If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
১. ঈমানের স্তম্ভগুলোর অন্যতম একটি স্তম্ভ তাক্বদীরের ভালো- মন্দ আল্লাহর পক্ষ থেকে এ ঈমান পোষণ করা। এর সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য বিষয়গুলো হচ্ছে, তাক্বদীর সম্পর্কিত কুরআন সুন্নাহয় যা এসেছে সে সব যাবতীয় কথায় ঈমান আনতে হবে, (সেগুলো হলো: আল্লাহর জ্ঞান, লিখন, ইচ্ছা, সৃষ্টি) এবং ঈমান রাখতে হবে যে, আল্লাহর সিদ্ধান্তকে পরিবর্তন করার মত কোন শক্তি নেই এবং তার বিধানকে রদ করার কোন অধিকার কারও নেই|[১]
২. কুরআন সুন্নাহয় বর্ণিত ইরাদা বা ইচ্ছা ও আদেশ দুই প্রকার:
৩. কোন ব্যক্তিকে হিদায়াত দান করা বা পথভ্রষ্ট করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর হাতে। তাদের মধ্যে যাকে তিনি হিদায়াত দান করেছেন, তা তার একান্ত অনুগ্রহেই দান করেছেন। আর যার উপর পথভ্রষ্টতা অবধারিত হয়েছে তাও তার প্রতি আল্লাহর ন্যায় বিচার।[২]
৪. সৃষ্ট জীব ও তাদের কর্ম আল্লাহর সৃষ্টি, অন্য কেহই এটির স্রষ্টা নন। সুতরাং আল্লাহ্ই বান্দার কর্মকাণ্ডের স্রষ্টা। আর সৃষ্টিজগত প্রকৃত অর্থেই সেগুলো কার্যে পরিণত করে থাকে৷[৩]
৫. আল্লাহর সকল কাজের পেছনে যে হেকমত নিহিত আছে এটিকে সাব্যস্ত করতে হবে। আরও সাব্যস্ত করতে হবে যে, সমস্ত উপায় উপাদানের প্রভাব আল্লাহর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল।
৬. মানব সৃষ্টির পূর্বেই আল্লাহ মানুষের হায়াতের সময়[৪] নির্ধারণ করেছেন, রিযিক বন্টন করেছেন। আর সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্য এ দু'টিও তিনি লিপিবদ্ধ করে দিয়েছেন।
৭. বিপদ ও কষ্টের বিষয়ে তাক্বদীরের যুক্তি দেখানো যেতে পারে। কিন্তু পাপ কাজের বিষয়ে তাক্বদীরের যুক্তি দেখানো ঠিক নয়। কেউ এমনটি করলে তাকে তাওবা করতে হবে এবং এজন্য তাকে তিরস্কার করা হবে।
৮. দুনিয়াতে চলার জন্য যে সমস্ত উপায় উপাদানের প্রয়োজন এ সবের উপর নির্ভর করার অর্থ হলো, আল্লাহর সাথে শির্ক করা। অপরদিকে দুনিয়ার আসবাব বা উপায় উপাদান হতে সম্পূর্ণভাবে বিমুখ হওয়ার অর্থ হলো, ইসলামী শরীআতকে কলঙ্কিত করা। বস্তু ও উপায় উপাদানের প্রভাবকে অস্বীকার করা শরীআত ও বুদ্ধি-বিবেক পরিপন্থি। আর আল্লাহর উপর ভরসার অর্থ এই নয় যে, কোন প্রকার উপায় উপাদান অবলম্বন করা যাবে না।
[১] দেখুন-সূরা আদ দাহর ৭৬:৩০, সূরা আত তাকভীর ৮১:২৯
[২] দেখুন-সূরা আল আনআম ৬:১২৫, সূরা আল ক্বাসাস ২৮:৫৬, সূরা আল আনআম ৬:৩৯
[৩] দেখুন-সূরা আয যুমার ৩৯:৬২, সূরা আল হিজর ১৫:৪২।
[৪] দেখুন-সূরা আন নাহল ১৬:৬১, সূরা আলে ইমরান ৩: ১৪৫
২. কুরআন সুন্নাহয় বর্ণিত ইরাদা বা ইচ্ছা ও আদেশ দুই প্রকার:
(ক) পূর্বাহ্নেই স্থিরিকৃত আল্লাহর সৃষ্টিগত ইরাদা বা ইচ্ছা। (মাশীয়াহ বা চরম ইচ্ছা অর্থে) যে নির্দেশ তার স্থিরিকৃত ও সৃষ্টিগত।
(খ) আল্লাহর শরী‘আত সম্মত ইরাদা বা ইচ্ছা। (যে নির্দেশের সাথে আল্লাহর সন্তুষ্টি অপরিহার্য) যে নির্দেশটি তিনি শরী‘আত হিসেবে প্রদান করেন। আল্লাহর সৃষ্টি জীবদেরও ইচ্ছা এবং চাওয়া রয়েছে, তবে সে সমস্ত ইরাদা বা ইচ্ছা আল্লাহর ইরাদা বা ইচ্ছার অনুগত।
৩. কোন ব্যক্তিকে হিদায়াত দান করা বা পথভ্রষ্ট করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর হাতে। তাদের মধ্যে যাকে তিনি হিদায়াত দান করেছেন, তা তার একান্ত অনুগ্রহেই দান করেছেন। আর যার উপর পথভ্রষ্টতা অবধারিত হয়েছে তাও তার প্রতি আল্লাহর ন্যায় বিচার।[২]
৪. সৃষ্ট জীব ও তাদের কর্ম আল্লাহর সৃষ্টি, অন্য কেহই এটির স্রষ্টা নন। সুতরাং আল্লাহ্ই বান্দার কর্মকাণ্ডের স্রষ্টা। আর সৃষ্টিজগত প্রকৃত অর্থেই সেগুলো কার্যে পরিণত করে থাকে৷[৩]
৫. আল্লাহর সকল কাজের পেছনে যে হেকমত নিহিত আছে এটিকে সাব্যস্ত করতে হবে। আরও সাব্যস্ত করতে হবে যে, সমস্ত উপায় উপাদানের প্রভাব আল্লাহর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল।
৬. মানব সৃষ্টির পূর্বেই আল্লাহ মানুষের হায়াতের সময়[৪] নির্ধারণ করেছেন, রিযিক বন্টন করেছেন। আর সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্য এ দু'টিও তিনি লিপিবদ্ধ করে দিয়েছেন।
৭. বিপদ ও কষ্টের বিষয়ে তাক্বদীরের যুক্তি দেখানো যেতে পারে। কিন্তু পাপ কাজের বিষয়ে তাক্বদীরের যুক্তি দেখানো ঠিক নয়। কেউ এমনটি করলে তাকে তাওবা করতে হবে এবং এজন্য তাকে তিরস্কার করা হবে।
৮. দুনিয়াতে চলার জন্য যে সমস্ত উপায় উপাদানের প্রয়োজন এ সবের উপর নির্ভর করার অর্থ হলো, আল্লাহর সাথে শির্ক করা। অপরদিকে দুনিয়ার আসবাব বা উপায় উপাদান হতে সম্পূর্ণভাবে বিমুখ হওয়ার অর্থ হলো, ইসলামী শরীআতকে কলঙ্কিত করা। বস্তু ও উপায় উপাদানের প্রভাবকে অস্বীকার করা শরীআত ও বুদ্ধি-বিবেক পরিপন্থি। আর আল্লাহর উপর ভরসার অর্থ এই নয় যে, কোন প্রকার উপায় উপাদান অবলম্বন করা যাবে না।
আরও দেখুন - আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের আকীদার সংক্ষিপ্ত মূলনীতি
[১] দেখুন-সূরা আদ দাহর ৭৬:৩০, সূরা আত তাকভীর ৮১:২৯
[২] দেখুন-সূরা আল আনআম ৬:১২৫, সূরা আল ক্বাসাস ২৮:৫৬, সূরা আল আনআম ৬:৩৯
[৩] দেখুন-সূরা আয যুমার ৩৯:৬২, সূরা আল হিজর ১৫:৪২।
[৪] দেখুন-সূরা আন নাহল ১৬:৬১, সূরা আলে ইমরান ৩: ১৪৫
Last edited: