Student Of Knowledge
Forum Staff
Moderator
Uploader
Exposer
HistoryLover
Salafi User
ব্যক্তি যখন শারীরিক, মানসিক, আত্মিক কিংবা জ্বিন, জাদু ও বদনজর ইত্যাদি রােগ থেকে আরােগ্যের প্রত্যাশায় আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থাশীল হয়ে নিজে কুরআন পাঠ করে কিংবা অন্য কেউ তাকে পাঠ করে শােনায়, একে আমরা শারঈ রুকিয়াহ বলি। শারঈ রুকিয়াহর মাঝে শুধু কুরআন নয়, হাদীসে বর্ণিত দোয়াসমূহও অন্তর্ভুক্ত। রুকিয়াহ শাব্দিক অর্থ বিবেচনায় রক্বী রুকিয়াহ পড়ে রােগীকে ঝাড়ফুঁক করতে পারে আবার ঝাড়ফুঁক না করলেও সমস্যা নেই।
স্বাস্থ্যবিধিসমূহ পালন করার মাধ্যমে এবং ঔষধ সুপথ্য গ্রহণের দ্বারা ইসলাম যেমন রােগ নিরাময়ের পরামর্শ দান করেছে তেমনি বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে দোয়া বা মন্ত্র পাঠের সাহায্যেও রােগ সারানাের অনুমতি দান করেছে। যেসব ক্ষেত্রে ঔষধ-পথ্য কোন উপকারে আসে না, বিশেষতঃ সেই সব ক্ষেত্রে ঝাড়ফুঁকের দ্বারা চিকিৎসা গ্রহণ করতে কোন আপত্তি নেই বরং ঐসব ক্ষেত্রে ঝাড়ফুঁক দ্বারা চিকিৎসা গ্রহণ করাই বাঞ্ছনীয় বা বেশী উপযােগী।
তবে এ প্রসঙ্গে স্মরণীয় ও লক্ষণীয় কথা হচ্ছে, দোয়া বা মন্ত্রের বাক্য যেন শরীয়ত গর্হিত কোন কথা না থাকে। যেমন, যাদু-মন্ত্র, শির্কমূলক বাক্য, জ্যোতিষ শ্বাস্ত্রের নির্দেশমত শরীয়ত-নিষিদ্ধ তিথি ও ক্ষণ পালন ইত্যাদি। এগুলিকে ইসলাম স্বীকৃতি দেয়নি বরং এগুলাে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ও হারাম বলে বিঘােষিত হয়েছে। নিম্নের হাদীসটি বুঝতে চেষ্টা করুনঃ
হযরত আউফ বিন মালিক (রাঃ) বলেন যে, আমরা জাহেলী যুগে মন্ত্রাদি পাঠ করতাম। তাই ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার পর আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! ঐসব মন্ত্রের ব্যাপারে আপনার অভিমত কি?'
রসূল (ﷺ) বললেন, 'তােমাদের মন্ত্রগুলি আমার কাছে পেশ করাে। যতক্ষণ ঐগুলিতে শির্কমূলক কোন বাক্য থাকবে না, ততক্ষণ সেগুলির ব্যবহারে আমার আপত্তি নেই।' (মুসলিম, মিশকাত ৮৮ পৃঃ)
অতএব যে দোয়া বা মন্ত্রে দেব-দেবী, জ্বিন-ভূত, অথবা কোন পীর-ওলীর নাম কিংবা তাদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করার মত কোন বাক্য থাকবে না, সে সব মন্ত্র পাঠে কোন দোষ নেই। আবার যেসব মন্ত্রের অর্থ বােধগম্য নয়, সেই সব মন্ত্র পাঠ থেকেও তফাতে থাকা দরকার। কারণ, সে গুলােতে হয়ত নিষিদ্ধ কোন ব্যাপার থাকতে পারে- এই আশংকায়।
পক্ষান্তরে যে সব মন্ত্রে নিষিদ্ধ কোন বাক্য থাকবে না, সে গুলি ব্যবহার করতে কোন বারণ নেই। নিম্নের দু’টি হাদীসে তার প্রমাণ রয়েছেঃ
