প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন : ‘ছালাতুল ইশরাক্ব’, ‘ছালাতুয যুহা’ এবং ‘ছালাতুল আউওয়াবীন’ বলতে কোন্ কোন্ ছালাতকে বুঝানো হয় এবং এই সকল ছালাতের ফযীলত কেমন?

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Joined
Nov 1, 2022
Threads
4,857
Comments
4,360
Solutions
1
Reactions
65,886
উত্তর : উক্ত তিনটি ছালাত একই ছালাত। সূর্যোদয়ের পরপরই প্রথম প্রহরের শুরুতে পড়লে তাকে ‘ছালাতুল ইশরাক্ব’ বলা হয় এবং কিছু পরে দ্বিপ্রহরের পূর্বে পড়লে তাকে ‘ছালাতুয যুহা’ বা চাশতের ছালাত বলা হয় (মির‘আতুল মাফাতীহ, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৩৪৪-৩৫৮)। আর দুপুরের পূর্বে পড়লে ‘ছালাতুল আউওয়াবীন’ বলা হয় (ছহীহ মুসলিম, হা/৭৪৮; মিশকাত, হা/১৩১২)। এই ছালাত বাড়ীতে আদায় করা মুস্তাহাব। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনো পড়তেন আবার কখনো ছাড়তেন (ছহীহ মুসলিম, হা/৭১৭-৭১৮; মির‘আতুল মাফাতীহ, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৩৪৫)। মসজিদেও পড়া যাবে (মির‘আতুল মাফাতীহ, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৩৪৬)।
রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের ছালাত জামা‘আতে পড়ে, অতঃপর সূর্য ওঠা পর্যন্ত আল্লাহর যিকিরে বসে থাকে, অতঃপর দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করে, তার জন্য পূর্ণ একটি হজ্জ ও ওমরাহর নেকী হয় (তিরমিযী, হা/৫৮৬; মিশকাত, হা/৯৭১; সনদ হাসান, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/৩৪০৩)। অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মানুষের শরীরে ৩৬০টি জোড় রয়েছে। অতএব মানুষের কর্তব্য হল প্রত্যেক জোড়ের জন্য একটি করে ছাদাক্বাহ করা। ছাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! কার শক্তি আছে এই কাজ করার? তিনি বললেন, দু’রাক‘আত ছালাতুয যুহাই এজন্য যথেষ্ট’ (আবূ দাঊদ, হা/৫২৪২; মিশকাত, হা/১৩১৫, সনদ ছহীহ; ছহীহ মুসলিম, হা/৭২০; মিশকাত, হা/১৩১১)। এই ছালাত ২, ৪, ৮ রাক‘আত পর্যন্ত পড়া যায় (ছহীহ বুখারী, হা/১১৭৬; আবূ দাঊদ, হা/১২৯১; মিশকাত, হা/১৩০৯; মির‘আতুল মাফাতীহ, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৩৪৪-৩৪৫)। উল্লেখ্য, মাগরিব ছালাতের পরে বিশ বা যেকোন পরিমাণ নফল ছালাতকে ‘আউওয়াবীন’ বলার হাদীগুলো যঈফ (যঈফ তিরমিযী, হা/১১৬৭; সিলসিলা যঈফাহ, হা/৪৬৯)।
সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।
 
Similar threads Most view View more
Back
Top