প্রশ্নোত্তর যে নারী হায়েযগ্রস্ত অবস্থায় মীকাত অতিক্রম করেছেন কিন্তু ইহরাম বাঁধেননি

Joined
Jun 29, 2025
Threads
4,831
Comments
0
Reactions
21,650
প্রশ্ন: আমি উমরা করতে গিয়েছিলাম। মীকাত অতিক্রমকালে আমি হায়েযগ্রস্ত ছিলাম। তাই ইহরাম বাঁধিনি। পবিত্র হওয়া পর্যন্ত আমি মক্কায় থেকেছি। পবিত্র হওয়ার পর মক্কা থেকে ইহরাম বেঁধেছি। এটা কি জায়েয হয়েছে? এখন আমি কি করব কিংবা আমার উপর কী অপরিহার্য?


উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ।


শাইখ মুহাম্মদ বিন উছাইমীন (রহঃ) বলেন:


“এ কাজটি জায়েয হয়নি। যে নারী উমরা আদায় করতে চান তার জন্য ইহরাম ছাড়া মীকাত অতিক্রম করা জায়েয নয়। এমনকি সে নারী হায়েযগ্রস্ত (মাসিকগ্রস্ত) হলেও তিনি ইহরাম বাঁধবেন। তাঁর ইহরাম সংঘটিত হবে ও সহিহ হবে। দলিল হচ্ছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন বিদায় হজ্জ আদায়ের উদ্দেশ্যে যুল হুলাইফাতে পৌঁছেন তখন আবু বকর (রাঃ) এর স্ত্রী আসমা বিনতে উমাইস (রাঃ) সন্তান প্রসব করেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে লোক পাঠান যে, তিনি কিভাবে কি করবেন? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “আপনি গোসল করুন, একটি কাপড় দিয়ে পট্টি বাঁধুন এবং ইহরাম করুন।”


নিফাসের রক্তস্রাব হায়েযের রক্তস্রাবের মতই। তাই আমরা হায়েযগ্রস্ত নারীকে বলব: আপনি যখন উমরা কিংবা হজ্জ করার উদ্দেশ্য নিয়ে মীকাত অতিক্রম করবেন তখন গোসল করুন, পট্টি বাঁধুন এবং ইহরাম করুন।


কিন্তু, তিনি যখন ইহরাম বেঁধে মক্কায় পৌঁছবেন তখন পবিত্র হওয়ার আগ পর্যন্ত বায়তুল্লাতে যাবেন না এবং তাওয়াফ করবেন না। উমরা পালনকালে আয়েশা (রাঃ) এর যখন হায়েয হল তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন: “একজন হাজী যা যা করে তুমিও তা তা কর। তবে, পবিত্র হওয়ার আগে বায়তুল্লাহ্‌ তাওয়াফ করবে না।”[এটি সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিমের রেওয়ায়েত]


সহিহ বুখারীর অপর এক রেওয়ায়েতে আছে যে, যখন তিনি পবিত্র হলেন তখন বায়তুল্লাহ্‌ তাওয়াফ করেছেন এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করেছেন। এতে প্রমাণ রয়েছে যে, কোন নারী যদি হায়েয অবস্থায় হজ্জের বা উমরার ইহরাম বাঁধেন অথবা তাওয়াফ করার আগে তার হায়েয শুরু হয় তাহলে তিনি পবিত্র হওয়া ও গোসল করার আগে তাওয়াফ ও সাঈ করবেন না। আর যদি পবিত্র অবস্থাতে তাওয়াফ সম্পন্ন করেন এবং তাওয়াফ শেষ করার পর হায়েয শুরু হয় তাহলে হায়েযগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও তিনি বাকী কাজ চালিয়ে যাবেন: সাঈ করবেন, মাথার চুল কাটবেন এবং উমরা শেষ করবেন। কেননা সাফা-মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাঈ করার জন্য পবিত্রতা শর্ত নয়।”


সুত্র: Islamqa.info
 
Similar threads Most view View more
Back
Top