Habib Bin Tofajjal
If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
Q&A Master
Salafi User
LV
17
- Awards
- 33
- Credit
- 16,609
- Thread starter
- #1
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে যে কয়টি ফিতনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে এর মধ্যে একটা হলো আহলে কুরআন নামে পরিচিত নব্য মুতাযিলা ফিরকা,যাদের কূটকৌশল এর ধোকা বুঝতে না পেরে অনেকে নিজের ঈমাণকে বিলিয়ে দিচ্ছে , তাই তাদের ধোঁকা থেকে সতর্ক করার জন্য তাদের কিছু ভ্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
প্রশ্ন: ১ এতো হাজার হাজার রাবীদের জীবনি কিভাবে সংরক্ষণ করলো ইমাম বুখারী, যেখানে আপনাদের যদি বলা হয় বাংলাদেশের স্থপতির সঠিক জীবনি বের করতে তা ৬ মাসে তো পারবেন না, একজন ব্যক্তির জীবনি সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করতে এতো সময়ে না পারলে কিভাবে এতো রাবী দের জীবনি সংরক্ষণ করলো ইমাম বুখারী?
উত্তর: প্রথম কথা হলো শুধু ইমাম বুখারী (রাহি.) সকল রাবীদের জীবনি সংকলন করেননি, এর পূর্বেও বহু ইমামরা এ বিষয়ে কিতাব লিখেছেন, এর পরেও আসমাউর রিজালের উপর বহু কিতাব লিখা হয়েছে। আপনার অজ্ঞতা বা জাহালতের কারণে আপনার কাছে মনে হয়েছে শুধু মাত্র ইমাম বুখারী (রাহি.) সকল রাবীদের জীবনি সংকলন করেছেন।
আর ২য় কথা হলো, আল্লাহ তা'য়ালা ওহিকে হিফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন, কিন্তু বাংলাদেশের স্থপতির জীবনী হিফাজতের দায়িত্ব নিয়ে জনগণকে জানানোর বিষয়টি সে পর্যায়ের না। আল্লাহ যেটা সংরক্ষণ এর দায়িত্ব নিয়েছেন আপনাদের কি ধারণা আল্লাহ তা করতে অপারগ, নাউজুবিল্লাহ।
প্রশ্ন: ২ হাদীসের মধ্যে এতো ঝামেলা, যঈফ ও জালে ভরা আছে,কিন্তু কুরআনের মধ্যে তো তা নেই, তাই শুধু ভেজালে না গিয়ে কুরআন মানাই যথেষ্ট।
উত্তর: ওহিকে হিফাজত এর দায়িত্ব আল্লাহ নিয়েছেন, তাই কুরআনের ভিতর যেমন কেউ জাল ডুকাতে পারবেনা ধরা খেয়ে যাবে, ঠিক তেমনি সহিহ হাদীসের মধ্যে কেউ জাল হাদীস ডুকিয়ে তা সহিহ বলে চালিয়ে দিতে পারবেনা ধরা খেয়ে যাবে।
তাছাড়া কুরআনের ব্যাপারেও কেউ কেউ দাবি করেছে কুরআন ৯০ পারা ৩০ পারা জাহেরি, ৬০ পারা বাতেনি, শিয়ারা অনেকে দাবি করে কুরআন ৪০ পারা, আবার শিয়ারা এ দাবি করে আমরা যে কুরআন পড়ছি তা বিকৃত হয়েছে, নাউযুবিল্লাহ। এরকম আরো অনেক অবান্তর দাবি করেছে, আল্লাহ যেহেতু ওহি সংরক্ষণ এর দায়িত্ব নিয়েছেন সেহেতু তারা কুরআনকে জাল করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে।
ঠিক তেমনি তারা সহিহ হাদীসের মধ্যে জাল হাদীস ডুকিয়ে ঐ জাল হাদীস কে সহিহ হাদিস বলে চালিয়ে দিতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। যেহেতু আল্লাহ ওহিকে হিফাজত এর দায়িত্ব নিয়েছেন।
প্রশ্ন: ৩ আল্লাহ তো নিজ হাতে কিতাব রচনা করতে নিষেধ করেছেন হাদীস কে লিখেছে?
উত্তর: প্রথম কথা এ আয়াতটা পুরোটা পড়লে যে জিনিসটার দিকে ইঙ্গিত করে সহজ সরল মানুষকে ধোঁকা দিতে চেয়েছেন তার গোমর এমনি ফাঁস হয়ে যেতো, আল্লাহ কি বলেছেন আর আপনি কোন দিকে ইঙ্গিত করেছেন?!
আয়াতে তো নিজেদের পক্ষ থেকে লিখতে নিষেধ করা হয়েছে, আল্লাহর বাণী বা ওহী লিখতে নিষেধ করা হয়নি।
এরপর আসি কুরআনের বিষয়ে, আচ্ছা কুরআন কি সাহাবায়ে কিরামের দ্বারা লেখা হয়নি? কুরআনকে যারা লিখেছেন তারাই হাদীসকে লিখেছেন, কুরআনকে যেমন সাহাবা (রা:) গণ লিখেছেন ঠিক তেমনি হাদীসকেও সাহাবা (রা:) গণ লিখেছেন। সুতরাং এ সন্দেহটিও অগ্রহণযোগ্য প্রমাণিত হলো।
প্রশ্ন: ৪ রসূল (ﷺ) এর উপর কুরআন নাযিল হয়েছে তাহলে রসূল (ﷺ) কুরআন ছাড়া অন্য কিছুর উপর আমল করেছে কী,তাহলে কেনো আপনারা হাদীস মানেন?
উত্তর: রসূল (ﷺ) এর কথা কাজ,সম্মতিকে হাদীস বলে, রসূল (ﷺ) বললো এটা কুরআন এ বলাটাও তো হাদীস, রসূল (ﷺ) যে আমল করলেন তাও তো হাদীস। কুরআনটা শুধু তেলওয়াত করার জন্য আসেনি তা বুঝার জন্য এসেছে, রসূল (ﷺ) সাহাবা (রা:) গণকে কুরআন বুঝিয়ে দিয়েছেন। এ বুঝিয়ে দেওয়াই তো হাদীস, আর এভাবে ধারাবাহিকতার সাথে কুরআন আমাদের নিকট এসেছে ঠিক এ পরম্পরায় হাদীসও আমাদের নিকট এসেছে।
প্রশ্ন: ৫ কুরআনতো স্বয়ংসম্পূর্ণ তাহলে হাদীস কেনো মানতে হবে?
উত্তর: কুরআনে আল্লাহ তা'য়ালা আল্লাহর আনুগত্যের কথা বলেছেন, আর আল্লাহর আনুগত্য করতে হলে আল্লাহর কথা জানা দরকার যা আমরা কুরআনে পাই।
ঠিক তেমনি কুরআনে রসূল (ﷺ) এর আনুগত্যের কথা বলা হয়েছে, এখন কুরআনতো আল্লাহর কথা, এখন রসূল (ﷺ) এর আনুগত্য করতে হলে উনার কথাগুলো আমাদের জানতে হবে। আর রসূল (ﷺ) এর কথাতো হাদীস এখন হাদীস যদি মানেন তাহলে আপনি স্বীকৃতি দিলেন কুরআন স্বয়ংসম্পূর্ণ।
আর যদি হাদীস না মানেন তাহলে যতই মুখে বুলি আওড়ান যে কুরআন স্বয়ংসম্পূর্ণ, কিন্তু আপনি আপনার কাজ দ্বারা প্রমাণ করছেন কুরআন স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়।
দৃষ্টি আকর্ষণঃ এসব বাতিল ফিরকার রদ আমাদের উলামারা যুগ যুগ ধরে করে আসছে, আপনি না বুঝে,পড়াশুনা না করে উলামাদের পরামর্শ না নিয়ে নিজের নফস বা প্রবৃত্তির অনুসরন করতে গিয়ে পথ হারা হয়ে যাচ্ছেন না তো?
আল্লাহ বলেছেন, "না জানলে জ্ঞানীদের নিকট জিজ্ঞেস করতে, আপনি যে বিষয়ে জ্ঞান রাখেন না, সে বিষয়ে জ্ঞানীদের নিকট জিজ্ঞেস করে জানতে হবে, নিজের প্রবৃত্তির অনুসরন করলে হবে?
আল্লাহ কিছু মানুষকে দীনের গভীর জ্ঞান অর্জন করার জন্য বের হতে বলেছেন, দুনিয়ার সকল মানুষকে তো বলেননি, দীনের উপর চলার জন্য যতটুকু জ্ঞান অর্জন করা দরকার ঐটুকু ইলম অর্জন করা আপনার জন্য জরুরী। কিন্তু আপনাকে তো প্রতিটা সূক্ষ্ম বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে বলেনি যার যোগ্য আপনি নন, সূক্ষ্ম বিষয়গুলোর গভীর জ্ঞান রাখেন ওলামারা, উনারা এ সুক্ষ্ম বিষয়গুলো দেখবেন, আর আপনার যদি ইচ্ছা থাকে তাহলে একডেমিক পড়াশুনা শুরু করুন, ওলামাদের নিকট হাটু গেড়ে বসে ইলম অর্জন করুন, যখন ওলামারা এ বিষয়ে আপনাকে যোগ্য মনে করবেন তখন না হয় আপনি এ বিষয়ে মাথা ঘামান, দুনিয়ার ক্ষেত্রে ভালো বুঝেন, যিনি চোখ বিশেষজ্ঞ উনি চোখ সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করেছেন উনি এ বিষয়ে ভালো জানেন, উনি এ বিষয়ে যতটা গভীর ভাবে জানবে, অন্যরা যারা এ বিষয়ে পড়াশুনা করেনি তারা উনার মত জানবেনা, এখন আপনার যখন চোখে বড় সম্যাসা হবে তখন কিন্তু চোখ বিশেষজ্ঞ এর কাছে যাবেন, ফুটপাতে ক্যাম্বাসারের নিকট যাবেন না।
কিন্তু দীনের বিষয় আসলে যিনি কুরআন ও সুন্নাহের বিশেষজ্ঞ উনার নিকট না গিয়ে উনি যে চিকিৎসা দেন তা গ্রহন না করে, নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে বা ঐ ক্যানবেসারের মত জেনে, এ বিষয়ের উপর জাহিলদের নিকট গিয়ে, নিজের ঈমাণ ও ইসলামকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন,ভেবে দেখেছেন কি?
আল্লাহ আমাদের সকলকে পরিপূর্ণ ও সঠিক দীন বুঝার তাওফীক দিন। আমীন।
প্রশ্ন: ১ এতো হাজার হাজার রাবীদের জীবনি কিভাবে সংরক্ষণ করলো ইমাম বুখারী, যেখানে আপনাদের যদি বলা হয় বাংলাদেশের স্থপতির সঠিক জীবনি বের করতে তা ৬ মাসে তো পারবেন না, একজন ব্যক্তির জীবনি সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করতে এতো সময়ে না পারলে কিভাবে এতো রাবী দের জীবনি সংরক্ষণ করলো ইমাম বুখারী?
উত্তর: প্রথম কথা হলো শুধু ইমাম বুখারী (রাহি.) সকল রাবীদের জীবনি সংকলন করেননি, এর পূর্বেও বহু ইমামরা এ বিষয়ে কিতাব লিখেছেন, এর পরেও আসমাউর রিজালের উপর বহু কিতাব লিখা হয়েছে। আপনার অজ্ঞতা বা জাহালতের কারণে আপনার কাছে মনে হয়েছে শুধু মাত্র ইমাম বুখারী (রাহি.) সকল রাবীদের জীবনি সংকলন করেছেন।
আর ২য় কথা হলো, আল্লাহ তা'য়ালা ওহিকে হিফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন, কিন্তু বাংলাদেশের স্থপতির জীবনী হিফাজতের দায়িত্ব নিয়ে জনগণকে জানানোর বিষয়টি সে পর্যায়ের না। আল্লাহ যেটা সংরক্ষণ এর দায়িত্ব নিয়েছেন আপনাদের কি ধারণা আল্লাহ তা করতে অপারগ, নাউজুবিল্লাহ।
