সাহায্য চাওয়া দু'ভাগে বিভক্ত :
১. প্রথম প্রকার- এটি আল্লাহর একটি ইবাদত। অতএব, আল্লাহ ব্যতীত তা কারো জন্য পালন করা জায়েয নেই এবং এ সাহায্য প্রার্থনা এমন ক্ষেত্রে যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ সামর্থ্য রাখে না।
২. দ্বিতীয় প্রকার— যে ক্ষেত্রে বান্দার নিকট হতে সাহায্য চাওয়া জায়েয। যাতে আল্লাহ ব্যতীত অন্যেও ক্ষমতা রাখে।
ইবাদতটির ক্ষেত্রে কতিপয় উপদেশ:
ক) হে আল্লাহর বান্দা! আল্লাহর নিকটেই আপনার সাহায্য প্রার্থনা করা অপরিহার্য কেননা আল্লাহ যদি আপনাকে সাহায্য না করেন তবে কোন কিছুই আপনার জন্য সহজ হবে না।
ইবনে আব্বাস (রা:) এ কে নবী (স:) বলেন, "যদি চাও তবে আল্লাহর নিকটেই চাও এবং যদি সাহায্য প্রার্থনা কর তবে আল্লাহর নিকটেই সাহায্য প্রার্থনা কর"। [সুনান তিরমিজি: ২৫১৬; হাকিম: ৬৩০৩; সহীহ]
আবূ হুরাইরা (রা:) এ বর্ণিত হাদীসে আছে, নবী (স:) বলেন, "যা কিছু আপনার উপকারে আসবে তাতে সচেষ্ট হোন এবং আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করুন"। [মুসলিম]
খ) আল্লাহর নিকট তাঁর জিকির, শোকর আদায় আর উত্তমরূপে তাঁর ইবাদত করার তাওফীকের জন্য আপনার সাহায্য প্রার্থনা করা উচিত। (এর উত্তম সময় নামাযের সালামের পূর্বে)
নবী (স:) মুয়াজ (রা:) কে বলেন, "হে মুয়াজ! তোমাকে আমি অসীয়ত করি যে, তুমি প্রত্যেক নামাযের শেষাংশে আল্লাহুম্মা আয়িন্নী আলা জিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা" বলা কখনো ছাড়বে না"। [আবু দাউদ: ১৫২৪; নাসায়ী: ১৩০৩; সহীহ]
গ) অন্যায়ের উপর কাউকে সাহায্য করবেন না।
আল্লাহ তা'আলা বলেন, "পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো না"। [সূরা মায়িদা ৫:২]
ইবনে উমার (রা:) এর বর্ণিত হাদীসে নবী (স:) বলেন,
"ঝগড়া-বিবাদে অন্যায়ভাবে যে সাহায্য করবে আল্লাহ তার উপর রাগান্বিত হয়ে থাকবেন, যতক্ষণ সে বিরত না হবে।" [ইবনে মাজাহ: ২৩২০; হাকিম: ২২২২; সহীহ]
ঘ) হে আল্লাহর বান্দা! আপনি আপনার দ্বীনী ভাইকে তার কর্ম-কাণ্ডে সহযোগিতা করুন। এমনকি সোয়ারীতে আরোহণেও সহযোগিতা করুন।
যেমন আবূ হুরাইরা (রা:) এর বর্ণিত হাদীসে নবী (স:) বলেন, মানুষের প্রত্যেক জোড়ার উপর রয়েছে সাদকা এবং এ হাদীসেই রয়েছে- ব্যক্তিকে তার সোয়ারীর ক্ষেত্রে সাহায্য করে তাকে তার উপর আরোহণ করিয়ে দাও বা তার উপর তার পণ্য-সামগ্রী উঠিয়ে দিবে তাও হবে সাদকা স্বরূপ। [বুখারী:২৭০৭, ২৯৮৯; মুসলিম; সহীহ]
ঙ) মুসলমানদের সার্বিক কর্মে আল্লাহর নিকট সহযোগিতা কামনা করা উচিত। তার মধ্যে যেমন কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদে আল্লাহর সাহায্য কামনা করা।
