প্রবন্ধ শির্কের গুনাহ ক্ষমা করা সম্পর্কে দু’টি আয়াতের বিরোধ নিরসন।

Joined
Jan 12, 2023
Threads
808
Comments
1,054
Solutions
19
Reactions
11,197
আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
﴿وَإِنِّي لَغَفَّارٞ لِّمَن تَابَ ٨٢﴾ [طه: ٨٢]
“আমি তার প্রতি ক্ষমাশীল, যে তাওবা করে” [সূরা তা-হা, আয়াত: ২৮৫] আল্লাহ তা‘আলার অপর বাণী:
﴿إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَغۡفِرُ أَن يُشۡرَكَ بِهِۦ ٤٨﴾ [النساء : ٤٨]
“নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করাকে ক্ষমা করেন না।”[সূরা নিসা, আয়াত: ৪৮]

প্রশ্ন: আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
﴿إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَغۡفِرُ أَن يُشۡرَكَ بِهِۦ وَيَغۡفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَآءُۚ ٤٨﴾ [النساء : ٤٨]
“নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করাকে ক্ষমা করেন না। তিনি ক্ষমা করেন এ ছাড়া অন্যান্য পাপ, যার জন্য তিনি চান।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৪৮] এবং আল্লাহ তা‘আলার অপর বাণী:
﴿وَإِنِّي لَغَفَّارٞ لِّمَن تَابَ وَءَامَنَ وَعَمِلَ صَٰلِحٗا ثُمَّ ٱهۡتَدَىٰ ٨٢﴾ [طه: ٨٢]
“আর অবশ্যই আমি তার প্রতি ক্ষমাশীল, যে তাওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে অতঃপর সৎ পথে চলতে থাকে।” [সূরা তা-হা, আয়াত: ৮২] এ দু’টি আয়াতের মাঝে (একটিতে ক্ষমা করার ঘোষণা এবং অপটিতে শির্কের গুণাহ ক্ষমা না করার কথা বলা হয়েছে) কীভাবে একত্র করব এবং বিরোধ নিরসন করব। বাস্তবে উভয় আয়াতের মধ্যে কোন বৈপরীত্য বা বিরোধ আছে কি?

উত্তর: উভয় আয়াতের মধ্যে কোন বিরোধ বা বৈপরীত্য নেই। প্রথম আয়াত ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে যে শির্কের ওপর তাওবা ছাড়া মারা গেছে। আল্লাহ তা‘আলা তাকে ক্ষমা করবেন না তার ঠিকানা জাহান্নাম। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿إِنَّهُۥ مَن يُشۡرِكۡ بِٱللَّهِ فَقَدۡ حَرَّمَ ٱللَّهُ عَلَيۡهِ ٱلۡجَنَّةَ وَمَأۡوَىٰهُ ٱلنَّارُۖ وَمَا لِلظَّٰلِمِينَ مِنۡ أَنصَارٖ ٧٢﴾ [المائ‍دة: ٧٢]
“নিশ্চয় যে আল্লাহর সাথে শরীক করে, তার উপর অবশ্যই আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন এবং তার ঠিকানা আগুন। আর যালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই।” [সূরা মায়েদাহ, আয়াত: ৭২] আল্লাহ আরও বলেন,
﴿وَلَوۡ أَشۡرَكُواْ لَحَبِطَ عَنۡهُم مَّا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ٨٨﴾ [الانعام: ٨٨]
“আর যদি তারা শির্ক করত, তবে তারা যা আমল করছিল তা অবশ্যই বরবাদ হয়ে যেত।” [সূরা আল-আনআম, আয়াত: ৮৮]

আর দ্বিতীয় আয়াত: আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
﴿وَإِنِّي لَغَفَّارٞ لِّمَن تَابَ وَءَامَنَ وَعَمِلَ صَٰلِحٗا ثُمَّ ٱهۡتَدَىٰ ٨٢﴾ [طه: ٨٢]
“আর অবশ্যই আমি তার প্রতি ক্ষমাশীল, যে তাওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে অতঃপর সৎ পথে চলতে থাকে।” [সূরা তা-হা, আয়াত: ৮২] (এ সম্পর্কীয় আয়াত কুরআনে কারীমে আরও অনেক রয়েছে।)

দ্বিতীয় আয়াত যাতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তা হলো তাদের সম্পর্কে যারা তাওবা করেছেন। অনুরূপভাবে আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
﴿قُلۡ يَٰعِبَادِيَ ٱلَّذِينَ أَسۡرَفُواْ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمۡ لَا تَقۡنَطُواْ مِن رَّحۡمَةِ ٱللَّهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ يَغۡفِرُ ٱلذُّنُوبَ جَمِيعًاۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلۡغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ ٥٣﴾ [الزمر: ٥٢]
“বল, ‘হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজদের উপর বাড়াবাড়ি করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’’। [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৫২]

সমস্ত উম্মত এ বিষয়ে একমত যে, এ আয়াতটি তাওবাকারীদের বিষয়ে অবতীর্ণ। আল্লাহ তা‘আলাই তাওফীক দাতা।

শাইখ আব্দুল আযীয বিন বায (রাহি.)​

 
Similar threads Most view View more
Back
Top