প্রশ্নোত্তর মিরাজ উপলক্ষে পালিত উৎসবে অংশগ্রহণ করা কি জায়েজ?

  • Thread starter Thread starter Anonymous User
  • Start date Start date
A

Anonymous User

Guest
السؤال: هل يجوز المشاركة في الاحتفال بذكرى المعراج؟

الجواب: لا يجوز الاحتفال بالمولد النبوي، ولا الاحتفال بالمعراج ولا المشاركة في ذلك؛ لأن ذلك من البدع المحدثة في الدين، وقد صح عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال: «من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رد». وبالله التوفيق. وصلى الله على نبينا محمد، وآله وصحبه وسلم.​

উত্তর: “নাবী ﷺ এর জন্মদিবস পালন করা ও মেরাজ পালন করা জায়েজ নয় এবং তাতে অংশগ্রহণ করাও জায়েজ নয়। কেননা তা দ্বীনের মধ্যে নবউদ্ভাবিত বিদ‘আতী কর্মকাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত। আর নাবী ﷺ থেকে বিশুদ্ধ সূত্রে প্রমাণিত হয়েছে যে, তিনি বলেছেন, “কেউ আমাদের এ শরিয়তে এমন কিছু উদ্ভাবন করল, যা এর অন্তর্ভুক্ত নয়, তা প্রত্যাখ্যাত।” (সাহীহ বুখারী, হা/২৬৯৭; সাহীহ মুসলিম, হা/১৭১৮) আর আল্লাহই তাওফীক্বদাতা। হে আল্লাহ, আমাদের নাবী মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবার পরিজন ও সাহাবীগণের উপর আপনি দয়া ও শান্তি বর্ষণ করুন।”
ফাতওয়া প্রদান করেছেন—
চেয়ারম্যান: শাইখ ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ)।
ভাইস চেয়ারম্যান: শাইখ ‘আব্দুর রাযযাক্ব ‘আফীফী (রাহিমাহুল্লাহ)।
মেম্বার: শাইখ ‘আব্দুল্লাহ বিন গুদাইয়্যান (রাহিমাহুল্লাহ)। [ফাতাওয়া লাজনাহ দাইমাহ; ফাতওয়া নং: ৯৬৮৮; গৃহীত: sahab.net]

যুগশ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ শাইখুল ইসলাম ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] বলেছেন,

وهذه الليلة التي حصل فيها الإسراء والمعراج، لم يأت في الأحاديث الصحيحة تعيينها لا في رجب ولا غيره، وكل ما ورد في تعيينها فهو غير ثابت عن النبي صلى الله عليه وسلم عند أهل العلم بالحديث، ولله الحكمة البالغة في إنساء الناس لها، ولو ثبت تعيينها لم يجز للمسلمين أن يخصوها بشيء من العبادات، ولم يجز لهم أن يحتفلوا بها؛ لأن النبي صلى الله عليه وسلم وأصحابه رضي الله عنهم لم يحتفلوا بها، ولم يخصوها بشيء ولو كان الاحتفال بها أمراً مشروعاً لبينه الرسول صلى الله عليه وسلم للأمة، إما بالقول وإما بالفعل، ولو وقع شيء من ذلك لعرف واشتهر، ولنقله الصحابة رضي الله عنهم إلينا، فقد نقلوا عن نبيهم صلى الله عليه وسلم كل شيء تحتاجه الأمة، ولم يفرطوا في شيء من الدين، بل هم السابقون إلى كل خير، فلو كان الاحتفال بهذه الليلة مشروعاً لكانوا أسبق الناس إليه، والنبي صلى الله عليه وسلم هو أنصح الناس للناس، وقد بلغ الرسالة غاية البلاغ، وأدى الأمانة فلو كان تعظيم هذه الليلة والاحتفال بها من دين الله لم يغفله النبي صلى الله عليه وسلم ولم يكتمه، فلما لم يقع شيء من ذلك، علم أن الاحتفال بها، وتعظيمها ليسا من الإسلام في شيء.​

“যে রাতে ইসরা (নৈশভ্রমণ) এবং মি‘রাজ (ঊর্ধ্বগমন) সংঘটিত হয়েছিল, বিশুদ্ধ হাদীসে সে রাতটিকে (মাস বা তারিখের মাধ্যমে) নির্দিষ্টকরণের ব্যাপারে কিছু বর্ণিত হয়নি, না রজব মাসে, আর না অন্য কোনো মাসে। এই রাতকে নির্দিষ্টকরণের ব্যাপারে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে, তা মুহাদ্দিসগণের মতে নাবী ﷺ থেকে প্রমাণিত নয়। এই রাতটি ভুলিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে আল্লাহ’র এক মহান হিকমাহ (প্রজ্ঞা) রয়েছে। আর যদি এই রাতটির নির্দিষ্টকরণ সাব্যস্ত হয়, তবুও কোনো ইবাদতের মাধ্যমে এই রাতকে খাস করা মুসলিমদের জন্য বৈধ হবে না। অনুরূপভাবে তাদের জন্য ওই রাত উদ্‌যাপন করাও বৈধ হবে না। কেননা নাবী ﷺ ও তাঁর সাহাবীগণ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুম) তা উদ্‌যাপন করেননি এবং কোনো কিছুর মাধ্যমে ওই রাতকে খাসও করেননি।

যদি ওই রাত উদ্‌যাপন করা বিধেয় (শরিয়তসম্মত) হত, তবে অবশ্যই রাসূল ﷺ কথা বা কাজের মাধ্যমে তা উম্মতের নিকট বর্ণনা করতেন। এরকম কিছু যদি সংঘটিত হত, তাহলে অবশ্যই তা সুবিদিত ও প্রসিদ্ধ হত। আর অবশ্যই সাহাবীগণ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুম) আমাদের নিকট তা বর্ণনা করতেন। তাঁরা তাঁদের নাবীর ﷺ নিকট থেকে উম্মতের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু বর্ণনা করেছেন। তাঁরা দ্বীনের কোনো বিষয়ের ক্ষেত্রে শিথিলতা করেননি। বরং তাঁরা ছিলেন যাবতীয় কল্যাণকর কাজে সবার অগ্রগামী।

যদি এই রাত উদ্‌যাপন করা বিধেয় হত, তাহলে অবশ্যই তাঁরা ওই কাজ করতে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে অগ্রগামী হতেন। মানবজাতিকে নসিহত করার ক্ষেত্রে নাবী ﷺ ছিলেন সবচেয়ে বড়ো নসিহতদাতা। তিনি পূর্ণরূপে তাঁর রিসালাত পৌঁছে দিয়েছেন এবং (তাঁর ওপর অর্পিত) আমানত আদায় করেছেন। যদি এই রাতকে সম্মান করা এবং তা উদ্‌যাপন করা আল্লাহ’র দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত হত, তাহলে নাবী ﷺ তা ভুলে যেতেন না এবং তা গোপনও করতেন না। যেহেতু এরকম কিছু সংঘটিত হয়নি, সেহেতু এটা জানা গেল যে, এই রাত উদ্‌যাপন করা এবং এই রাতকে সম্মান করা ইসলামের অন্তর্ভুক্ত নয়।”

[ইমাম ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ), মাজমূ‘উ ফাতাওয়া ওয়া মাক্বালাতুম মুতানাওয়্যা‘আহ; খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ১৮৩-১৮৪; দারুল ক্বাসিম, রিয়াদ কর্তৃক প্রকাশিত; সন: ১৪২০ হিজরী (১ম প্রকাশ)]

সৌদি আরবের ‘ইলমী গবেষণা ও ফাতাওয়া প্রদানের স্থায়ী কমিটির ফাতওয়া।

অনুবাদক: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
 
Similar threads Most view View more
Back
Top