১. আয়েশা (রাঃ) বলেন, যে, রসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে বদ-নজরের কুফল দূর করনার্থে মন্ত্রপাঠ করতঃ ঝাড়ফুঁক করতে নির্দেশ দান করেছেন। (বুখারী মুসলিম, মিশকাত ৩৮৮ পৃঃ )
২. হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, “রসূলুল্লাহ নজর-দোষ, বিষাক্ত জন্তুর দংশন এবং দূষিত ঘা সারাবার নিমিত্তে ঝাড়ফুঁক করতে অনুমতি দান করেছেন।” (মুসলিম, মিশকাত ৩৮৮ পৃঃ)
সর্বপ্রকার রােগ ব্যাধিতে দোয়া ও মন্ত্রপাঠের সাহায্য গ্রহণ করা যেতে পারে। কিন্তু অন্যান্য ব্যাধি অপেক্ষা উপরােক্ত তিনটি ব্যাধির ক্ষেত্রে মন্ত্রপাঠ বেশী ক্রিয়াশীল এবং মন্ত্রপাঠের সুফল বেশী পরিলক্ষিত হয় বলে হাদীসে তিনটির উল্লেখ নির্দিষ্ট হয়েছে।
দোয়া-মন্ত্র লিখে ধৌত করে সেই পানি পান করা অথবা মন্ত্র পড়ে ঝাড়ফুঁক করা অবৈধ নয়; বরং হাদীস সম্মত জিনিস। কিন্তু লিখে তাবিজ করে হাতে অথবা গলায় লটকানাে ঠিক নয়। এ মর্মে একটি হাদীস লক্ষ্য করুনঃ
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ)-এর সহধর্মিনী হযরত যয়নাব (রাঃ) বলেন, একদা আমার গলায় সুতাে লটকানাে দেখে আব্দুল্লাহ বলেছিলেন যে, তােমার গলায় এটা কি? আমি বললাম, 'এটা একটি সুতাে, এতে মন্ত্র পাঠ করা হয়েছে।' ইহা শুনে আব্দুল্লাহ সুতােটিকে ধরে ছিড়ে ফেলেছিলেন এবং বলেছিলেন, 'আব্দুল্লাহর পরিবার শির্ক থেকে এ যাবৎ বিরত আছে, আর তােমার এটা কি? এটা যে শির্কের পর্যায়ভুক্ত! আমি নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট স্বকর্ণে শ্রবণ করেছি। তিনি বলেছেন “নিষিদ্ধ দোয়া-মন্ত্র, হাতে-গলায় তাবিজ লটকানাে এবং যাদু মন্ত্র এ সবই শির্কের অন্তর্ভুক্ত। (আবু দাউদ, মিশকাত ৩৮৯ পৃঃ)
আল্লাহর নবী (ﷺ) বলেন, “কবজ, বালা নােয়া ইত্যাদি ব্যবহারে লাভ তাে কিছুই হয় না বরং ক্ষতিই হয়।” (আহমাদ ৪:৪৫, ইবনে মাজাহ ৩৫৩১)
যে সমস্ত তাবিজ নক্সা বানিয়ে সংখ্যা দ্বারা লিখা হয়, কোন ফিরিস্তা, জ্বীন কিংবা শয়তানের নাম দ্বারা তৈরী করা হয় অথবা কোন তেলেস্মতি জাদুবিদ্যার সাহায্য নিয়ে অথবা কোন ধাতু, পশু-পাখীর হাড়, লােম বা পালক কিংবা গাছের শিকড় দিয়ে বানানাে হয়, তা ব্যবহার করা নিঃসন্দেহে শির্ক।
অবশ্য কুরআনী আয়াত দ্বারা লিখিত তাবিজ প্রসঙ্গে উলামাদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে তাও ব্যবহার না করাটাই সঠিক। কারণ,
প্রথমতঃ আল্লাহর রসুল (ﷺ) তাবিজ ব্যবহারকে শির্ক বলেছেন। তাতে সমস্ত রকমেরই তাবিজ উদ্দিষ্ট হতে পারে।
দ্বিতীয়তঃ কুরআনী আয়াত দ্বারা লিখিত তাবিজ ব্যবহারকারী গলায়, হাতে কিংবা কোমরে বেঁধেই প্রস্রাব-পায়খানা করবে, স্ত্রী-মিলন করবে মহিলারা মাসিক অবস্থায় ও অন্যান্য অপবিত্রতায় ব্যবহার করবে। যাতে কুরআন মাজীদের অসম্মান ও অমর্যাদা হবে। আশ্চর্যের কথা যে ওদের মতে তাবিজ় বেঁধে মাড়াঘর বা আতুড়ঘর গেলে তাবিজ ছুত হয়ে যায়। কিন্তু অচ্ছুতের গায়ে এ তাবিজ কি করে ছুত না হয়ে থাকে।
