Knowledge Sharer
ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 928
- Comments
- 1,103
- Solutions
- 1
- Reactions
- 10,029
- Thread Author
- #1
যখন শরীয়ত প্রণেতা চান কোনো কাজ সংঘটিত হোক, সেই চাওয়ার ভিত্তিতে ফরয দুই রকম:
১. ফরয আইন বা ব্যক্তিগত ফরয।
এটি এমন ফরয যা প্রত্যেক মুকাল্লাফ ব্যক্তির কাছ থেকে সংঘটিত হওয়া শরীআতের চাওয়া। যেমন- পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাত, হজ ও রামাদানের সিয়াম।
২. ফরয কিফায়া বা সামষ্টিক ফরয।
এটি এমন ফরয যা সামষ্টিকভাবে সকল মুকাল্লাফ* ব্যক্তির মধ্য হতে কিছু লোকের মাধ্যমে তা সংঘটিত হওয়া শরীআতের চাওয়া। যেমন- মৃত ব্যক্তিকে ধৌত করা এবং তার জানাযা পড়া, অনুরূপভাবে ডুবন্ত মানুষকে উদ্ধার করা। [1]
এই ফরযে কিফায়ার সাথে বেশ কিছু বিধান জড়িত। তন্মধ্যে কিছু আহকাম সাধারণ মুসলিমের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত, তা হচ্ছে:
১. ফরযে কিফায়ার নির্দেশনা সামর্থ্যবান ও উপযুক্ত সকলের ওপরই আপতিত। তাই ফরযে কিফায়া আসলে একটি সামষ্টিক কর্তব্য। [2]
২. যদি কোনো ব্যক্তি বিশ্বাস করে থাকে যে উক্ত ফরয কিফায়া যথেষ্ট সংখ্যক লোক পালন করে নিয়েছে, তাহলে তিনি এর দায়বদ্ধতা ও পাপ থেকে মুক্ত। [3]
৩. তবে যদি মুকাল্লাফ জানতে পারেন যে সে ফরযে কিফায়াহ পালন করার জন্য যথেষ্ট সংখ্যক লোক দাঁড়ায়নি, তাহলে তার জন্য ব্যক্তিগতভাবে এটি পালন করা বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে। যদি তিনি সেটা পালন না করেন তাহলে তিনি গুনাহগার হবেন; কারণ তিনি জানতে পেরেছেন যে, এটি পালন করার মতো যথেষ্ট লোক হয়নি, যদিও তার জানার বাইরে কিছু লোকের মাধ্যমে সেটি পালিত হয়ে যায় (তারপরও তিনি পালন না করলে গুনাহগার হবেন)। কারণ, এই মাসআলায় মূলত 'পালন হয়েছে কী না এই বিশ্বাসই' নির্ধারণ করবে ব্যক্তির জন্য তা পালন করা আবশ্যক কী না। [4]
* ‘মুকাল্লাফ' শব্দটির আভিধানিক অর্থ দায়িত্বপ্রাপ্ত, ভারপ্রাপ্ত, কোনো কাজের জন্য কষ্ট প্রদান করা। কিন্তু পরিভাষায় “মুকাল্লাফ' বলতে এমন ব্যক্তিকে বোঝায় যার ওপর শরীআতের বিধিবিধান প্রযোজ্য। তবে শর্ত হলো ব্যক্তির: (১) বিবেকসম্পন্ন হওয়া ও (২) প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া।
[1] শারহুল কাওকাবিল মুনির (১/৩৭৪); আল-বাহরুল মুহিত (১/২৪২); আল-ফুরুক (১/১১৭)
[2] শারহুল কাওকাবিল মুনির (১/৩৭৫); আল-বাহরুল মুহিত (১/২৪৩)
[3] শারহুল কাওকাবিল মুনির (১/৩৭৬); আল-বাহরুল মুহিত (১/২৪৬); আল-ফুরুক (১/১১৭)
[4] শারহুল কাওকাবিল মনির (১/৩৭২); আল-বাহরুল মুহিত (১/২৪৬); আল-ফুরুক (১/১১৭)
