- Views: 139
- Replies: 1
আবু উসমান নিশাপুরী রাহি. বৃদ্ধ বয়সে একজন সালিহাহ রমনীকে বিয়ে করেন। ইবাদতের প্রতি তার আগ্রহ দেখে স্ত্রী তাকে জিজ্ঞেস করেন, হে আবু উসমান তোমার কৃত আমলের মধ্যে কোন আমল সবচেয়ে প্রিয়?যার জন্য তুমি জান্নাতের আশা করো?
তিনি বলেন,যখন আমি তাগড়া যুবক ছিলাম তখন আমার পরিবার আমাকে বিয়ে করানোর মনস্থ করলো। কিন্তু আমি বিয়ে করা থেকে বিরত থাকলাম।
একদিন লজ্জাবনত হয়ে একজন বোরকা পরিহিত রমনী আমার কাছে আসলো। এসে বলল, হে আবু উসমান আমি তোমাকে প্রচন্ড ভালোবাসি। যার দরুন আমার ঘুম চলে গেছে, মনের স্থিরতা দূর হয়ে গেছে, হৃদয়ের গহীন থেকে আমাকে বিয়ে করার জন্য তোমাকে অনুরোধ করছি।
আবু উসমান বললেন, তোমার পিতা কি আছেন? সে বলল, হ্যাঁ অমুক দর্জি অমুক জায়গায় আছেন। আমি তার পিতার কাছে পত্র লিখলাম তাকে আমার সাথে বিয়ে দেয়ার জন্য। তার পিতা অত্যন্ত খুশি হলেন, সাক্ষী উপস্থিত করলেন, আমার সাথে তার বিয়ে দিলেন।
আমি যখন তার কাছে প্রবেশ করলাম, তখন আমি দেখলাম তার চোখে ত্রুটি আছে, সে খোঁড়া,বিকলাঙ্গ।
আমি বললাম, হে আল্লাহ সমস্ত প্রশংসা আপনার যা আপনি আমার জন্য নির্ধারিত করে রেখেছেন।
আমার পরিবারের মানুষ গুলো আমার স্ত্রীর কারনে আমাকে তিরস্কার করতে লাগলো। তাকে তালাক দেয়ার জন্য আমাকে উৎসাহ দিতে লাগলো। আমি তার সাথে উত্তম ও সম্মানিত ব্যবহার ছাড়া কিছু করিনি।
সে প্রতিদিন পূর্বের চেয়ে আমার সাথে আরো বেশী ঘনিষ্ঠ হতে থাকলো। অবস্থা এমন হলো যে আমি তাকে ছাড়া তার কাছ থেকে বের হতে পরিনা। তার সন্তুষ্টির জন্য এবং হৃদয় রক্ষার জন্য আমি বিভিন্ন মাজলিসে উপস্থিত হওয়া ছেড়ে দেই। এভাবে পনের বছর যাবৎ আমি তার সাথে অবস্থান করি।
দিন যতই যাচ্ছিল আমি এবং সে আমাদের ভালোবাসা আগুনের আঙ্গারের চেয়ে তীব্র উত্তপ্ত হতে থাকলো। মৃত্যু পর্যন্ত আমি কখনোই তার দোষ গুলো তার কাছে প্রকাশ করিনি।
এই দীর্ঘ সময় তার উপর যে আমি ধৈর্য্য অবলম্বন করেছি, আমার জন্য তার হৃদয়ের চাহিদা সংরক্ষন করেছি, এ ছাড়া আল্লাহর প্রতিদান ও ক্ষমা পাওয়ার জন্য আশানুরূপ কোন আমল আমি করিনি।
[ কিসসাতু যিওয়াজ আস সালিহিন— ৭৫-৭৬ ]
তিনি বলেন,যখন আমি তাগড়া যুবক ছিলাম তখন আমার পরিবার আমাকে বিয়ে করানোর মনস্থ করলো। কিন্তু আমি বিয়ে করা থেকে বিরত থাকলাম।
একদিন লজ্জাবনত হয়ে একজন বোরকা পরিহিত রমনী আমার কাছে আসলো। এসে বলল, হে আবু উসমান আমি তোমাকে প্রচন্ড ভালোবাসি। যার দরুন আমার ঘুম চলে গেছে, মনের স্থিরতা দূর হয়ে গেছে, হৃদয়ের গহীন থেকে আমাকে বিয়ে করার জন্য তোমাকে অনুরোধ করছি।
আবু উসমান বললেন, তোমার পিতা কি আছেন? সে বলল, হ্যাঁ অমুক দর্জি অমুক জায়গায় আছেন। আমি তার পিতার কাছে পত্র লিখলাম তাকে আমার সাথে বিয়ে দেয়ার জন্য। তার পিতা অত্যন্ত খুশি হলেন, সাক্ষী উপস্থিত করলেন, আমার সাথে তার বিয়ে দিলেন।
আমি যখন তার কাছে প্রবেশ করলাম, তখন আমি দেখলাম তার চোখে ত্রুটি আছে, সে খোঁড়া,বিকলাঙ্গ।
আমি বললাম, হে আল্লাহ সমস্ত প্রশংসা আপনার যা আপনি আমার জন্য নির্ধারিত করে রেখেছেন।
আমার পরিবারের মানুষ গুলো আমার স্ত্রীর কারনে আমাকে তিরস্কার করতে লাগলো। তাকে তালাক দেয়ার জন্য আমাকে উৎসাহ দিতে লাগলো। আমি তার সাথে উত্তম ও সম্মানিত ব্যবহার ছাড়া কিছু করিনি।
সে প্রতিদিন পূর্বের চেয়ে আমার সাথে আরো বেশী ঘনিষ্ঠ হতে থাকলো। অবস্থা এমন হলো যে আমি তাকে ছাড়া তার কাছ থেকে বের হতে পরিনা। তার সন্তুষ্টির জন্য এবং হৃদয় রক্ষার জন্য আমি বিভিন্ন মাজলিসে উপস্থিত হওয়া ছেড়ে দেই। এভাবে পনের বছর যাবৎ আমি তার সাথে অবস্থান করি।
দিন যতই যাচ্ছিল আমি এবং সে আমাদের ভালোবাসা আগুনের আঙ্গারের চেয়ে তীব্র উত্তপ্ত হতে থাকলো। মৃত্যু পর্যন্ত আমি কখনোই তার দোষ গুলো তার কাছে প্রকাশ করিনি।
এই দীর্ঘ সময় তার উপর যে আমি ধৈর্য্য অবলম্বন করেছি, আমার জন্য তার হৃদয়ের চাহিদা সংরক্ষন করেছি, এ ছাড়া আল্লাহর প্রতিদান ও ক্ষমা পাওয়ার জন্য আশানুরূপ কোন আমল আমি করিনি।
[ কিসসাতু যিওয়াজ আস সালিহিন— ৭৫-৭৬ ]