সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

রদ্দে খারেজিয়্যাত

বর্তমান যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ইয়েমেনে সালাফী দাওয়াতের মুজাদ্দিদ ইমাম মুক্ববিল বিন হাদী আল-ওয়াদিঈ রাহিমাহুল্লাহকে প্রশ্ন করা হয়, . "প্রশ্ন: (শাসককে) স্পষ্ট কুফরী করতে দেখলে তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ওয়াজিব নাকি ওয়াজিব না?" উত্তর: "এক্ষেত্রে মুসলিমদের অবস্থা পর্যালোচনা করা ওয়াজিব: তারা কি আদৌ এই স্পষ্ট কুফরীর মোকাবেলা করার সক্ষমতা রাখে? নাকি শুধু শুধুই নিজেদেরকে কুরবান করবে!!? তাদের কি নিজেদের ধনাঢ্যতা আছে, নাকি তারা আবার ঐ আমেরিকা বা এই ধরনের দেশগুলোর প্রতি হাত পাতবে? যেসব রাষ্ট্র তাদেরকে পারস্পরিক হানাহানিতে লিপ্ত রাখবে, এরপর প্রথম ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের পরিবর্তে অন্য আরেকজন ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তিকে বসাবে, নয়তো ধর্মনিরপেক্ষ এর পরিবর্তে শীয়াকে বসাবে, হতে পারে মুসলিমের পরিবর্তে কোনো খ্রিস্টানকে বসালো!!! এজন্য অবশ্যই...
কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার বিধান। উপস্থাপকঃ কিছু ছাত্র ভাইয়ের পক্ষ থেকে প্রশ্ন এসেছে, কমিউনিস্ট সরকার শাসিত দেশে (বিদ্রোহের) শরয়ী হুকুম কি? তারা কয়েকটি বছর চেষ্টা চালিয়েছে যুবকদেরকে এই কুফরী কমিউনিস্ট শাসন পরিবর্তনের প্রশিক্ষণ দিতে, এমনকি তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বড় সংখ্যক যুবক যোগার করতে সক্ষম হয়েছে। বেশি সংখ্যক ছেলেরাই খুব ভালোভাবে সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছে এবং তারা বিশুদ্ধ আকীদা ধারণ করে। তারা এমন অস্ত্রের প্রস্তুতি নিয়েছে, যেগুলোতে সমস্যা নেই। তারা কি এখন এই কুফরী শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ঘোষণা দেবে নাকি কুফরী শাসিত হয়েই থাকবে? আর জিহাদের আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার জন্য সেই দেশের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের অপহরণ করার হুকুম কি? শায়খঃ প্রশ্নটি এই উপমা মনে করিয়ে দিচ্ছে, "জ্বর বাড়ছে, তাপমাত্রা কমছে"!! অর্থাৎ...
কুফরী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করা কি কুফরে বাওয়াহ হিসেবে গণ্য হবে? "প্রশ্নকর্তাঃ মুসলিম দেশে কুফরী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করা কি কুফরে বাওয়াহ হিসেবে গণ্য হবে? যদি তাই হয়, তাহলে সামর্থবানদের, যেমন-সেনাবাহিনী, পক্ষ থেকে তার সাথে তরবারি (মানে অস্ত্র) দিয়ে মোকাবেলায় নামা যাবে? আর যারা এগুলো মানুষের বানানো বিধান চালু করে তাদের হুকুম কি? শায়খঃ প্রথমত একটা একটা করে প্রশ্ন বলো। প্রশ্নকর্তাঃ মুসলিম দেশে কুফরী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করা কি কুফরে বাওয়াহ হিসেবে গণ্য হবে? শায়খঃ কুফরে বাওয়াহ তথা স্পষ্ট কুফরী আমলের পাশাপাশি আকীদাকেও শামিল করে, যে বিশ্বাসে কাজটি করা হয়। এরকম না হলে সব শরীয়ত বিরোধী কাজই কুফরে বাওয়াহ হয়ে যাবে!! যেমন, সুদখোর, সুদী কারবারকারী সবাই তো বেশক কাবীরা গুনাহে লিপ্ত; তাহলে...
প্রশ্নঃ যেসব শাসক ইসলামের নাম ভাঙিয়ে খায়, মুসলিমদের সাথে ধোঁকা প্রতারণা করে, কুফরী ঔপনিবেশিক শক্তির ক্রিড়নক, তারাই তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য এইসব শাসকদের ক্ষমতায় বসিয়েছে, এসব শাসকরাই মুসলমানদের পিছিয়ে পড়ার কারণ, ইসলামী ও আরব দেশগুলোকে তারা কাফের জাতির লেজুড়ে পরিণত করেছে, সেসব শাসকের বিরুদ্ধে সতর্ক করা কি ওয়াজিব? উত্তরঃ মুসলিম শাসকের বিরোধিতা করা ইসলামের দেখানো পথ নয়। বরং ইসলামের দেখানো পথ হলো, নিম্নোক্ত রীতিগুলো খেয়াল রেখে শাসকদের নসীহাহ করা: ১) আপনার ও তার মাঝে একান্ত গোপনে হবে এই নসীহাহ, ২) আপনি তার পদ মর্যাদা খেয়াল রেখে আদবের সাথে ও নম্র ভাষায় নসীহাহ করবেন এবং ৩) আপনার কাজ এখানেই শেষ। নসীহাহ গ্রহণ করলে ভালো, না করলে আপনি আপনার জিম্মা থেকে মুক্ত। এখন "ইসলামের নাম ভাঙিয়ে খায়" এটা সব মুসলিমের জন্য নয়, বরং এটা...
আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্য বিধান দিয়ে বিচারের হুকুম। প্রশ্নঃ শাসকদের পক্ষ থেকে শরীয়ত বিরোধী কার্যাবলী প্রকাশ পেয়ে গেলে মুসলিমদের করণীয় কি? যেমন, আল্লাহর বিধান বাদে অন্য বিধান দিয়ে বিচার করা, যিনা, সুদ, মদের বৈধতা দান, কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব, মুসলিমদের থেকে মুক্তিকরণ... ইত্যাদি। শায়খঃ মুসলিমদের করণীয় সম্পর্কে আমরা আগেই বলেছি, প্রাথমিকভাবে তাদের কিছুই করার নেই! আবার অনেক কিছুই তাদের কর্তব্য!! কিভাবে? মুসলিমদের জন্য এখন তাৎক্ষণিক কোনো করণীয় না থাকলেও ভবিষ্যতে অনেক কিছুই তাদের করণীয়। আর এটা শুধুমাত্র আমরা যেটাকে 'তাসফিয়া ও তারবিয়া' নামে ব্যক্ত করেছি, তার মাধ্যমেই সম্ভব। আর সেটা হলো, যেসব শাসক আল্লাহর বিধান দিয়ে বিচার করে না, তাদের বিরুদ্ধে যেসব মুসলিম সত্যিই ইসলামী অবস্থান নিতে চায় তাদেরকে অবশ্যই সালাফে সালেহীনের চরিত নিজেদের...
বেশ্যাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা সরকারের হুকুম। প্রশ্নঃ কিছু মুসলিম দেশে যেনার প্রাদুর্ভাব খুব প্রকট, সরকারই তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে এবং তাদের ভাতা দিয়ে থাকে। অথচ রাসূল ﷺ যেনার মূল্য নেওয়া থেকে নিষেধ করেছেন, যা আমরা সবাই জানি। এই বিষয়ে আপনার মতামত কি এবং দিকনির্দেশনা কি? উপস্থাপকঃ অর্থাৎ সরকারকে কি এজন্য কাফের বলা যাবে? শায়খঃ আহ্, এইসব (অধুনা) আইনের এটাই তো প্রথম শরীয়ত বিরোধী কাজ নয়। নিঃসন্দেহে এটা এক ধরনের কুফরী কাজ, তবে তা বিশ্বাসগতও হতে পারে আবার এমনি কার্যগত হতে পারে। তো যেসব শাসক এটাকে বিধিবদ্ধ করবে এই বিশ্বাসে: "এটা বৈধ ও জায়েয", তাহলে এই কুফরী তাকে মিল্লাত থেকে বের করে দেবে। আবার যারা সাধারণ চুরি, ব্যাংকের মতো লিপিবদ্ধ চুরি করে মানুষের সম্পদ অবৈধভাবে ভক্ষণ করে, তারা যদি এগুলোর হারাম হওয়াকে অস্বীকার করতঃ বৈধতা দেয়, তাহলে তারা...
প্রশ্নঃ কোনো শায়খ বা তালেবুল ইলমকে যদি আমরা শাসক কর্তৃক হারাম কাজ করা বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে দেখি, তাহলে এই কাজ কি তাকে সুন্নাহ থেকে বের করে দেবে? উত্তরঃ হ্যা, আমরা এই লোককে সুন্নাহর বাইরে ধরব। আমরা তাকে বলব: প্রথমত, এই ধরনের কথা বলাটাই তোমার জন্য বৈধ নয়। আমরা তাকে বের করে দেওয়ার পর, নসীহত এবং কথা বলার পরও যদি সে এই কাজে অটল থাকে, তবে নিঃসন্দেহে এটা খারেজীদের পন্থা; কারণ একমাত্র তারাই শাসকদের বিরুদ্ধে লোকদের সামনে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়। এটাই খাওয়ারেজে ক'দিয়্যাহ তথা শয্যাশায়ী খারেজীদের (যারা অন্যদের উস্কে দিলেও নিজেরা নামে না) অনুসৃত পথ তোমরা আব্দুল্লাহ ইবনে উকাইম রহিমাহুল্লাহর কথাটা মনোযোগ দিয়ে শোনো, আলেমগণ তার বিষয়ে মতভেদ করেছেন যে, তিনি কি সাহাবী নাকি সাহাবী নন?-। তিনি বলেছেন: "আমি উসমান রাযিয়াল্লাহু আনহুর হত্যায়...
পরম দয়ালু, করুণাময় আল্লাহ্’র নামে৷ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্'র জন্য। এবং আল্লাহ্’র শান্তি এবং রহমত বর্ষিত হোক রাছূল ﷺ, তাঁর ছাহাবীগণ এবং যারা তাঁর পথনির্দেশন অনুসরণ করে তাদের উপর। আম্মাবাদ: যারা মুসলিম শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ্ করে এবং তাদের বিরোধীতা করে— তাদের এইসব কর্মকান্ডের কোন দলীল নেই যদিও তারা দাবি করে যে, তারা কিছু ছালাফগণর আদর্শ অনুসরণ করছে, যারা বিদ্রোহ্ করেছিলেন৷ তারা যা ‘দলীল’ হিসেবে উপস্থাপন করে প্রকৃতপক্ষে তা তাদের পক্ষে কোনভাবেই দলীল নয়। এখন, বিভিন্ন মৌলিক ধর্মীয় কারণ রয়েছে কেন এই প্রতিবাদকারী, বিপ্লবী এবং রাজনৈতিক আন্দোলনকারীদের [দাবীর] কোন ভিত্তি নেই যখন তারা ঘোষণা করে যে তারা আল্লাহ্’র রাছূল ﷺ-এর নাতি হুছাইন ইবনু ‘আলীর [رضي الله عنه] আদর্শ অনুসরণ করছে, যখন তিনি মক্কা ত্যাগ করেছিলেন, ইরাকের জনগণের সাথে যোগ দিতে যখন তারা...
