প্রশ্নোত্তর ফাসেক কাকে বলে?

Samir Khan

Member

Joined
Mar 21, 2023
Threads
2
Comments
5
Reactions
12
ফাসেক শব্দটি ফিসক শব্দ থেকে উৎকলিত ‘ফিসক’ শব্দের অর্থ হচ্ছে অবাধ্যতা। বাংলাতে ‘ফাসেক’ শব্দের অর্থ করা হয় পাপিষ্ঠ। যে ব্যক্তি নিয়মিত কবীরাহ গুনাহতে লিপ্ত থাকে অথবা প্রকাশ্যে আল্লাহর নিষিদ্ধ ঘোষিত হারাম কাজ করতে অভ্যস্ত এবং তোওবা করে পাপ কাজ থেকে ফিরে আসেনা, তাকে ফাসেক বলা হয়। ফাসেক ব্যক্তি যদি নামাযী মুসলমান হয়, দ্বীনের অন্য বিধি-বিধান মেনে চলে কিন্তু কিছু কবীরাহ গুনাহতে লিপ্ত থাকে, তাহলে মীযানে তার নেক আমল যদি পাপ কাজের ওজনের চাইতে ভারী হয় তাহলে সে জান্নাতে যাবে।

অথবা আল্লাহর বিশেষ রহমতে তাকে যদি ক্ষমা করে দেন, তাহলে সে কোন শাস্তি ছাড়াই সরাসরি জান্নাতে যাবে। কিন্তু তার পাপ কাজ যদি নেকীর চাইতে বেশি ভারী হয় এবং আল্লাহর রহমত পেতে ব্যর্থ হয় তাহলে সে জাহান্নামে পাপের শাস্তি ভোগ করবে। জাহান্নামে কঠিন শাস্তির পরে পাপের প্রায়শ্চিত্ত হলে এর পরে সে জান্নাতে যাবে ইন শা’ আল্লাহ্।

উদাহরণঃ নিচের প্রত্যেকটা কাজ কবীরাহ গুনাহঃ - যে ব্যক্তি পিতা-মাতার অবাধ্য বা তাদের হক্ক আদায় করেনা - যে ব্যক্তি কোন ওযর ছাড়া জামাতে শরীক হয়না - যে ব্যক্তি দাঁড়ি মুন্ডন (শেইভ) করে - যে ব্যক্তি টাখনুর নিচে কাপড় পড়ে - যে ব্যক্তি স্ত্রীর হক্ক আদায় করেনা, ঘরের লোকদের সাথে অন্যায় ও যুলুম অত্যাচার করে - দাইয়ুস এবং যে ব্যক্তি ঘরের নারীদেরকে হিজাব-পর্দার আদেশ করেনা - যে নারী হিজাব-পর্দা করেনা, পর পুরুষদের সাথে চলা-ফেরা করে - যে নারী স্বামীর অবাধ্য, স্বামীকে কষ্ট দেয় - যারা অবৈধ প্রেম-ভালোবাসা ও জিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত এই কাজগুলো বা এইরকম কবীরাহ গুনাহর সাথে যারা জড়িত থাকবে, যারা এইগুলো থেকে বাঁচার চেষ্টা করবেনা তারা ‘ফাসেক’ বলে বিবেচিত হবে। (উৎস: আনসারুস সুন্নাহ)

একজন মুমিন ব্যক্তি যখন পাপাচারে জড়িয়ে যায় তখন সে ফাসেক হিসেবে পরিগণিত হয়। তবে পাপাচারের কারণে তাকে কাফের বলা যাবে না- যতক্ষণ না তার মাঝে কাফের হওয়ার শর্তাবলী যথাযথভাবে না পাওয়া যাবে। আল্লাহু আলাম।
 
Similar threads Most view View more
Back
Top