Student Of Knowledge
Forum Staff
Moderator
Uploader
Exposer
HistoryLover
Salafi User
বিধান প্রযোজ্য হবে বাহ্যিক বিষয়ের উপর, অন্তরের বিষয়ের উপর নয়!
━━━━━━━━━━━━━
》উসামাহ ইবনু যায়দ ইবনু হারিসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে জুহাইনা কওমের হারাকা শাখার বিরুদ্ধে পাঠালেন। আমরা ভোরে এ কওমের কাছে এলাম এবং তাদেরকে পরাস্ত করে ফেললাম। তিনি বলেন, আমি ও আনসারদের এক ব্যক্তি তাদের একজনকে ধাওয়া করে তার কাছে পৌঁছে গেলাম। তিনি বলেন, আমরা যখন আক্রমণ করতে উদ্যত হলাম তখন সে বলে উঠল, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্। তিনি বলেন, আনসারী ব্যক্তি তার থেকে বিরত হয়ে গেল। কিন্তু আমি তাকে আমার বর্শা দিয়ে আঘাত করে হত্যা করলাম। তিনি বলেন, আমরা যখন মদিনা্য় আসলাম, তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এ সংবাদ পৌঁছল। তিনি বলেন, আমাকে তিনি বললেনঃ হে উসামাহ! তুমি কি তাকে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ বলার পরও হত্যা করলে? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে আসলে হত্যা থেকে বাঁচতে চেয়েছিল। তিনি বললেনঃ আহা! তুমি কি তাকে ‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ্’ বলার পরও হত্যা করলে? তিনি বলেন, তিনি বারবার কথাটি আমাকে বলতে থাকলেন। এমন কি আমি কামনা করতে লাগলাম, যদি আমি ঐ দিনের আগে মুসলিম না হতাম। •[1]•
হাদিসের আরবীঃ
- عَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ حَدَّثَنَا حُصَيْنٌ حَدَّثَنَا أَبُو ظَبْيَانَ قَالَ سَمِعْتُ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ يُحَدِّثُ قَالَ بَعَثَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْحُرَقَةِ مِنْ جُهَيْنَةَ قَالَ فَصَبَّحْنَا الْقَوْمَ فَهَزَمْنَاهُمْ قَالَ وَلَحِقْتُ أَنَا وَرَجُلٌ مِنْ الأَنْصَارِ رَجُلاً مِنْهُمْ قَالَ فَلَمَّا غَشِينَاهُ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ قَالَ فَكَفَّ عَنْهُ الأَنْصَارِيُّ فَطَعَنْتُهُ بِرُمْحِي حَتَّى قَتَلْتُهُ قَالَ فَلَمَّا قَدِمْنَا بَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَقَالَ لِي يَا أُسَامَةُ أَقَتَلْتَهُ بَعْدَ مَا قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّمَا كَانَ مُتَعَوِّذًا قَالَ أَقَتَلْتَهُ بَعْدَ مَا قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ قَالَ فَمَا زَالَ يُكَرِّرُهَا عَلَيَّ حَتَّى تَمَنَّيْتُ أَنِّي لَمْ أَكُنْ أَسْلَمْتُ قَبْلَ ذَلِكَ الْيَوْمِ.
এ ঘটনার পরে তিনি(উসামা রাঃ) কসম করেন যে, তিনি কোনো মুসলিমের বিরুদ্ধে কখনই যুদ্ধ করবেন না। সে-কারণে তিনি আলী (রাঃ)-এর সময় ছিফফীনের যুদ্ধে যোগদান করেন নি।
সা'দ ইবন আবি ওয়াক্কাস (রাঃ)-ও একই নীতির উপর ছিলেন।
◈ ইমাম কুরতুবী বলেছেনঃ এতে দলীল রয়েছে যে, বিধান প্রযোজ্য হবে বাহ্যিক বিষয়ের উপর, অন্তরের বিষয়ের উপর নয়!
◈ ইবনু ত্বীন বলেন, (সে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলার পরেও তুমি তাকে হত্যা করেছ?) এই তিরস্কারের মধ্যে রয়েছে মহান শিক্ষা এবং শিক্ষার মধ্যে রয়েছে এমন এক ঘোষণা যে, পরবর্তীতে আর কেউ যেন তাওহীদের বাণী উচ্চারণকারীকে হত্যা করতে উদ্যত না হয়।
◈ ইমাম কুরতুবী (রাহিঃ) এও বলেন, রাসূল (সাঃ) এর এই বাণী বার বার উচ্চারণের মধ্যে এবং ওযর গ্রহণ না করার মধ্যে অনুরূপ পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে রয়েছে কঠিন ধমক। (ফাতহুল বারী)
▃▃▃▃▃▃▃▃▃▃▃▃▃▃▃▃▃▃▃▃▃▃▃
[1] বুখারীঃ হা/৬৮৭২ তাওঃ | বুখারীঃ হা/৬৪০৬ ইঃফাঃ
— [ হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবী "উসামাহ ইবনু যায়দ ইবনু হারিসা (রাঃ)" ]
━━━━━━━━━━━━━
জয়নাল বিন তোফাজ্জল
ইসলামিক স্টাডিস(বিভাগ), দনিয়া ইউনিভার্সিটি ঢাকা
ইসলামিক স্টাডিস(বিভাগ), দনিয়া ইউনিভার্সিটি ঢাকা