সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

আহলুছ ছুন্নাহ্ ওয়াল জামা’আ বিশ্বাস করে যে ‘শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ্ করা হারাম—

  • Thread starter
আহলুস সুন্নাহ্' ওয়াল জামা’আ, আহলুল হাদীছ সালাফিয়্যুনদের প্রথম যুগের আক্বীদাহ্ এবং মানহাজের বইগুলোতে ইজমা রয়েছে যে, মুছলিমদের শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং অভ্যুত্থান করা হারাম। অন্যান্য অগণিতদের মধ্যে থেকে দু’জন ইমাম, আবূ হাতিম আর-রাযী [মৃত্যু: ২৭৭ হিজরী] এবং আবূ যুর'আ আর-রাযী [মৃত্যু: ২৬৪ হিজরী] তাদের বিখ্যাত গ্রন্থ ‘আক্বীদাতুর রাযিয়েন’ বইয়ে ইজমাটি লিপিভুক্ত করেছেন:

“আমরা ধারণ করি যে শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ্ করা নাজায়েয...”

ইমামগণ, যারা তাদের আগে এসেছেন [যেমন বুখারী, আহমাদ, ছুফিয়ান, ফুদ্বাইল] এই ইজমাটি যখন স্থীর হয় [তখন] এটি লিপিবদ্ধ করেছেন, ক্বিতাবের কত’ঈ দালীল, ছহীহ ছুন্নাহ এবং ছাহাবাদের মধ্যে থেকে কীবারদের ক্বওলের উপর ভিত্তি করে। আর সেসময় থেকে এই সময় পর্যন্ত কেউই এই দৃষ্টিভঙ্গির বিরোধিতা করেনি, মূর্খ বা পথভ্রষ্ট বিদ’আতী ছাড়া।

শাসকের কাছ থেকে কর্তৃত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা, প্রকাশ্যে তার বিরোধীতা করা, তাকে কার্যালয় থেকে বের করার জন্য প্রচেষ্টা চালানো, জনগণকে শাসকের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করা [বিক্ষোভ, সমাবেশ, মিছিল, ধর্মঘট ইত্যাদির মাধ্যমে], শাসকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা, এবং লেখা, খুত্ববা, তলোয়ারের মাধ্যমে তাকে চ্যালেন্জ জানানো, এইসবকিছুকেই বিদ্রোহ্ [খুরুজ] হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।

এইসবকিছু খুরুজ হিসেবে বিবেচিত। নাবী ﷺ এটা স্পষ্ট ও নিষ্পত্তিমূলক বর্ণনায় হারাম করেছেন। বর্ণনা যেগুলোর বিরোধিতা হাওয়া, মত এবং কারণ বা মানুষের ভুল ইজতিহাদের দ্বারা করা যায় না, মানুষের মাঝে তাদের পদমর্যাদা যতই হোক না কেন। রাছূলুল্লাহ ﷺ ওহী থেকে কথা বলেছেন এবং তাঁর পরে যারা এসেছে তারা বলেনি। এই কারণে, যখন ইজমা স্থীর হয়েছিল, তখন আমাদের এই সময় পর্যন্ত খাও’য়ারিজ, শিয়া, মুতাযিলা ও তাদের শাখা-প্রশাখাগুলো ব্যতীত কেউই এটির বিরোধিতা করেনি।

মুছলিম, তার ছহীহ্তে [১৮৪৭] একটি হাদীছ লিপিবদ্ধ করেছেন ওয়াঈল ইবনু হুজর থেকে যে: ছালামাহ ইবনু ইয়াযীদ আল-জুফী আল্লাহ্’র রাছূলকে ﷺ প্রশ্ন করলেন, “হে আল্লাহ্‌'র নাবী! যদি আমাদের উপর এমন শাসকের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় যে, তারা তাদের হক্ব তো আমাদের কাছে দাবী করে কিন্ত আমাদের হক্ব তারা দেয় না?” তিনি উত্তর দিলেন: “তাদের তোমরা শুনবে এবং মানবে। তাদের উপর তাদের বোঝা বর্তাবে এবং তোমদের উপর তোমেদের বোঝা বর্তাবে।”

