Blogger
বদনজর লাগলে করনীয় কি?
বদনজরের শরয়ী চিকিৎসা হলো শরয়ী ঝাড়ফুঁক অথবা গোসল। যার চোখ দ্বারা বদনজর লেগেছে বলে মনে হয়, তকে অনুরোধ করে তার ওজু বা গোসল করা পানি দিয়ে রোগীকে গোসল করানো। তাতে বদনজর ভালো হয়ে যায়। (মুওয়াত্ত্বা মালিক, ত্ববারানী, মিশকাত হা/৪৫৬২)
বদ নজর লাগার আগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়াতে কোনো দোষ নেই। এটা আল্লাহর ওপর ভরসা করার পরিপন্থীও নয়। কারণ, আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণভাবে ভরসার স্বরূপ হলো বান্দা বৈধ উপকরণ অবলম্বন করে বদনজর ইত্যাদি থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবে এবং সেই সাথে আল্লাহর ওপর ভরসা করবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান-হুসাইন রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে এ বাক্যগুলো দিয়ে ঝাড়-ফুঁক করতেন:
«أُعِيْذُكُماَ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ»
উচ্চারণঃ উঈযুকুমা বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাহ, মিন কুল্লি শায়ত্ব-নিউ অ হা-ম্মাহ, অমিন কুল্লি আইনিল লা-ম্মাহ।
“আমি আল্লাহর কাছে তাঁর পরিপূর্ণ বাক্যের মাধ্যমে প্রতিটি শয়তান এবং বিষধর বস্তু ও কষ্ট দায়ক নযর হতে তোমাদের জন্য আশ্রয় চাচ্ছি।”[আবু দাউদ, অধ্যায়: কিতাবুস সুন্নাহ] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তার পুত্র ইসহাক এবং ইসমাঈল আলাইহিস সালামকে এ দো‘আর মাধ্যমে ঝাড়-ফুক করতেন।[সহীহ বুখারী, অধ্যায়: নবীদের হাদীস]
এছাড়াও সূরা নাস, ফালাক পড়ে ঝাড়-ফুঁক করা যায়। নিম্নের দোয়াটিও পড়া যায়-
بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ , وَمِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنٍ أَوْ حَاسِدٍ , اللَّهُ يَشْفِيكَ بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ
উচ্চারণঃ- বিসমিল্লা-হি আরক্বীক, মিন কুল্লি শাইয়িন য়্যু’যীক, অমিন শাররি কুল্লি নাফসিন আউ আইনি হা-সিদ, আল্লা-হু য়্যাশফীক, বিসমিল্লা-হি আরক্বীক।
অর্থঃ আমি তোমাকে আল্লাহর নাম নিয়ে প্রত্যেক কষ্টদায়ক বস্তু থেকে এবং প্রত্যেক আত্মা অথবা বদনজরের অনিষ্ট থেকে মুক্তি পেতে ঝাড়ছি। আল্লাহ তোমাকে আরোগ্য দান করুন। আল্লাহর নাম নিয়ে তোমাকে ঝাড়ছি। (মুসলিম, তিরমিযী)
আল্লাহু আ'লাম।
বদনজরের শরয়ী চিকিৎসা হলো শরয়ী ঝাড়ফুঁক অথবা গোসল। যার চোখ দ্বারা বদনজর লেগেছে বলে মনে হয়, তকে অনুরোধ করে তার ওজু বা গোসল করা পানি দিয়ে রোগীকে গোসল করানো। তাতে বদনজর ভালো হয়ে যায়। (মুওয়াত্ত্বা মালিক, ত্ববারানী, মিশকাত হা/৪৫৬২)
বদ নজর লাগার আগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়াতে কোনো দোষ নেই। এটা আল্লাহর ওপর ভরসা করার পরিপন্থীও নয়। কারণ, আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণভাবে ভরসার স্বরূপ হলো বান্দা বৈধ উপকরণ অবলম্বন করে বদনজর ইত্যাদি থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবে এবং সেই সাথে আল্লাহর ওপর ভরসা করবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান-হুসাইন রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে এ বাক্যগুলো দিয়ে ঝাড়-ফুঁক করতেন:
«أُعِيْذُكُماَ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ»
উচ্চারণঃ উঈযুকুমা বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাহ, মিন কুল্লি শায়ত্ব-নিউ অ হা-ম্মাহ, অমিন কুল্লি আইনিল লা-ম্মাহ।
“আমি আল্লাহর কাছে তাঁর পরিপূর্ণ বাক্যের মাধ্যমে প্রতিটি শয়তান এবং বিষধর বস্তু ও কষ্ট দায়ক নযর হতে তোমাদের জন্য আশ্রয় চাচ্ছি।”[আবু দাউদ, অধ্যায়: কিতাবুস সুন্নাহ] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তার পুত্র ইসহাক এবং ইসমাঈল আলাইহিস সালামকে এ দো‘আর মাধ্যমে ঝাড়-ফুক করতেন।[সহীহ বুখারী, অধ্যায়: নবীদের হাদীস]
এছাড়াও সূরা নাস, ফালাক পড়ে ঝাড়-ফুঁক করা যায়। নিম্নের দোয়াটিও পড়া যায়-
بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ , وَمِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنٍ أَوْ حَاسِدٍ , اللَّهُ يَشْفِيكَ بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ
উচ্চারণঃ- বিসমিল্লা-হি আরক্বীক, মিন কুল্লি শাইয়িন য়্যু’যীক, অমিন শাররি কুল্লি নাফসিন আউ আইনি হা-সিদ, আল্লা-হু য়্যাশফীক, বিসমিল্লা-হি আরক্বীক।
অর্থঃ আমি তোমাকে আল্লাহর নাম নিয়ে প্রত্যেক কষ্টদায়ক বস্তু থেকে এবং প্রত্যেক আত্মা অথবা বদনজরের অনিষ্ট থেকে মুক্তি পেতে ঝাড়ছি। আল্লাহ তোমাকে আরোগ্য দান করুন। আল্লাহর নাম নিয়ে তোমাকে ঝাড়ছি। (মুসলিম, তিরমিযী)
আল্লাহু আ'লাম।