তৃতীয়তঃ যদি এরূপ তাবিজ ব্যবহার বৈধ করা যায়, তাহলে অ-কুরআনী তাবিজও ব্যবহার করতে দেখা যাবে। তাই এই শির্কের মুলােৎপাটন করার মানসে তার ছিদ্রপথ বন্ধ করতে কুরআনী তাবিজ ব্যবহারও অবৈধ হবে।
স্বাস্থ্যবিধিসমূহ পালন করার মাধ্যমে এবং ঔষধ সুপথ্য গ্রহণের দ্বারা ইসলাম যেমন রােগ নিরাময়ের পরামর্শ দান করেছে তেমনি বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে দোয়া বা মন্ত্র পাঠের সাহায্যেও রােগ সারানাের অনুমতি দান করেছে। যেসব ক্ষেত্রে ঔষধ-পথ্য কোন উপকারে আসে না, বিশেষতঃ সেই সব ক্ষেত্রে ঝাড়ফুঁকের দ্বারা চিকিৎসা গ্রহণ করতে কোন আপত্তি নেই বরং ঐসব ক্ষেত্রে ঝাড়ফুঁক দ্বারা চিকিৎসা গ্রহণ করাই বাঞ্ছনীয় বা বেশী উপযােগী।
তবে এ প্রসঙ্গে স্মরণীয় ও লক্ষণীয় কথা হচ্ছে, দোয়া বা মন্ত্রের বাক্য যেন শরীয়ত গর্হিত কোন কথা না থাকে। যেমন, যাদু-মন্ত্র, শির্কমূলক বাক্য, জ্যোতিষ শ্বাস্ত্রের নির্দেশমত শরীয়ত-নিষিদ্ধ তিথি ও ক্ষণ পালন ইত্যাদি। এগুলিকে ইসলাম স্বীকৃতি দেয়নি বরং এগুলাে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ও হারাম বলে বিঘােষিত হয়েছে। নিম্নের হাদীসটি বুঝতে চেষ্টা করুনঃ
হযরত আউফ বিন মালিক (রাঃ) বলেন যে, আমরা জাহেলী যুগে মন্ত্রাদি পাঠ করতাম। তাই ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার পর আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! ঐসব মন্ত্রের ব্যাপারে আপনার অভিমত কি?'
রসূল (ﷺ) বললেন, 'তােমাদের মন্ত্রগুলি আমার কাছে পেশ করাে। যতক্ষণ ঐগুলিতে শির্কমূলক কোন বাক্য থাকবে না, ততক্ষণ সেগুলির ব্যবহারে আমার আপত্তি নেই।' (মুসলিম, মিশকাত ৮৮ পৃঃ)
অতএব যে দোয়া বা মন্ত্রে দেব-দেবী, জ্বিন-ভূত, অথবা কোন পীর-ওলীর নাম কিংবা তাদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করার মত কোন বাক্য থাকবে না, সে সব মন্ত্র পাঠে কোন দোষ নেই। আবার যেসব মন্ত্রের অর্থ বােধগম্য নয়, সেই সব মন্ত্র পাঠ থেকেও তফাতে থাকা দরকার। কারণ, সে গুলােতে হয়ত নিষিদ্ধ কোন ব্যাপার থাকতে পারে- এই আশংকায়।
পক্ষান্তরে যে সব মন্ত্রে নিষিদ্ধ কোন বাক্য থাকবে না, সে গুলি ব্যবহার করতে কোন বারণ নেই। নিম্নের দু’টি হাদীসে তার প্রমাণ রয়েছেঃ
১. আয়েশা (রাঃ) বলেন, যে, রসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে বদ-নজরের কুফল দূর করনার্থে মন্ত্রপাঠ করতঃ ঝাড়ফুঁক করতে নির্দেশ দান করেছেন। (বুখারী মুসলিম, মিশকাত ৩৮৮ পৃঃ )
২. হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, “রসূলুল্লাহ নজর-দোষ, বিষাক্ত জন্তুর দংশন এবং দূষিত ঘা সারাবার নিমিত্তে ঝাড়ফুঁক করতে অনুমতি দান করেছেন।” (মুসলিম, মিশকাত ৩৮৮ পৃঃ)
