প্রশ্নোত্তর যে ব্যক্তি এশার আগে তারাবীর সালাত আদায় করে ফেলেছে!

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Joined
Nov 1, 2022
Threads
4,853
Comments
4,360
Solutions
1
Reactions
62,881
প্রশ্ন : আমি মসজিদে বিলম্বে প্রবেশ করেছি। ততক্ষণে আমার ছয় রাকাত তারাবীর সালাত ছুটে গেছে। আমি তারাবীর পর এশার সালাত আদায় করেছি। তারাবীর যে ছয় রাকাত ছুটে গেছে এর কাযা আদায় করা কি আমার উপর ওয়াজিব?


উত্তর: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।


এশার নামাযের আগে তারাবীর নামায পড়া ঠিক হয়নি। আপনি এশার নামাযের নিয়্যত করে তারাবীর জামাতে যোগ দিতে পারতেন। দুই রাকাত পড়ে ইমাম সালাম ফিরানোর পর আপনি দাঁড়িয়ে গিয়ে এশার বাকি দুই রাকাত সালাত পূর্ণ করে নিতে পারতেন। ক্বিয়ামুল লাইল (তারাবী, বিতির, তাহাজ্জুদ ইত্যাদি) এশার সালাতের আগে হয় না; বরং পরে হয়। বরং এশার সুন্নত নামাযের পরে হয়। আপনি যা আদায় করেছেন তা সাধারণ নফল হিসেবে বিবেচিত হবে; ক্বিয়ামুল লাইল হিসেবে ধর্তব্য হবে না।


শাইখ আব্দুল আজিজ বিন বায্‌কে প্রশ্ন করা হয়েছিল:


যদি কোন মুসলিম মসজিদে এসে লোকদেরকেতারাবীর সালাত আদায়রত অবস্থায় পায় এবং সে ব্যক্তি তখনো এশার সালাত আদায় করেনি সেক্ষেত্রেতিনি কি এশার নামাযের নিয়্যতে তাদের সাথে তারাবীর জামাতে যোগ দিতে পারবে?


উত্তরে তিনি বলেন:


“আলেমগণের দুইটি মতের অধিকতর সঠিক মত অনুসারে তাদের সাথে এশার নিয়্যতে যোগ দিয়ে সালাত আদায় করতে কোন সমস্যা নেই। ইমাম সালাম ফিরালে তিনি উঠে দাঁড়িয়ে তাঁর অবশিষ্ট সালাত সম্পন্ন করবেন।”যেহেতু সহীহবুখারী ও সহীহ মুসলিম এ মু’আয ইবনে জাবা’ল (রাদিয়াল্লাহু আনহু)হতে প্রমাণিত হয়েছে যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে এশার সালাত আদায় করে নিজ গোত্রে ফিরে গিয়ে তাদেরকে এশার সালাত পড়াতেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ব্যাপারটির বিরোধিতা করেননি।এ হাদিস প্রমাণ করে যে, নফল সালাত আদায়কারী ব্যক্তির পিছনে ফরয সালাত আদায়কারী ব্যক্তির সালাত আদায় করা জায়েয।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে সহীহ গ্রন্থে এসেছে যে, কোন এক সালাতুল খওফ (ভয়ের সময়ের সংক্ষেপিত নামায)এর সময় এক গ্রুপকে নিয়ে দুই রাকাত নামায আদায় করে সালাম ফিরিয়ে ফেলেন। আবার দ্বিতীয় গ্রুপকে নিয়ে দুই রাকাত নামায আদায় করে সালাম ফিরান। এক্ষেত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রথমবারের আদায়কৃত নামাযহচ্ছে- ফরয। কিন্তু দ্বিতীয় বারেরনামায তাঁর জন্য নফল, তাঁর পেছনে সালাত আদায়কারীদের জন্য ফরজ।আল্লাহইতাওফিক দাতা।


[মাজমূ ফাতাওয়াস্‌ শাইখ ইবনে বায (১২/১৮১)]


শাইখ আরও বলেন: “ সুন্নত পদ্ধতি হচ্ছে- রমজানে বা অন্য সময়ে এশার সুন্নত নামাযের পরে তাহাজ্জুদ এর সালাত আদায় করা, যেমনটিনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করতেন। এক্ষেত্রে তাহাজ্জুদ এর সালাত বাড়ীতে বা মসজিদে আদায়ে কোন পার্থক্য নেই।”


[মাজমূ‘ ফাতাওয়াআশ শাইখ ইবনে বায (১১/৩৬৮)]


আর আপনার তারাবীর যে সালাত ছুটে গেছে সে ব্যাপারে আপনারঅবকাশ রয়েছে। আপনি চাইলে তা আদায় করতে পারেন। আবার চাইলে তা ছেড়েও দিতেপারেন। তারাবীর নামায নফল ইবাদত। এর কাযা আদায় করা ওয়াজিব নয়, যেভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের কাযা আদায় ওয়াজিব।


আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।


islami qa.info
 
Similar threads Most view View more
Back
Top