উসূলুল হাদিস রাবীর সংখ্যা বিচারে হাদীস প্রধানত দু‘প্রকার।

Joynal Bin Tofajjal

Student Of Knowledge

Forum Staff
Moderator
Uploader
Exposer
HistoryLover
Salafi User
Joined
Nov 25, 2022
Threads
343
Comments
476
Reactions
5,798
rabirshongkhabcharehadithduiprokar.webp

রাবীর সংখ্যা বিচারে হাদীস প্রধানত দু‘প্রকার।​

যথা: ১. মুতওয়াতির (متواتر) ও ২. আহাদ (أحاد)​



১. মুতওয়াতির (متواتر):

বৃহৎ সংখ্যক রাবীর বর্ণিত হাদীস, মিথ্যার ব্যাপারে যাদের উপর একাট্টা হওয়া অসম্ভব, সনদের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এ সংখ্যা বিদ্যমান থাকলে হাদীসকে মুতওয়াতির (متواتر) বলা হয়।

২. আহাদ (أحاد): أحادতিন প্রকার। যথা:

  • মাশহুর (مشهور):

যে কোন স্তরে হাদীস বর্ণনা কারীর সংখ্যা যদি দুই এর অধিক হয়, কিন্তু মুতওয়াতির এর পর্যায়ে পৌঁছে না তাকে মাশহুর (مشهور) বলে।
  • আযীয (عزيز):​

যে কোন স্তরে হাদীস বর্ণনা কারীর সংখ্যা যদি দু‘জন হয় ।
  • গরীব (غريب):​

যে কোন স্তরে হাদীস বর্ণনা কারীর সংখ্যা যদি এক জন হয় ।





শায (شاذ):​

একাধিক নির্ভরযোগ্য রাবীর বিপরীত একজন নির্ভরযোগ্য রাবীর বর্ণনাকে শায হাদীস বলে।

কিয়াস (قياس):​

অর্থ অনুমান, পরিমাপ, তুলনা ইত্যাদি। পরিভাষায়: শাখাকে মূলের সঙ্গে তুলনা করা, যার ফলে শাখা ও মূল একই হুকুমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।

তাক্বলীদ (تقليد):​

দলীল উল্লেখ ছাড়াই কোন ব্যক্তির মতামতকে গ্রহণ করা।

ইজতিহাদ (اجتهاد):​

উদ্দিষ্ট জ্ঞান অর্জনের প্রচেষ্টা চালানোকে ইজতিহাদ বলে।

শরীয়াত (شريعة):​

অর্থ: আইন, বিধান, পথ, পন্থা ইত্যাদি। পরিভাষায়: মহান আল্লাহ্‌ স্বীয় দ্বীন হতে বান্দার জন্য যা বিধিবদ্ধ করে দিয়েছেন তাকে শরীয়াত বলে।

মাযহাব (مذهب):​

অর্থ- মত, পথ, মতবাদ ইত্যাদি। ফিক্বহী পরিভাষায়: ইবাদাত ও মু‘আমালাতের ক্ষেত্রে শারঈ হুকুম পালনের জন্য বান্দা যে পথ অনুসরণ করে এবং প্রত্যেক দলের জন্য একজন ইমামের উপর অথবা ইমামের ওসীয়ত কিংবা ইমামের প্রতিনিধির উপর নির্ভর করে তাকে মাযহাব বলে।

নাযর (نذر):​

কোন বিষয়ে উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য চিন্তা-ভাবনা করাকে নাযর বলে।

আম (عام):​

সীমাবদ্ধ করা ছাড়াই যা দুই বা ততোধিক বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে তাকে আম বলে।

খাস (خاص):​

আম এর বিপরীত, যা নির্দিষ্ট বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে।

