Asking মুরজিয়া শব্দের অর্থ কী

Solution
মুরজিয়া: শব্দটি ইরজা থেকে। ইরজা শব্দের দু'টি অর্থ রয়েছে।

১. ইরজা অর্থ দেরী করা, দূরে রাখা, পিছিয়ে দেয়া। যেমন: আল্লাহ তা'আলা বলেন, ফির'আউন বলেছিল, ‘আরিজহ ওয়া আখাহু' [সূরা আল-আ'রাফ: ১১১] অর্থাৎ “মূসা ও তার ভাইকে একটু বিলম্ব করাও”। আর সে হিসেবে এদেরকে মুরজিয়া বলার কারণ তারা আমলকে ঈমানের সংজ্ঞায় প্রবেশ করায় না। তারা বলে, ঈমান হচ্ছে শুধু অন্তরে বিশ্বাসের নাম। আবার তাদের মাঝে কেউ কেউ বলে ঈমান হচ্ছে মুখের স্বীকৃতির নাম। তাদের আরেক দল মনে করে ঈমান হচ্ছে অন্তরের বিশ্বাস ও মুখের স্বীকৃতির নাম। এ শেষোক্তদেরকে বলা হয় ‘মুরজিয়া আল ফুকাহা'।

আরও জানতে পড়তে পারেন - মুরজিয়া কাকে বলে?
মুরজিয়া শব্দটি আল-কুরআনে প্রয়োগ পায় একটি আরবী শব্দ। এটি আতমপ্রদানের কার্যকলাপ বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি প্রায়শই "উঠো, প্রতিশ্রুতি পালন করো, ফিরে আসো" এমন মানে প্রদান করে।

এই শব্দটি কোনও নিশ্চিত শরীরতত্ত্ব শব্দ নয়, বরং ইসলামিক আদর্শ ও মোরাল নীতির সাথে সম্পর্কিত। এটি মানসিকভাবে সুপালন করা উচিত একটি আদর্শ। যেমনটি আল-কুরআনে বর্ণিত হয়, এটি মানুষের আদর্শ হওয়ার অভিনই প্রশ্ন করে না। ইসলামে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয় মার্গদর্শক উপায় হিসেবে মানসিকভাবে শিক্ষা দেওয়ার জন্য।

মুরজিয়ার মাধ্যমে হাঁটার, কথা বলার, কাজ করার ও আহার নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক অর্থ বুঝানো হয়। যেমনটি আল-কুরআনে স্পষ্টভাবে উল্লেখিত হয়েছে, সকল ক্ষেত্রেই হ্যাঁটার বুকের সম্মুখীন হতে পারে, কথা বলার আগে সতর্ক হতে হবে, কাজ গুলি নিম্ন মর্যাদা এবং নিরাপত্তা মেলাতে হবে, এবং সঠিক আহার দেখা যাবে।

এর মাধ্যমে ইসলামিক ধর্মের অনুযায়ি শিক্ষা ও প্রচারিত হয়, যার মাধ্যমে মানুষকে নিজেদের উত্তমতার কথা স্মরণ রাখার প্রয়োজন এবং অবলম্বন দিয়েছে। এটি একটি আদর্শ যা গুণগুণে আমাদের কার্যকলাপে প্রতিবদ্ধতা ও মানসিকভাবে নির্দিষ্ট গুণাবলী মেলে তুলে ধরে।

সুতরাং, সংক্ষেপে বলতে গেলে, মুরজিয়া শব্দটি ধর্মীয় মূলত নির্ধারিত মস্‌বিদ্ধতা, ব্যক্তিগত ত্যাগ, স্বপনের জন্য আক্রমণশীল প্রচেষ্টাসমূহ এবং মানসিকভাবে পরিচালিত ব্যক্তির শীর্ষস্থানের পরিচিতিকরণের উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
 
মুরজিয়া: শব্দটি ইরজা থেকে। ইরজা শব্দের দু'টি অর্থ রয়েছে।

১. ইরজা অর্থ দেরী করা, দূরে রাখা, পিছিয়ে দেয়া। যেমন: আল্লাহ তা'আলা বলেন, ফির'আউন বলেছিল, ‘আরিজহ ওয়া আখাহু' [সূরা আল-আ'রাফ: ১১১] অর্থাৎ “মূসা ও তার ভাইকে একটু বিলম্ব করাও”। আর সে হিসেবে এদেরকে মুরজিয়া বলার কারণ তারা আমলকে ঈমানের সংজ্ঞায় প্রবেশ করায় না। তারা বলে, ঈমান হচ্ছে শুধু অন্তরে বিশ্বাসের নাম। আবার তাদের মাঝে কেউ কেউ বলে ঈমান হচ্ছে মুখের স্বীকৃতির নাম। তাদের আরেক দল মনে করে ঈমান হচ্ছে অন্তরের বিশ্বাস ও মুখের স্বীকৃতির নাম। এ শেষোক্তদেরকে বলা হয় ‘মুরজিয়া আল ফুকাহা'।

আরও জানতে পড়তে পারেন - মুরজিয়া কাকে বলে?
 
Solution
Similar threads Most view View more
Back
Top