Inquisitive
Q&A Master
Salafi User
- Joined
- Feb 23, 2023
- Threads
- 367
- Comments
- 419
- Reactions
- 2,103
- Thread Author
- #1
ইসলামের মৌলিক নির্দেশনা হলো, যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে হালাল এবং হারামের সীমারেখা মেনে চলা। যেসব আত্মীয় নামাজ পড়ে না তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার বিষয়ে ইসলামে একটি ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। নিচে এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হলো:
“আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, যার নাম নিয়ে তোমরা একে অপরের কাছে কিছু চাও, এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যাপারে সাবধান থাকো।” [সূরা আন-নিসা: ১]
তাই আত্মীয় যদি নামাজ না পড়ে তবুও তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা এবং তাদের প্রতি সদ্ব্যবহার করা জরুরি।
যেমন: আল্লাহ বলেন,
“আর তুমি নামাজ কায়েম করো। নামাজ অশ্লীলতা এবং অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে। আর আল্লাহর জিকির সবচেয়ে বড়। আল্লাহ জানেন যা কিছু তোমরা করো।” [সূরা আল-আনকাবুত: ৪৫]
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন,
"তোমাদেরকে কীসে সাকার (জাহান্নামের আগুন)- এ নিক্ষেপ করেছে? তারা বলবে, ‘আমরা সালাত আদায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না।" [সূরা মুদ্দাসসির: ৪২ ও ৪৩]
সুতরাং তাদের দাওয়াত গ্রহন করে তাদেরকে নামাজের গুরুত্ব বোঝানোর সুযোগ থাকলে সেটি সদ্ব্যবহার করা উচিত।
মোটকথা, বেনামাজির দাওয়াত গ্রহণ করা জায়েজ, যদি খাবার হালাল এবং পরিবেশ ইসলামসম্মত হয়। চাই তারা আত্মীয় হোক বা না হোক।
সম্পর্ক বজায় রাখা ইসলামের নির্দেশ তবে ইমান-আখলাকের সঙ্গে আপোস না করে। সেই সাথে তাদের প্রতি সদাচরণ করা এবং দাওয়াহ দেওয়ার চেষ্টা করা নিঃসন্দেহে উত্তম ও সওয়াবের কাজ।
আল্লাহ তাওফিক দান করুন। আমিন।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ এবং আমল করার তৌফিক দান করুন।
আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা:
ইসলামে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা এবং তাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন,وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ ٱلَّذِی تَسَاۤءَلُونَ بِهِۦ وَٱلۡأَرۡحَامَۚ
“আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, যার নাম নিয়ে তোমরা একে অপরের কাছে কিছু চাও, এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যাপারে সাবধান থাকো।” [সূরা আন-নিসা: ১]
তাই আত্মীয় যদি নামাজ না পড়ে তবুও তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা এবং তাদের প্রতি সদ্ব্যবহার করা জরুরি।
তাদের বাসায় খাওয়া বা দাওয়াত রক্ষা করা:
যদি তাদের বাসায় দেওয়া খাবার হালাল হয় (অর্থাৎ হারাম উপাদান বা হারাম ভাবে উপার্জিত না হয়) তাহলে তাদের দাওয়াত গ্রহণ করা জায়েজ। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিভিন্ন সময় কুরাইশদের মধ্যে এমন অনেকের দাওয়াত গ্রহণ করেছেন, যারা কাফের ছিল। তিনি বিভিন্ন সময় ইহুদিদের বাড়িতেও দাওয়াত খেয়েছেন। তবে বেনামাজির বাড়িতে দাওয়াত খাওয়া এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে গিয়ে নিজ ইমানি মূল্যবোধের সঙ্গে আপোস করা যাবে না।দাওয়াতের সুযোগে দাওয়াহ দেওয়া:
বেনামাজির বাসায় গেলে সদাচরণের মাধ্যমে এবং সুসম্পর্কের ভিত্তিতে সঠিক সময়ে কৌশলে ইসলামের গুরুত্ব, বিশেষত নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরতে পারেন। কুরআনে নামাজের ব্যাপারে অনেক বেশি তাগিদ এসেছে।যেমন: আল্লাহ বলেন,
وَأَقِمِ ٱلصَّلَوٰةَۖ إِنَّ ٱلصَّلَوٰةَ تَنۡهَىٰ عَنِ ٱلۡفَحۡشَاۤءِ وَٱلۡمُنكَرِۗ وَلَذِكۡرُ ٱللَّهِ أَكۡبَرُۗ وَٱللَّهُ یَعۡلَمُ مَا تَصۡنَعُونَ
“আর তুমি নামাজ কায়েম করো। নামাজ অশ্লীলতা এবং অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে। আর আল্লাহর জিকির সবচেয়ে বড়। আল্লাহ জানেন যা কিছু তোমরা করো।” [সূরা আল-আনকাবুত: ৪৫]
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন,
مَا سَلَكَكُمۡ فِي سَقَرَ -قَالُواْ لَمۡ نَكُ مِنَ ٱلۡمُصَلِّينَ
"তোমাদেরকে কীসে সাকার (জাহান্নামের আগুন)- এ নিক্ষেপ করেছে? তারা বলবে, ‘আমরা সালাত আদায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না।" [সূরা মুদ্দাসসির: ৪২ ও ৪৩]
সুতরাং তাদের দাওয়াত গ্রহন করে তাদেরকে নামাজের গুরুত্ব বোঝানোর সুযোগ থাকলে সেটি সদ্ব্যবহার করা উচিত।
সতর্কতা অবলম্বন:
বেনামাজি পরিবেশে যদি এমন কোনো কাজ-কর্ম বা আচরণ দেখা যায় যা ইসলামের দৃষ্টিতে স্পষ্টভাবে হারাম (যেমন: হারাম পানীয়, গান-বাজনা, অশ্লীলতা, বেপর্দা, নারী-পুরুষ অবাধ মেলামেশা ইত্যাদি) তবে সেখান থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। প্রয়োজনে বিনয়ের সঙ্গে তাদের অবগত করে দাওয়াত এড়িয়ে চলা যেতে পারে।মোটকথা, বেনামাজির দাওয়াত গ্রহণ করা জায়েজ, যদি খাবার হালাল এবং পরিবেশ ইসলামসম্মত হয়। চাই তারা আত্মীয় হোক বা না হোক।
সম্পর্ক বজায় রাখা ইসলামের নির্দেশ তবে ইমান-আখলাকের সঙ্গে আপোস না করে। সেই সাথে তাদের প্রতি সদাচরণ করা এবং দাওয়াহ দেওয়ার চেষ্টা করা নিঃসন্দেহে উত্তম ও সওয়াবের কাজ।
আল্লাহ তাওফিক দান করুন। আমিন।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ এবং আমল করার তৌফিক দান করুন।
- আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল