মোটিভেশন মহান রব কারো প্রতি যুলুম করবেন না! তাক্বদীর!

দুনিয়ার দুঃখ-কষ্ট দেখে যদি আপনি আল্লাহর প্রতি ঈমান হারিয়ে ফেলেন, তাঁর কাছে কিছু চাওয়া বা আশা করাকে ব্যর্থ মনে করেন, তবে আপনার চিন্তার ভিত্তি ভুল। পৃথিবীতে প্রেরিত সর্বোত্তম পুরুষ—নবী মুহাম্মদ ﷺ এবং তার সর্বোত্তম অনুসারীরাও আল্লাহর পরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছেন, দুঃখ-কষ্টে থেকেছেন, কিন্তু তারা কখনও আল্লাহর প্রতি অভিযোগ করেননি। বরং, তারা ধৈর্য ধরে উত্তম প্রতিফলের আশা করেছেন। আল্লাহ তাদের অবস্থার মাধ্যমে ভবিষ্যতের মানুষের জন্য অভিযোগ করার সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। নবী মুহাম্মদ ﷺ-এর পূর্ববর্তী সকল নবী এবং তাদের অনুসারীদের দৃষ্টান্ত তো আমাদের সামনে আছেই।

তাহলে বুঝতে হবে, সমস্যা আল্লাহর নিয়মে নয়, বরং আমাদের বোঝার ভুলে। তিক্ত হলেও সত্য হলো, আপনার অন্তরের বক্রতা, দ্বিধা, এবং সেই সত্যের পথে চলতে ভীতি রয়েছে। আমরা এমন একটি মানসিকতা তৈরি করেছি যেন ধৈর্য আমাদের জন্য হারাম হয়ে গেছে—আমরা সবকিছু তাড়াহুড়ো করে চাই।

যেভাবে আপনি চাইলেও পৃথিবীতে দুঃখ-কষ্ট এড়াতে পারেন না, কারণ এটি আল্লাহর পরীক্ষা ও তাঁর বিশ্ব পরিচালনার নিয়মের অংশ, ঠিক তেমনি আপনি না চাইলেও আল্লাহর অবাধ্যতার ফলস্বরূপ জাহান্নামের শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন। আর সেখানে কোনো অভিযোগ বা অজুহাত গ্রহণ করা হবে না। সেদিন আমাদের কৃতকর্মের পূর্ণ হিসাব নেওয়া হবে এবং কারও প্রতি অন্যায় করা হবে না।

আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন এবং আমাদের অন্তরকে ধৈর্যের মাধ্যমে সুশোভিত করুন।

আল্লাহ তার নিজের নিয়মেই বিশ্ব পরিচালনা করেন, এবং তার এই নিয়মে কোনো পরিবর্তন নেই। তাকে কেউ প্রশ্ন করতেও পারবে না, কারণ তিনি সবকিছু থেকে অমুখাপেক্ষী এবং সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। কিন্তু মানুষ তাকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করে না।

তাক্বদীর আল্লাহর এক গোপন রহস্য, এবং এটিই তার স্থিরকৃত নিয়ম। আমাদের জন্য এ নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। বরং বান্দা হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো, আল্লাহ যে কাজগুলো আমাদের ওপর অর্পণ করেছেন, সেগুলো নিয়েই চিন্তা করা।

বান্দার প্রশ্ন হওয়া উচিত কী বা কেন নয়, বরং কিভাবে। কিভাবে আপনার সন্তুষ্টি পাব? কিভাবে আপনার চেহারা দর্শন করব? কিভাবে জান্নাতে পৌঁছাব?

এ সব প্রশ্নের উত্তর কুরআন ও হাদীসের পাতায় পাতায় বিদ্যমান। তাই নিজের মেধাকে সঠিক পথে ব্যয় করুন।

সর্বশেষ-
সর্বশেষ তাক্বদীর বিষয়ক এক বিদ্বানের কথা এনে শেষ করলাম।

মুমিন, আনন্দে আত্মহারা হয়না এবং বিপদে ধৈর্যহারা হয়না

ড. প্রফেসর মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব.
উক্ত কথার মূলভাব বিভিন্ন আছার দ্বারা প্রমাণিত

 
Last edited by a moderator:
Back
Top