If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
- Joined
- Nov 25, 2022
- Threads
- 665
- Comments
- 1,233
- Solutions
- 17
- Reactions
- 7,553
- Thread Author
- #1
আলিমদের মতে হারাম সম্পদ দুই প্রকার:
প্রথম প্রকার: সত্তাগতভাবে ও মৌলিকভাবে হারাম
সত্তাগতভাবে, মৌলিকভাবে ও নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের কারণে হারাম সম্পদের অর্থ হচ্ছে, শরীআত যে সম্পদকে হারাম ঘোষণা করেছে উক্ত সম্পদে বিদ্যমান কোনো কারণের দিকে লক্ষ রেখে আর উক্ত কারণটি সে-সম্পদ থেকে কোনো সময় বিচ্ছিন্ন ও আলাদা হয় না। সেগুলোকে হারাম করা হয়েছে, হয় তাতে ক্ষতিকর কিছু থাকার কারণে আর না-হয় তাতে নাপাকি থাকার কারণে অথবা তাতে পঙ্কিলতা থাকার কারণে। যেমন মদ, শকুর, মৃতপ্রাণী, রক্ত, সকল প্রকার নাপাক বস্তু ও সকল প্রকার এমন পঙ্কিল জিনিস যা মানুষের ক্ষতির উপজীব্য হয়ে থাকে।[1]
এই প্রথম প্রকার সম্পদ আমাদের আলোচনা ও গবেষণার বিষয় নয়। আমাদের আলোচনা ও গবেষণা সীমাবদ্ধ সেসব সম্পদ নিয়ে, যেসব সম্পদ সত্তাগতভাবে ও মৌলিকভাবে হারাম নয় অর্থাৎ সরাসরি উক্ত সম্পদটি হারাম নয়। বরং আমাদের গবেষণার বিষয় হচ্ছে, সেসব সম্পদ সেগুলো শরীআতপরিপন্থি উপায়ে উপার্জন করা হয়েছে। কাজেই সত্তাগতভাবে হারাম সম্পদ আমাদের এই গবেষণা ও আলোচনা-পর্যালোচনার বিষয় নয়।
দ্বিতীয় প্রকার: যা অন্য কোনো আনুষঙ্গিক কারণে হারাম
আনুষঙ্গিক কারণে হারাম সম্পদ বলতে বোঝায়, যে সম্পদ মৌলিকভাবে হারাম নয় বরং তার সাথে পরবর্তীতে সংযুক্ত কোনো কারণে হারাম হয়ে যায়। অর্থাৎ পরবর্তীতে উক্ত সম্পদে এমন কিছু সংযুক্ত হবে, যা উক্ত সম্পদের কোনো বৈশিষ্ট্যে প্রভাবে ফেললেও তার মূলে, প্রকৃতিতে ও সত্তায় কোনো প্রভাব ফেলবে না। যেমন চুরিকৃত সম্পদ।[2] এ কারণে আলিমগণ এ প্রকার সম্পদের ক্ষেত্রে ‘কারণবশত হারাম সম্পদ’[3] এবং ‘উপার্জনবশত হারাম সম্পদ’[4] অভিধা ব্যবহার করেন।
[1] আল-কারাফী, আল-ফুরূক, ৩/৯৬
[2] যেমন কেউ কারো এক লাখ টাকা বা একটি গাড়ি চুরি করে নিলো। অথচ টাকা ও গাড়ি মৌলিকভাবে হারাম নয় বরং মৌলিকভাবে তা হালাল সম্পদ। কিন্তু তার সাথে ‘চুরি’ গুণটা যুক্ত হওয়ার কারণে উক্ত মৌলিক হালাল টাকা ও গাড়ি তার জন্য হারাম সম্পদে পরিণত হয়ে গেছে।―অনুবাদক
[3] কারাফী, আয-যাখীরা, ১৩/৩২২
[4] ইবন তাইমিয়া, মাজমূউল ফাতাওয়া, ২৯/৩২০
প্রথম প্রকার: সত্তাগতভাবে ও মৌলিকভাবে হারাম
সত্তাগতভাবে, মৌলিকভাবে ও নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের কারণে হারাম সম্পদের অর্থ হচ্ছে, শরীআত যে সম্পদকে হারাম ঘোষণা করেছে উক্ত সম্পদে বিদ্যমান কোনো কারণের দিকে লক্ষ রেখে আর উক্ত কারণটি সে-সম্পদ থেকে কোনো সময় বিচ্ছিন্ন ও আলাদা হয় না। সেগুলোকে হারাম করা হয়েছে, হয় তাতে ক্ষতিকর কিছু থাকার কারণে আর না-হয় তাতে নাপাকি থাকার কারণে অথবা তাতে পঙ্কিলতা থাকার কারণে। যেমন মদ, শকুর, মৃতপ্রাণী, রক্ত, সকল প্রকার নাপাক বস্তু ও সকল প্রকার এমন পঙ্কিল জিনিস যা মানুষের ক্ষতির উপজীব্য হয়ে থাকে।[1]
এই প্রথম প্রকার সম্পদ আমাদের আলোচনা ও গবেষণার বিষয় নয়। আমাদের আলোচনা ও গবেষণা সীমাবদ্ধ সেসব সম্পদ নিয়ে, যেসব সম্পদ সত্তাগতভাবে ও মৌলিকভাবে হারাম নয় অর্থাৎ সরাসরি উক্ত সম্পদটি হারাম নয়। বরং আমাদের গবেষণার বিষয় হচ্ছে, সেসব সম্পদ সেগুলো শরীআতপরিপন্থি উপায়ে উপার্জন করা হয়েছে। কাজেই সত্তাগতভাবে হারাম সম্পদ আমাদের এই গবেষণা ও আলোচনা-পর্যালোচনার বিষয় নয়।
দ্বিতীয় প্রকার: যা অন্য কোনো আনুষঙ্গিক কারণে হারাম
আনুষঙ্গিক কারণে হারাম সম্পদ বলতে বোঝায়, যে সম্পদ মৌলিকভাবে হারাম নয় বরং তার সাথে পরবর্তীতে সংযুক্ত কোনো কারণে হারাম হয়ে যায়। অর্থাৎ পরবর্তীতে উক্ত সম্পদে এমন কিছু সংযুক্ত হবে, যা উক্ত সম্পদের কোনো বৈশিষ্ট্যে প্রভাবে ফেললেও তার মূলে, প্রকৃতিতে ও সত্তায় কোনো প্রভাব ফেলবে না। যেমন চুরিকৃত সম্পদ।[2] এ কারণে আলিমগণ এ প্রকার সম্পদের ক্ষেত্রে ‘কারণবশত হারাম সম্পদ’[3] এবং ‘উপার্জনবশত হারাম সম্পদ’[4] অভিধা ব্যবহার করেন।
- উস্তায আব্দুল্লাহ মাহমুদ।
[1] আল-কারাফী, আল-ফুরূক, ৩/৯৬
[2] যেমন কেউ কারো এক লাখ টাকা বা একটি গাড়ি চুরি করে নিলো। অথচ টাকা ও গাড়ি মৌলিকভাবে হারাম নয় বরং মৌলিকভাবে তা হালাল সম্পদ। কিন্তু তার সাথে ‘চুরি’ গুণটা যুক্ত হওয়ার কারণে উক্ত মৌলিক হালাল টাকা ও গাড়ি তার জন্য হারাম সম্পদে পরিণত হয়ে গেছে।―অনুবাদক
[3] কারাফী, আয-যাখীরা, ১৩/৩২২
[4] ইবন তাইমিয়া, মাজমূউল ফাতাওয়া, ২৯/৩২০