প্রশ্ন: ২ হাদীসের মধ্যে এতো ঝামেলা, যঈফ ও জালে ভরা আছে,কিন্তু কুরআনের মধ্যে তো তা নেই, তাই শুধু ভেজালে না গিয়ে কুরআন মানাই যথেষ্ট।
উত্তর: ওহিকে হিফাজত এর দায়িত্ব আল্লাহ নিয়েছেন, তাই কুরআনের ভিতর যেমন কেউ জাল ডুকাতে পারবেনা ধরা খেয়ে যাবে, ঠিক তেমনি সহিহ হাদীসের মধ্যে কেউ জাল হাদীস ডুকিয়ে তা সহিহ বলে চালিয়ে দিতে পারবেনা ধরা খেয়ে যাবে।
তাছাড়া কুরআনের ব্যাপারেও কেউ কেউ দাবি করেছে কুরআন ৯০ পারা ৩০ পারা জাহেরি, ৬০ পারা বাতেনি, শিয়ারা অনেকে দাবি করে কুরআন ৪০ পারা, আবার শিয়ারা এ দাবি করে আমরা যে কুরআন পড়ছি তা বিকৃত হয়েছে, নাউযুবিল্লাহ। এরকম আরো অনেক অবান্তর দাবি করেছে, আল্লাহ যেহেতু ওহি সংরক্ষণ এর দায়িত্ব নিয়েছেন সেহেতু তারা কুরআনকে জাল করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে।
ঠিক তেমনি তারা সহিহ হাদীসের মধ্যে জাল হাদীস ডুকিয়ে ঐ জাল হাদীস কে সহিহ হাদিস বলে চালিয়ে দিতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। যেহেতু আল্লাহ ওহিকে হিফাজত এর দায়িত্ব নিয়েছেন।
প্রশ্ন: ৩ আল্লাহ তো নিজ হাতে কিতাব রচনা করতে নিষেধ করেছেন হাদীস কে লিখেছে?
উত্তর: প্রথম কথা এ আয়াতটা পুরোটা পড়লে যে জিনিসটার দিকে ইঙ্গিত করে সহজ সরল মানুষকে ধোঁকা দিতে চেয়েছেন তার গোমর এমনি ফাঁস হয়ে যেতো, আল্লাহ কি বলেছেন আর আপনি কোন দিকে ইঙ্গিত করেছেন?!
আয়াতে তো নিজেদের পক্ষ থেকে লিখতে নিষেধ করা হয়েছে, আল্লাহর বাণী বা ওহী লিখতে নিষেধ করা হয়নি।
এরপর আসি কুরআনের বিষয়ে, আচ্ছা কুরআন কি সাহাবায়ে কিরামের দ্বারা লেখা হয়নি? কুরআনকে যারা লিখেছেন তারাই হাদীসকে লিখেছেন, কুরআনকে যেমন সাহাবা (রা:) গণ লিখেছেন ঠিক তেমনি হাদীসকেও সাহাবা (রা:) গণ লিখেছেন। সুতরাং এ সন্দেহটিও অগ্রহণযোগ্য প্রমাণিত হলো।
প্রশ্ন: ৪ রসূল (ﷺ) এর উপর কুরআন নাযিল হয়েছে তাহলে রসূল (ﷺ) কুরআন ছাড়া অন্য কিছুর উপর আমল করেছে কী,তাহলে কেনো আপনারা হাদীস মানেন?
উত্তর: রসূল (ﷺ) এর কথা কাজ,সম্মতিকে হাদীস বলে, রসূল (ﷺ) বললো এটা কুরআন এ বলাটাও তো হাদীস, রসূল (ﷺ) যে আমল করলেন তাও তো হাদীস। কুরআনটা শুধু তেলওয়াত করার জন্য আসেনি তা বুঝার জন্য এসেছে, রসূল (ﷺ) সাহাবা (রা:) গণকে কুরআন বুঝিয়ে দিয়েছেন। এ বুঝিয়ে দেওয়াই তো হাদীস, আর এভাবে ধারাবাহিকতার সাথে কুরআন আমাদের নিকট এসেছে ঠিক এ পরম্পরায় হাদীসও আমাদের নিকট এসেছে।
প্রশ্ন: ৫ কুরআনতো স্বয়ংসম্পূর্ণ তাহলে হাদীস কেনো মানতে হবে?