– মুসলিম আমজনতার সাথে জড়িত উসূল ও ফিকহের মূলনীতিসমূহ, তৃতীয় অধ্যায়; বিলিভার্স ভিশন পাবলিকেশন্স
১. ফরয আইন বা ব্যক্তিগত ফরয।
এটি এমন ফরয যা প্রত্যেক মুকাল্লাফ ব্যক্তির কাছ থেকে সংঘটিত হওয়া শরীআতের চাওয়া। যেমন- পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাত, হজ ও রামাদানের সিয়াম।
২. ফরয কিফায়া বা সামষ্টিক ফরয।
এটি এমন ফরয যা সামষ্টিকভাবে সকল মুকাল্লাফ* ব্যক্তির মধ্য হতে কিছু লোকের মাধ্যমে তা সংঘটিত হওয়া শরীআতের চাওয়া। যেমন- মৃত ব্যক্তিকে ধৌত করা এবং তার জানাযা পড়া, অনুরূপভাবে ডুবন্ত মানুষকে উদ্ধার করা। [1]
এই ফরযে কিফায়ার সাথে বেশ কিছু বিধান জড়িত। তন্মধ্যে কিছু আহকাম সাধারণ মুসলিমের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত, তা হচ্ছে:
১. ফরযে কিফায়ার নির্দেশনা সামর্থ্যবান ও উপযুক্ত সকলের ওপরই আপতিত। তাই ফরযে কিফায়া আসলে একটি সামষ্টিক কর্তব্য। [2]
২. যদি কোনো ব্যক্তি বিশ্বাস করে থাকে যে উক্ত ফরয কিফায়া যথেষ্ট সংখ্যক লোক পালন করে নিয়েছে, তাহলে তিনি এর দায়বদ্ধতা ও পাপ থেকে মুক্ত। [3]
৩. তবে যদি মুকাল্লাফ জানতে পারেন যে সে ফরযে কিফায়াহ পালন করার জন্য যথেষ্ট সংখ্যক লোক দাঁড়ায়নি, তাহলে তার জন্য ব্যক্তিগতভাবে এটি পালন করা বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে। যদি তিনি সেটা পালন না করেন তাহলে তিনি গুনাহগার হবেন; কারণ তিনি জানতে পেরেছেন যে, এটি পালন করার মতো যথেষ্ট লোক হয়নি, যদিও তার জানার বাইরে কিছু লোকের মাধ্যমে সেটি পালিত হয়ে যায় (তারপরও তিনি পালন না করলে গুনাহগার হবেন)। কারণ, এই মাসআলায় মূলত 'পালন হয়েছে কী না এই বিশ্বাসই' নির্ধারণ করবে ব্যক্তির জন্য তা পালন করা আবশ্যক কী না। [4]
* ‘মুকাল্লাফ' শব্দটির আভিধানিক অর্থ দায়িত্বপ্রাপ্ত, ভারপ্রাপ্ত, কোনো কাজের জন্য কষ্ট প্রদান করা। কিন্তু পরিভাষায় “মুকাল্লাফ' বলতে এমন ব্যক্তিকে বোঝায় যার ওপর শরীআতের বিধিবিধান প্রযোজ্য। তবে শর্ত হলো ব্যক্তির: (১) বিবেকসম্পন্ন হওয়া ও (২) প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া।
[1] শারহুল কাওকাবিল মুনির (১/৩৭৪); আল-বাহরুল মুহিত (১/২৪২); আল-ফুরুক (১/১১৭)
[2] শারহুল কাওকাবিল মুনির (১/৩৭৫); আল-বাহরুল মুহিত (১/২৪৩)
[3] শারহুল কাওকাবিল মুনির (১/৩৭৬); আল-বাহরুল মুহিত (১/২৪৬); আল-ফুরুক (১/১১৭)
[4] শারহুল কাওকাবিল মনির (১/৩৭২); আল-বাহরুল মুহিত (১/২৪৬); আল-ফুরুক (১/১১৭)
– মুসলিম আমজনতার সাথে জড়িত উসূল ও ফিকহের মূলনীতিসমূহ, তৃতীয় অধ্যায়; বিলিভার্স ভিশন পাবলিকেশন্স
Last edited: