প্রশ্নোত্তর মাযহাব মানা কী ওয়াজিব?

Golam Rabby

Knowledge Sharer

ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Top Active User
Joined
Jan 3, 2023
Threads
985
Comments
1,171
Solutions
1
Reactions
10,781
সৌদি আরবের প্রাক্তন গ্রান্ড মুফতি ইমাম ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] ‘সাফওয়াতুত তাফাসীর’ গ্রন্থের রচয়িতা মুহাম্মাদ ‘আলী সাবূনীকে (জন্ম: ১৯৩০ খ্রি.) রদ (খণ্ডন) করতে গিয়ে বলেছেন,

“চার ইমামের তাক্বলীদ করার ব্যাপারে তিনি বলেছেন, এটা হলো সবচেয়ে বড়ো ওয়াজিব! নিঃসন্দেহে সার্বজনিকভাবে এমন কথা বলা ভুল। কেননা চার ইমামের কারও কিংবা অন্য কারও তাক্বলীদ করা ওয়াজিব নয়, তাঁর ‘ইলম যে পর্যায়েরই হোক না কেন। যেহেতু কিতাব ও সুন্নাহর অনুসরণের মধ্যেই হক রয়েছে, কোনো মানুষের তাক্বলীদ করার মধ্যে হক নেই। অবশ্য একেবারে শেষ পর্যায়ে গিয়ে (নিতান্তই বাধ্য হয়ে) প্রয়োজন দেখা দিলে সেই ব্যক্তির তাক্বলীদ করা বৈধ রয়েছে, যিনি ‘ইলম, ফজল ও দৃঢ় ‘আক্বীদাহর ব্যাপারে হয়েছেন সুপরিচিত।

যেমনটি ‘আল্লামাহ ইবনুল ক্বাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর “ই‘লামুল মুওয়াক্বক্বি‘ঈন” গ্রন্থে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। একারণেই ইমামগণ (রাহিমাহুল্লাহ) এ ব্যাপারে সন্তোষ ছিলেন না যে, কিতাব ও সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক হয়—তাঁদের এমন কথা (মানুষের কাছে) গৃহীত হবে। ইমাম মালিক (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, “এই কবরবাসী ব্যতীত প্রত্যেকের কথাই গৃহীত হতে পারে, আবার বর্জনীয়ও হতে পারে।” এ কথা বলে তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কবরের দিকে ইশারা করলেন। কাছাকাছি অর্থে তাঁর অন্য ইমাম ভাইয়েরাও অনুরূপ কথা বলেছেন।

সুতরাং যে ব্যক্তি কিতাব ও সুন্নাহ থেকে (সিদ্ধান্ত) গ্রহণ করতে সক্ষম, তার জন্য ফরজে আইন হচ্ছে—সে কোনো মানুষের তাক্বলীদ করবে না, আর মতানৈক্যের সময় যেই মত হকের অধিক নিকটবর্তী, সেই মত গ্রহণ করবে। আর যে ব্যক্তি এতে সক্ষম নয়, তার জন্য ‘উলামাদেরকে জিজ্ঞাসা করা বিধেয়। মহান আল্লাহ বলেছেন, “তোমরা যদি না জান, তাহলে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস করো।” (সূরাহ নাহল: ৪৩; সূরাহ আম্বিয়া: ৭)”



[ইমাম ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ), মাজমূ‘উ ফাতাওয়া ওয়া মাক্বালাতুম মুতানাওয়্যা‘আহ; খণ্ড: ৩; পৃষ্ঠা: ৫২; দারুল ক্বাসিম, রিয়াদ কর্তৃক প্রকাশিত; প্রকাশকাল: ১৪২০ হিজরি]

[Salafi Forum]
 
Similar threads Most view View more
Back
Top