If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়া (রহঃ) বলেন, ‘ইলম ও ইবাদত বিষয়ক সর্বপ্রকার বিদ‘আত খুলাফায়ে রাশেদীনের খেলাফতকালের শেষের দিকেই প্রকাশ পায়।[1] যেমন এ বিষয়ে সতর্ক করে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি আমার পরে জীবিত থাকবে সে বহু ধরনের মতানৈক্য দেখতে পাবে। অতএব সে সময় তোমাদের অবশ্য কর্তব্য হবে আমার সুন্নাত ও আমার সুপথপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতকে চোয়ালের দাঁত দ্বারা মযবুতভাবে অাঁকড়ে ধরা। আর সাবধান! তোমরা (দ্বীনের ব্যাপারে) নতুন কাজ হতে বেঁচে থাকবে। কেননা প্রত্যেক নতুন কাজই বিদ‘আত’।[2]
ওছমান (রাঃ)-এর শাহাদত বরণের পরে যখন মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তির সৃষ্টি হ’ল, ঠিক তখনই সর্বপ্রথম ‘হারূরিয়্যাহ’ বিদ‘আত প্রকাশ লাভ করল। অতঃপর ছাহাবায়ে কেরামের শেষ যামানায় ‘কদর’ অর্থাৎ তাক্বদীর বলে কিছু নেই এই বিশ্বাসের বিদ‘আত প্রকাশ লাভ করে। তার পরপরই ‘ইরজা’ অর্থাৎ আমল ঈমানের অংশ নয় এই বিশ্বাসের বিদ‘আত, ‘তাশায়্যু’ অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পরে আলী (রাঃ) প্রথম খলীফা হওয়ার যোগ্য অধিকারী এই বিশ্বাসের উপর গঠিত বিদ‘আত এবং ‘খাওয়ারেজ’ অর্থাৎ কাবীরা গুনাহগার কাফের ও চিরস্থায়ী জাহান্নামী বিশ্বাসের বিদ‘আত প্রকাশ লাভ করে। অতঃপর তাবেঈনদের শেষ যামানায় ওমর ইবনে আব্দুল আযীয (রহঃ)-এর মৃত্যুর পরে খোরাসানে হিশাম ইবনে আব্দুল মালেক (রহঃ)-এর খেলাফতকালে জাহমিয়াহদের উৎপত্তি হয়। আর উল্লিখিত বিদ‘আতগুলি দ্বিতীয় শতাব্দী হিজরীতে সৃষ্টি হয়। সে সময় ছাহাবায়ে কেরামের অনেকেই জীবিত ছিলেন এবং তাঁরা এ সকল বিদ‘আতকে সাধ্যমত দমন করেছিলেন। অতঃপর ইসলামের সোনালী যুগের পরে এসে ‘মু‘তাযিলা’ (যারা নিজেদের জ্ঞান বা বিবেকের মানদন্ডে শরী‘আতকে মানে) বিদ‘আতের সৃষ্টি হয়। তারপর ‘তাছাউফ’ বা ‘ছূফীবাদ’ তথা কবরপূজারীদের জন্ম হয়। এভাবে যুগের আবর্তনে বিশ্বব্যাপী রকমারী বিদ‘আতের প্রাদুর্ভাব ঘটে।
[1]. ইবনু তাইমিয়াহ মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১০/৩৫৪ পৃঃ।
[2]. আবুদাউদ হা/৪৬০৭; তিরমিযী হা/২৬৭৬; ইবনু মাজাহ হা/৪২; মিশকাত হা/১৬৫, ‘সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা’ অনুচ্ছেদ, বঙ্গানুবাদ (এমদাদিয়া) ১/১২২ পৃঃ; আলবানী, সনদ ছহীহ।
مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ بَعْدِى فَسَيَرَى اخْتِلاَفاً كَثِيْراً، فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِى وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِيْنَ الْمَهْدِيِّيْنَ، عَضُّوْا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ، وَإِيَّاكُمْ وَالْمُحْدَثَاتِ، فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ-
‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি আমার পরে জীবিত থাকবে সে বহু ধরনের মতানৈক্য দেখতে পাবে। অতএব সে সময় তোমাদের অবশ্য কর্তব্য হবে আমার সুন্নাত ও আমার সুপথপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতকে চোয়ালের দাঁত দ্বারা মযবুতভাবে অাঁকড়ে ধরা। আর সাবধান! তোমরা (দ্বীনের ব্যাপারে) নতুন কাজ হতে বেঁচে থাকবে। কেননা প্রত্যেক নতুন কাজই বিদ‘আত’।[2]
ওছমান (রাঃ)-এর শাহাদত বরণের পরে যখন মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তির সৃষ্টি হ’ল, ঠিক তখনই সর্বপ্রথম ‘হারূরিয়্যাহ’ বিদ‘আত প্রকাশ লাভ করল। অতঃপর ছাহাবায়ে কেরামের শেষ যামানায় ‘কদর’ অর্থাৎ তাক্বদীর বলে কিছু নেই এই বিশ্বাসের বিদ‘আত প্রকাশ লাভ করে। তার পরপরই ‘ইরজা’ অর্থাৎ আমল ঈমানের অংশ নয় এই বিশ্বাসের বিদ‘আত, ‘তাশায়্যু’ অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পরে আলী (রাঃ) প্রথম খলীফা হওয়ার যোগ্য অধিকারী এই বিশ্বাসের উপর গঠিত বিদ‘আত এবং ‘খাওয়ারেজ’ অর্থাৎ কাবীরা গুনাহগার কাফের ও চিরস্থায়ী জাহান্নামী বিশ্বাসের বিদ‘আত প্রকাশ লাভ করে। অতঃপর তাবেঈনদের শেষ যামানায় ওমর ইবনে আব্দুল আযীয (রহঃ)-এর মৃত্যুর পরে খোরাসানে হিশাম ইবনে আব্দুল মালেক (রহঃ)-এর খেলাফতকালে জাহমিয়াহদের উৎপত্তি হয়। আর উল্লিখিত বিদ‘আতগুলি দ্বিতীয় শতাব্দী হিজরীতে সৃষ্টি হয়। সে সময় ছাহাবায়ে কেরামের অনেকেই জীবিত ছিলেন এবং তাঁরা এ সকল বিদ‘আতকে সাধ্যমত দমন করেছিলেন। অতঃপর ইসলামের সোনালী যুগের পরে এসে ‘মু‘তাযিলা’ (যারা নিজেদের জ্ঞান বা বিবেকের মানদন্ডে শরী‘আতকে মানে) বিদ‘আতের সৃষ্টি হয়। তারপর ‘তাছাউফ’ বা ‘ছূফীবাদ’ তথা কবরপূজারীদের জন্ম হয়। এভাবে যুগের আবর্তনে বিশ্বব্যাপী রকমারী বিদ‘আতের প্রাদুর্ভাব ঘটে।
[1]. ইবনু তাইমিয়াহ মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১০/৩৫৪ পৃঃ।
[2]. আবুদাউদ হা/৪৬০৭; তিরমিযী হা/২৬৭৬; ইবনু মাজাহ হা/৪২; মিশকাত হা/১৬৫, ‘সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা’ অনুচ্ছেদ, বঙ্গানুবাদ (এমদাদিয়া) ১/১২২ পৃঃ; আলবানী, সনদ ছহীহ।