১০টি পাপ ক্ষমা হয়-
আনাস ইবনু মালিক (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবে আল্লাহ তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন, দশটি গুনাহ ক্ষমা করবেন এবং দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। – সুনানে নাসায়ী, হা. ১২৯৭
২০টি ও ৩০টি পাপ ক্ষমা হয়-
আবূ সাঈদ আল-খুদরী ও আবূ হুরাইরাহ (রাদিআল্লাহু আনহুম) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : মহান আল্লাহ কালামসমূহ হতে চারটি কালাম বাছাই করেছেন (তা হলো) : “সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার”। যে ব্যক্তি একবার “সুবহানাল্লাহ” বলে তার জন্য বিশটি নেকী লিপিবদ্ধ করা হয় এবং তার বিশটি গুনাহ হ্রাস করা হয়। আর যে ব্যক্তি “আল্লাহু আকবার” বলে তার জন্যও অনুরূপ রয়েছে। আর যে ব্যক্তি “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলে তার জন্যও অনুরূপ সওয়াব রয়েছে আর যে ব্যক্তি অন্তরের, গভীর থেকে বলে “আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামীন” তার জন্য ত্রিশটি নেকী লিপিবদ্ধ করা হয় এবং তার থেকে ত্রিশটি গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হয়। – মুসনাদে আহমাদ, হা. ৮০১২
৭০টি পাপ ক্ষমা হয়-
কা'ব (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত তিনি বলেন : “যে ব্যক্তি তানযীল আস-সাজদাহ ও সূরাহ মূলক পাঠ করে তার জন্য সত্তরটি সওয়াব লিখা হয়, সত্তরটি মন্দ মিটিয়ে দেয়া হয় এবং তার জন্য সত্তরটি মর্যাদা সমুন্নত করা হয়।” – দারেমী, হা. ৩৪০৯
১০০ টি পাপ ক্ষমা হয়-
আবূ হুরাইরাহ (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : যে ব্যক্তি দিনে একশ বার বলে, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহুবলাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর"- তার জন্য দশজন গোলাম আযাদ করার সওয়াব রয়েছে এবং তার জন্য একশটি নেকী লিপিবদ্ধ করা হয়, তার থেকে একশটি গুনাহ মুছে ফেলা হয়, এবং তার জন্য ঐ দিন শয়তান থেকে নিরাপত্তা বিধান করা হয় সন্ধ্যা পর্যন্ত। ঐদিন তার চাইতে আমলের দিক দিয়ে অধিক উত্তম আর কেউ হতে পারে না-ঐ লোক ব্যতীত যিনি এ আমল তার চাইতেও বেশি করেন। – সহীহ বুখারী, হা. ৩০৫০ (তাওহীদ পাবলিকেশন)
১০০০ পাপ ক্ষমা হয়-
মুসআব ইবনু সাদ (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমার পিতা আমারকাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে ছিলাম। তিনি (রাদিআল্লাহু আনহু) বললেন : তোমাদের কেউ কি দৈনিক এক হাজার সওয়াব অর্জন করতে অক্ষম? নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে বসে থাকা লোকেদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি বললো, আমাদের কেউ কিরূপে এক হাজার সওয়াব উপার্জন করবে? তিনি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, একশ বার “সুবহানাল্লাহ” পাঠ করলে এক হাজার সওয়াব লিপিবদ্ধ অথবা তার থেকে এক হাজার গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হবে করা হবে। – সহীহ মুসলিম, হা. ৭০২৭
২৫০০ পাপ ক্ষমা হয়-
আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : যদি কোনো মুসলিম ব্যক্তি দুটি অভ্যাস আয়ত্ত করতে পারে তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে আর অভ্যাস দুটি আয়ত্ব করাও সহজ। অবশ্য যারা অভ্যাস দুটি আয়ত্ব করে তাদের সংখ্যা খুবই কম। তা হলো : প্রত্যেক সলাতের পর দশবার “সুবহানাল্লাহ”, দশবার “আল্লাহু আকবার” এবং দশবার "আলহামদুলিল্লাহ" পাঠ করা। আমি রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে এগুলো তাঁর আঙুল দিয়ে গণনা করতে দেখেছি। তিনি বলেন তা মুখ দিয়ে পড়লে হয় একশ পঞ্চাশবার আর আমলে পাল্লায়র এর ওজন হয় এক হাজার পাঁচশ বার আর যখন সে ঘুমাতে যাবে তখন ৩০ বার “সুবহানাল্লাহ”, ৩৩ বার “আলহামদুলিল্লাহ” এবং ৩৪ বার “আল্লাহু আকবার” সহ মোট একশ বার পাঠ করবে। তা মুখে পড়লে হয় একশ বার আর আমলের পাল্লায় হয় এক হাজার। কাজেই তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে, যে প্রত্যহ দুই হাজার পাঁচশ গুনাহ করাবে? সাহাবীগণ ভালো বলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! এ দুটি সর্বদা কেন গণনা করবো না? তিনি বলেন : তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায় তখন শয়তান তার কাছে এসে বলে, অমুক অমুক বিষয় স্মরণ করো। এমনিভাবে সে যখন বিছানায় যায় তখন শয়তান তার কাছে এসে তাকে এমনভাবে গাফেল করে দেয় যে, অবশেষে সে ঘুমিয়ে যায়। – ইবনে মাজাহ, হা. ৯২৬
১০,০০,০০০ পাপ ক্ষমা হয়-
সালিম ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাদিআল্লাহু আনহুম) হতে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : যে ব্যক্তি বাজারে প্রবেশের সময় বলে : “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহ লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু য়ুহয়ী ওয়া য়ূমিতু ওয়াহুয়া হাইয়ুন লা ইয়ামূতু বিইয়াদিহিল খাইরু কুল্লুহু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর”- আল্লাহ তার আমলনামায় দশ লক্ষ নেকী লিপিবদ্ধ করেন এবং তার দশ লক্ষ গুনাহ ক্ষমা করে দেন আর তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরি করেন। – ইবনে মাজাহ, হা. ২২৩৫
সমস্ত পাপ ক্ষমা হয়-
আবূ হুরাইরাহ (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন : যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয সলাতের পর ৩৩ বার “সুবহানাল্লাহ”, ৩৩ বার “আলহামদুলিল্লাহ” ৩৩ বার “আল্লাহু আকবার”- এ নিয়ে মোট ৯৯ বার হলো, অতঃপর পূর্ণ করার জন্য “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর” পাঠ করবে তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশির সমতুল্যও হয়। – সহীহ মুসলিম, হা. ১৩৮০ (হাদীস একাডেমি)
আবূ হুরাইরাহ (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : যে ব্যক্তি দিনে একশ বার “সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদীহি” পাঠ করে তার সমস্ত গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হয়; যদিও তার গুনাহ সমুদ্রের ফেনারাশির সমতুল্য হয়। –সহীহ বুখারী, হা. ৫৯২৬ (তাওহীদ পাবলিকেশন)
আনাস ইবনু মালিক (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গাছের ডাল ধরে ঝাঁকুনি দিলেন। কিন্তু কোনো পাতা ঝরলো না। অতঃপর আবার ঝাকুনি দিলেন, কিন্তু কোনো পাতা ঝরলো না। অতঃপর আবার ঝাকুনি দিলেন এবং এবার পাতা ঝরে পড়লো। তখন রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন : “সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আল্লাহু আকবার” পাঠ করার মাধ্যমে গুনাহসমূহ এমনভাবে ঝরে যায় যেমন (শীতকালে) গাছের পাতা ঝরে পড়ে। – মুসনাদে আহমাদ, হা. ১২৫৩৪
– পাপ মার্জনার যত পথ, দারুল কারার পাবলিকেশন্স
আনাস ইবনু মালিক (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবে আল্লাহ তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন, দশটি গুনাহ ক্ষমা করবেন এবং দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। – সুনানে নাসায়ী, হা. ১২৯৭
২০টি ও ৩০টি পাপ ক্ষমা হয়-
আবূ সাঈদ আল-খুদরী ও আবূ হুরাইরাহ (রাদিআল্লাহু আনহুম) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : মহান আল্লাহ কালামসমূহ হতে চারটি কালাম বাছাই করেছেন (তা হলো) : “সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার”। যে ব্যক্তি একবার “সুবহানাল্লাহ” বলে তার জন্য বিশটি নেকী লিপিবদ্ধ করা হয় এবং তার বিশটি গুনাহ হ্রাস করা হয়। আর যে ব্যক্তি “আল্লাহু আকবার” বলে তার জন্যও অনুরূপ রয়েছে। আর যে ব্যক্তি “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলে তার জন্যও অনুরূপ সওয়াব রয়েছে আর যে ব্যক্তি অন্তরের, গভীর থেকে বলে “আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামীন” তার জন্য ত্রিশটি নেকী লিপিবদ্ধ করা হয় এবং তার থেকে ত্রিশটি গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হয়। – মুসনাদে আহমাদ, হা. ৮০১২
৭০টি পাপ ক্ষমা হয়-
কা'ব (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত তিনি বলেন : “যে ব্যক্তি তানযীল আস-সাজদাহ ও সূরাহ মূলক পাঠ করে তার জন্য সত্তরটি সওয়াব লিখা হয়, সত্তরটি মন্দ মিটিয়ে দেয়া হয় এবং তার জন্য সত্তরটি মর্যাদা সমুন্নত করা হয়।” – দারেমী, হা. ৩৪০৯
১০০ টি পাপ ক্ষমা হয়-
আবূ হুরাইরাহ (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : যে ব্যক্তি দিনে একশ বার বলে, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহুবলাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর"- তার জন্য দশজন গোলাম আযাদ করার সওয়াব রয়েছে এবং তার জন্য একশটি নেকী লিপিবদ্ধ করা হয়, তার থেকে একশটি গুনাহ মুছে ফেলা হয়, এবং তার জন্য ঐ দিন শয়তান থেকে নিরাপত্তা বিধান করা হয় সন্ধ্যা পর্যন্ত। ঐদিন তার চাইতে আমলের দিক দিয়ে অধিক উত্তম আর কেউ হতে পারে না-ঐ লোক ব্যতীত যিনি এ আমল তার চাইতেও বেশি করেন। – সহীহ বুখারী, হা. ৩০৫০ (তাওহীদ পাবলিকেশন)
১০০০ পাপ ক্ষমা হয়-
মুসআব ইবনু সাদ (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমার পিতা আমারকাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে ছিলাম। তিনি (রাদিআল্লাহু আনহু) বললেন : তোমাদের কেউ কি দৈনিক এক হাজার সওয়াব অর্জন করতে অক্ষম? নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে বসে থাকা লোকেদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি বললো, আমাদের কেউ কিরূপে এক হাজার সওয়াব উপার্জন করবে? তিনি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, একশ বার “সুবহানাল্লাহ” পাঠ করলে এক হাজার সওয়াব লিপিবদ্ধ অথবা তার থেকে এক হাজার গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হবে করা হবে। – সহীহ মুসলিম, হা. ৭০২৭
২৫০০ পাপ ক্ষমা হয়-
আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : যদি কোনো মুসলিম ব্যক্তি দুটি অভ্যাস আয়ত্ত করতে পারে তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে আর অভ্যাস দুটি আয়ত্ব করাও সহজ। অবশ্য যারা অভ্যাস দুটি আয়ত্ব করে তাদের সংখ্যা খুবই কম। তা হলো : প্রত্যেক সলাতের পর দশবার “সুবহানাল্লাহ”, দশবার “আল্লাহু আকবার” এবং দশবার "আলহামদুলিল্লাহ" পাঠ করা। আমি রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে এগুলো তাঁর আঙুল দিয়ে গণনা করতে দেখেছি। তিনি বলেন তা মুখ দিয়ে পড়লে হয় একশ পঞ্চাশবার আর আমলে পাল্লায়র এর ওজন হয় এক হাজার পাঁচশ বার আর যখন সে ঘুমাতে যাবে তখন ৩০ বার “সুবহানাল্লাহ”, ৩৩ বার “আলহামদুলিল্লাহ” এবং ৩৪ বার “আল্লাহু আকবার” সহ মোট একশ বার পাঠ করবে। তা মুখে পড়লে হয় একশ বার আর আমলের পাল্লায় হয় এক হাজার। কাজেই তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে, যে প্রত্যহ দুই হাজার পাঁচশ গুনাহ করাবে? সাহাবীগণ ভালো বলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! এ দুটি সর্বদা কেন গণনা করবো না? তিনি বলেন : তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায় তখন শয়তান তার কাছে এসে বলে, অমুক অমুক বিষয় স্মরণ করো। এমনিভাবে সে যখন বিছানায় যায় তখন শয়তান তার কাছে এসে তাকে এমনভাবে গাফেল করে দেয় যে, অবশেষে সে ঘুমিয়ে যায়। – ইবনে মাজাহ, হা. ৯২৬
১০,০০,০০০ পাপ ক্ষমা হয়-
সালিম ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাদিআল্লাহু আনহুম) হতে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : যে ব্যক্তি বাজারে প্রবেশের সময় বলে : “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহ লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু য়ুহয়ী ওয়া য়ূমিতু ওয়াহুয়া হাইয়ুন লা ইয়ামূতু বিইয়াদিহিল খাইরু কুল্লুহু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর”- আল্লাহ তার আমলনামায় দশ লক্ষ নেকী লিপিবদ্ধ করেন এবং তার দশ লক্ষ গুনাহ ক্ষমা করে দেন আর তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরি করেন। – ইবনে মাজাহ, হা. ২২৩৫
সমস্ত পাপ ক্ষমা হয়-
আবূ হুরাইরাহ (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন : যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয সলাতের পর ৩৩ বার “সুবহানাল্লাহ”, ৩৩ বার “আলহামদুলিল্লাহ” ৩৩ বার “আল্লাহু আকবার”- এ নিয়ে মোট ৯৯ বার হলো, অতঃপর পূর্ণ করার জন্য “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর” পাঠ করবে তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশির সমতুল্যও হয়। – সহীহ মুসলিম, হা. ১৩৮০ (হাদীস একাডেমি)
আবূ হুরাইরাহ (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : যে ব্যক্তি দিনে একশ বার “সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদীহি” পাঠ করে তার সমস্ত গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হয়; যদিও তার গুনাহ সমুদ্রের ফেনারাশির সমতুল্য হয়। –সহীহ বুখারী, হা. ৫৯২৬ (তাওহীদ পাবলিকেশন)
আনাস ইবনু মালিক (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গাছের ডাল ধরে ঝাঁকুনি দিলেন। কিন্তু কোনো পাতা ঝরলো না। অতঃপর আবার ঝাকুনি দিলেন, কিন্তু কোনো পাতা ঝরলো না। অতঃপর আবার ঝাকুনি দিলেন এবং এবার পাতা ঝরে পড়লো। তখন রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন : “সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আল্লাহু আকবার” পাঠ করার মাধ্যমে গুনাহসমূহ এমনভাবে ঝরে যায় যেমন (শীতকালে) গাছের পাতা ঝরে পড়ে। – মুসনাদে আহমাদ, হা. ১২৫৩৪
– পাপ মার্জনার যত পথ, দারুল কারার পাবলিকেশন্স