হুযায়ফা (রা:) এর বর্ণিত হাদীসে নবী (স:) বলেন, "এবং আমরা আল্লাহর নিকট তাদের বিরুদ্ধে সাহায্য কামনা করি।" [আহমাদ: ২৩৩৫৫; মুসলিম; সহীহ]
চ) হে আল্লাহর বান্দা আপনি জেনে রাখুন! আল্লাহ যদি আপনাকে নেক কাজে সহযোগিতা করেন, তবে তা আপনার জন্য আল্লাহর বিশেষ তাওফীক। অর্থাৎ যে নেক কাজ করে অবশ্যই আল্লাহ তাকে তার আমলের ক্ষেত্রে তাওফিক প্রদান করে থাকেন। সুতরাং আপনি বেশি বেশি আল্লাহর প্রশংসা, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন এবং তাঁর নৈকট্য অর্জন করেন ও তার নিকট তওবা করুন। নিশ্চয়ই তিনি তওবা করার ও তা কবুলের তাওফিক দানকারী।
যেমন তাঁর বাণী- "যিনি পাপ ক্ষমাকারী ও তাওবাহ কবুলকারী" [সূরা মুমিন: ৩]
ছ) আপনি আল্লাহর সাহায্য কামনা করুন ও ধৈর্যধারণ করুন এবং তাঁর নিকট সাহায্য চেয়ে সালাত আদায় করুন।
যেমন তিনি বলেন, "তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থণা কর" [সূরা বাকারা ২: ৪৫]
নবী (স:) যখন কোনো কর্মে উদ্বিগ্ন হয়ে যেতেন তখন সালাত আদায় করতেন। [আবু দাউদ: ১৩২১; সহীহ]
জ) প্রয়োজনে মুশরিকদের নিকট থেকে সাহায্য নেয়া যেতে পারে। কেননা নবী (স:) ইবনে আরীকাতের নিকট হতে পথ নির্দেশনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়েছিলেন।
ঝ) পানাহার ইত্যাদিতে বিসমিল্লাহ বলা আল্লাহর সাহায্য কামনার অন্তর্ভুক্ত ও তাঁর নামের বরকত গ্রহণ।
১. প্রথম প্রকার- এটি আল্লাহর একটি ইবাদত। অতএব, আল্লাহ ব্যতীত তা কারো জন্য পালন করা জায়েয নেই এবং এ সাহায্য প্রার্থনা এমন ক্ষেত্রে যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ সামর্থ্য রাখে না।
২. দ্বিতীয় প্রকার— যে ক্ষেত্রে বান্দার নিকট হতে সাহায্য চাওয়া জায়েয। যাতে আল্লাহ ব্যতীত অন্যেও ক্ষমতা রাখে।
ইবাদতটির ক্ষেত্রে কতিপয় উপদেশ:
ক) হে আল্লাহর বান্দা! আল্লাহর নিকটেই আপনার সাহায্য প্রার্থনা করা অপরিহার্য কেননা আল্লাহ যদি আপনাকে সাহায্য না করেন তবে কোন কিছুই আপনার জন্য সহজ হবে না।
ইবনে আব্বাস (রা:) এ কে নবী (স:) বলেন, "যদি চাও তবে আল্লাহর নিকটেই চাও এবং যদি সাহায্য প্রার্থনা কর তবে আল্লাহর নিকটেই সাহায্য প্রার্থনা কর"। [সুনান তিরমিজি: ২৫১৬; হাকিম: ৬৩০৩; সহীহ]
আবূ হুরাইরা (রা:) এ বর্ণিত হাদীসে আছে, নবী (স:) বলেন, "যা কিছু আপনার উপকারে আসবে তাতে সচেষ্ট হোন এবং আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করুন"। [মুসলিম]
খ) আল্লাহর নিকট তাঁর জিকির, শোকর আদায় আর উত্তমরূপে তাঁর ইবাদত করার তাওফীকের জন্য আপনার সাহায্য প্রার্থনা করা উচিত। (এর উত্তম সময় নামাযের সালামের পূর্বে)
নবী (স:) মুয়াজ (রা:) কে বলেন, "হে মুয়াজ! তোমাকে আমি অসীয়ত করি যে, তুমি প্রত্যেক নামাযের শেষাংশে আল্লাহুম্মা আয়িন্নী আলা জিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা" বলা কখনো ছাড়বে না"। [আবু দাউদ: ১৫২৪; নাসায়ী: ১৩০৩; সহীহ]