বুখারী [৭০৫৪] এবং মুছলিম [১৮৪৯] ইবনু আব্বাছ [রাযিয়াল্লাহু আনহু] থেকে বর্ণনা করেছেন যে নাবী ﷺ বলেছেন:

“যে কেউ নিজ আমীরের কাছ থেকে অপছন্দনীয় কিছু দেখবে সে যেন তাতে ধৈর্য ধারণ করে কেননা, যে লোক জামা'আত থেকে এক বিঘতও বিচ্ছিন্ন হবে তার মৃত্যু হবে জাহিলী যুগের মৃত্যুর মত’।”

আল-হাফিয ইবনু হাজার এই হাদীছের ব্যাখ্যায় বলেছেন যে ইবন্ আবী জামরাহ আল-আন্দালুসী [মৃত্যু: ৫৯৯ হিজরী] বলেছেন:

“বিচ্ছিন্ন’ এর অর্থ নেতার জন্য অধিগত আনুগত্যের চুক্তি ভঙ্গের প্রচেষ্টা করা— এমনকি যদি কেউ ক্ষুদ্রতম মাত্রায়ও বিচ্ছিন্ন হয়। তাই, তিনি এক বিঘতের সাদৃশ্য দেখিয়েছেন কারণ এমনকি সেই পরিমাণও বিনা হক্বে
রক্ত ঝরানোর দিকে নিয়ে যাবে।” [আল-ফাত্ব: ১৩/৭]

এই কারণে আহলুছ ছুন্নাহ্' ওয়াল জামা’আর ইমাম, আহমাদ ইবনু হান্বল [মৃত্যু: ২৪১ হিজরী] তাঁর বই ‘উছূলুছ ছুন্নাহ্তে বলেছেন—যা লালীকা'ঈর শারহু উছুলিল ইতিক্বাদে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে [১/১৬১]।

“জনগণের মধ্যে থেকে কারো জন্য শাসকের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরা বা বিদ্রোহ করা নাজায়েয৷ এবং যে কেহ এটি করবে সে একজন বিদ'য়াতী, ছুন্নাহ ব্যতীত অন্য রাস্তার উপর এবং সোজা রাস্তা ব্যতীত রাস্তার উপর।”

শাসক ন্যায়পরায়ণ, ধার্মিক, পাপী অথবা অত্যাচারী হওক তবুও তার আনুগত্য করা ওয়াজীব৷ মুছলিম উনার ছহীহ্তে [১৮৩৬] আবূ হুরায়রাহ্ [রাযিয়াল্লাহু আনহু] থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাছূল ﷺ বলেছেন:

«عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَيْكَ السَّمْعَ وَالطَّاعَةَ فِي عُسْرِكَ وَيُسْرِكَ وَمَنْشَطِكَ وَمَكْرَهِكَ وَأَثَرَةٍ عَلَيْكَ»

“তুমি অবশ্যই আমীরের কথা শুনবে এবং মানবে তোমার সংকটকালে ও স্বাভাবিক সময়ে, অনুরাগ ও বিরাগে এবং যখন তোমার উপর অন্যকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে তখনও [যখন তুমি বেশি উপযুক্ত]।”

মুসলিম আরো বর্ণনা [২৩২৬] করেছেন আনাছ ইবনু মালিক [রাযিয়াল্লাহু আনহু] থেকে যে, রাছূল ﷺ বলেছেন:

«قَالَ :’فَإِنَّكُمْ سَتَجِدُونَ أَثَرَةً شَدِيدَةً فَاصْبِرُوا حَتَّى تَلْقَوُا اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَإِنِّي عَلَى الْحَوْضِ‘ ‏.قَالُوا سَنَصْبِرُ»

“ভবিষ্যতেও তোমাদের উপর অন্যদের প্রাধান্য দেয়া হবে। তখন তোমরা আল্লাহ্ ও তার রাসূলের সাথে সাক্ষাৎ করা পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করবে এবং হাওযে কাওসারের কাছে থাকবে। তারা বললেন, ‘এখন থেকে আমরা ধৈর্য ধারণ করব’।”

আল-বুখারীর [২৩৭৭] বর্ণনাকৃত শব্দে আনাছ যোগ করেছেন: “কিন্তু আমরা [ইয়ানি কিছু মুছলিম] ধৈর্যশীল ছিলাম না।” অতএব এটা দালীল যে যারা ধৈর্য ধরতে পারেনি, তারা তাদের ইজতিহাদে ভুল করেছিলেন কারণ হক্ব হল সেটা যা আল্লাহ্’র রাছূল আদেশ করেছেন।

পাপ নয় এমন কিছুতে শাসকের আনুগত্য করা ওয়াজীব, এবং শাসকের অত্যাচার অথবা পাপের কারণে তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা নাজায়েয এবং এটি নিয়ে ইজমাও রয়েছে, যা ছালাফদের আক্বীদাহ্’র বই এবং ছহীহ ছুন্নাহতে লিপিবদ্ধ করা আছে।

এবং আমাদের ছুন্নাহে্র বিরোধীদের এবং বিদ’আতী যেমন আল-ইখওয়ানুল মুছলিমুন, হাছান আল-বান্না, সায়্যিদ কুতুব এবং আল-মাওদূদীর অনুসারীদের এবং তাদের রাজনৈতিক দল, পার্টি, আন্দোলনকারীদের মধ্যে থেকে আধুনিক দিনের শাখা-প্রশাখাগুলো, যারা “সামাজিক ন্যায়বিচার” এবং “নিপীড়ন অপসারণ” করার জন্য মার্চ করে এবং শাসকদের বিরুদ্ধে জনগণকে উৎসাহিত করে— তাদের আবেগী চিত্কারের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়। এই সব কিছুই অবশেষে নির্দোষদের রক্ত ঝরানোর দিকে, সমাজের পতনের দিকে, আইন-শৃঙ্খলার ভাঙ্গনের দিকে, এক প্রজন্মের বা তারও বেশি সময়ের জন্য ধর্ম ও ধর্মীয় শিক্ষার ক্ষতির দিকে ধাবিত করে! আল্লাহ্’র সাহায্য চাচ্ছি এই রাজনৈতিক আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে, নিরাপত্তা ও দ্বীনের ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে। তারা হল যেমন ইমাম আহমাদ ইবনু হান্বল [রাহিমাহুল্লাহ্] বলেছেন, “এবং যে কেহ এটি করবে সে একজন বিদ'য়াতী, ছুন্নাহ ব্যতীত অন্য রাস্তার উপর এবং সোজা রাস্তা ব্যতীত রাস্তার উপর।”

ইবনু আবি ‘আছিম আছ-ছুন্নাহ্তে [১০২৬] এবং ইবনু হিব্বান উনার ছহীহ্তে [৪০৬২] ‘উবাদাহ্ ইবনু ছামিত [রাযিয়াল্লাহু আনহু] থেকে বর্ণনা করেছেন যে আল্লাহ্’র রাছূল ﷺ বলেছেন:

«’ثنا هشام بن عمار، ثنا مدرك بن سعد، قال: سمعت حيان أبا النضر، قال: سمعت جنادة بن أبي أمية، عن عبادة بن الصامت، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «اسمع وأطع، في عسرك ويسرك، ومنشطك ومكرهك، وأثرة عليك، وإن أكلوا مالك، وضربوا ظهرك.»

