- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 647
- Comments
- 790
- Reactions
- 6,875
- Thread Author
- #1
যদি একাধিক আলিমকে কোনো মাসআলার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয় এবং তারা ভিন্ন ভিন্ন মত দেন, সেক্ষেত্রে একজন সাধারণ মুসলিমের ওপর আবশ্যক হবে সেসব মুফতিগণের ইলম ও দীনদারী অনুযায়ী কোনো একজনকে প্রাধান্য প্রদান করা। কারণ,
• এটি (ইলম ও দীনদারী) ব্যতীত অন্য কোনো উপায়ে মুফতিগণের একজনের ওপর অপরজনকে প্রাধান্য দেওয়া যায় না।
• তা ছাড়া যে আলিমের ইলম বেশি ও দীনদারী সুউচ্চ পর্যায়ের বলে স্বীকৃত তার মত সঠিক হওয়ার ব্যাপারে বিশ্বাস বেশি প্রাধান্য পায়। তাই যে মতকে সঠিক বলে অধিক ধারণা তৈরি হবে সেটার বিপরীতে যাওয়া জায়েয হবে না।
• অনুরূপভাবে যেহেতু দুটি মতের মধ্য হতে একটি মত অবশ্যই ভুল, যদিও দুটো মতের মধ্যে যে-কোনো একটিতে হক রয়েছে, আর সাধারণ মুসলিমের কাছে এ মতগুলো পরস্পর বিরোধী হয়েছে, তাই মুজতাহিদকে যে রকম তুলনামূলক শক্তিশালী মত বেছে নিতে হয়, সে রকম একজন সাধারণ মুসলিমও মুফতির ইলম ও দীনদারী অনুযায়ী শক্তিশালী মত বেছে নিতে বাধ্য।
আর একজন সাধারণ মুসলিম আল্লাহর শরীআত অনুসরণ করতে আদিষ্ট। কিন্তু আল্লাহর শরীআত জানার ক্ষেত্রে মুফতি ছাড়া তার অন্য কোনো পথ নেই। তাই যখন মুফতিগণের মতের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিবে, তখন যে মত তার নিকট আল্লাহর শরীআত হিসেবে সর্বাধিক প্রাধান্য পাবে সেটার ওপরই আমল করা ফরয। এই প্রাধান্যটি আসতে পারে, সেই মতের পক্ষে অনেক মুফতির অবস্থান দেখে অথবা যে এই মত দিয়েছেন তার মর্যাদা দেখে অথবা (মুফতির পক্ষ থেকে) যে দলীলগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে সেগুলোর সবলতা দেখে।
— শারহুল কাওকাবিল মুনির (৪/৫৭৩, ৫৮০); আল-মাজমু' (১/৯৭); আল- মুস্তাসফা (২/৩৯১); রাওদাতুত তালিবীন (১১/১০৫); আল-মুওয়াফাকাত (৪/১৩২); আত-তাকলীদ, পৃ. ১৬২; আল-মানখুল, পৃ. ৪৮৩
— মুসলিম আমজনতার সাথে জড়িত উসূল ও ফিকহের মূলনীতিসমূহ, পঞ্চম পরিচ্ছেদ; বিলিভার্স ভিশন পাবলিকেশন্স
• এটি (ইলম ও দীনদারী) ব্যতীত অন্য কোনো উপায়ে মুফতিগণের একজনের ওপর অপরজনকে প্রাধান্য দেওয়া যায় না।
• তা ছাড়া যে আলিমের ইলম বেশি ও দীনদারী সুউচ্চ পর্যায়ের বলে স্বীকৃত তার মত সঠিক হওয়ার ব্যাপারে বিশ্বাস বেশি প্রাধান্য পায়। তাই যে মতকে সঠিক বলে অধিক ধারণা তৈরি হবে সেটার বিপরীতে যাওয়া জায়েয হবে না।
• অনুরূপভাবে যেহেতু দুটি মতের মধ্য হতে একটি মত অবশ্যই ভুল, যদিও দুটো মতের মধ্যে যে-কোনো একটিতে হক রয়েছে, আর সাধারণ মুসলিমের কাছে এ মতগুলো পরস্পর বিরোধী হয়েছে, তাই মুজতাহিদকে যে রকম তুলনামূলক শক্তিশালী মত বেছে নিতে হয়, সে রকম একজন সাধারণ মুসলিমও মুফতির ইলম ও দীনদারী অনুযায়ী শক্তিশালী মত বেছে নিতে বাধ্য।
আর একজন সাধারণ মুসলিম আল্লাহর শরীআত অনুসরণ করতে আদিষ্ট। কিন্তু আল্লাহর শরীআত জানার ক্ষেত্রে মুফতি ছাড়া তার অন্য কোনো পথ নেই। তাই যখন মুফতিগণের মতের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিবে, তখন যে মত তার নিকট আল্লাহর শরীআত হিসেবে সর্বাধিক প্রাধান্য পাবে সেটার ওপরই আমল করা ফরয। এই প্রাধান্যটি আসতে পারে, সেই মতের পক্ষে অনেক মুফতির অবস্থান দেখে অথবা যে এই মত দিয়েছেন তার মর্যাদা দেখে অথবা (মুফতির পক্ষ থেকে) যে দলীলগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে সেগুলোর সবলতা দেখে।
— শারহুল কাওকাবিল মুনির (৪/৫৭৩, ৫৮০); আল-মাজমু' (১/৯৭); আল- মুস্তাসফা (২/৩৯১); রাওদাতুত তালিবীন (১১/১০৫); আল-মুওয়াফাকাত (৪/১৩২); আত-তাকলীদ, পৃ. ১৬২; আল-মানখুল, পৃ. ৪৮৩
— মুসলিম আমজনতার সাথে জড়িত উসূল ও ফিকহের মূলনীতিসমূহ, পঞ্চম পরিচ্ছেদ; বিলিভার্স ভিশন পাবলিকেশন্স