Knowledge Sharer
ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Top Active User
- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 991
- Comments
- 1,177
- Solutions
- 1
- Reactions
- 10,846
- Thread Author
- #1
ইমাম ইবনুল ক্বাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭৫১ হি.] বলেছেন, “একথা সঠিক নয় যে, সাধারণ মানুষের মাযহাব আছে। যদিও সে মাযহাব মানার দাবি করে। প্রকৃতপক্ষে সাধারণ মানুষের কোনো মাযহাব নেই। কেননা মাযহাব মূলত তাঁর জন্য, যাঁর দলিল অবলোকনের ও দলিলগ্রহণের সামর্থ্য আছে এবং এ অনুযায়ী সে মাযহাবসমূহের ব্যাপারে জ্ঞানী হয়েছে। কিংবা সে ওই মাযহাবের শাখাগত (ফুরূ‘ঈ) মাসআলাহর কোনো কিতাব পড়েছে এবং মাযহাবের ইমামের ফতোয়া ও মতামত সম্পর্কে অবগত হয়েছে। পক্ষান্তরে যে এ ব্যাপারে যোগ্যতা অর্জন করেনি, অথচ সে বলে, আমি শাফি‘ঈ, অথবা হাম্বালী, তাহলে স্রেফ এই কথার মাধ্যমেই সে তা হয়ে যাবে না। যেমন কেউ যদি বলে, আমি ফাক্বীহ, কিংবা নাহূবিদ (আরবি ব্যাকরণবিদ), কিংবা লেখক, তাহলে স্রেফ এই কথার মাধ্যমেই সে তা হয়ে যায় না।
আরও স্পষ্ট করে বললে, একজন ব্যক্তি বলে, সে শাফি‘ঈ, কিংবা মালিকী, কিংবা হাম্বালী, কিংবা হানাফী, আর ধারণা করে, সে ওই ইমামের অনুসারী এবং তাঁর পথ অবলম্বনকারী। এটা কেবল তার জন্যই সঠিক, যে জ্ঞান, সমঝ ও দলিলগ্রহণের ক্ষেত্রে ওই ইমামের পথ অবলম্বন করে। পক্ষান্তরে যার এ সম্পর্কে জানা নেই এবং সে নিজেও ইমামের ‘ইলম ও পথ থেকে অনেক দূরে রয়েছে, তার জন্য কীভাবে ওই ইমামের দিকে নিজেকে সম্পৃক্ত করা সঠিক হয়, কেবল কতগুলো ফাঁকা বুলি আর নিছক দাবি ছাড়া?!” [ই‘লামুল মুওয়াক্বক্বি‘ঈন, খণ্ড: ৪; পৃষ্ঠা: ২৬২]
অনুরূপভাবে ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আল-আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] বলেছেন, “সাধারণ মানুষ কোনো মাযহাবকে আঁকড়ে ধরবে না। কারণ সাধারণ মানুষের কোনো মাযহাব নেই। সাধারণ মানুষের মাযহাব হলো তার মুফতির মাযহাব। যে ‘আলিমকে সে জিজ্ঞাসা করবে, ওই ‘আলিমের কথার ওপর সে চলবে। ওই ‘আলিম ভুল করুক কিংবা সঠিক, তার ওপর কোনো দায়দায়িত্ব নেই। এটা হবে মহান আল্লাহর কথার প্রতি আমল, যেখানে আল্লাহ বলেছেন, “তোমরা যদি না জান, তাহলে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞাসা করো।” (সূরাহ নাহল: ৪৩; সূরাহ আম্বিয়া: ৭)” [সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর, ১৩৮ নং অডিয়ো ক্লিপ; গৃহীত: আল-আসার (alathar) ডট নেট]
[Salafi Forum]
আরও স্পষ্ট করে বললে, একজন ব্যক্তি বলে, সে শাফি‘ঈ, কিংবা মালিকী, কিংবা হাম্বালী, কিংবা হানাফী, আর ধারণা করে, সে ওই ইমামের অনুসারী এবং তাঁর পথ অবলম্বনকারী। এটা কেবল তার জন্যই সঠিক, যে জ্ঞান, সমঝ ও দলিলগ্রহণের ক্ষেত্রে ওই ইমামের পথ অবলম্বন করে। পক্ষান্তরে যার এ সম্পর্কে জানা নেই এবং সে নিজেও ইমামের ‘ইলম ও পথ থেকে অনেক দূরে রয়েছে, তার জন্য কীভাবে ওই ইমামের দিকে নিজেকে সম্পৃক্ত করা সঠিক হয়, কেবল কতগুলো ফাঁকা বুলি আর নিছক দাবি ছাড়া?!” [ই‘লামুল মুওয়াক্বক্বি‘ঈন, খণ্ড: ৪; পৃষ্ঠা: ২৬২]
অনুরূপভাবে ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আল-আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] বলেছেন, “সাধারণ মানুষ কোনো মাযহাবকে আঁকড়ে ধরবে না। কারণ সাধারণ মানুষের কোনো মাযহাব নেই। সাধারণ মানুষের মাযহাব হলো তার মুফতির মাযহাব। যে ‘আলিমকে সে জিজ্ঞাসা করবে, ওই ‘আলিমের কথার ওপর সে চলবে। ওই ‘আলিম ভুল করুক কিংবা সঠিক, তার ওপর কোনো দায়দায়িত্ব নেই। এটা হবে মহান আল্লাহর কথার প্রতি আমল, যেখানে আল্লাহ বলেছেন, “তোমরা যদি না জান, তাহলে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞাসা করো।” (সূরাহ নাহল: ৪৩; সূরাহ আম্বিয়া: ৭)” [সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর, ১৩৮ নং অডিয়ো ক্লিপ; গৃহীত: আল-আসার (alathar) ডট নেট]
[Salafi Forum]