উত্তর: কুরআনে আল্লাহ তা'য়ালা আল্লাহর আনুগত্যের কথা বলেছেন, আর আল্লাহর আনুগত্য করতে হলে আল্লাহর কথা জানা দরকার যা আমরা কুরআনে পাই।
ঠিক তেমনি কুরআনে রসূল (ﷺ) এর আনুগত্যের কথা বলা হয়েছে, এখন কুরআনতো আল্লাহর কথা, এখন রসূল (ﷺ) এর আনুগত্য করতে হলে উনার কথাগুলো আমাদের জানতে হবে। আর রসূল (ﷺ) এর কথাতো হাদীস এখন হাদীস যদি মানেন তাহলে আপনি স্বীকৃতি দিলেন কুরআন স্বয়ংসম্পূর্ণ।
আর যদি হাদীস না মানেন তাহলে যতই মুখে বুলি আওড়ান যে কুরআন স্বয়ংসম্পূর্ণ, কিন্তু আপনি আপনার কাজ দ্বারা প্রমাণ করছেন কুরআন স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়।
দৃষ্টি আকর্ষণঃ এসব বাতিল ফিরকার রদ আমাদের উলামারা যুগ যুগ ধরে করে আসছে, আপনি না বুঝে,পড়াশুনা না করে উলামাদের পরামর্শ না নিয়ে নিজের নফস বা প্রবৃত্তির অনুসরন করতে গিয়ে পথ হারা হয়ে যাচ্ছেন না তো?
আল্লাহ বলেছেন, "না জানলে জ্ঞানীদের নিকট জিজ্ঞেস করতে, আপনি যে বিষয়ে জ্ঞান রাখেন না, সে বিষয়ে জ্ঞানীদের নিকট জিজ্ঞেস করে জানতে হবে, নিজের প্রবৃত্তির অনুসরন করলে হবে?
আল্লাহ কিছু মানুষকে দীনের গভীর জ্ঞান অর্জন করার জন্য বের হতে বলেছেন, দুনিয়ার সকল মানুষকে তো বলেননি, দীনের উপর চলার জন্য যতটুকু জ্ঞান অর্জন করা দরকার ঐটুকু ইলম অর্জন করা আপনার জন্য জরুরী। কিন্তু আপনাকে তো প্রতিটা সূক্ষ্ম বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে বলেনি যার যোগ্য আপনি নন, সূক্ষ্ম বিষয়গুলোর গভীর জ্ঞান রাখেন ওলামারা, উনারা এ সুক্ষ্ম বিষয়গুলো দেখবেন, আর আপনার যদি ইচ্ছা থাকে তাহলে একডেমিক পড়াশুনা শুরু করুন, ওলামাদের নিকট হাটু গেড়ে বসে ইলম অর্জন করুন, যখন ওলামারা এ বিষয়ে আপনাকে যোগ্য মনে করবেন তখন না হয় আপনি এ বিষয়ে মাথা ঘামান, দুনিয়ার ক্ষেত্রে ভালো বুঝেন, যিনি চোখ বিশেষজ্ঞ উনি চোখ সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করেছেন উনি এ বিষয়ে ভালো জানেন, উনি এ বিষয়ে যতটা গভীর ভাবে জানবে, অন্যরা যারা এ বিষয়ে পড়াশুনা করেনি তারা উনার মত জানবেনা, এখন আপনার যখন চোখে বড় সম্যাসা হবে তখন কিন্তু চোখ বিশেষজ্ঞ এর কাছে যাবেন, ফুটপাতে ক্যাম্বাসারের নিকট যাবেন না।
কিন্তু দীনের বিষয় আসলে যিনি কুরআন ও সুন্নাহের বিশেষজ্ঞ উনার নিকট না গিয়ে উনি যে চিকিৎসা দেন তা গ্রহন না করে, নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে বা ঐ ক্যানবেসারের মত জেনে, এ বিষয়ের উপর জাহিলদের নিকট গিয়ে, নিজের ঈমাণ ও ইসলামকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন,ভেবে দেখেছেন কি?
আল্লাহ আমাদের সকলকে পরিপূর্ণ ও সঠিক দীন বুঝার তাওফীক দিন। আমীন।