যেসব অবস্থায় 'যদি' শব্দের ব্যবহার বৈধ:
ক) হে আল্লাহর বান্দা, তাকদীরের উপর কোন আপত্তি হিসেবে না হলে। আগামী কোন বিষয়ে "যদি" শব্দের ব্যবহার আপনার জন্য বৈধ। কল্যাণের প্রত্যাশায়, আল্লাহর নিকট যা লেখা আছে তার আশায় এবং আল্লাহর সাহায্য কামনা করে আপনি ‘যদি' শব্দ ব্যবহার করেন, তাহলে সেটা জায়েয আছে। যেমনটি হাদীসে এসেছে,
“যদি আমার কাছে সম্পদ থাকতো তাহলে আমি অমুক ব্যক্তির মত কাজ করতাম" [সুনান তিরমিজি: ২৩২৫; আহমাদ: ১৮০৩১; সহীহ]
খ) অতীত বিষয়ে “যদি” ব্যবহার করা আপনার জন্যে জায়েয, যখন তা কোন ধরনের আফসোস ব্যতিরেকে কল্যাণের প্রতি ভালবাসা বর্ণনা, কল্যাণের প্রত্যাশার জন্যে হয়ে থাকে এবং তাতে তাকদীরের প্রতি কোন আপত্তি থাকে না। যেমনটি রাসূলুল্লাহ তাঁর সাহাবীদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন,
“আমি আমার কাজের যে বিষয়টা পরে করেছি, তা যদি আগে করতাম, তাহলে হাদি নিয়ে আসতাম না..." [বুখারী: ১৬৫১, ১৭৮৫; মুসলিম: ১২১১]
গ) উপকারী কোন জ্ঞানের বর্ণনা করতে আপনি “যদি” ব্যবহার করতে পারেন। যেমনটি রাসূলুল্লাহ (স:) সুলায়মান (আলাইহি আসসালাম) সম্পর্কে বলেছেন,
“যদি তিনি 'ইন শা আল্লাহ' বলতেন, তাহলে তাই হতো যেমনটি তিনি বলেছেন" [বুখারী: ২৮১৯; মুসলিম: ১৬৫৪]
ঘ) যে ব্যক্তি আফসোস ও অনুশোচনা স্বরূপ “যদি" বলে, তাহলে সেটা পরিপূর্ণ তাওহীদে ত্রুটি, তাওহীদে যে পরিপূর্ণতা থাকাটা অপরিহার্য। অতএব, বান্দাকে এধরনের ব্যবহার থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
ঙ) বান্দার জন্য এধরনের বলাটা জায়েয আছে যে, যদি এরকম না হতো তাহলে এরকম হতো। যখন বর্ণিত বিষয়টা ‘কারণ' হিসেবে উচ্চারিত হয়। পাশাপাশি এটা স্মরণে থাকতে হবে যে, সবকিছুই আল্লাহর জন্যে।
রাসূলুল্লাহ (স:) তাঁর চাচা সম্পর্কে বলেছেন,
"আমি যদি না হতাম, তাহলে তিনি জাহান্নামের নিম্নতম স্থানে হতেন" [বুখারী: ৩৮৮৩; মুসলিম: ২০৯]
ক) হে আল্লাহর বান্দা, তাকদীরের উপর কোন আপত্তি হিসেবে না হলে। আগামী কোন বিষয়ে "যদি" শব্দের ব্যবহার আপনার জন্য বৈধ। কল্যাণের প্রত্যাশায়, আল্লাহর নিকট যা লেখা আছে তার আশায় এবং আল্লাহর সাহায্য কামনা করে আপনি ‘যদি' শব্দ ব্যবহার করেন, তাহলে সেটা জায়েয আছে। যেমনটি হাদীসে এসেছে,
“যদি আমার কাছে সম্পদ থাকতো তাহলে আমি অমুক ব্যক্তির মত কাজ করতাম" [সুনান তিরমিজি: ২৩২৫; আহমাদ: ১৮০৩১; সহীহ]
খ) অতীত বিষয়ে “যদি” ব্যবহার করা আপনার জন্যে জায়েয, যখন তা কোন ধরনের আফসোস ব্যতিরেকে কল্যাণের প্রতি ভালবাসা বর্ণনা, কল্যাণের প্রত্যাশার জন্যে হয়ে থাকে এবং তাতে তাকদীরের প্রতি কোন আপত্তি থাকে না। যেমনটি রাসূলুল্লাহ তাঁর সাহাবীদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন,
“আমি আমার কাজের যে বিষয়টা পরে করেছি, তা যদি আগে করতাম, তাহলে হাদি নিয়ে আসতাম না..." [বুখারী: ১৬৫১, ১৭৮৫; মুসলিম: ১২১১]
গ) উপকারী কোন জ্ঞানের বর্ণনা করতে আপনি “যদি” ব্যবহার করতে পারেন। যেমনটি রাসূলুল্লাহ (স:) সুলায়মান (আলাইহি আসসালাম) সম্পর্কে বলেছেন,
“যদি তিনি 'ইন শা আল্লাহ' বলতেন, তাহলে তাই হতো যেমনটি তিনি বলেছেন" [বুখারী: ২৮১৯; মুসলিম: ১৬৫৪]
ঘ) যে ব্যক্তি আফসোস ও অনুশোচনা স্বরূপ “যদি" বলে, তাহলে সেটা পরিপূর্ণ তাওহীদে ত্রুটি, তাওহীদে যে পরিপূর্ণতা থাকাটা অপরিহার্য। অতএব, বান্দাকে এধরনের ব্যবহার থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
ঙ) বান্দার জন্য এধরনের বলাটা জায়েয আছে যে, যদি এরকম না হতো তাহলে এরকম হতো। যখন বর্ণিত বিষয়টা ‘কারণ' হিসেবে উচ্চারিত হয়। পাশাপাশি এটা স্মরণে থাকতে হবে যে, সবকিছুই আল্লাহর জন্যে।
রাসূলুল্লাহ (স:) তাঁর চাচা সম্পর্কে বলেছেন,
"আমি যদি না হতাম, তাহলে তিনি জাহান্নামের নিম্নতম স্থানে হতেন" [বুখারী: ৩৮৮৩; মুসলিম: ২০৯]
- তাওহীদুল ইবাদাহ: একমাত্র আল্লাহর ইবাদত তাৎপর্য ও বিশ্লেষণ, ষষ্ঠ অধ্যায়; (দারুল কারার পাবলিকেশন্স)