জারহ্ ও তা'দীলের ঝান্ডাবাহী মু'জাহিদ, যুগশ্রেষ্ঠ নাক্বীদ, আল মুহাদ্দিসুল ফাক্বীহ ইমাম ‘রাবী বিন হাদী উমাইর আল-মাদখালী [হাফিয্বাহুল্লাহ্] বলেন— প্রশ্ন: তার ব্যাপারে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কি যে বলে, ‘খাওয়ারিজ হল তারা যারা বৈধ এবং ন্যায়পরায়ণ শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ্ করে৷ এবং কেউ যদি সত্যিকারের অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, তবে সে খাওয়ারিজদের অন্তর্ভুক্ত নয়’? উত্তর: ‘আব্দুল-মালিক ইবনু মারওয়ান একজন অত্যাচারী শাসক ছিলেন৷ তিনি হত্যা করেছিলেন [সাহাবী] ‘আব্দুল্লাহ্ ইবনে আয-যুবা’ঈরকে [رضي الله عنه] এবং এমনকি তার প্রতিনিধিদের একজন ধ্বংস করেছিল কাবাহ্কে। তবুও [সাহাবী] ‘আব্দুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার [رضي الله عنه] এত কিছুর পরেও তার [ইবনু মারওয়ানের] প্রতি আনুগত্য বজায় রেখেছিলেন এবং বাকী সাহাবীরাও তা-ই করেছিলেন। আল্লাহ্’র কসম, তিনি অত্যাচারী ছিলেন...
আলজেরিয়ার তুল্লাবুল ইলমদের একজন ফদ্বীলাতুশ শায়খ, মুহাম্মদ বিন ছ্বলেহ আল-‘উছাইমীনকে এমন কিছু লোকের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল যারা কোনো নির্দেশনা ও শর্ত ছাড়াই শাসকদের তাক্বফীর করে। শাইখ উত্তর দিলেন: "যারা তাক্বফীর করে, তারাই খাওয়ারিজের উত্তরাধিকারী, যারা আলী ইবনু আবি তালিব [رضي الله عنه]-এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। কাফির হল সেই ব্যক্তি যাকে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল صلى الله عليه وسلم কাফের ঘোষণা করেছেন, এবং তাক্বফীরের শর্ত রয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে, ইলম এবং তাদের মধ্যে রয়েছ, ইরাদাহ [ইচ্ছা, অভিপ্রায়]। সুতরাং আমাদের জানা উচিত যে এই শাসক সত্যের বিরোধিতা করেছে, এবং সে সত্য জানে এবং সে ইচ্ছাকৃত বিরোধিতা করতে চেয়েছে, এবং তার কোন ত্রুটিপূর্ণ ব্যাখ্যা [সেই ব্যাপারে] নেই। যেমন একজন ব্যক্তি যখন একটি মূর্তিকে সিজদাহ্ করে এবং সে জানে যে একটি মূর্তিকে...
প্রশ্নকারী: ঠিক আছে, বসনিয়াতে আমাদের ভাইদের সম্পর্কে আরও একটি প্রশ্ন আছে.. শায়খ আল-আলবানী: ন’আম। প্রশ্নকর্তা: আমি শুনেছি যে— আপনি কিছু ভাইকে বলেছিলেন— যারা তাদের জীবন নিয়ে আল্লাহ্'র পথে লড়াই করার জন্য সেখানে যেতে চেয়েছিল: ‘নিজের বিরুদ্ধে জি’হাদ কর’ [অর্থাৎ নিজেকে শুদ্ধ কর]। শায়খ আল-আলবানী: হ্যাঁ, এটা সত্য। প্রশ্নকারী: এর অর্থ হল যে, আপনি [লোকদের] সেখানে [জি’হাদের জন্য] যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন না? শায়খ আল-আলবানী: এটা সত্য। প্রশ্নকারী: আচ্ছা, আপনি কি মনে করেন না যে সেখানকার লোকেদের সাহায্যের প্রয়োজন? শায়খ আল-আলবানী: আমি কীভাবে এটা ভাববো না! তবে মুসলিমদের জীবনকে বৃথা মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়ে সাহায্য সম্পাদন করা যায়? পবিত্র কুর’আনে আমাদেরকে যে প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে সেই প্রস্তুতি কোথায়? প্রশ্নকর্তা: সেখানে যদি লাভ থাকে...
ইয়েমেনের সালাফী দাওয়াতের মুজাদ্দিদ, যুগশ্রেষ্ঠ মুহা’দ্দিছ, আশ-শায়খ, আল-‘আল্লামাহ্, ইমাম মুক্ববীল বিন হাদী আল-ওয়াদী’ঈ [রাহিমাহুল্লাহ্] উ’ছামা বিন লাদেন সম্পর্কে বলেন: ❝সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্’রই— আমরা প্রায় ছয়-বছর আগে উ’ছামা যা করেছিল তা থেকে নিজেদের মুক্ত [ঘোষণা] করেছিলাম [এই টেইপটি প্রায় ২৮ বছর আগে রেকর্ড করা হয়েছিল]। যখন সে ইয়েমেনে ফিতনাহ্ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল, আমরা তাঁর থেকে নিজেকে মুক্ত [ঘোষণা] করেছিলাম। আমার ভাইয়েরা— এই লোকটি হল রক্ত-পিপাসু। তাঁর কি হয়েছে, কেন সে পবিত্র দু’ই মাসজিদে যায় না এবং জ্ঞান অন্বেষণ করে না? তাঁর কি হয়েছে, কেন সে ‘হাদরামাঊতে যায় না এবং নিজ হাতে মাসজিদ নির্মাণ করে না, ত্বলিবুল ইলমদের বিয়ে করিয়ে দেয় না, স্কুল খোলে না বা ভাল [প্রোজেক্ট] হাতে নেয় না? তবে, তুমি যদি বন্দুক এবং রাইফেল চাও, সে তোমাকে অর্থ দিতে...
আহলুস সুন্নাহ্' ওয়াল জামা’আ, আহলুল হাদীছ সালাফিয়্যুনদের প্রথম যুগের আক্বীদাহ্ এবং মানহাজের বইগুলোতে ইজমা রয়েছে যে, মুছলিমদের শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং অভ্যুত্থান করা হারাম। অন্যান্য অগণিতদের মধ্যে থেকে দু’জন ইমাম, আবূ হাতিম আর-রাযী [মৃত্যু: ২৭৭ হিজরী] এবং আবূ যুর'আ আর-রাযী [মৃত্যু: ২৬৪ হিজরী] তাদের বিখ্যাত গ্রন্থ ‘আক্বীদাতুর রাযিয়েন’ বইয়ে ইজমাটি লিপিভুক্ত করেছেন: “আমরা ধারণ করি যে শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ্ করা নাজায়েয...” ইমামগণ, যারা তাদের আগে এসেছেন [যেমন বুখারী, আহমাদ, ছুফিয়ান, ফুদ্বাইল] এই ইজমাটি যখন স্থীর হয় [তখন] এটি লিপিবদ্ধ করেছেন, ক্বিতাবের কত’ঈ দালীল, ছহীহ ছুন্নাহ এবং ছাহাবাদের মধ্যে থেকে কীবারদের ক্বওলের উপর ভিত্তি করে। আর সেসময় থেকে এই সময় পর্যন্ত কেউই এই দৃষ্টিভঙ্গির বিরোধিতা করেনি, মূর্খ বা পথভ্রষ্ট বিদ’আতী ছাড়া।...
