প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন: জাদু কাকে বলে? জাদু শিক্ষার হুকুম কী?

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Joined
Nov 1, 2022
Threads
4,864
Comments
4,360
Solutions
1
Reactions
63,008
উত্তর: আলিমগণ বলেন, জাদু বলা হয় প্রত্যেক এমন ক্রিয়া-কলাপকে, যার কারণ অস্পষ্ট ও গোপন থাকে, কিন্তু বাইরে তার প্রভাব দেখা যায়। গণক এবং জ্যোতিষের কার্যকলাপও যাদূর অন্তর্ভুক্ত। চাকচিক্যময় বক্তব্য ও ভাষার প্রভাবকেও জাদু বলা হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِنَّ مِنَ الْبَيَانِ لَسِحْرًا»

“নিশ্চয় কিছু কিছু বক্তৃতার মধ্যে জাদু রয়েছে।”[1] সুতরাং প্রতিটি বস্তুর গোপন প্রভাবকে জাদু বলা হয়। আর পরিভাষায় এমন কিছু গিরা এবং ঝাড়ফুঁকের নাম, যা মানুষের অন্তর, মস্তিস্ক এবং শরীরের ভিতরে প্রভাব বিস্তার করতঃ কখনো জ্ঞান শুণ্য করে ফেলে, কখনো ভালোবাসা বা ঘৃণা সৃষ্টি করে এবং স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ ঘটায়। , বরং তা কখনো কুফুরী এবং শির্কের দিকে নিয়ে যায়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَٱتَّبَعُواْ مَا تَتۡلُواْ ٱلشَّيَٰطِينُ عَلَىٰ مُلۡكِ سُلَيۡمَٰنَۖ وَمَا كَفَرَ سُلَيۡمَٰنُ وَلَٰكِنَّ ٱلشَّيَٰطِينَ كَفَرُواْ يُعَلِّمُونَ ٱلنَّاسَ ٱلسِّحۡرَ وَمَآ أُنزِلَ عَلَى ٱلۡمَلَكَيۡنِ بِبَابِلَ هَٰرُوتَ وَمَٰرُوتَۚ وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنۡ أَحَدٍ حَتَّىٰ يَقُولَآ إِنَّمَا نَحۡنُ فِتۡنَةٞ فَلَا تَكۡفُرۡۖ فَيَتَعَلَّمُونَ مِنۡهُمَا مَا يُفَرِّقُونَ بِهِۦ بَيۡنَ ٱلۡمَرۡءِ وَزَوۡجِهِۦۚ وَمَا هُم بِضَآرِّينَ بِهِۦ مِنۡ أَحَدٍ إِلَّا بِإِذۡنِ ٱللَّهِۚ وَيَتَعَلَّمُونَ مَا يَضُرُّهُمۡ وَلَا يَنفَعُهُمۡۚ وَلَقَدۡ عَلِمُواْ لَمَنِ ٱشۡتَرَىٰهُ مَا لَهُۥ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِنۡ خَلَٰقٖۚ﴾ [البقرة: ١٠٢]

“সুলাইমানের রাজত্বকালে শয়তানরা যা আবৃত্তি করতো, তারা তারই অনুসরণ করছে এবং সুলাইমান অবিশ্বাসী হন নি; কিন্তু শয়তানরাই অবিশ্বাস করছিল, তারা লোকদেরকে জাদু বিদ্যা এবং যা বাবেল শহরে হারূত-মারূত ফিরিশতাদ্বয়ের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছিল, তা শিক্ষা দিতো এবং উভয়ে কাউকে ওটা শিক্ষা দেওয়ার পূর্বে তারা বলতো যে, আমরা পরীক্ষা ছাড়া কিছুই নই। অতএব, তোমরা কুফুরী করো না, অনন্তর যাতে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ সংঘটিত হয়, তারা উভয়ের নিকট তাই শিক্ষা করতো এবং তারা আল্লাহর আদেশ ব্যতীত তদ্বারা কারও অনিষ্ট করতে পারতো না এবং তারা ওটাই শিক্ষা করত, যাতে তাদের ক্ষতি হয় এবং তাদের কোনো উপকার সাধিত না হয়। নিশ্চয় তারা জ্ঞাত আছে যে, যে কেউ ওটা ক্রয় করবে, তার জন্যে পরকালে কোনো অংশ নেই।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১০২]সুতরাং শয়তানকে শরীক বানানোর মাধ্যমে এ ধরণের জাদু শিক্ষা এবং ব্যবহার করা কুফুরী এবং সীমা লংঘনের অন্তর্ভুক্ত। এ জন্যেই জাদুকরের শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড। কুফুরী পর্যন্ত পৌঁছে যায়, তাহলে তাকে কাফির এবং মুরতাদ হিসেবে হত্যা করতে হবে। আর তার জাদু যদি কুফুরী পর্যন্ত না পৌঁছে, তাহলে মুসলিমদেরকে তার ক্ষতি হতে হিফাযত করার জন্য তাকে দণ্ড প্রয়োগ করে করে হত্যা করতে হবে।
সূত্র: ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম। লেখক: শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ)।
 
Similar threads Most view View more
Back
Top