হাদিস ও হাদিসের ব্যাখ্যা হালাল রূযী সম্পর্কিত হাদীস

Golam Rabby

Knowledge Sharer

ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Joined
Jan 3, 2023
Threads
1,023
Comments
1,209
Solutions
1
Reactions
11,205
১. জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন, রিযক দেরিতে আসছে বলে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করো না। কেননা কোন বান্দা ততক্ষণ পর্যন্ত মারা যায় না যতক্ষণ না তার নির্ধারিত শেষ রিযক তার কাছে পৌঁছে যায়। অতঃপর তোমরা হালাল রিযক সুন্দরভাবে তালাশ কর। আর হারাম থেকে বিরত হও’ [মুসতাদরাক হা/২১৩৪; সিলসিলাতুস্ ছহীহাহ্ হা/২৬০৭]

২. আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন, দীনারের পূজারী, দিরহামের পূজারী ও পোশাকের পূজারী ধ্বংস হোক! তাকে দেয়া হলে সে খুশী। আর না দিলে নারায। সে ধ্বংস হোক, অধঃপতিত হোক। সে কাঁটাবিদ্ধ হলে তা আর বের করা হয় না। শুভ সংবাদ ওই বান্দার জন্য! যে আল্লাহর পথে তার ঘোড়ার লাগাম ধরা অবস্থায় আছে, ধূলায়-ধুসর কেশ নিয়ে, ধূলোমলিন দুই পা নিয়ে। যদি সে প্রহরার দায়িত্বে থাকে তবে সে পাহারা দেয়। যদি সৈন্যবাহিনীর পশ্চাদ্ভাগে থাকা তার দায়িত্ব হয়ে থাকে তবে সে পশ্চাদ্ভাগে থাকে। যদি সে অনুমতি চায়, তাকে অনুমতি দেয়া হয় না। যদি সে সুফারিশ করে, তার সুফারিশ কবুল করা হয় না’ [বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫১৬১]

৩. মিক্বদাদ (রাঃ) রাসূল হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নিজ হাতে উপার্জিত খাদ্যের চেয়ে উত্তম খাদ্য কেউ খায়নি। আর নিশ্চয় আল্লাহর নবী দাউদ (আঃ) নিজ হাতের উপার্জন থেকেই খেতেন’ [বুখারী, মিশকাত হা/২৭৫৯]

৪. আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, মানুষের সামনে এমন একটি যুগ আসবে, যখন কেউ কি উপায়ে ধন-সম্পদ উপার্জন করলো, হারাম না হালাল উপায়ে- এ ব্যাপারে কেউ কোনো প্রকার পরোয়া করবে না’ [বুখারী, মিশকাত হা/২৭৬১]

৫. নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট। আর এ উভয়ের মধ্যে এমন অনেক সন্দেহভাজন বিষয় রয়েছে, যে ব্যাপারে অনেক মানুষই এগুলো হালাল, কি হারাম-এ বিষয়ে অবগত নয়। এক্ষেত্রে যে ব্যক্তি সন্দেহজনক বিষয় হতে বিরত থাকবে, তার দীন ও মান-মর্যাদা পুত-পবিত্র থাকবে। আর যে ব্যক্তি সন্দেহে পতিত থাকবে, সে সহসাই হারামে জড়িয়ে পড়বে। বিষয়টি সেই রাখালের ন্যায়, যে রাখাল তার পশুপালকে নিষিদ্ধ এলাকার সীমার কাছাকাছি নিয়ে চরালো, তার পাল অজান্তেই নিষিদ্ধ এলাকায় ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। সাবধান! প্রত্যেক দায়িত্বশীলেরই (প্রশাসন বা সরকারেরই) চারণভূমি (নিষিদ্ধ এলাকা) আছে, আর আল্লাহ তা’আলার নিষিদ্ধ চারণভূমি হারামসমূহকে নির্ধারিত করেছেন। মনে রাখতে হবে, মানব দেহের ভিতরে একটি গোশতপিন্ড আছে, যা ভালো থাকলে গোটা শরীরই ভালো থাকে। আর এটি নষ্ট হয়ে গেলে বা বিকৃতি ঘটলে সমস্ত শরীরটাই নষ্ট হয়ে যায়। সেই গোশতপিন্ডটিই হলো ’কলব’ (অন্তঃকরণ)’ [বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৭৬২]

৬. আবু হুরায়রা্ (রাঃ) হতে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা পুত-পবিত্র, তিনি পুত-পবিত্র জিনিসকেই গ্রহণ করেন। আল্লাহ তা’আলা যে কাজ করতে রাসূলদের প্রতি নির্দেশ করেছেন তদ্রূপ এই একই কাজের নির্দেশ মু’মিনদেরকেও করেছেন। আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, ‘হে রাসূলগণ! পাক-পবিত্র হালাল রূযী খাও এবং নেক আমল কর’ (মু’মিনূন ২৩/৫১)। আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন, ‘হে মু’মিনগণ! আমি তোমাদেরকে যা উপজীবিকা স্বরূপ দান করেছি সেই পাক-পবিত্র বস্তুসমূহ ভক্ষণ কর’ (বাক্বারাহ ২/১৭২)

অতঃপর তিনি (ছাঃ) দৃষ্টান্ত হিসাবে এক ব্যক্তির অবস্থা উল্লেখ করে বলেন যে, এ ব্যক্তি দূর-দূরান্তের সফর করছে, তার মাথার চুল এলোমেলো, শরীর ধূলাবালুতে মাখা। এ অবস্থায় ঐ ব্যক্তি দু’হাত আকাশের দিকে উঠিয়ে কাতর কণ্ঠে বলে ডাকছে, হে রব্! হে রব্! কিন্তু তার খাবার হারাম, পানীয় হারাম, পরনের পোশাক হারাম। আর এ হারামই সে ভক্ষণ করে থাকে। তাই এমন ব্যক্তির দো‘আ কিভাবে কবুল হতে পারে? [মুসলিম, মিশকাত হা/২৭৬০]
 
Similar threads Most view View more
Back
Top