বিবাহ ও দাম্পত্য যিহার কি?

Golam Rabby

Knowledge Sharer

ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Joined
Jan 3, 2023
Threads
786
Comments
941
Reactions
8,284
সম্মানিত ফিকাহবিদগণ যিহার এর সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন,

“স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে হারাম হওয়ার ক্ষেত্রে তার কোনও মাহরাম নারীর সাথে সাদৃশ্য দেওয়াকে যিহার বলা হয়।” অথবা “বিবাহিত স্ত্রীকে এমন মহিলার সাথে সাদৃশ্য দেওয়া যে তার জন্য হারাম।” [শারহু যাদিল মুস্তাকনি-শাইখ মুহাম্মদ মুখতার শানকিতি]

যিহার হ’ল স্ত্রীর কোন অঙ্গকে মা বা স্থায়ী মাহরামের পিঠ বা অন্য কোন অঙ্গের সাথে তুলনা করা (নাসাঈ, বুলূগুল মারাম হা/১০৯১ ‘যিহার’ অনুচ্ছেদ)


ইসলামে যিহার একটি অন্যায় আচরণ এবং হারাম কাজ। কেউ এমনটি করলে তার জন্য কাফফারা আদায় করা আবশ্যক। কাফফারা আদায়ের পূর্বে স্বামী-স্ত্রী মিলন হারাম। জাহেলি যুগে যিহার করাকে তালাক হিসেবে গণ্য করা হতো। ফলে চিরস্থায়ী ভাবে স্ত্রী মিলন নিষিদ্ধ বলে গণ্য করা হত। যেমন: তাফসিরে কুরতুবিতে এসেছে,

“জাহিলি যুগে এটাই স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীকে তালাক ছিলো।” কিন্তু ইসলাম তা স্থায়ী হারামের পরিবর্তে অস্থায়ী হারামে রূপান্তরিত করেছে। অর্থাৎ কোনও স্বামী তার স্ত্রীর সাথে যিহার করলে কাফফারা প্রদান করলে তা হালাল হয়ে যাবে।

যিহারের কাফ্ফারা হ’ল স্বামী একটি গোলাম আযাদ করবে অথবা এক টানা দু’মাস ছিয়াম পালন করবে অথবা ৬০ জন মিসকীনকে খাওয়াবে (মুজাদালাহ ৫৮/৩-৪)। এক্ষণে কাফফারা হিসাবে দাসমুক্তির সুযোগ না থাকায় প্রথমতঃ ধারাবাহিকভাবে দুই মাস একটানা ছিয়াম পালন করবে। এতে অক্ষম হ’লে ষাটজন মিসকীনকে মধ্যম মানের খাবার খাওয়াবে (মুজাদালাহ ৫৮/৩-৪)। উল্লেখ্য যে, কাফফারার ছিয়াম শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্ত্রী স্পর্শ করবে না। কিন্তু যদি অধৈর্য হয়ে করেই ফেলে, তাহ’লে কাফফারা শেষ হওয়ার পূর্বে পুনরায় স্ত্রী স্পর্শ করবে না (ইবনু মাজাহ হা/২০৬৫)
সৌদি স্থায়ী ফতোয়া কমিটির সদস্য শায়খ ছালেহ আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘কোন কর্ম থেকে স্ত্রীকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে যদি স্বামী কসম খেয়ে বলে যে, তুমি এটা করলে আমার মায়ের মত হয়ে যাবে। তবে সেটা কসম হিসাবেই গণ্য হবে অর্থাৎ এর মাধ্যমে ত্বালাক্ব প্রতিষ্ঠিত হবে না এবং তাকে কসমের কাফ্ফারা আদায় করতে হবে’ (আল-মুনতাক্বা মিন ফাতাওয়া আল-ফাওযান; ইসলাম সাওয়াল ও জাওয়াব, প্রশ্ন নং-১২১৫৫৬)

ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, স্বামী-স্ত্রী উভয়ে একে অপরকে যিহার করতে পারে। এজন্য কাফফারা হিসাবে তারা একটি দাস মুক্ত করবে অথবা একটানা দু’মাস ছিয়াম রাখবে অথবা ষাট জন মিসকীন খাওয়াবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩৪/৯)
 
জাযাকাল্লাহু খাইরান, উক্ত মাসআলাটা আগে থেকেই জানতাম তবে এটিকে যে 'যিহার' বলে তা জানতাম না ।
ওয়া ইয়্যাক প্রিয় ভাই ❤️
 
Back
Top