ইজমা (اجماع):​

কোন এক যুগে আলিমদের কোন শারঈ বিষয়ের উপর এক মত পোষণ করাকে ইজমা বলে।

মুসনাদ (مسند):​

যার সনদগুলো পরস্পর এমনভাবে মিলিত যে, প্রত্যেকের বর্ণনা সুস্পষ্ট।

ফিক্বহ (فقه):​

ইজতিহাদ বা গবেষণার পদ্ধতিতে শারঈ হুকুম সম্পর্কে জানার বিধানকে ফিক্বহ বলে।

আসল বা মূল (اصل):​

এমন প্রথম বিষয়, যার উপর ভিত্তি করে কোন কিছু গড়ে উঠে। যেমন- দেয়ালের ভিত্তি।

ফারা বা শাখা (فرع):​

আসলের বিপরীত যা কোন ভিত্তির উপর গড়ে উঠে।

ওয়াজিব (واجب):​

যা আমল করলে সাওয়াব পাওয়া যাবে আর পরিত্যাগ করলে শাস্তি পাওয়া যাবে।

মানদূব (مندوب):​

যা আমল করলে সাওয়াব পাওয়া যাবে আর পরিত্যাগ করলে শাস্তি হবে না।

মাহযূর (محظور):​

যা পরিত্যাগ করলে সাওয়াব পাওয়া যাবে আর আমল করলে শাস্তি পাওয়া যাবে।

মাকরূহ (مكروه):​

যা পরিত্যাগ করলে সাওয়াব পাওয়া যাবে আর আমল করলে শাস্তি হবে না।

ফাৎওয়া (فتوى):​

জিজ্ঞাসিত ব্যক্তির নিকট থেকে দলীল ভিত্তিক শারঈ হুকুম সুস্পষ্ট বর্ণনা করে নেয়াকে ফাৎওয়া বলে।

নাসিখ (ناسخ):​

পরিবর্তিত শারঈ দলীল যা পূববর্তী শারঈ হুকুমকে রহিত করে দেয় তাকে নাসিখ বলে।

মানসূখ (منسوخ):​

আর যে হুকুমটি রহিত হয়ে যায় সেটাই মানসূখ।

মুতলাক্ব (مطلق):​

যা প্রকৃতিগত দিক থেকে জাতির সকলকে অন্তর্ভুক্ত করে কিন্তু অনির্দিষ্টভাবে একটি অর্থকে বুঝায়।

মুকাইয়্যাদ (مقيد):​

যা মুতলাক্বের বিপরীত অর্থাৎ জাতির সকলকে অন্তর্ভুক্ত করে না। বরং নির্দিষ্ট একটি অর্থকে বুঝায়।

হাক্বীকাত (حقيقة):​

শব্দকে আসল অর্থে ব্যবহার করাকে হাক্বীকত বলে। যেমন- সিংহ শব্দটি এক প্রজাতির হিংস্র প্রাণীকে বুঝায়।

মাজায (مجاز):​

শব্দ যখন আসল অর্থকে অতিক্রম করে তার সাথে সাদৃশ্য রাখে এমন অর্থ প্রকাশ করে তখন তাকে মাজায বলে। যেমন- সাহসী লোককে সিংহের সাথে তুলনা করা।
 
Last edited:
rabirshongkhabcharehadithduiprokar.jpg

রাবীর সংখ্যা বিচারে হাদীস প্রধানত দু‘প্রকার।​

যথা: ১. মুতওয়াতির (متواتر) ও ২. আহাদ (أحاد)​



১. মুতওয়াতির (متواتر):

বৃহৎ সংখ্যক রাবীর বর্ণিত হাদীস, মিথ্যার ব্যাপারে যাদের উপর একাট্টা হওয়া অসম্ভব, সনদের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এ সংখ্যা বিদ্যমান থাকলে হাদীসকে মুতওয়াতির (متواتر) বলা হয়।

২. আহাদ (أحاد): أحادতিন প্রকার। যথা:

  • মাশহুর (مشهور):


  • আযীয (عزيز):​


  • গরীব (غريب):​







শায (شاذ):​



কিয়াস (قياس):​



তাক্বলীদ (تقليد):​



ইজতিহাদ (اجتهاد):​



শরীয়াত (شريعة):​



মাযহাব (مذهب):​



নাযর (نذر):​



আম (عام):​



খাস (خاص):​



ইজমা (اجماع):​



মুসনাদ (مسند):​



ফিক্বহ (فقه):​



আসল বা মূল (اصل):​



ফারা বা শাখা (فرع):​



ওয়াজিব (واجب):​



মানদূব (مندوب):​



মাহযূর (محظور):​



মাকরূহ (مكروه):​



ফাৎওয়া (فتوى):​


নাসিখ (ناسخ):​


মানসূখ (منسوخ):​



মুতলাক্ব (مطلق):​



মুকাইয়্যাদ (مقيد):​



হাক্বীকাত (حقيقة):​



মাজায (مجاز):​

শায হাদীস কি গ্রহণযোগ্য?
 
Back
Top