- Joined
- Feb 27, 2023
- Threads
- 37
- Comments
- 46
- Reactions
- 571
- Thread Author
- #1
নীচের প্রশ্নের উত্তরগুলো যারা জানেন না তারা সতর্ক হন, আপনি হয়তো ইসলাম সম্পর্কে এর চাইতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ অনেক জিনিসই আসলে জানেন না। মনে রাখবেন, অজ্ঞতা মানুষের বড় দুশমন। আজকে হিন্দুরা মূর্তি পূজার করে, নামধারী মুসলিমরা পহেলা বৈশাখে মূর্তিপূজারীদের জাহেলিয়াতের অনুকরণ করে, এর বড় কারণ হচ্ছে অজ্ঞতা। এইভাবে আপনি হয়তো জানেনই না অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস, না জেনে হারাম, শিরক, বেদাতে ডুবে আছেন।
ফেইসবুকের ফেতনার মাঝে ডুবে না থেকে, মুনাফেকীর গান না শুনে, টিভিতে যিনা-ব্যভিচার না দেখে, বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ডের নষ্টামিতে না জড়িয়ে, অশ্লীলতা ও পাপাচারে লিপ্ত না হয়ে দ্বীন শেখার পেছনে সময়টাকে কাজে লাগান। আল্লাহু আ’লাম, এই উসীলায় আপনার ভাগ্যের (জান্নাত-জাহান্নাম) ফয়সালা পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।
(১) রমযানে ফরয রোজা অথবা রমযানের বাইরে রমযানের কাজা রোজা রাখতে হলে আগের দিন রাতের বেলাতেই অথবা ফযরের ওয়াক্ত হওয়ার পূর্বে নিয়ত করে রাখতে হবে। নয়তো ফরয রোজা হবেনা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি ফজরের পূর্বে রোযা রাখার নিয়্যাত না করবে, তার রোযা (শুদ্ধ) নয়।” - আবু দাঊদ, তিরমিযী, আহমাদ, নাসাঈ। ইবনু খু্যাইমাহ্ ও ইবনু হিব্বান একে সহীহ বলেছেন। বুলুগুল মারামঃ ৬৫৬।
দারা কুতনীতে রয়েছে, “যে ব্যক্তি রাত্রিতে রোযা রাখার নিয়্যাত না করবে, তার রোযা হবে না।”
এই হাদীস ফরয রোযার জন্য প্রযোজ্য।
(২) নফল/সুন্নত রোজা রাতের বেলা নিয়ত না করে ঘুমালেও অন্তত দুপুর হওয়ার পূর্বে কেউ যদি রোযার নিয়ত করে, তাহলে সে সেইদিন রোজা রাখতে পারবে এবং সেই রোজা শুদ্ধ হবে। আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম একদা আমাদের কাছে এসে বললেন, “তোমাদের কাছে কি কোন খাবার আছে?” আমরা বললাম, না। তখন তিনি বললেন, “তবে আমি এখন রোযাদার।” তারপর আর একদিন তিনি আমাদের কাছে আসলেন, আমরা বললাম, আমাদের জন্য মালিদা উপহার দেয়া হয়েছে। তিনি বললেন, “তা আমাকে দেখাও, আমি কিন্তু রোযাদার রূপে সকাল করেছি।” তারপর তিনি খাবার খেলেন। - সহীহ মুসলিম, বুলুগুল মারামঃ ৬৫৭।
নফল রোযার নিয়্যাত দুপুরের পূর্ব পর্যন্ত করা যায় আর দুপুরের পূর্বে তা ভাঙ্গাও চলে।
(৩) রোযার কাফফারা কি?
বেশিরভাগ মানুষ মনে করে একটা ফযর রোজা ভাংলে ৬০-টা রোজা রাখতে হয়। এটা ঠিকনা। কেউ যদি রমজানের ফরয রোজা (অথবা রমজানের ফরয রোজা অন্য সময় কাযা রাখা অবস্থায়) দিনের বেলা স্ত্রী সহবাস করে রোযা ভংগ করে, তাহলেই শুধুমাত্র তার উপর রোযার কাজা ও কাফফারা দেওয়া ওয়াজিব হয়। এছাড়া অন্যভাবে কেউ যদি ইচ্ছাকৃত/অনিচ্ছাকৃত রোজা ভাঙ্গে তাহলে কোনো কাফফারা দিতে হয়না। শরিয়ত সম্মত কারণ বিহীন রোযা ভংগ করে থাকলে তার জন্য আন্তরিক তোওবা করবে, আর তার পরিবর্তে পরবর্তীতে শুধুমাত্র একটা রোজা “কাযা” রাখবে।
স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে রোজা ভাংলে রোযার কাফফারা হচ্ছেঃ একজন দাস মুক্ত করা। এটা সম্ভব না হলে একটানা দুইমাস (৬০দিন) রোজা রাখা। এটা একাধারে রাখতে হবে, মাঝখানে বিরতি দিলে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। অবশ্য নারীরা ঋতুর কারণে বিরতি দিতে পারবে। এটা সম্ভব না হলে ৬০জন দরিদ্র মিসকীনকে খাওয়াতে হবে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট কোন একটি লোক এসে বললো, “হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আমি ধ্বংস হয়ে গেছি।” রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “কোন বস্তু তেমাকে ধ্বংস করেছে?” সে বললো “আমি রমযানের রোযা রেখে স্ত্রীর উপর পতিত হয়েছি (অর্থাৎ স্ত্রী সঙ্গম করে ফেলেছি)।” রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “তুমি কি কোন দাস-দাসীকে মুক্তি দেওয়ার ক্ষমতা রাখ?” সে বললোঃ না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “তুমি কি দুই মাস একনাগাড়ে রোযা রাখতে পারবে?” সে বললোঃ না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “তুমি কি ৬০জন দরিদ্রকে খাওয়াতে পারবে?” সে বললোঃ না। তারপর সে বসে রইল। তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট একটি খেজুরের ঝুড়ি বা থলে এলো, যাতে কিছু খেজুর ছিল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন, “এইগুলি তুমি সাদকা করে দিবে।” সে বললো, আমার থেকে বেশি দরিদ্রকে কি দান করতে হবে? মাদীনার দুটি পাহাড়ের মধ্যবর্তী একালায় আমার থেকে বেশি অভাবী পরিবার আর নেই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম তার এরূপ কথা শুনে হেসে ফেললেন যাতে তাঁর চোয়ালের ভিতরের দাঁতগুলো পর্যন্ত প্রকাশ হয়ে পড়লো। তারপর তিনি বললেন, “যাও এটা তোমার পরিবারকে খাওয়াও।” - বুলুগুল মারামঃ ৬৭৬। বুখারী, মুসলিম, আবূ দাঊদ, তিরমিযী, আহমাদ, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ্; শব্দগুলো মুসলিমের।
(৪) কেউ যদি অতীতে মুসলিম থাকা অবস্থায় রোজা ভেঙ্গে থাকে, সেটা ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক – তাকে হিসাব করে সেই রোযাগুলো রমাজানের বাইরে কাজা আদায় করে নিতে হবে, একটার পরিবর্তে একটা রোজা কাজা। আর এটা পরবর্তী রমজান আসার পূর্বেই তাকে কাযা আদায় করতে হবে।
(৫) কেউ যদি কাজা রোজা রেখে মারা যায়, তাহলে তার আত্মীয়-স্বজনরা সেগুলো তারপক্ষ থেকে আদায় করে নিবে। আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত; রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি মৃত্যুমুখে পতিত হবে আর তার উপর রোযা কাযা থাকবে, তার ঐ কাযা রোযা রাখবে তার উত্তরাধিকারী।” - [বুখারী, মুসলিম, বুলুগুল মারামঃ ৬৭৯]
(৬) নফল রোজা কেউ ইচ্ছা করলে যেকোন সময় ভেঙ্গে ফেলতে পারে, আর এরজন্য কাজা বা কাফফারা কিছুই দিতে হবেনা। তবে ইচ্ছা করলে একদিন ভেঙ্গে অন্যদিন রাখতে পারে, যেমন মাসের তিনদিন রোজা পূর্ণ করার জন্য।
(৭) কারো উপর যদি গোসল ফরয হয় আর সাহরীর সময় উঠতে না পারে এমতাবস্থায় ফযরের ওয়াক্ত হয়ে যায়, তবুও কোনো সমস্যা নেই। উঠে রোযার নিয়ত করে বা রাতে যদি নিয়ত করা থাকে, গোসল করে ফযর পড়ে রোজা রাখতে পারবে।
আয়িশা ও উম্মু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত; রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম স্ত্রী সঙ্গমজনিত জুনুবী (নাপাক) অবস্থায় সকাল করতেন, তারপর (ফজরের নামাযের পূর্বে) গোসল করতেন ও রোযা রাখতেন। - বুখারী, মুসলিম।
সহীহ মুসলিমে কেবল উম্মু সালামার বর্ণনায় আছে, “তিনি ঐরূপ রোযার কাযাও করতেন না।” - [বুলুগুল মারামঃ ৬৭৮।]
(৮) নারীরা যদি ফযর ওয়াক্ত হওয়ার পূর্বেই ঋতু থেকে পবিত্র হয়ে যায়, তাহলে তারা ঐদিন রোজা রাখতে পারবে। রমযান মাস হলে ঐদিন রোজা রাখা তাদের জন্য ফরয হবে।
(৯) নারীরা যদি ঋতুর কারণে বা কেউ যদি অন্য জায়েজ কারণে (সফর, অসুস্থতা) রোজা ভংগ করে, তাহলে রমযান মাসে দিনের বেলাতেও খাওয়া দাওয়া করতে পারবে– কোন বাঁধা নেই।
(১০) স্বপ্নদোষ হলে, চুল কাটলে, নখ কাটলে, রক্ত বের হলে রোজা ভাঙ্গেনা বা রোযার কোন ক্ষতি হয় না।
ফেইসবুকের ফেতনার মাঝে ডুবে না থেকে, মুনাফেকীর গান না শুনে, টিভিতে যিনা-ব্যভিচার না দেখে, বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ডের নষ্টামিতে না জড়িয়ে, অশ্লীলতা ও পাপাচারে লিপ্ত না হয়ে দ্বীন শেখার পেছনে সময়টাকে কাজে লাগান। আল্লাহু আ’লাম, এই উসীলায় আপনার ভাগ্যের (জান্নাত-জাহান্নাম) ফয়সালা পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।
(১) রমযানে ফরয রোজা অথবা রমযানের বাইরে রমযানের কাজা রোজা রাখতে হলে আগের দিন রাতের বেলাতেই অথবা ফযরের ওয়াক্ত হওয়ার পূর্বে নিয়ত করে রাখতে হবে। নয়তো ফরয রোজা হবেনা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি ফজরের পূর্বে রোযা রাখার নিয়্যাত না করবে, তার রোযা (শুদ্ধ) নয়।” - আবু দাঊদ, তিরমিযী, আহমাদ, নাসাঈ। ইবনু খু্যাইমাহ্ ও ইবনু হিব্বান একে সহীহ বলেছেন। বুলুগুল মারামঃ ৬৫৬।
দারা কুতনীতে রয়েছে, “যে ব্যক্তি রাত্রিতে রোযা রাখার নিয়্যাত না করবে, তার রোযা হবে না।”
এই হাদীস ফরয রোযার জন্য প্রযোজ্য।
(২) নফল/সুন্নত রোজা রাতের বেলা নিয়ত না করে ঘুমালেও অন্তত দুপুর হওয়ার পূর্বে কেউ যদি রোযার নিয়ত করে, তাহলে সে সেইদিন রোজা রাখতে পারবে এবং সেই রোজা শুদ্ধ হবে। আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম একদা আমাদের কাছে এসে বললেন, “তোমাদের কাছে কি কোন খাবার আছে?” আমরা বললাম, না। তখন তিনি বললেন, “তবে আমি এখন রোযাদার।” তারপর আর একদিন তিনি আমাদের কাছে আসলেন, আমরা বললাম, আমাদের জন্য মালিদা উপহার দেয়া হয়েছে। তিনি বললেন, “তা আমাকে দেখাও, আমি কিন্তু রোযাদার রূপে সকাল করেছি।” তারপর তিনি খাবার খেলেন। - সহীহ মুসলিম, বুলুগুল মারামঃ ৬৫৭।
নফল রোযার নিয়্যাত দুপুরের পূর্ব পর্যন্ত করা যায় আর দুপুরের পূর্বে তা ভাঙ্গাও চলে।
(৩) রোযার কাফফারা কি?
বেশিরভাগ মানুষ মনে করে একটা ফযর রোজা ভাংলে ৬০-টা রোজা রাখতে হয়। এটা ঠিকনা। কেউ যদি রমজানের ফরয রোজা (অথবা রমজানের ফরয রোজা অন্য সময় কাযা রাখা অবস্থায়) দিনের বেলা স্ত্রী সহবাস করে রোযা ভংগ করে, তাহলেই শুধুমাত্র তার উপর রোযার কাজা ও কাফফারা দেওয়া ওয়াজিব হয়। এছাড়া অন্যভাবে কেউ যদি ইচ্ছাকৃত/অনিচ্ছাকৃত রোজা ভাঙ্গে তাহলে কোনো কাফফারা দিতে হয়না। শরিয়ত সম্মত কারণ বিহীন রোযা ভংগ করে থাকলে তার জন্য আন্তরিক তোওবা করবে, আর তার পরিবর্তে পরবর্তীতে শুধুমাত্র একটা রোজা “কাযা” রাখবে।
স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে রোজা ভাংলে রোযার কাফফারা হচ্ছেঃ একজন দাস মুক্ত করা। এটা সম্ভব না হলে একটানা দুইমাস (৬০দিন) রোজা রাখা। এটা একাধারে রাখতে হবে, মাঝখানে বিরতি দিলে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। অবশ্য নারীরা ঋতুর কারণে বিরতি দিতে পারবে। এটা সম্ভব না হলে ৬০জন দরিদ্র মিসকীনকে খাওয়াতে হবে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট কোন একটি লোক এসে বললো, “হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আমি ধ্বংস হয়ে গেছি।” রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “কোন বস্তু তেমাকে ধ্বংস করেছে?” সে বললো “আমি রমযানের রোযা রেখে স্ত্রীর উপর পতিত হয়েছি (অর্থাৎ স্ত্রী সঙ্গম করে ফেলেছি)।” রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “তুমি কি কোন দাস-দাসীকে মুক্তি দেওয়ার ক্ষমতা রাখ?” সে বললোঃ না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “তুমি কি দুই মাস একনাগাড়ে রোযা রাখতে পারবে?” সে বললোঃ না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “তুমি কি ৬০জন দরিদ্রকে খাওয়াতে পারবে?” সে বললোঃ না। তারপর সে বসে রইল। তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট একটি খেজুরের ঝুড়ি বা থলে এলো, যাতে কিছু খেজুর ছিল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন, “এইগুলি তুমি সাদকা করে দিবে।” সে বললো, আমার থেকে বেশি দরিদ্রকে কি দান করতে হবে? মাদীনার দুটি পাহাড়ের মধ্যবর্তী একালায় আমার থেকে বেশি অভাবী পরিবার আর নেই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম তার এরূপ কথা শুনে হেসে ফেললেন যাতে তাঁর চোয়ালের ভিতরের দাঁতগুলো পর্যন্ত প্রকাশ হয়ে পড়লো। তারপর তিনি বললেন, “যাও এটা তোমার পরিবারকে খাওয়াও।” - বুলুগুল মারামঃ ৬৭৬। বুখারী, মুসলিম, আবূ দাঊদ, তিরমিযী, আহমাদ, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ্; শব্দগুলো মুসলিমের।
(৪) কেউ যদি অতীতে মুসলিম থাকা অবস্থায় রোজা ভেঙ্গে থাকে, সেটা ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক – তাকে হিসাব করে সেই রোযাগুলো রমাজানের বাইরে কাজা আদায় করে নিতে হবে, একটার পরিবর্তে একটা রোজা কাজা। আর এটা পরবর্তী রমজান আসার পূর্বেই তাকে কাযা আদায় করতে হবে।
(৫) কেউ যদি কাজা রোজা রেখে মারা যায়, তাহলে তার আত্মীয়-স্বজনরা সেগুলো তারপক্ষ থেকে আদায় করে নিবে। আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত; রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি মৃত্যুমুখে পতিত হবে আর তার উপর রোযা কাযা থাকবে, তার ঐ কাযা রোযা রাখবে তার উত্তরাধিকারী।” - [বুখারী, মুসলিম, বুলুগুল মারামঃ ৬৭৯]
(৬) নফল রোজা কেউ ইচ্ছা করলে যেকোন সময় ভেঙ্গে ফেলতে পারে, আর এরজন্য কাজা বা কাফফারা কিছুই দিতে হবেনা। তবে ইচ্ছা করলে একদিন ভেঙ্গে অন্যদিন রাখতে পারে, যেমন মাসের তিনদিন রোজা পূর্ণ করার জন্য।
(৭) কারো উপর যদি গোসল ফরয হয় আর সাহরীর সময় উঠতে না পারে এমতাবস্থায় ফযরের ওয়াক্ত হয়ে যায়, তবুও কোনো সমস্যা নেই। উঠে রোযার নিয়ত করে বা রাতে যদি নিয়ত করা থাকে, গোসল করে ফযর পড়ে রোজা রাখতে পারবে।
আয়িশা ও উম্মু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত; রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম স্ত্রী সঙ্গমজনিত জুনুবী (নাপাক) অবস্থায় সকাল করতেন, তারপর (ফজরের নামাযের পূর্বে) গোসল করতেন ও রোযা রাখতেন। - বুখারী, মুসলিম।
সহীহ মুসলিমে কেবল উম্মু সালামার বর্ণনায় আছে, “তিনি ঐরূপ রোযার কাযাও করতেন না।” - [বুলুগুল মারামঃ ৬৭৮।]
(৮) নারীরা যদি ফযর ওয়াক্ত হওয়ার পূর্বেই ঋতু থেকে পবিত্র হয়ে যায়, তাহলে তারা ঐদিন রোজা রাখতে পারবে। রমযান মাস হলে ঐদিন রোজা রাখা তাদের জন্য ফরয হবে।
(৯) নারীরা যদি ঋতুর কারণে বা কেউ যদি অন্য জায়েজ কারণে (সফর, অসুস্থতা) রোজা ভংগ করে, তাহলে রমযান মাসে দিনের বেলাতেও খাওয়া দাওয়া করতে পারবে– কোন বাঁধা নেই।
(১০) স্বপ্নদোষ হলে, চুল কাটলে, নখ কাটলে, রক্ত বের হলে রোজা ভাঙ্গেনা বা রোযার কোন ক্ষতি হয় না।