সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।
Habib Bin Tofajjal

বিবর্তনবাদের অসারতা - বিবর্তনবাদের বিভ্রান্তি ৪

Habib Bin Tofajjal

If you're in doubt ask الله.

Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
Q&A Master
Salafi User
LV
17
 
Awards
33
Credit
15,475
বিবর্তনবাদের অনুসারীরা বলে থাকেন, নির্জীব-নিস্প্রাণ বস্তু (Inanimate matter) থেকেই পৃথিবীর বুকে সর্বপ্রথম জীবনের উদ্ভব ঘটেছে। পৃথিবীর সমস্ত বস্তুই মৌল রাসায়নিক উপাদানে গঠিত। কিন্তু প্রশ্ন হ’ল, পৃথিবীর বুকে অবস্থিত মৌলিক পদার্থ সমূহে বিবর্তন বা ক্রমবিকাশবাদের কোন প্রাবল্য লক্ষ্য করা যায় কি? যেমন Atom বা অণু সাধারণত স্থিতিশীল (Stable)। কোন ক্ষেত্রে তা অবক্ষয়মাণ হ’লেও সে অবস্থায় স্থিতি থাকে মাত্র অতক্ষণ, যতক্ষণ তা কোন স্থিতিশীল উপাদানে পরিণত হয়। যখনই তা হয়ে যায়, তখন তা আর অবক্ষয়মাণ থাকে না (৬৪)।

দৃষ্টান্তস্বরূপ একটি পাত্রের মধ্যে লোহা, কাঁচ, রবার ও মোটরযান নির্মাণে প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী ও যন্ত্রাংশ রেখে দিয়ে তার মুখ বন্ধ করে দেওয়া হৌক এবং পাত্রটি হাযার বার ঘোরানো হৌক। অতঃপর যখন তার মুখ খোলা হবে, তখন সেসব সামগ্রী ও যন্ত্রাংশ মিলে আপনা-আপনি একটি পূর্ণাঙ্গ মোটরযান তৈরী হয়ে যাবে, এমনটা দেখা যাবে কি? (৬৫)।

রেলগাড়ীর বগি চলতে পারে না, যতক্ষণ না একটি শক্তিশালী ইঞ্জিন তাকে টেনে নিয়ে যায়। একইভাবে কোন নিস্প্রাণ-নির্জীব পদার্থ নিজেই গতিশক্তি ও জীবন শুরু করতে পারে না, যতক্ষণ না কোন উচ্চতর বহিঃশক্তি সেজন্য কাজ করে। এ বিষয়েই তো আল্লাহ বলেন, ‘যিনি সকল বস্তু সুন্দর রূপে সৃষ্টি করেছেন এবং মাটি হ’তে মানুষ সৃষ্টির সূচনা করেছেন’ (৭)। ‘অতঃপর তিনি তার (আদমের) বংশধর সৃষ্টি করেছেন তুচ্ছ পানির নির্যাস থেকে’ (৮)। ‘অতঃপর তিনি তাকে সুষম করেন ও তাতে রূহ ফুঁকে দেন এবং তোমাদেরকে দেন কর্ণ, চক্ষু ও হৃদয়সমূহ। কিন্তু তোমরা অতি সামান্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাক’ (সাজদাহ ৩২/৭-৯)।

মাটি বা তুচ্ছ পানির তথা শুক্রাণুর কোন জীবন নেই। তাদের কোনকিছুই সৃষ্টি করার ক্ষমতা নেই। কেবলমাত্র আল্লাহর নির্দেশেই এসব নির্জীব পদার্থ থেকে জীবনের উন্মেষ ঘটে। আল্লাহর উপরে ঈমান আনা ব্যতীত নির্জীব বস্তু থেকে
জীবন উদ্গমের কোন উত্তর কেউ দিতে পারবেন কি? আল্লাহ বলেন, ‘তিনি জীবিতকে মৃত থেকে ও মৃতকে জীবিত থেকে বের করেন এবং মৃত যমীনকে পুনরুজ্জীবিত করেন। আর এভাবে তোমরাও পুনরুত্থিত হবে’ (রূম ৩০/১৯)।

জীবন এল কোত্থেকে?
ইটালীয় চিকিৎসাবিদ ফ্রান্সিস্কো রেডী (Francesco Redi) ১৬৮৮ খৃষ্টাব্দে তাঁর সীমিত পরীক্ষা কার্যের মাধ্যমে প্রমাণ করেন যে, কীট-পতঙ্গের শূক বা লার্ভা (larva) তাদের জীবন্ত বাপ-মা থেকেই বেরিয়ে এসেছে। নিস্প্রাণ কোন বস্তু থেকে নয় (৭২)।

Encyclopaedia Americana-তে বলা হয়েছে, From the Greek words bios, life and genesis, birth, source, creation, is the biological term for the doctrine that living organisms are produced only by other living organisms, ... biologists are now not only in virtually unanimous agreement that all life derives from preceding life, but that the parent organism and its offspring are of the same kind. (1956. vol 3. p. 721)

‘গ্রীক শব্দ bios, life and genesis, birth, source, creation প্রভৃতি জীব বিজ্ঞান সংক্রান্ত পরিভাষা। এগুলি এই বিশ্বাস ব্যক্ত করে যে, জীবদেহ কেবলমাত্র অপর জীবদেহ থেকেই উৎপাদিত হয়।... বর্তমানে জীব বিজ্ঞানীরা কেবল নীতিগতভাবে নয়, বরং সামগ্রিকভাবে এ ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন যে, সমস্ত জীবন পূর্ববর্তী জীবন থেকেই উদ্ভূত এবং তাদের বংশধররাও একই প্রজাতির’ (৭৩)।

B. B. Vance এবং D. F. Miller তাঁদের Biology for you বইয়ে বলেছেন, All of the forms of plants and animals that we have studied in biology produce their young from their own bodies and in no other way. (1964, p. 468). ‘জীব বিজ্ঞানে আমরা উদ্ভিদ ও প্রাণীকূলের যত আকৃতিরই অধ্যয়ন করেছি, সেগুলির সবই নিজ নিজ দেহ থেকেই তাদের সন্তান উৎপাদন করে, অন্য কোন উপায়ে নয়’ (৭৩)।

কোষের বিবর্তন :
শুরুতে একক কোষ যখন কার্যকর ছিল, তখন কি করে সেটি অধিকতর জটিল জীবন পদ্ধতিতে বিকাশ লাভ করল? তাদের মধ্যে কতিপয় সত্তা সম্পূর্ণ অপরিবর্তিত অবস্থায় ক্রমবিকাশ লাভ করল, আর বাকীগুলি করল না, একথার কি বিশ্লেষণ হ’তে পারে? উদাহরণ স্বরূপ মাকড়সা, যাকে ‘সরলতর সৃষ্টি’ বলে মনে করা হয়। অথচ তার পায়ের বুনট স্বয়ং মাকড়সার জীবনের চাইতে অনেক গুণ বেশী জটিল ও বিস্ময়কর (৭৪-৭৫)।

এই দুর্বল জীবটির সৃষ্টি রহস্য ও তার গুরুত্বের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আল্লাহ মাকড়সার নামে পবিত্র কুরআনে একটি সূরার নামকরণ করেছেন। যার মধ্যে তিনি কাফের ও মুশরিকদের সতর্ক করে বলেছেন, ‘যারা আল্লাহকে ছেড়ে অন্যকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে তাদের দৃষ্টান্ত মাকড়সার ন্যায়। সে (নিজের নিরাপত্তার জন্য) ঘর তৈরী করে। অথচ ঘর সমূহের মধ্যে মাকড়সার ঘরই তো সবচেয়ে দুর্বল। যদি তারা জানত (যে অন্য কেউ তাদের কোন উপকার করতে পারে না)’ (আনকাবূত ২৯/৪১)।

অতএব আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা না মেনে যারা অন্যকে সৃষ্টিকর্তা মনে করে, তাদের কল্পনার ফানুস মাকড়সার ঘরের মতই নিরাপত্তাহীন। যা সর্বদা ধ্বসে পড়ে। অতঃপর চক্ষু, যাকে কর্ণিয়া, চোখের মণি, রেটিনা, পেশী ইত্যাদি নিয়ে দেহের সবচাইতে জটিল অঙ্গ বলে মনে করা হয়; এগুলি যদি ক্রমবিকাশের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়ে থাকে, তাহ’লে এমন এক সময় আসবে, যখন হয়তো চোখের ব্যবহারই থাকবে না। যা ভয়ানক অসুবিধার কারণ হয়ে দেখা দিবে। স্বয়ং ডারউইন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, যদি মনে করা হয় যে, চক্ষুর সমস্ত অননুকরণীয় পরিকল্প প্রাকৃতিক নির্বাচনের ফলে সম্ভব হয়েছে, তাহ’লে ও I freely confess, absurd in the highest degree ‘আমি উন্মুক্তভাবে স্বীকার করছি যে, তা সর্বোচ্চ মাত্রায় অযৌক্তিক কথা’ (Charles Darwin, The Origin of Species 'About The Eye). (৭৫)।

চক্ষু, কর্ণ ও হৃদয়ের অনন্য অবদানের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে আল্লাহ বলেন, ‘যে বিষয়ে তোমার নিশ্চিত জ্ঞান নেই, তার পিছনে ছুটো না। নিশ্চয় তোমার কর্ণ, চক্ষু ও হৃদয় প্রতিটিই জিজ্ঞাসিত হবে’ (বনু ইস্রাঈল ১৭/৩৬)। বিশেষ করে চোখের গুরুত্ব বর্ণনা করে হাদীছে কুদসীতে আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তির দুই চক্ষু আমি নিয়ে গেছি, তাকে তার পরিবর্তে আমি জান্নাত দান করব’।

অতএব স্বীকার করতেই হবে যে, কোন একক কোষের ক্রমবিকাশ নয়, বরং সম্পূর্ণ অনস্তিত্ব থেকে নতুন নতুন কোষ ও নতুন নতুন সৃষ্টি অস্তিত্বে এনেছেন এককভাবে স্বয়ং আল্লাহ। যার কোন শরীক নেই। আর এখানে নাস্তিক্যবাদের কোন অবকাশ নেই। আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই আদি, তিনিই অন্ত, তিনি প্রকাশ্য, তিনি গোপন; তিনি সকল বিষয়ে জ্ঞাত’ (হাদীদ ৫৭/৩)। তিনি বলেন, ‘তুমি (মুশরিকদের) বলে দাও যে, তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে উপাস্য ধারণা করতে তাদের ডাক। তারা নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের অণু পরিমাণ কোন কিছুরও মালিক নয়। এসবের মালিকানায় তাদের কোন অংশ নেই এবং তাদের কেউ আল্লাহর সাহায্যকারী নয়’ (সাবা ৩৪/২২)।

নিউটন ও তার বন্ধু :
নিউটন একদিন তাঁর অধ্যয়ন কক্ষে পড়াশোনায় ব্যস্ত ছিলেন। তখন সেখানে টেবিলের উপর তাঁর তৈরী যন্ত্রটি রাখা ছিল। এ সময় তাঁর নাস্তিক বন্ধু কক্ষের মধ্যে প্রবেশ করেন। যিনি নিজেও একজন বিজ্ঞানী ছিলেন বলে নিউটনের সামনে কি রাখা আছে তা প্রথম দৃষ্টিতেই বুঝতে পারলেন। সেটির কাছে গিয়ে তিনি ধীরভাবে খাঁজগুলি ঘুরিয়ে দিলেন এবং অপ্রচ্ছন্ন বিস্ময়বোধ নিয়ে দেখতে পেলেন যে, আকাশমার্গীয় অবয়বগুলি সমস্তই ওদের নির্দিষ্ট কক্ষপথে আপেক্ষিক গতিবেগে চলতে শুরু করে দিয়েছে। এটা দেখে তিনি কয়েক ফুট দূরে দাঁড়িয়ে চীৎকার করে বলে উঠলেন, My! What an exquisite thing this is! Who made it ? ‘আরে! এটা কি নিখুঁত সুন্দর জিনিস! কে বানাল এটা?’ নিউটন তাঁর বইয়ের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখেই অবিচলিত কণ্ঠে বলে উঠলেন, Nobody ‘কেউ না’। একথা শোনা মাত্রই নিউটনের দিকে মুখ করে নাস্তিক বিজ্ঞানী বলে উঠলেন, স্পষ্টত মনে হচ্ছে, তুমি আমার প্রশ্নটি বুঝতে পারনি। আমি জিজ্ঞেস করেছি, এই জিনিসটি বানাল কে?

এ সময় নিউটন উপরের দিকে চোখ তুলে শান্ত কণ্ঠে তাকে নিশ্চয়তা দিয়ে বললেন, ‘না, ওটিকে কেউই বানায়নি। তবে বস্তুর সংযোজন এতই বিস্ময়কর যে, তারই ফলে এটি গড়ে উঠেছে’। একথা শুনে বিস্মিত নাস্তিক তীব্র ভাষায় বলে উঠলেন, ‘তুমি আমাকে বোকা মনে করেছ নিশ্চয়? অবশ্যই কেউ না কেউ এটা বানিয়েছে। সে একটি মস্ত বড় প্রতিভা, তাতে সন্দেহ নেই। তাই তো আমি জানতে চাচ্ছি, লোকটা কে?’ নিউটন তখন বইটি একপাশে রেখে উঠে দাঁড়ালেন এবং বন্ধুর কাঁধে হাত রেখে বললেন, ‘এটা একটি ক্ষুদ্র অনুকরণ একটি অনেক বড় পদ্ধতির, যার নিয়ম তুমি জান। আমি তোমাকে বুঝাতে পারব না যে, এ খেলনাটা কোন পরিকল্পনাকারী ও নির্মাতা ছাড়াই হয়েছে’।...

নিউটন তাঁর বন্ধুকে এ বিষয়ে প্রত্যয়শীল বানিয়েছিলেন যে, নির্মাণ যে ধরনেরই হোক, তার একজন নির্মাতা একান্তই অপরিহার্য। আমরা যদি কেবল আমাদেরই নিজস্ব জীবনধারা লক্ষ্য করি, তাহ’লে বার বার সে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে আমরা বাধ্য হব। তুমি যখন তোমার কক্ষে উপবিষ্ট থাক, তখন চিন্তা কর, তার কতটা ক্রমবিকাশ পদ্ধতিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গড়ে উঠেছে, আর কতটা তার এক ধীশক্তি সম্পন্ন নির্মাতার দ্বারা নির্মিত হয়েছে। তোমার বাতি, বিছানা, চেয়ার-টেবিল, স্টোভ-কম্বল, প্রাচীর তোমার গোটা বিল্ডিং সম্পর্কে তোমার কি সিদ্ধান্ত? এসব কিছুরই একজন নির্মাতা অপরিহার্য। তোমার নিজের একজন গর্ভধারিণী মাতা ও জন্মদাতা পিতার অপরিহার্যতা অনস্বীকার্য। তাহ’লে কোন সব যুক্তির ভিত্তিতে তুমি দাবী করতে পার যে, সমস্ত জীবন্ত বস্তু স্বতঃস্ফূর্তভাবেই অস্তিত্ব লাভ করেছে এবং এসবের জন্য কোন স্রষ্টার প্রয়োজন হয়নি’ (৭৮-৭৯)।

আমরা বলি, অংক শাস্ত্রবিদের অতুলনীয় মেধা ছাড়াই অংক শাস্ত্রের জটিল ফর্মুলা তৈরী হয়েছে বলে কেউ দাবী করতে পারে কি? জাহায, উড়োজাহায এমনকি একটা ছোট্ট সূঁচ তৈরী করার জন্যেও একজন নির্মাতা প্রয়োজন হয়। অথচ সৃষ্টির সবচাইতে জটিল বস্তু হ’ল এটি জীবন্ত দেহ সত্তা। তার জন্য কি কোন নির্মাতা বা সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন নেই? নিঃসন্দেহে তিনিই আল্লাহ। যার কোন শরীক নেই। আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা। অতএব তোমরা তার ইবাদত কর। তিনি সকল বস্তুর তত্ত্বাবধায়ক’। ‘কোন দৃষ্টি তাঁকে (দুনিয়াতে) বেষ্টন করতে পারে না। বরং তিনিই সকল দৃষ্টিকে পরিবেষ্টন করেন। তিনি অতীব সূক্ষ্মদর্শী এবং ভিতর-বাহির সকল বিষয়ে বিজ্ঞ’ (আন‘আম ৬/১০২-০৩)।

জনৈক রসায়নবিদ স্বীয় অনুসন্ধানী লেখনীতে বলেন, The simplest manmade mechanism requires a planner and a maker, How a mechanism ten thousand times more involved and intricate can be conceived of as self-constructed and self-developed is completely beyond me. (The Evidence of God in an Expanding Universe 1958)

‘সহজতর মানবনির্মিত যন্ত্রব্যবস্থার জন্যেও একজন পরিকল্পনাকারী ও নির্মাতার প্রয়োজন হয়। তাহ’লে ১০ সহস্র গুণ বেশী পেঁচানো ও জটিল যন্ত্র ব্যবস্থা এই মহাবিশ্ব স্বয়ংগঠিত এবং স্বয়ং উৎকর্ষপ্রাপ্ত বলে কি করে মনে করা যেতে পারে, তা আমার বোধগম্য নয়’ (৮০)।

নিউটন তাঁর ‘প্রিন্সিপিয়া’ (Principia) নামক গ্রন্থে লেখেন, This most beautiful system of the sun, planets and comets could only proceed from the councel and dominion of an intelligent and powerful being. The Universe is a clock which to be regulated every now and again by its creator. ‘সূর্য, গ্রহ, ধূমকেতু প্রভৃতির অত্যন্ত সুন্দর পদ্ধতি কেবলমাত্র একজন বুদ্ধিমান ও শক্তিশালী সত্তার একক কর্তৃত্বে এগিয়ে যেতে পারে। মহাবিশ্ব একটি ঘড়ি। যা সর্বদা নিয়মিতভাবে চলতে পারে কেবলমাত্র তার সৃষ্টিকর্তার মাধ্যমে’ (৮০)। আল্লাহ বলেন, ‘যদি আকাশ ও পৃথিবীতে আল্লাহ ব্যতীত বহু উপাস্য থাকত, তাহ’লে উভয়টিই ধ্বংস হয়ে যেত। অতএব তারা যা বলে, তা থেকে আরশের মালিক আল্লাহ পবিত্র’ (আম্বিয়া ২১/২২)।

চলবে...


৭. বায়হাক্বী, শো‘আবুল ঈমান হা/৫৭৫১; মিশকাত হা/২৫৫; ছহীহুল জামে‘ হা/১৭২৭।

 

Create an account or login to comment

You must be a member in order to leave a comment

Create account

Create an account on our community. It's easy!

Log in

Already have an account? Log in here.

Similar threads

Total Threads
12,902Threads
Total Messages
16,403Comments
Total Members
3,337Members
Latest Messages
Emon11Latest member
Top