‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

সিয়াম অতীত জীবনে অজ্ঞতা বা অবহেলা বশত: যে সমস্ত রোযা রাখা হয়নি সেক্ষেত্রে করনীয় কী?

Golam Rabby

Knowledge Sharer

ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Top Active User
Threads
858
Comments
1,007
Reactions
9,574
Credits
4,322
১. রোযা পরিত্যাগ করার কারণে আল্লাহর কাছে তাওবা-ইস্তেগফার করা।
২. ছুটে যাওয়া রোযাগুলো কাযা করা।
৩. যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে প্রতিটি রোযার বিনিময়ে একজন মিসকিনকে এক বেলার খাদ্য প্রদান করা। আর সামর্থ্য না থাকলে শুধু রোযা কাজা করাই যথেষ্ট হবে। (ইসলামকিউএবিডি)

সাবেক সৌদি গ্রান্ড মুফতি শাইখ বিন বায (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল: শরিয়ত অনুমোদিত কোন ওজর ছাড়া যে ব্যক্তি রমযান মাসের রোযা রাখে না তার হুকুম কী? তার বয়স প্রায় সতের বছর। তার কোন ওজর নেই। তার কি করা উচিত? তার উপর কি কাযা পালন করা ফরয?

জবাবে তিনি বলেন: হ্যাঁ, তার উপর কাযা পালন করা এবং তার অবহেলা ও বাড়াবাড়ির জন্য আল্লাহ্‌র কাছে তওবা করা ফরয। (ইসলামকিউএ. ইনফো, ফতোয়া নং ২৩৪১২৫)

ইবনে আব্দুল বার বলেন: “গোটা উম্মত ইজমা করেছেন এবং সকলে উদ্ধৃত করেছেন যে, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে রোযা পালন করেনি, কিন্তু সে রমযানের রোযা ফরয হওয়ার প্রতি বিশ্বাসী, সে অবহেলা করে, অহংকারবশতঃ রোযা রাখেনি, ইচ্ছা করেই তা করেছে, অতঃপর তওবা করেছে: তার উপর রোযার কাযা পালন করা ফরয।” [আল ইযতিযকার, ১/৭৭; (ইসলামকিউএ. ইনফো, ফতোয়া নং ২৩৪১২৫)]

ইবনে কুদামা আল-মাকদিসি বলেন:

“আমরা এ ব্যাপারে কোন ইখতিলাফ জানি না। কেননা রোযা তার দায়িত্বে সাব্যস্ত হয়েছে। সুতরাং রোযা পালন করা ছাড়া তার দায়িত্ব মুক্ত হবে না। বরং যেভাবে ছিল সেভাবে তার দায়িত্ব থেকে যাবে।”[আল-মুগনি (৪/৩৬৫)]

একই মত পোষণ করেছেন শাইখ ড. জিবরীন, সাবেক স্থায়ী ফতোয়া কমিটির সদস্য, সৌদি আরব ['প্রশ্নোত্তরে সিয়াম' বই (আত তাওহীদ প্রকাশনী)]
 
Last edited:

Share this page