খনিজ সম্পদ দখল করতে পারবে না। অতঃপর প্রাচ্যদেশ থেকে কালো পতাকা উড্ডীন করা হবে। তারা তোমাদেরকে এত ব্যাপক ভাবে হত্যা করবে যে, ইতোপূর্বে কোন জাতি তদ্রুপ করে নি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো কিছু বলেছেনঃ যা আমার মনে নেই। তিনি আরো বলেনঃ তাকে আত্মপ্রকাশ করতে দেখলে তোমরা বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তার সাথে যোগদান করো। কারণ সে আল্লাহর খলীফা মাহদী।
(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪০৮৪; ইমাম যাহাবী ও হাকিম বলেন হাদীসটি বুখারী মুসলিমের শর্তে সহীহ। ইমাম ইবনে কাসীর বলেন হাদীসটি সহীহ। শাইখ আলবানী বলেন 'আল্লাহর খলিফা' অংশটুকু ছাড়া পুরো হাদীসটি সহীহ, সিলসিলাহ যয়িফাহ ওয়াল মাযূআহ, ১/১১৯-১২১)
ইমাম ইবনু কাসির (রহ.) বলেন: “এ হাদিসে 'ধনভান্ডার' দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে 'কাবার ধনভান্ডার'। এটা হস্তগত করতে তিনজন রাজপুত্র লড়াইয়ে লিপ্ত হবে। এমনকি এক পর্যায়ে শেষ যামানা চলে আসবে। ইমাম মাহদির আবির্ভাব ঘটবে। তিনি প্রাচ্যের কোনো এক রাষ্ট্রে আত্মপ্রকাশ করবেন। কোনো সুরঙ্গ পথ হতে তিনি প্রকাশ পাবেন না। বর্বর রাফেজিদের ধারণা হলো, তিনি এখন আমাদের মাঝেই বিদ্যমান। কিন্তু তিনি আত্মপ্রকাশ করছেন না। তাই তারা শেষ যামানায় ইমাম মাহদির আবির্ভাবের প্রতীক্ষায় অপেক্ষমান। বিকার তাদের এ অপেক্ষা। অবশ্যই এটা শয়তানের পক্ষ হতে বড়োই হত্যাশাজনক, বিপথগামী
কাজ। এর পক্ষে না আছে কোন দলিল-প্রমাণ, না আছে কোন যুক্তি বা কোন ধরণের হিকমত। প্রাচ্যের কতক মানুষ তাকে শক্তি যোগাতে সাহায্য করবেন। তারা তাঁর হয়ে সালতানাত কায়েম করবেন। তারা তাঁর শক্তির অবকাঠামো হিশেবে কাজ করবেন। তাদের বিজয়ের ঝান্ডা হবে কালো রঙের। পতাকাটি হবে অত্যন্ত মর্যাদাসম্পন্ন এবং মানানসই। কেননা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পতাকা ছিল কালো রঙের। পতাকাটির নাম ছিল ‘ইক্বাব'।তিনি আরো বলেন : “ইমাম মাহদি অত্যন্ত প্রশংসিত, খুবই মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি। তিনি আগমন করবেন শেষ যামানায়। তার আবির্ভাব হবে প্রাচ্যের দিক হতে। মানুষেরা বায়তুল্লাহয় তাঁর নিকট বায়আত গ্রহণ করবে। এ সবগুলো বিষয় হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।" (আন-নিহায়া : ১/২৯-৩০)
[সূত্র: 'ইমাম মাহদীর আগমন' বই (ড.মাহমুদ আল মিসরী)]
Last edited: