Habib Bin Tofajjal
If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
- Joined
- Nov 25, 2022
- Threads
- 664
- Comments
- 1,231
- Solutions
- 17
- Reactions
- 7,289
- Thread Author
- #1
১। বাড়াবাড়ি (الغلو): এ বাড়াবাড়ি হলো সেই অপরাধ কুরআনে আল্লাহ তা'আলা যার নিন্দা করেছেন। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন,
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
২। দলাদলি ও মতভেদ (التفرق والاختلاف): যার আলোচনা আল্লাহ তা'আলা মহাগ্রন্থ আল কুরআনে বহুবার উল্লেখ করেছেন।(২)
৩। জাল হাদীছের উপর আমল করা (أحاديث تروى): এগুলো নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক বর্ণিত এমন হাদীছ যা বিশেষজ্ঞ পণ্ডিতদের মতৈক্য অনুসারে তার উপর অর্পিত মিথ্যাচার। মুর্খগণ ঐগুলো হাদীছ বলে শ্রবণ করে। আর ধারণা প্রসূতভাবে কু-প্রবৃত্তির চরিতার্থে তা সত্য বলে গ্রহণও করে।
৪। পথভ্রষ্টতার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে: প্রবৃত্তির অনুসরণ ও ধারণার অনুগামী হওয়া। যেমন- আল্লাহ তা'আলা প্রবৃত্তির অনুসরণকারী ও ধারণার অনুগামীদের প্রসঙ্গে বলেছেন।
আল্লাহ তা'আলা তার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রসঙ্গে বলেন:
সুতরাং আল্লাহ তা'আলা তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পথভ্রষ্টতা ও বিভ্রান্তি, যে দু'টি অজ্ঞতা ও যুলুম, সে দু'টি খারাপ গুণ থেকে পবিত্র বলে ঘোষণা দিয়েছেন। পথভ্রষ্ট হলো সে ব্যক্তি যে হক জানে না। আর বিভ্রান্ত হলো সে ব্যক্তি যে তার প্রবৃত্তির অনুসরণ করে। আল্লাহ তা'আলা বিবৃতি প্রদান করছেন এ মর্মে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় প্রবৃত্তি হতে কোনও কথা বলেননি। বরং তা ছিল ওহী যা আল্লাহ তা আলা তার প্রতি প্রত্যাদেশ করেছিলেন। আল্লাহ তা'আলা তাকে জ্ঞান দ্বারা বিশেষিত করেছেন এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ করা থেকে মুক্ত বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
এখন আমি কিছু বাতিল পন্থীদের কতক মূলনীতি আলোচনা করব, যারা নিজেদের সুন্নাতের অনুসারী বলে দাবী করে। অথচ তারা সুন্নাত থেকে অনেক দূরে সরে গেছে এবং বড় যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
১. সহীহ: ইবনে মাজাহ হা/৩০২৯, নাসাঈ হা/৩০৫৭।
২. সূরা আলে ইমরান ৩:১০৫, সূরা আল আন'আম ৬:১৫৯ ।
يَا أَهْلَ الكتاب لَا تَعْلُوا في دِينِكُمْ وَلَا تَقُولُوا عَلَى اللهِ إِلَّا الْحَقِّ إِنَّمَا الْمَسِيحُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ رَسُولُ الله وَكَلمَتَهُ أَلْقَاهَا إِلَى مَرْيَمَ وَرُوحٌ مِنْهُ فَآمَنُوا بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ وَلَا تَقُولُوا ثَلَاثَةٌ انتَهُوا خَيْرًا لَكُمْ إِنَّمَا اللهُ إِلَهُ وَاحِدٌ سُبْحَانَهُ أَنْ يَكُونَ لَهُ وَلَدٌ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَكَفَى بالله وكيلا
হে আহলে কিতাব! তোমরা তোমাদের দীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না, আর আল্লাহ সম্বন্ধে সত্য ছাড়া কিছু বলো না, নিশ্চয়ই ঈসা মাসীহ তো আল্লাহর রাসূল ও তার বাণী যা তিনি মারাইয়ামের নিকট প্রেরণ করেছিলেন, আর তার পক্ষ হতে নির্দেশ, অতএব তোমরা আল্লাহ ও তদীয় রাসূলগণের উপর বিশ্বাস স্থাপন কর, আর বলো না তিনজন (ইলাহ আছে), (তোমাদের ভ্রান্ত আক্বিদা থেকে) নিবৃত্ত হও, তা হবে তোমাদের জন্য কল্যাণকর, নিশ্চয়ই এক আল্লাহই প্রকৃত ইলাহ, তিনি কোন সন্তান হওয়া হতে পূত পবিত্র। আসমানসমূহে আর যমীনে যা আছে সবকিছু তারই, আর আল্লাহই কর্ম সম্পাদনের জন্য যথেষ্ট। (সূরা আন নিসা ৪: ১৭১)আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন,
قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لَا تَعْلُوا فِي دِينِكُمْ غَيْرَ الْحَقِّ وَلَا تَتَّبِعُوا أَهْوَاءَ قَوْمٍ قَدْ ضَلُّوا مِنْ قَبْلُ وَأَضَلُّوا كَثِيرًا وَضَلُّوا عَنْ سَوَاءِ السَّبِيلِ
বল, হে আহলে কিতাব! তোমরা নিজেদের দীন সম্বন্ধে অন্যায়ভাবে বাড়াবাড়ি করো না, আর সেই সম্প্রদায়ের খেয়াল খুশির অনুসরণ করো না যারা অতীতে নিজেরাও ভ্রান্তিতে পতিত হয়েছে এবং আরো বহু লোককে ভ্রান্তিতে নিক্ষেপ করেছে, বস্তুতঃ তারা সরল পথ হতে বিচ্যুত হয়ে গেছে। (সূরা আল মায়িদা ৫:৭৭)রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
" إياكم وَالْعْلُوٌ في الذين, فَإِنْهُ أَهْلَك مَن كَانّ قَبَلَكُم لْعْلْر في الذّين "
দীনের বিষয়ে বাড়াবাড়ি পরিহার কর। কারণ তোমাদের ইতিঃপূর্বের লোকেরা দীনের বিষয়ে বাড়াবাড়ি করার কারণে ধ্বংস প্রাপ্ত হয়েছে।(১)২। দলাদলি ও মতভেদ (التفرق والاختلاف): যার আলোচনা আল্লাহ তা'আলা মহাগ্রন্থ আল কুরআনে বহুবার উল্লেখ করেছেন।(২)
৩। জাল হাদীছের উপর আমল করা (أحاديث تروى): এগুলো নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক বর্ণিত এমন হাদীছ যা বিশেষজ্ঞ পণ্ডিতদের মতৈক্য অনুসারে তার উপর অর্পিত মিথ্যাচার। মুর্খগণ ঐগুলো হাদীছ বলে শ্রবণ করে। আর ধারণা প্রসূতভাবে কু-প্রবৃত্তির চরিতার্থে তা সত্য বলে গ্রহণও করে।
৪। পথভ্রষ্টতার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে: প্রবৃত্তির অনুসরণ ও ধারণার অনুগামী হওয়া। যেমন- আল্লাহ তা'আলা প্রবৃত্তির অনুসরণকারী ও ধারণার অনুগামীদের প্রসঙ্গে বলেছেন।
إِن يَتَّبِعُونَ إِلَّا الظَّنَّ وَمَا تَهْوَى الأَنْفُسُ وَلَقَدْ جَاءَهُمْ مِّن رَّبِّهِمْ الْهُدَى
তারা তো শুধু ধারণা আর প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে, যদিও তাদের কাছে তাদের ‘রব’ এর পক্ষ থেকে পথ নির্দেশ এসেছে। (সূরা আন নাজম ৫৩:২৩)আল্লাহ তা'আলা তার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রসঙ্গে বলেন:
وَالنَّجْمِ إِذَا هَوَى، مَا ضَلَّ صَاحِبُكُمْ وَمَا غَوَى، وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى، إِنْ هُوَ إِلَّا يوحى
শপথ নক্ষত্রের যখন তা অস্তমিত হয়, তোমাদের সঙ্গী বিভ্রান্ত নয়, বিপথগামীও নয়, আর সে মনগড়া কথাও বলে না। এটা তো ওহী যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ করা হয়। (সূরা আন নাজম ৫৩:১-৪)সুতরাং আল্লাহ তা'আলা তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পথভ্রষ্টতা ও বিভ্রান্তি, যে দু'টি অজ্ঞতা ও যুলুম, সে দু'টি খারাপ গুণ থেকে পবিত্র বলে ঘোষণা দিয়েছেন। পথভ্রষ্ট হলো সে ব্যক্তি যে হক জানে না। আর বিভ্রান্ত হলো সে ব্যক্তি যে তার প্রবৃত্তির অনুসরণ করে। আল্লাহ তা'আলা বিবৃতি প্রদান করছেন এ মর্মে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় প্রবৃত্তি হতে কোনও কথা বলেননি। বরং তা ছিল ওহী যা আল্লাহ তা আলা তার প্রতি প্রত্যাদেশ করেছিলেন। আল্লাহ তা'আলা তাকে জ্ঞান দ্বারা বিশেষিত করেছেন এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ করা থেকে মুক্ত বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
এখন আমি কিছু বাতিল পন্থীদের কতক মূলনীতি আলোচনা করব, যারা নিজেদের সুন্নাতের অনুসারী বলে দাবী করে। অথচ তারা সুন্নাত থেকে অনেক দূরে সরে গেছে এবং বড় যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন - আল ওয়াছিইয়াতুল কুবরা (মহা উপদেশ)
১. সহীহ: ইবনে মাজাহ হা/৩০২৯, নাসাঈ হা/৩০৫৭।
২. সূরা আলে ইমরান ৩:১০৫, সূরা আল আন'আম ৬:১৫৯ ।