শায়খ আব্দুল্লাহ্ আল-‘বুখারির কাছে একটি প্রশ্ন— একজন প্রশ্নকারী জিজ্ঞাসা করেছেন: “হে শাইখ, এই সময়ে ইউরোপ জুড়ে, মুসলিমরা বিক্ষোভ করার জন্য একত্রিত হয়। তারা বিশ্বাস করে যে এর দ্বারা তারা শামে তাদের ভাইদের সাহায্য করছে— অমুসলিম ভূখন্ডগুলিতে এই বিক্ষোভগুলি চালু করা কি জায়েয? উত্তর: প্রথমত, তুমি এই প্রশ্নটি করার আগে, অমুসলিম দেশগুলিতে এটি জায়েয কিনা, তোমার জিজ্ঞাসা করা উচিত: ‘শারিয়াতে কি আদৌ বিক্ষোভের অনুমতি আছে?’ কারণ মুসলিম দেশেই হোক বা অমুসলিম দেশেই হোক, বিধানের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই— বিধান একই। এবং আমরা বহুবার ব্যাখ্যা করেছি যে এই বিক্ষোভগুলি ইসলামের পথনির্দেশন থেকে নয়। আমি বলতে চাচ্ছি যে বিক্ষোভ, সিট-ইন, এবং প্রতিবাদ ইত্যাদির সাথে শারীয়তের কোন সম্পর্ক নেই। আলিমগণ এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং এ বিষয়ে গ্রন্থ রচনা করেছেন। এবং...
আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্য বিধান দিয়ে বিচার-এর ব্যাপারে সালাফদের বাণী সমূহ-০৮ ইমাম ইবনুল আরাবী আল-মালিকী রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ "এই হুকুমটা (অবস্থাভেদে) ভিন্ন ভিন্ন হবে: -শাসক যদি নিজের জারি করা বিধানকে আল্লাহর দেয়া বিধানের মতোই মনে করে, তাহলে তো এটা আল্লাহর বিধানকে পরিবর্তনের নামান্তর। তখন এটা কুফরী হবে। -আর যদি প্রবৃত্তির তাড়নায় পড়ে ও নাফরমানি বশতঃ করে ফেলে, তাহলে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আহ-এর "পাপী মুমিনদের গুনাহ মাফের" মূলনীতি অনুযায়ী তার গুনাহ ক্ষমা হবে।" --[আহকামুল কুরআন, ২/৬২৪]
قال: ماسبب هذا الكم الهائل من المعلومات في حفظ ماء وجه ولي امركم ، وكان مدار الدين كله هو حول ولي الامر ! قلت: نعم من مقومات الدين حفظ حق ولاة الأمر، والتحذير من الخروج عليهم ؛ أما ترى أن الرسول صلى الله عليه وسلم لما أوصى وصية مودع؛ قال: "أوصيكم بتقوى الله. والسمع والطاعة وإن تأمر عليكم عبد حبشي". هل تلاحظ كيف بدأ بتقوى الله ثم ثنى بالسمع والطاعة لولاة الأمر، فهذا يدل على أن حفظ حق ولاة الأمر والتحذير من الخروج عليهم ، من مقومات الدين؛ وهذا معنى ما جاء في سنن الدارمي تحت رقم ( 257 ) عَنْ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: "تَطَاوَلَ النَّاسُ فِي الْبِنَاءِ فِي زَمَنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. فَقَالَ عُمَرُ: «يَا مَعْشَرَ الْعُرَيْبِ. الْأَرْضَ الْأَرْضَ. إِنَّهُ لَا إِسْلَامَ إِلَّا بِجَمَاعَةٍ. وَلَا...