গ) অন্যায়ের উপর কাউকে সাহায্য করবেন না।
আল্লাহ তা'আলা বলেন, "পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো না"। [সূরা মায়িদা ৫:২]
ইবনে উমার (রা:) এর বর্ণিত হাদীসে নবী (স:) বলেন,
"ঝগড়া-বিবাদে অন্যায়ভাবে যে সাহায্য করবে আল্লাহ তার উপর রাগান্বিত হয়ে থাকবেন, যতক্ষণ সে বিরত না হবে।" [ইবনে মাজাহ: ২৩২০; হাকিম: ২২২২; সহীহ]
ঘ) হে আল্লাহর বান্দা! আপনি আপনার দ্বীনী ভাইকে তার কর্ম-কাণ্ডে সহযোগিতা করুন। এমনকি সোয়ারীতে আরোহণেও সহযোগিতা করুন।
যেমন আবূ হুরাইরা (রা:) এর বর্ণিত হাদীসে নবী (স:) বলেন, মানুষের প্রত্যেক জোড়ার উপর রয়েছে সাদকা এবং এ হাদীসেই রয়েছে- ব্যক্তিকে তার সোয়ারীর ক্ষেত্রে সাহায্য করে তাকে তার উপর আরোহণ করিয়ে দাও বা তার উপর তার পণ্য-সামগ্রী উঠিয়ে দিবে তাও হবে সাদকা স্বরূপ। [বুখারী:২৭০৭, ২৯৮৯; মুসলিম; সহীহ]
ঙ) মুসলমানদের সার্বিক কর্মে আল্লাহর নিকট সহযোগিতা কামনা করা উচিত। তার মধ্যে যেমন কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদে আল্লাহর সাহায্য কামনা করা।
হুযায়ফা (রা:) এর বর্ণিত হাদীসে নবী (স:) বলেন, "এবং আমরা আল্লাহর নিকট তাদের বিরুদ্ধে সাহায্য কামনা করি।" [আহমাদ: ২৩৩৫৫; মুসলিম; সহীহ]
চ) হে আল্লাহর বান্দা আপনি জেনে রাখুন! আল্লাহ যদি আপনাকে নেক কাজে সহযোগিতা করেন, তবে তা আপনার জন্য আল্লাহর বিশেষ তাওফীক। অর্থাৎ যে নেক কাজ করে অবশ্যই আল্লাহ তাকে তার আমলের ক্ষেত্রে তাওফিক প্রদান করে থাকেন। সুতরাং আপনি বেশি বেশি আল্লাহর প্রশংসা, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন এবং তাঁর নৈকট্য অর্জন করেন ও তার নিকট তওবা করুন। নিশ্চয়ই তিনি তওবা করার ও তা কবুলের তাওফিক দানকারী।
যেমন তাঁর বাণী- "যিনি পাপ ক্ষমাকারী ও তাওবাহ কবুলকারী" [সূরা মুমিন: ৩]
ছ) আপনি আল্লাহর সাহায্য কামনা করুন ও ধৈর্যধারণ করুন এবং তাঁর নিকট সাহায্য চেয়ে সালাত আদায় করুন।
যেমন তিনি বলেন, "তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থণা কর" [সূরা বাকারা ২: ৪৫]
নবী (স:) যখন কোনো কর্মে উদ্বিগ্ন হয়ে যেতেন তখন সালাত আদায় করতেন। [আবু দাউদ: ১৩২১; সহীহ]
জ) প্রয়োজনে মুশরিকদের নিকট থেকে সাহায্য নেয়া যেতে পারে। কেননা নবী (স:) ইবনে আরীকাতের নিকট হতে পথ নির্দেশনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়েছিলেন।
ঝ) পানাহার ইত্যাদিতে বিসমিল্লাহ বলা আল্লাহর সাহায্য কামনার অন্তর্ভুক্ত ও তাঁর নামের বরকত গ্রহণ।
- তাওহীদুল ইবাদাহ - একমাত্র আল্লাহর ইবাদত তাৎপর্য ও বিশ্লেষণ; (দারুল কারার পাবলিকেশন্স)
Last edited: