Knowledge Sharer
ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 1,101
- Comments
- 1,292
- Solutions
- 1
- Reactions
- 12,163
- Thread Author
- #1
সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিগত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] বলেছেন :
কিছু বিদআত আছে যার জন্য একজন ব্যক্তি কে মাফ করা যেতে পারে, কিছু বিদআত আছে যা ফিসক (পাপ কাজ) পর্যন্ত পৌঁছে এবং কিছু বিদআত আছে যা কুফর পর্যায়ে পৌঁছে। যারা কুফর বিদআতের অনুসারী তাদের ব্যাপারে, তাদের সাহায্য করা মোটেও জায়েয নয়, যদিও তারা নিজেদেরকে মুসলিম বলে দাবি করে। কারণ তারা কুফর প্রমাণিত হওয়ার পরেও বিদআতের উপর অটল থাকা মানে এর অর্থ হলো তারা মুনাফিকদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ যারা বলেছিল। আল্লাহ বলেন; তারা বলে আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি নিশ্চয় আল্লাহর রাসূল। আর আল্লাহ জানেন যে, আপনি নিশ্চয় তাঁর রাসূল এবং আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।[১] তবে বিদআত সম্পর্কে যা ফিসক (অপকর্ম) গঠন করে বা যার জন্য একজন ব্যক্তির যুক্তিসঙ্গত অজুহাত থাকতে পারে, তারা যে বিদআত অনুসরণ করে তার মানে এই নয় যে- আমরা তাদের সাহায্য করার অনুমতি নেই। তাদেরকে কাফির শত্রুদের বিরুদ্ধে তাদের সাহায্য করা উচিত। কারণ, তারা নিঃসন্দেহে সেই কাফেরদের চেয়ে উত্তম। কিন্তু তাদের বিদ’আত প্রতিষ্ঠা বা প্রচারে দান-সাদকা করা থেকে বিরত রাখতে হবে। যদি এটা জানা যায় বা মনে করা হয় যে, তারা সেই দানের অর্থ তাদের বিদআতকে সমর্থন করার জন্য ব্যবহার করবে, এবং তাদের তা করা থেকে বিরত রাখা যাবে না তাহলে তাদের দান করা উচিত নয়। কারণ, এটি তাদের পাপের কাজে তাদেরকে সাহায্য করা হবে। আল্লাহ মুমিন ব্যক্তিদেরকে ভালো কাজে সহযোগিতা করতে আদেশ করেছেন এবং অন্যায়, অসৎ, হারাম ও বিদআতী কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করতে নিষেধ করেছেন। [২]
[১] সূরা আল-মুনাফিকুন: ১
[২] সূরা আল-মায়িদাহ: ২
– উসামীন লিক্বাউল বাব আল-মাফতূহ, খন্ড: ১ পৃষ্ঠা: ৬৬
কিছু বিদআত আছে যার জন্য একজন ব্যক্তি কে মাফ করা যেতে পারে, কিছু বিদআত আছে যা ফিসক (পাপ কাজ) পর্যন্ত পৌঁছে এবং কিছু বিদআত আছে যা কুফর পর্যায়ে পৌঁছে। যারা কুফর বিদআতের অনুসারী তাদের ব্যাপারে, তাদের সাহায্য করা মোটেও জায়েয নয়, যদিও তারা নিজেদেরকে মুসলিম বলে দাবি করে। কারণ তারা কুফর প্রমাণিত হওয়ার পরেও বিদআতের উপর অটল থাকা মানে এর অর্থ হলো তারা মুনাফিকদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ যারা বলেছিল। আল্লাহ বলেন; তারা বলে আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি নিশ্চয় আল্লাহর রাসূল। আর আল্লাহ জানেন যে, আপনি নিশ্চয় তাঁর রাসূল এবং আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।[১] তবে বিদআত সম্পর্কে যা ফিসক (অপকর্ম) গঠন করে বা যার জন্য একজন ব্যক্তির যুক্তিসঙ্গত অজুহাত থাকতে পারে, তারা যে বিদআত অনুসরণ করে তার মানে এই নয় যে- আমরা তাদের সাহায্য করার অনুমতি নেই। তাদেরকে কাফির শত্রুদের বিরুদ্ধে তাদের সাহায্য করা উচিত। কারণ, তারা নিঃসন্দেহে সেই কাফেরদের চেয়ে উত্তম। কিন্তু তাদের বিদ’আত প্রতিষ্ঠা বা প্রচারে দান-সাদকা করা থেকে বিরত রাখতে হবে। যদি এটা জানা যায় বা মনে করা হয় যে, তারা সেই দানের অর্থ তাদের বিদআতকে সমর্থন করার জন্য ব্যবহার করবে, এবং তাদের তা করা থেকে বিরত রাখা যাবে না তাহলে তাদের দান করা উচিত নয়। কারণ, এটি তাদের পাপের কাজে তাদেরকে সাহায্য করা হবে। আল্লাহ মুমিন ব্যক্তিদেরকে ভালো কাজে সহযোগিতা করতে আদেশ করেছেন এবং অন্যায়, অসৎ, হারাম ও বিদআতী কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করতে নিষেধ করেছেন। [২]
[১] সূরা আল-মুনাফিকুন: ১
[২] সূরা আল-মায়িদাহ: ২
– উসামীন লিক্বাউল বাব আল-মাফতূহ, খন্ড: ১ পৃষ্ঠা: ৬৬