If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
মুরজিয়া: শব্দটি ইরজা থেকে। ইরজা শব্দের দু'টি অর্থ রয়েছে।
১. ইরজা অর্থ দেরী করা, দূরে রাখা, পিছিয়ে দেয়া। যেমন: আল্লাহ তা'আলা বলেন, ফির'আউন বলেছিল, ‘আরিজহ ওয়া আখাহু' [সূরা আল-আ'রাফ: ১১১] অর্থাৎ “মূসা ও তার ভাইকে একটু বিলম্ব করাও”। আর সে হিসেবে এদেরকে মুরজিয়া বলার কারণ তারা আমলকে ঈমানের সংজ্ঞায় প্রবেশ করায় না। তারা বলে, ঈমান হচ্ছে শুধু অন্তরে বিশ্বাসের নাম। আবার তাদের মাঝে কেউ কেউ বলে ঈমান হচ্ছে মুখের স্বীকৃতির নাম। তাদের আরেক দল মনে করে ঈমান হচ্ছে অন্তরের বিশ্বাস ও মুখের স্বীকৃতির নাম। এ শেষোক্তদেরকে বলা হয় ‘মুরজিয়া আল ফুকাহা'।
২. ইরজা অর্থ আশাবাদী থাকা, কাউকে আশা প্রদান করা। যেমন কুরআনে এসেছে, 'ইন্নাল্লাযীনা লা ইরজুনা লিকাআনা' [সূরা ইউনুস: ০৭] “নিশ্চয় যারা আমার সাক্ষাতের আশা করে না”। অনুরূপ সূরা হূদ: ৬২। আর সে হিসেবে তাদেরকে মুরজিয়া বলার কারণ তারা শুধু আশা প্রদান করে যায়। তারা মনে করে ঈমান আনার পরে যত গুনাহই করা হোক না কেন তা ঈমানের কোনো ক্ষতি করবে না। যেমনিভাবে কুফরীর সাথে কোনো আনুগত্য কাজে লাগে না। সে হিসেবে তারা এসব গুনাহগারের ঈমান কোনো ক্ষতি না হওয়ার আশা করে থাকে। তাদের কোনো কোনো গোষ্ঠী আবার এতই আশাবাদী যে, তাদের নিকট ঈমানদার যতই গুনাহগার হোক তাকে জান্নাত দেয়া আল্লাহর কর্তব্য। এগুলো অবশ্যই ভুল আকীদাহ।
এ ফির্কার লোকেরা অনেকভাবে বিভক্ত; যেমন, জাহমিয়্যাহ, ইউনুসিয়্যাহ, গাসসানিয়্যাহ, তুওমনিয়্যাহ, সাওবানিয়্যাহ, মারিসিয়্যাহ প্রমুখ।
দেখুন, আশ'আরী, মাক্বালাতুল ইসলামিয়্যীন, পৃ. ১৩২; শাহরাস্তানী, আল-মিলাল ওয়ান নিহাল (১/১৬১); আল-আসফারায়ীনী, আত-তাবসীর ফিদ-দীন, পৃ. ৫৯; বাগদাদী, আল-ফারকু বাইনাল ফিরাক্ক. পৃ. ১৯০; রাযী, ই'তিক্বাদু ফিরাক্কিল মুসলিমীনা ওয়াল মুশরিকীন, পৃ. ১০৭: সাকসাকী, আল-বুরহান ফী মা'রিফাতি আকায়িদি আহলিল আদইয়ান, পৃ. ৩৩; ইয়াফে'ঈ, যিকরু মাযাহিবিল ফিরাকিস সিনতাইনি ওয়াস সাব'ঈন, পৃ. ১৩২।
১. ইরজা অর্থ দেরী করা, দূরে রাখা, পিছিয়ে দেয়া। যেমন: আল্লাহ তা'আলা বলেন, ফির'আউন বলেছিল, ‘আরিজহ ওয়া আখাহু' [সূরা আল-আ'রাফ: ১১১] অর্থাৎ “মূসা ও তার ভাইকে একটু বিলম্ব করাও”। আর সে হিসেবে এদেরকে মুরজিয়া বলার কারণ তারা আমলকে ঈমানের সংজ্ঞায় প্রবেশ করায় না। তারা বলে, ঈমান হচ্ছে শুধু অন্তরে বিশ্বাসের নাম। আবার তাদের মাঝে কেউ কেউ বলে ঈমান হচ্ছে মুখের স্বীকৃতির নাম। তাদের আরেক দল মনে করে ঈমান হচ্ছে অন্তরের বিশ্বাস ও মুখের স্বীকৃতির নাম। এ শেষোক্তদেরকে বলা হয় ‘মুরজিয়া আল ফুকাহা'।
২. ইরজা অর্থ আশাবাদী থাকা, কাউকে আশা প্রদান করা। যেমন কুরআনে এসেছে, 'ইন্নাল্লাযীনা লা ইরজুনা লিকাআনা' [সূরা ইউনুস: ০৭] “নিশ্চয় যারা আমার সাক্ষাতের আশা করে না”। অনুরূপ সূরা হূদ: ৬২। আর সে হিসেবে তাদেরকে মুরজিয়া বলার কারণ তারা শুধু আশা প্রদান করে যায়। তারা মনে করে ঈমান আনার পরে যত গুনাহই করা হোক না কেন তা ঈমানের কোনো ক্ষতি করবে না। যেমনিভাবে কুফরীর সাথে কোনো আনুগত্য কাজে লাগে না। সে হিসেবে তারা এসব গুনাহগারের ঈমান কোনো ক্ষতি না হওয়ার আশা করে থাকে। তাদের কোনো কোনো গোষ্ঠী আবার এতই আশাবাদী যে, তাদের নিকট ঈমানদার যতই গুনাহগার হোক তাকে জান্নাত দেয়া আল্লাহর কর্তব্য। এগুলো অবশ্যই ভুল আকীদাহ।
এ ফির্কার লোকেরা অনেকভাবে বিভক্ত; যেমন, জাহমিয়্যাহ, ইউনুসিয়্যাহ, গাসসানিয়্যাহ, তুওমনিয়্যাহ, সাওবানিয়্যাহ, মারিসিয়্যাহ প্রমুখ।
দেখুন, আশ'আরী, মাক্বালাতুল ইসলামিয়্যীন, পৃ. ১৩২; শাহরাস্তানী, আল-মিলাল ওয়ান নিহাল (১/১৬১); আল-আসফারায়ীনী, আত-তাবসীর ফিদ-দীন, পৃ. ৫৯; বাগদাদী, আল-ফারকু বাইনাল ফিরাক্ক. পৃ. ১৯০; রাযী, ই'তিক্বাদু ফিরাক্কিল মুসলিমীনা ওয়াল মুশরিকীন, পৃ. ১০৭: সাকসাকী, আল-বুরহান ফী মা'রিফাতি আকায়িদি আহলিল আদইয়ান, পৃ. ৩৩; ইয়াফে'ঈ, যিকরু মাযাহিবিল ফিরাকিস সিনতাইনি ওয়াস সাব'ঈন, পৃ. ১৩২।