قال الإمام الآجري رحمه الله: "فلا ينبغي لمن رأى اجتهاد خارجي قد خرج على إمام عدلا كان الإمام أو جائرا فخرج وجمع جماعة وسل سيفه واستحل قتال المسلمين فلا ينبغي له أن يغتر بقراءته للقرآن ولا بطول قيامه في الصلاة ولا بدوام صيامه ولا بحسن ألفاظة في العلم إذا كان مذهبه مذهب الخوارج". الشريعة: (١٣٦/١) ইমাম আজুররী রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ যে ব্যক্তি কোনো খারেজীর এ মর্মে ইজতিহাদ দেখবে যে: সে -ন্যায়পরায়ন হোক বা যালেম- শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ঝান্ডা তুলেছে, একদল সংগঠিত হয়ে অস্ত্র ধারণ করেছে এবং মুসলিমদের হত্যা বৈধ ও স্বাভাবিক মনে করেছে; তাহলে সেই ব্যক্তির জন্য উচিত নয়, ঐ খারেজীর কুরআন তিলাওয়াত দেখে, সালাতের দীর্ঘ কিয়াম দেখে, টানা সিয়াম পালন দেখে কিংবা ইলমের কথার ফুলঝুড়ি দেখে ধোঁকা খাবে। --[আশ-শরী'আহ, ১/১৩৬]
আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্য বিধান দিয়ে বিচার-এর ব্যাপারে সালাফদের বাণী সমূহ-০৭ ইমাম ইবনুল জাওযী (৫৯৭হি:) রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ ফয়সালা মূলক কথা হলো: ক) যারা ইহুদীদের মতো "আল্লাহ নাযিল করেছেন" এটা জেনেও অস্বীকার করতঃ আল্লাহর বিধান ছাড়া বিচার করে, তারা কাফের। খ) যারা অস্বীকার না করে নিজ প্রবৃত্তির দ্বারা প্রলুব্ধ হয়ে বিচার করা বাদ দেয়, তারা জালেম ও ফাসেক। আলী ইবনু আবী তালহা ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ "যে আল্লাহর বিধানকে অস্বীকার করল সে-ই মূলত কাফের। আর যে স্বীকার করল বটে, কিন্তু তদানুযায়ী বিচার করল না, সে জালেম ও ফাসেক। --(তাফসীরে যাদুল মাসীর, ২/৩৬৬)
আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্য বিধান দিয়ে বিচার-এর ব্যাপারে সালাফদের বাণী সমূহ-০৬ ইমাম সাম'আনী রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ আর তুমি জেনে রাখো, উক্ত আয়াত দিয়ে খারেজীরা এই দলীল দেয় যে, যারাই আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্য বিধান দিয়ে বিচার করবে তারাই কাফের। কিন্তু আহলুস সুন্নাহর অভিমত হলো, (শুধুমাত্র) এটা ছাড়ার কারণেই কেউ কাফের হবে না (বরং আরো বিষয় রয়েছে) --(তাফসীরে সাম'আনী, ২/৪২)
আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্য বিধান দিয়ে বিচার-এর ব্যাপারে সালাফদের বাণী সমূহ-০৫ ইমাম ইবনু আব্দিল বার্র মালিকী রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ আলেমদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে শাসনের ক্ষেত্রে জেনেশুনে ইচ্ছাকৃতভাবে জুলুম করা কাবীরা গুনাহ। সালাফদের থেকে এ ব্যাপারে কঠোর কঠোর কথা বর্ণিত হয়েছে। আর আল্লাহর বাণী "যারাই আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্য বিধান দিয়ে বিচার করে, তারাই (কাফের)...(জালেম)...(ফাসেক)"; এই আয়াতটি আহলে কিতাবদের (ইহুদী খৃষ্টানদের) ব্যাপারে নাযিল হয়েছে। হুযায়ফা ও ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুমা বলেছেন, তবে এটা আমাদের জন্যও প্রযোজ্য। তবে এর সাথে তারা আরো বলেছেন: এটা এমন কুফরী না, যা মিল্লাত থেকে বের করে দেয়। যতক্ষণ না সে আল্লাহ, ফেরেশতা, আল্লাহর অবতীর্ণ কিতাবাদি, তদ্বীয় রাসূলদের এবং বিচার দিবসকে মিথ্যারোপ ও অস্বীকার না করে বসে। এই অর্থটা...

Create an account or login to comment

You must be a member in order to leave a comment

Create account

Create an account on our community. It's easy!

Log in

Already have an account? Log in here.

Latest books

Forum statistics

Threads
12,912
Comments
16,413
Members
3,342
Latest member
Dilwar
Total Threads
12,912Threads
Total Messages
16,413Comments
Total Members
3,342Members
Latest Messages
DilwarLatest member
Top