“শাসকের কথা শুনো এবং তার আনুগত্য কর, যখন তোমার জন্য এটি কঠিন হয় এবং যখন এটি তোমার জন্য সহজ হয়, যখন তুমি সন্তুষ্ট বা অসন্তুষ্ট থাকবে, এবং যখন অন্যকে তোমার উপর প্রাধান্য দেওয়া হবে, এবং এমনকি যদি তারা তোমার ধন-সম্পদ ছিনিয়ে নেয় ও তোমার পিঠে মারে।” [আলবানী ছহীহ বলেছেন: দেখুন যিলালুল জান্নাহ এবং আত্ব-ত্বলিক্বাত আল-হাছান]

[অনুবাদক: শুআ'ইব আরনাঊত এর ছনদকে হাছান’ বলেছেন।تخريج صحيح ابن حبان ٤٥٦٢]

এটিই আল্লাহ্’র রাছূল ﷺ ছাহাবাদের আদেশ করেছিলেন— যে তারা শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ/ অভ্যুত্থান করবে না যদিও তাদের উপর অন্যদের প্রাধান্য দেওয়া হয়, তাদের সম্পদ অন্যায়ভাবে ছিনিয়ে নেওয়া হয়, এবং তাদের পিঠে মারা হয়!
অতএব কে বলার অধিকার রাখে যে, তারা রাছূলের ﷺ কথা মানতে বাধ্য নয়? নাকি অন্যায় এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর ব্যাপারে তারা ছাহাবীদের চেয়েও বেশি উপযুক্ত?! ছাহাবাদের ধৈর্য্য ধারণ করতে হয়েছিল এবং শাসকদের অত্যাচার, অন্যায় এবং প্রকাশ্যে পাপচর্চা সহ্য করতে হয়েছিল, কিন্তু চৌদ্দশত বছর পর, এইসব রাজনৈতিক কর্মীরা, বিদ্রোহীরা, আন্দোলনকারীরা, এবং ইখওয়ানীরা রাছূলের আদেশ কি মানতে পারে না?!

শায়খুল ইছলাম ইবনু তাইমিয়্যা [রাহিমাহুল্লাহ্] বলেছেন: “শাসকদের অত্যাচারে ধৈর্য্য ধারণ করাই হল আহলুছ ছন্নাহ্ ‘ওয়াল জামা’আর মৌলিক নীতিগুলোর একটি।” [মাজমূ আল-ফতওয়া: ২৮/১৭৯] এবং ইবনু তাইমিয়্যার এই কথাটি রাছূলের ﷺ আহাদীছের সাথে মিল এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ।

ইবনু আবি ‘আছিম আছ-ছুন্নাহ্তে [২/৫০৮] ‘আদি ইবনু হাতিম থেকে বর্ণনা করেছেন যে আমরা বলেছিলাম,
«حدثنا الحسن بن علي، ثنا عمر بن حفص بن غياث، حدثنا أبي، عن عثمان بن قيس الكندي، عن أبيه، عن عدي بن حاتم، قال: قلنا: يا رسول الله لا نسألك عن طاعة من اتقى، ولكن من فعل وفعل، فذكر الشر، فقال: «اتقوا الله، واسمعوا وأطيعوا»
‘হে আল্লাহ্'র রাছূল! আমরা আপনাকে সেই শাসকের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করছি না, যার তাক্বওয়া রয়েছে, এবং যে ভালো এবং সংশোধনকারী। বরং, আমরা সেই শাসকের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করছি যে, এটা ও এটা এবং এটা ও এটা করে। এবং তিনি তাদের মন্দ/খারাপ কাজগুলো উল্লেখ করলেন। আল্লাহ্'র রাছূল ﷺ জবাবে বললেন, ‘আল্লাহ্কে ভয় করো! শাসকের কথা শুনো এবং তার আনুগত্য কর।” [আত্ব-ত্ববারানী আল-কাবীরেও বর্ণনা করেছেন, ১৭/১০১; যিলালুল জান্নাহতে আলবানী ছহীহ বলেছেন]

আল-ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ্ [মৃত্যু: ৭২৮ হিজরী] বলেছেন: “এমন কোন সম্প্রদায় নেই যারা তাদের শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার পর তাদের অবস্থা তাদের বিদ্রোহের পর, তাদের বিদ্রোহ করার আগের অবস্থার চেয়ে খারাপ হয়ে গিয়েছিল।” [মিনহাজুছ ছুন্নাহ্, ৩/২৩১]

এটাকি আমাদের সময় পর্যন্ত চলে আসা বিষয়ের ধ্রুব বাস্তবতা না? ২০০৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে, মুসলিম বিশ্বে হওয়া বিদ্রোহ্ এবং বিপ্লবগুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করুন। মুসলিম বিশ্বে এইসব বিদ্রোহের ফলে মানুষদের অবস্থা কি রকম হয়ে গিয়েছে? মৃত্যু, আতঙ্ক, বিপর্যয়, ধ্বংস! তদ্ব্যতীত, এইসব রাজনৈতিক কর্মী এবং তাদের তথাকথিত ‘লিবারেল’ মিত্রগুলো আরো বেশি বিদ্রোহ, অভ্যুত্থান, এবং বিপ্লবের জন্য ডাক দেয়! মুসলিমদের জেগে উঠতে হবে এবং নাবীর ﷺ ছুন্নাহ্'র দিকে ফিরে আসতে হবে৷ ইমাম ইউনুছ ইবনু ‘উবাইদ বলেছেন: “আমাদের সময় ছুন্নাহ্'র দিকে আহ্বানকারী কোন ব্যক্তিকে দেখতে পাওয়া ছিল আশ্চর্যজনক। এবং আরো আশ্চর্যজনক ছিল ছুন্নাহ্'র দিকে ফিরো আসা ব্যক্তিকে দেখতে পাওয়া!” [আবূ নু'আইম হিলইয়াতুল আউলিয়াতে, ৩/২১, ইবনু বাত্তা আল-ইবানাতে: ২০ নং, আল-লালিকাঈ: ২১-২৩ নং]

আল-হাছান থেকে বর্ণিত: “আল্লাহ্'র রাছূল ﷺ একবার শাসক ও খারাপ শাসক, নেতা ও খারাপ নেতাদের নাম উল্লেখ করেছিলেন। তিনি ﷺ বলেছিলেন, ‘তাদের কারো কারো পথভ্রষ্টতা আসমান এবং জমীনের মধ্যবর্তী স্থান পূর্ণ করবে’! তখন রাছূলকে ﷺ জিজ্ঞেস করা হল: ‘হে আল্লাহ্'র রাছূল! আমরা কি তাদের তলোয়ার দিয়ে আঘাত করবো না?’ তিনি উত্তরে বললেন: ‘না, ততক্ষণ না যতক্ষণ তারা ছালাত আদায় করে।” [ক্বিতাবুল ফিতান: ১/১৮৫, ৪৯১ নং হাদীস]

«حدثنا المعتمر بن سليمان، عن أبيه، عن خليفة، عن الحسن، قال: ذكر رسول الله صلى الله عليه وسلم أمراء أمراء سوء، وأئمة أئمة سوء، وذكر ضلالة بعضهم تملأ ما بين السماء والأرض، قال: قيل: يا رسول الله، ألا نضرب وجهه بالسيف؟ قال: «لا ما صلى» أو قال: «ما صلوا الصلاة فلا»

যারা এইসব হাদীছের এবং ইমামদের ক্বওলের বিপরীত মত রাখে, তারা আহলুল বিদা’র লোক, ছুন্নাহ্, হাদীছ ও ছালাফ বিরোধী, এবং তারা খাও’য়ারীজ।

বঙ্গানুবাদ,
আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ রাকিব খান
মূল: উস্তায আবু খাদীজা
 

Create an account or login to comment

You must be a member in order to leave a comment

Create account

Create an account on our community. It's easy!

Log in

Already have an account? Log in here.

Total Threads
13,356Threads
Total Messages
17,247Comments
Total Members
3,685Members
Latest Messages
Md. OheduzzamanLatest member
Top