- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 647
- Comments
- 790
- Reactions
- 6,876
- Thread Author
- #1
পুরুষের কাফনের নিয়ম-
১. পুরুষকে তিনটি কাপড়ে কাফন পরানো।
২. কাপড় তিনটি সাদা হওয়া। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা সাদা কাপড় পরিধান করো, তোমাদের উত্তম কাপড় হচ্ছে সাদা,
তাতেই তোমাদের মৃতদের কাফন দাও।” [আবু দাউদ: ৩৮৭৮; তিরমিযী: ১৯৪; ইবন মাজাহ: ১৪৭২]
৩. কাপড় তিনটি সুতরা হওয়ার হওয়া বাঞ্চনীয়।
৪. কারো কারো মতে, এর মধ্য থেকে একটির ভিন্ন রংয়ের পাড় থাকা উত্তম। কারণ হাদীসে এসেছে, “তোমাদের কেউ যদি মারা যায় সে যদি কিছু পায় তবে যেন ‘হাবিরা’ ভিন্ন পাড় বিশিষ্ট কাপড় দিয়ে তাকে কাফন পরিধান করায়”। [আবু দাউদ: ৩১৫০]
৫. কাফনের কাপড়ে সুগন্ধি মিশ্রিত করবে।
৬. অতঃপর কাপড় তিনটি একটির উপর অন্যটি বিছাবে।
৭. এতে হানূত তথা সুগন্ধি মিশাবে।
৮. অতঃপর মৃতব্যক্তিকে এসব লিফাফার উপর সোজা করে চিৎ করে শোয়াবে।
৯. তার দুই নিতম্বের মাঝে তুলা দিবে এবং পাজামার রশির মতো রশি দিয়ে নেকড়া বা তুলা বেধে দিবে।
১০. তার সতর ঢেকে দিবে এবং সমস্ত শরীরে সুগন্ধি মাখাবে।
১১. অতঃপর সবচেয়ে নিচের বামপাশের কাপড় ভাজ করে ডান দিকে দিবে এবং ডানপাশের কাপড় ভাজ করে বাম দিকে দিবে।
১২. এভাবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় কাপড় ভাজ করে দিবে।
১৩. মাথার দিকে একটু বেশি রাখবে এবং
১৪. কাফন আড়াআড়ি মুড়িয়ে ভাজ করে দিবে।
১৫. তবে কবরে নামানোর পরে মোড়ানো বাঁধ খুলে দিবে।
১৬. শিশুকে একটি কাফন পরাবে, তাকে তিনটি কাফন পরানোও জায়েয।
মহিলার কাফনের নিয়ম-
১. মহিলার কাফন পুরুষের মতই। তবে, মহিলার কাপড় হবে পাঁচটি। কারণ লাইলা বিনতে কায়েফ আস-সাক্বাফিয়্যাহ বলেন, “আমি তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম, যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের কন্যা উম্মে কুলসুমকে তার মৃত্যুর পর গোসল দিয়েছিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমে লুঙ্গি পরানোর নির্দেশ দিলেন, তারপর কামীছ, তারপর উড়না, তারপর একটি চাদর, তারপর আরেকটি কাপড়ের ভিতর প্রবেশ করালেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম দরজার কাছে বসা ছিলেন। তার হাতে তার কাফনের কাপড় ছিল। তিনি আমাদেরকে একটি একটি করে কাপড় দিচ্ছিলেন।” [আবু দাউদ: ৩১৫৭; তবে সনদ দুর্বল] ইবনুল মুনযির বলেন, অধিকাংশ আলেম থেকে আমি যা জেনেছি তা হচ্ছে, মহিলাদেরকে পাঁচটি কাপড়ে কাফন দেয়া হবে। এটি মুস্তাহাব হওয়ার কারণ, দুনিয়ার জীবনেও সে পুরুষের চেয়ে তার সতর ঢাকার জন্য বাড়তি কাপড় ব্যবহার করতো; সুতরাং মৃত্যুর পরও তার জন্য সেটার ব্যবস্থা করতে হবে। [আল-মুগনী
(২/৪৭০), আল-মাজমূ' (৫/২০৫)]
২. মহিলাকে প্রথমে লুঙ্গি (যা নিচে থাকবে) পরাবে,
৩. অতঃপর কামীছ (জামা),
৪. অতঃপর খেমার বা উড়না (যা দিয়ে মাথা ঢাকবে),
৫. অতঃপর দু'টি বড় লিফাফা দিয়ে পেচিয়ে দিবে।
# অকালপ্রসূত ভ্রূণ যদি চার মাস অতিক্রান্ত করে মারা যায়, তবে তাকে মৃত ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হবে এবং তাকে গোসল দিবে ও জানাযা পড়বে। যদিও হানাফী মাযহাব মতে দুনিয়াতে আসার পর জীবন থাকলে সে শুধুমাত্র মৃত ব্যক্তি হিসেবে ধরা হবে এবং তাকে গোসল, জানাযা পড়াতে হবে। কিন্তু প্রথম মতটি শক্তিশালী; কারণ কুরআন ও হাদীস অনুযায়ী একশত বিশ দিন পরে তার শরীরে রূহ ফুঁকে দেয়া হয়।
সূত্র: উমদাতুল আহকাম (সবুজপত্র পাবলিকেশন), প্রথম খন্ড, 'সালাত' অধ্যায়
১. পুরুষকে তিনটি কাপড়ে কাফন পরানো।
২. কাপড় তিনটি সাদা হওয়া। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা সাদা কাপড় পরিধান করো, তোমাদের উত্তম কাপড় হচ্ছে সাদা,
তাতেই তোমাদের মৃতদের কাফন দাও।” [আবু দাউদ: ৩৮৭৮; তিরমিযী: ১৯৪; ইবন মাজাহ: ১৪৭২]
৩. কাপড় তিনটি সুতরা হওয়ার হওয়া বাঞ্চনীয়।
৪. কারো কারো মতে, এর মধ্য থেকে একটির ভিন্ন রংয়ের পাড় থাকা উত্তম। কারণ হাদীসে এসেছে, “তোমাদের কেউ যদি মারা যায় সে যদি কিছু পায় তবে যেন ‘হাবিরা’ ভিন্ন পাড় বিশিষ্ট কাপড় দিয়ে তাকে কাফন পরিধান করায়”। [আবু দাউদ: ৩১৫০]
৫. কাফনের কাপড়ে সুগন্ধি মিশ্রিত করবে।
৬. অতঃপর কাপড় তিনটি একটির উপর অন্যটি বিছাবে।
৭. এতে হানূত তথা সুগন্ধি মিশাবে।
৮. অতঃপর মৃতব্যক্তিকে এসব লিফাফার উপর সোজা করে চিৎ করে শোয়াবে।
৯. তার দুই নিতম্বের মাঝে তুলা দিবে এবং পাজামার রশির মতো রশি দিয়ে নেকড়া বা তুলা বেধে দিবে।
১০. তার সতর ঢেকে দিবে এবং সমস্ত শরীরে সুগন্ধি মাখাবে।
১১. অতঃপর সবচেয়ে নিচের বামপাশের কাপড় ভাজ করে ডান দিকে দিবে এবং ডানপাশের কাপড় ভাজ করে বাম দিকে দিবে।
১২. এভাবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় কাপড় ভাজ করে দিবে।
১৩. মাথার দিকে একটু বেশি রাখবে এবং
১৪. কাফন আড়াআড়ি মুড়িয়ে ভাজ করে দিবে।
১৫. তবে কবরে নামানোর পরে মোড়ানো বাঁধ খুলে দিবে।
১৬. শিশুকে একটি কাফন পরাবে, তাকে তিনটি কাফন পরানোও জায়েয।
মহিলার কাফনের নিয়ম-
১. মহিলার কাফন পুরুষের মতই। তবে, মহিলার কাপড় হবে পাঁচটি। কারণ লাইলা বিনতে কায়েফ আস-সাক্বাফিয়্যাহ বলেন, “আমি তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম, যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের কন্যা উম্মে কুলসুমকে তার মৃত্যুর পর গোসল দিয়েছিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমে লুঙ্গি পরানোর নির্দেশ দিলেন, তারপর কামীছ, তারপর উড়না, তারপর একটি চাদর, তারপর আরেকটি কাপড়ের ভিতর প্রবেশ করালেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম দরজার কাছে বসা ছিলেন। তার হাতে তার কাফনের কাপড় ছিল। তিনি আমাদেরকে একটি একটি করে কাপড় দিচ্ছিলেন।” [আবু দাউদ: ৩১৫৭; তবে সনদ দুর্বল] ইবনুল মুনযির বলেন, অধিকাংশ আলেম থেকে আমি যা জেনেছি তা হচ্ছে, মহিলাদেরকে পাঁচটি কাপড়ে কাফন দেয়া হবে। এটি মুস্তাহাব হওয়ার কারণ, দুনিয়ার জীবনেও সে পুরুষের চেয়ে তার সতর ঢাকার জন্য বাড়তি কাপড় ব্যবহার করতো; সুতরাং মৃত্যুর পরও তার জন্য সেটার ব্যবস্থা করতে হবে। [আল-মুগনী
(২/৪৭০), আল-মাজমূ' (৫/২০৫)]
২. মহিলাকে প্রথমে লুঙ্গি (যা নিচে থাকবে) পরাবে,
৩. অতঃপর কামীছ (জামা),
৪. অতঃপর খেমার বা উড়না (যা দিয়ে মাথা ঢাকবে),
৫. অতঃপর দু'টি বড় লিফাফা দিয়ে পেচিয়ে দিবে।
# অকালপ্রসূত ভ্রূণ যদি চার মাস অতিক্রান্ত করে মারা যায়, তবে তাকে মৃত ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হবে এবং তাকে গোসল দিবে ও জানাযা পড়বে। যদিও হানাফী মাযহাব মতে দুনিয়াতে আসার পর জীবন থাকলে সে শুধুমাত্র মৃত ব্যক্তি হিসেবে ধরা হবে এবং তাকে গোসল, জানাযা পড়াতে হবে। কিন্তু প্রথম মতটি শক্তিশালী; কারণ কুরআন ও হাদীস অনুযায়ী একশত বিশ দিন পরে তার শরীরে রূহ ফুঁকে দেয়া হয়।
সূত্র: উমদাতুল আহকাম (সবুজপত্র পাবলিকেশন), প্রথম খন্ড, 'সালাত' অধ্যায়
Last edited: