প্রশ্নোত্তর প্রশ্নঃ কিয়াম’ বৈধ কি ?

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Joined
Nov 1, 2022
Threads
4,849
Comments
4,360
Solutions
1
Reactions
63,086
‘ কিয়াম’ কয়েক প্রকারের।

(ক) কারো তা’যীমের উদ্দেশ্যে কিয়াম করা, যেমন রাজা-বাদশাদের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা হয়। এমন কিয়াম বৈধ নয়। যেহেতু প্রিয় রাসুল (সঃ) বলেন, “ যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে, লক তার জন্য দণ্ডায়মান হক সে যেন তার বাসস্থান জাহান্নামে করে নেয়।” (মুনসাদে আহমাদ)


(খ) আগন্তকের সন্মানার্থে উঠে দাঁড়ানো। তাকে আগে বেড়ে আনার জন্য নয়, তাকে ধরে বসাবার জন্য নয়, তার সাথে মুসাফাহা মুআনাক্বা করার জন্য নয়। সে প্রবেশ করলে অথবা প্রস্থান করলে তার তা’যীমের উদ্দেশ্যে খাড়া হওয়া অতঃপর বসে যাওয়া। এই শ্রেণীর ‘কিয়াম’ ও হারাম না হলে মাকরূহ তো বটেই। যেহেতু আনাস (রঃ) বলেন, ‘তাঁদের (সাহাবাদের) নিকট রাসুল (সঃ) অপেক্ষা অন্য কেউই প্রিয়তম ছিল না। তা সত্বেও তাঁরা যখন দেখতেন, তখন তার জন্য উঠে দাঁড়াতেন না। যেহেতু তাঁরা জানতেন যে, তিনি তা অপসন্দ করেন । (তিরমিজি)


(গ) আগন্তককে আগে বেড়ে আনার জন্য, তাকে ধরে বসাবার জন্য, তার সাথে মুসাফাহা মুআনাক্বা করার জন্য উঠে দাঁড়ানো সুন্নত।


রাসুল (সঃ) এর কন্যা তার নিকট এলে তিনি তার প্রতি উঠে গিয়ে তার হাত ধরতেন ( মুসাফাহাহ করতেন), তাকে চুমু দিতেন এবং নিজের আসনে তাকে বসাতেন। (আবু দাউদ ৫২১৭, তিরমিজি ৩৮৭২ নং)


(খন্দকের যুদ্ধ শেষে) সাদ (রঃ) আহত ছিলেন। ইয়াহুদিদের ব্যপারে বিচার করার উদেশ্যে রাসুল (সঃ) তাকে আহূত করেন। তাই তিনি এক গর্দভের পৃষ্ঠে আরোহণ করে জখন তার নিকট পৌঁছলেন তখন রাসুল (সঃ) আনসারকে লক্ষ করে বললেন, “ তোমরা তোমাদের সর্দারের প্রতি উঠ এবং ওঁকে নামাও।” সুতরাং (কিছু) সাহাবা উঠে গিয় তাকে গাধার পিঠ থেকে নামালেন। (আহমাদ, আবু দাউদ প্রমুখ, সিলসিলাহ সহীহাহ ৬৭ নং)


আর এক প্রকার কিয়াম আছে, যা মিলাদিরা মিলাদ শেষে করে থাকে। তা বিদআত।


সূত্র: দ্বীনী প্রশ্নোত্তর
লেখক: আব্দুল হামিদ ফাইযী আল মাদানী
 
Similar threads Most view View more
Back
Top