সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।
Habib Bin Tofajjal

ভ্রান্তি নিরসন আল্লাহর নামে ওহি বিকৃত করার সুযোগ স্বয়ং রাসূল (ﷺ) এরও ছিলনা

Habib Bin Tofajjal

If you're in doubt ask الله.

Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
Q&A Master
Salafi User
LV
17
 
Awards
33
Credit
16,092
আল্লাহর নামে ওহি বিকৃত করার সুযোগ স্বয়ং রাসূলেরও ছিলনা। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন:
وَ لَوْ تَقَوَّلَ عَلَيْنَا بَعْضَ الْاَقَاوِيْلِ : ۴۴ لَاَخَذْنَا مِنْهُ بِالْيَمِيْنِ ﴿۵۴﴾ ثُمَّ لَقَطَعْنَا مِنْهُ الْوَتِيْنَ ﴿(۶۴) فَمَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ عَنْهُ حَجِزِيْنَ (۷۴) وَإِنَّهُ لَتَذْكِرَةُ لِلْمُتَّقِينَ (۸۴)
“সে [রাসূলুল্লাহ] যদি আমার নামে কোনো কথা রচনা করত, তবে আমি তাঁর দক্ষিণহস্ত ধরে ফেলতাম। অতঃপর কেটে দিতাম তাঁর গ্রীবা। তোমাদের কেউ তাকে রক্ষা করতে পারত না। এটা মুত্তাকি বা পরহেজগারদের জন্য অবশ্যই একটি উপদেশ।

পূর্বের আয়াতে প্রমাণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কথাও ওহি এবং তা আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত। আলোচ্য আয়াত থেকে প্রমাণিত হলো, যদি রাসূলুল্লাহ (আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে কথা ব্যতীত নিজের মনোমতো কথা বলতেন, তাহলে তৎক্ষণাৎ তাঁর গ্রীবা ধমনি কেটে প্রাণ হরণ করা হতো। যা থেকে প্রমাণিত হয়, রাসূল (ﷺ)-এর কথা ও কাজ হিসাবে আমাদের কাছে যা-কিছু সত্যতা ও নির্ভরযোগ্যতার সাথে নিষ্ঠাবান মুত্তাকিদের মাধ্যমে পৌঁছেছে- তাও নির্ভেজাল ওহি। যারা মিথ্যা হাদীস রচনা করেছে তাদের অনেকেরই উক্ত আয়াতের আলোকে কঠিন মৃত্যু হয়েছে। উপরন্ত আয়াতটির মাধ্যমে পরবর্তী মুত্তাকিদের জন্য কুরআন ও হাদীস বর্ণনাকারীদের প্রতি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। ফলে হাদীস সংকলনের ক্ষেত্রে আয়াতটি ছিল মুত্তাকিদের জন্য বিশেষ উপদেশ (যিকির) ও হিদায়াত (গাইড বা পথ নির্দেশিকা)। অন্যত্র মুত্তাকিদের অভয় দিয়ে যিকির তথা ওহি হিসাবে নাযিলকৃত সমস্ত উপদেশ হিফাজাতের প্রক্রিয়া আল্লাহ তাআলা নিজ দায়িত্বের মধ্যে গ্রহণ করেছেন। যেমন বর্ণিত হয়েছে,
إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَفِظُوْنَ
“আমিই এই উপদেশ (যিকির) নাযিল করেছি, আর আমিই এর সংরক্ষক।”

সংক্ষেপে বলা চলে, সহীহ হাদীস হিসেবে যা-কিছু প্রচলিত আছে তার মধ্যে কোনো বিকৃতি থাকলে তার সংকলকদের ব্যাপারে স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন। এটাই আলোচ্য আয়াত দুটির দাবি ।


১. সূরা হাক্কাহ: ৪৪-৪৮।
২. 'আলি (রা.) ইবনু সাবা ও তার অনুসারীদেরকে মেরে আগুনে পুড়িয়েছিলেন। (ইবনু হাজার, লিসানুল মীযান ৩/২৯০ পৃ:) এভাবে 'খুলাফায়ে রাশিদীন' –এর যুগের পরেও যখনই কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে হাদীস জালকরণের কথা প্রমাণিত হয়েছে, তখনই তার প্রাণদণ্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হারিস ইবনু সাঈদ আল-কাযযাবকে খলীফা হিশাম ইব্‌ন 'আবদিল মালিক এ অপরাধেই প্রাণদণ্ড দিয়েছিলেন। অতঃপর আব্বাসীয় খলীফা আল্-মানসূর (১৩৬/৭৫৩-১৫৮/৭৭৪) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নামে মিথ্যারোপের অপরাধেই মুহাম্মাদ ইবনু সাঈদ আল-মাস বকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়েছিলেন। এভাবে উমাইয়া গভর্নর খালিদ ইবন আবদিল্লাহ আল্-কাসরি মিথ্যা হাদীস রচনাকারী বয়ান ই সাম'আন আল-মাহদিকে এবং বসরার আব্বাসীয় গভর্নর মুহাম্মাদ ইবন সুলায়মান ইবন আলি কুখ্যাত জাল হাদীস রচনাকারী আবদুল করীম ইবৃন আবিল আওজাকে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করেছিলেন। (আস- সবাঈ, আস-সুন্নাহ ওয়া মাকানাতুহা ফিত্-তাশইর'ইল ইসলামী, পৃ: ৮৫)। [সূত্রে: ড: মুহাম্মাদ জামাল উদ্দিন, রিজালশাস্ত্র ও জাল হাদীসের ইতিবৃত্ত (ঢাকা: ই.ফা.বা., মার্চ ২০০৪) পৃ: ২০৩-০৪। এই ঐতিহাসিক সত্যতার আলোকে প্রমাণিত হলো, আল্লাহর নামে কুরআন বা হাদীসের বিকৃতকারীদের পরিণাম খুবই ভয়াবহ (সূরা হাক্কাহ: ৪৪-৪৮ আয়াত)। পক্ষান্তরে হাদীস সংকলনের মহান দায়িত্বে যারা নিয়োজিত ছিলেন তাদের সুনাম ও সুখ্যাতি সারা দুনিয়াব্যাপী। এ থেকেও আলোচ্য আয়াতটি সাক্ষ্য প্রদান করছে।
৩. সূরা হিজর: ৯।
 

Create an account or login to comment

You must be a member in order to leave a comment

Create account

Create an account on our community. It's easy!

Log in

Already have an account? Log in here.

Total Threads
13,138Threads
Total Messages
16,794Comments
Total Members
3,506Members
Latest Messages
sk masudLatest member
Top