সর্বপ্রকার রােগ ব্যাধিতে দোয়া ও মন্ত্রপাঠের সাহায্য গ্রহণ করা যেতে পারে। কিন্তু অন্যান্য ব্যাধি অপেক্ষা উপরােক্ত তিনটি ব্যাধির ক্ষেত্রে মন্ত্রপাঠ বেশী ক্রিয়াশীল এবং মন্ত্রপাঠের সুফল বেশী পরিলক্ষিত হয় বলে হাদীসে তিনটির উল্লেখ নির্দিষ্ট হয়েছে।
দোয়া-মন্ত্র লিখে ধৌত করে সেই পানি পান করা অথবা মন্ত্র পড়ে ঝাড়ফুঁক করা অবৈধ নয়; বরং হাদীস সম্মত জিনিস। কিন্তু লিখে তাবিজ করে হাতে অথবা গলায় লটকানাে ঠিক নয়। এ মর্মে একটি হাদীস লক্ষ্য করুনঃ
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ)-এর সহধর্মিনী হযরত যয়নাব (রাঃ) বলেন, একদা আমার গলায় সুতাে লটকানাে দেখে আব্দুল্লাহ বলেছিলেন যে, তােমার গলায় এটা কি? আমি বললাম, 'এটা একটি সুতাে, এতে মন্ত্র পাঠ করা হয়েছে।' ইহা শুনে আব্দুল্লাহ সুতােটিকে ধরে ছিড়ে ফেলেছিলেন এবং বলেছিলেন, 'আব্দুল্লাহর পরিবার শির্ক থেকে এ যাবৎ বিরত আছে, আর তােমার এটা কি? এটা যে শির্কের পর্যায়ভুক্ত! আমি নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট স্বকর্ণে শ্রবণ করেছি। তিনি বলেছেন “নিষিদ্ধ দোয়া-মন্ত্র, হাতে-গলায় তাবিজ লটকানাে এবং যাদু মন্ত্র এ সবই শির্কের অন্তর্ভুক্ত। (আবু দাউদ, মিশকাত ৩৮৯ পৃঃ)
আল্লাহর নবী (ﷺ) বলেন, “কবজ, বালা নােয়া ইত্যাদি ব্যবহারে লাভ তাে কিছুই হয় না বরং ক্ষতিই হয়।” (আহমাদ ৪:৪৫, ইবনে মাজাহ ৩৫৩১)
যে সমস্ত তাবিজ নক্সা বানিয়ে সংখ্যা দ্বারা লিখা হয়, কোন ফিরিস্তা, জ্বীন কিংবা শয়তানের নাম দ্বারা তৈরী করা হয় অথবা কোন তেলেস্মতি জাদুবিদ্যার সাহায্য নিয়ে অথবা কোন ধাতু, পশু-পাখীর হাড়, লােম বা পালক কিংবা গাছের শিকড় দিয়ে বানানাে হয়, তা ব্যবহার করা নিঃসন্দেহে শির্ক।
অবশ্য কুরআনী আয়াত দ্বারা লিখিত তাবিজ প্রসঙ্গে উলামাদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে তাও ব্যবহার না করাটাই সঠিক। কারণ,
প্রথমতঃ আল্লাহর রসুল (ﷺ) তাবিজ ব্যবহারকে শির্ক বলেছেন। তাতে সমস্ত রকমেরই তাবিজ উদ্দিষ্ট হতে পারে।
দ্বিতীয়তঃ কুরআনী আয়াত দ্বারা লিখিত তাবিজ ব্যবহারকারী গলায়, হাতে কিংবা কোমরে বেঁধেই প্রস্রাব-পায়খানা করবে, স্ত্রী-মিলন করবে মহিলারা মাসিক অবস্থায় ও অন্যান্য অপবিত্রতায় ব্যবহার করবে। যাতে কুরআন মাজীদের অসম্মান ও অমর্যাদা হবে। আশ্চর্যের কথা যে ওদের মতে তাবিজ় বেঁধে মাড়াঘর বা আতুড়ঘর গেলে তাবিজ ছুত হয়ে যায়। কিন্তু অচ্ছুতের গায়ে এ তাবিজ কি করে ছুত না হয়ে থাকে।
তৃতীয়তঃ যদি এরূপ তাবিজ ব্যবহার বৈধ করা যায়, তাহলে অ-কুরআনী তাবিজও ব্যবহার করতে দেখা যাবে। তাই এই শির্কের মুলােৎপাটন করার মানসে তার ছিদ্রপথ বন্ধ করতে কুরআনী তাবিজ ব্যবহারও অবৈধ হবে।
সোর্সঃ দুআরুকইয়াহ.কম