Doing Automated Jobs
- Joined
- Nov 1, 2022
- Threads
- 4,872
- Comments
- 4,360
- Solutions
- 1
- Reactions
- 62,874
- Thread Author
- #1
প্রশ্ন : ধূমপান অবস্থায় রেডিও বা টেলিভিশন অথবা কোনো ব্যক্তি থেকে কুরআন তেলাওয়াত শুনতে পারব কি?
প্রশ্ন/ জ্বলন্ত সিগারেট হাতে নিয়ে মাসজিদের বাহির গেটে প্রবেশ করা জায়েয আছে কি? নাকি গেটের ভিতরে অজু খানায় প্রবেশের পূর্বেই ফেলে দিতে হবে?
প্রশ্ন / সিগারেট হাতে নিয়ে কুরআন স্পর্শ করা বা পাঠ করা অথবা মুখস্ত থেকে পাঠ করা জায়েয আছে কি?
প্রশ্ন / সিগারেট হারাম না মাকরুহ?
প্রশ্ন/ কেউ কেউ বলেছে যে, সিগারেটটি আল্লাহর বাণী: (তোমাদের উপর মৃত বস্তু, রক্ত, শোকরের মাংস এবং যা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে জবাই হয় তা হারাম করা হয়েছে) এর অন্তর্ভুক্ত, অর্থাৎ তা (যা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে জবাই করা হয়) এর অন্তর্ভুক্ত। এটি কি সঠিক?
উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ্।
ফাতাওয়া কমিটি এ পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর এক সাথে দিয়েছেন, কেননা সবগুলো প্রশ্নের বিষয়বস্তু এবং কিছু কিছু দিক দিয়ে প্রায় একই:
ধূমপান বিভিন্ন অপরাধের মধ্যে একটি অপরাধ, কারণ এতে শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতি রয়েছে যা শরীয়ত হারাম করেছে এবং তা আল্লাহর বাণী:
﴿وَيُحِلُّ لَهُمُ ٱلطَّيِّبَٰتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيۡهِمُ ٱلۡخَبَٰٓئِثَ﴾ [الاعراف: ١٥٧]
“এবং তিনি তাদের জন্য ভাল পবিত্র জিনিসকে হালাল করেন এবং অপবিত্র জিনিসকে তাদের উপর হারাম করেন”—এর অন্তর্ভুক্ত। তাছাড়া তা ভালো এবং পবিত্র জিনিস নয় বরং তা অপবিত্র। আর যেহেতু ধূমপান ও সিগারেট পান করা একটি অপরাধ, সেহেতু তা মাসজিদের ভিতর বা মাসজিদে প্রবেশের সময় বা কোনো ব্যক্তি থেকে সরাসরি অথবা রেডিও থেকে কুরআন তেলাওয়াত শুনার সময় হাতে সিগারেট রাখা বা পান করা অধিক এবং মারাত্মক অপরাধ। কারণ এতে ইবাদতের জায়গায় অন্যায় করার মাধ্যমে তার অবমাননা করা হয় এবং আল্লাহর বাণী যা ইসলামী শরীয়তের ভিত্তি, হিকমত, শিক্ষা এবং নসিহত গ্রহণের মূল তার সম্মানের কোনো খেয়াল করা হয় না। কোনো নেতা বা সম্মানিত লোকদের মিটিংয়ে এবং বক্তব্যের সময় যদি মানুষ আদব কায়দার খেয়াল করে থাকে তাহলে মুসলিমদের মাসজিদ যা ইবাদত ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য তৈরী করা হয়েছে সেখানে বা কুরআন পাঠ, তেলাওয়াত ও তেলাওয়াত শুনার সময় কি ভাবে অন্যায় করার সাহস করে? কাজেই ধূমপান একেবারেই পরিহার করতে হবে, বিশেষ করে যিকির, কুরআন তেলাওয়াত এবং তা শুনার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের সময়।
আর পঞ্চম প্রশ্নে যা বলা হয়েছে যে, ধূমপান বা সিগারেট পান করা আল্লাহর বাণী: “যা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে জবাই করা হয়” এর অন্তর্ভুক্ত। এটি সঠিক নয়। বরং এ থেকে উদ্দেশ্য হলো: জবাই করার সময় আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নাম স্মরণ করা বা এর দ্বারা অন্যের নৈকট্য লাভ করা। কারণ আলী ইবন আবু তালেব রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ(ﷺ) বলেছেন:
«لَعَنَ اللهُ مَنْ ذَبَحَ لِغَيْرِ اللهِ»
“যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে পশু জবাই করবে আল্লাহ তাকে অভিশম্পা করেছেন।”[72] সিগারেট হারামের জন্য এটিই যথেষ্ট যে, তা অপবিত্র এবং তা গ্রহণকারীর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং অপব্যয় ও সম্পদ বিনষ্টকারী। অতএব, তা আল্লাহর বাণী: “তাদের উপর অপবিত্র জিনিসকে হারাম করা হয়েছে” এর অন্তর্ভুক্ত।
অনুরূপভাবে তা নিম্নোক্ত হাদীস,
«لا ضرر ولا ضرار»
“নিজের কোনো অনিষ্টতা বা ক্ষতি এবং অন্য কারো ক্ষতি করা যাবে না” এর অন্তর্ভুক্ত।[73]
তদ্রূপ অন্য হাদীসেরও অন্তর্ভুক্ত, যাতে এসেছে,
«مَلْعُونٌ مَنْ ضَارَّ مُؤْمِنًا»
“যে ব্যক্তি কোনো মুমিনকে কষ্ট দিবে সে অভিশপ্ত”।[74]
আল্লাহ্ সবচেয়ে ভালো জানেন
[72] মুসলিম: ১৯৭৮।
[73] মুসনাদে আহমদ, আলবানী হাদীসটি সহীহ বলেছেন, সহীহ জামে ৭৫১৭।
[74] তিরমিযী: ১৯৪১; এটি আবু বাকরা রাদিয়াল্লাহু আনহুর মাধ্যমে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করছেন। তবে এটি দুর্বল হাদীস। [সম্পাদক]
সংকলন: আমের সালেহ আলাওয়ী নাজী
সূত্র: ইসলামহাউজ।
প্রশ্ন/ জ্বলন্ত সিগারেট হাতে নিয়ে মাসজিদের বাহির গেটে প্রবেশ করা জায়েয আছে কি? নাকি গেটের ভিতরে অজু খানায় প্রবেশের পূর্বেই ফেলে দিতে হবে?
প্রশ্ন / সিগারেট হাতে নিয়ে কুরআন স্পর্শ করা বা পাঠ করা অথবা মুখস্ত থেকে পাঠ করা জায়েয আছে কি?
প্রশ্ন / সিগারেট হারাম না মাকরুহ?
প্রশ্ন/ কেউ কেউ বলেছে যে, সিগারেটটি আল্লাহর বাণী: (তোমাদের উপর মৃত বস্তু, রক্ত, শোকরের মাংস এবং যা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে জবাই হয় তা হারাম করা হয়েছে) এর অন্তর্ভুক্ত, অর্থাৎ তা (যা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে জবাই করা হয়) এর অন্তর্ভুক্ত। এটি কি সঠিক?
উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ্।
ফাতাওয়া কমিটি এ পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর এক সাথে দিয়েছেন, কেননা সবগুলো প্রশ্নের বিষয়বস্তু এবং কিছু কিছু দিক দিয়ে প্রায় একই:
ধূমপান বিভিন্ন অপরাধের মধ্যে একটি অপরাধ, কারণ এতে শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতি রয়েছে যা শরীয়ত হারাম করেছে এবং তা আল্লাহর বাণী:
﴿وَيُحِلُّ لَهُمُ ٱلطَّيِّبَٰتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيۡهِمُ ٱلۡخَبَٰٓئِثَ﴾ [الاعراف: ١٥٧]
“এবং তিনি তাদের জন্য ভাল পবিত্র জিনিসকে হালাল করেন এবং অপবিত্র জিনিসকে তাদের উপর হারাম করেন”—এর অন্তর্ভুক্ত। তাছাড়া তা ভালো এবং পবিত্র জিনিস নয় বরং তা অপবিত্র। আর যেহেতু ধূমপান ও সিগারেট পান করা একটি অপরাধ, সেহেতু তা মাসজিদের ভিতর বা মাসজিদে প্রবেশের সময় বা কোনো ব্যক্তি থেকে সরাসরি অথবা রেডিও থেকে কুরআন তেলাওয়াত শুনার সময় হাতে সিগারেট রাখা বা পান করা অধিক এবং মারাত্মক অপরাধ। কারণ এতে ইবাদতের জায়গায় অন্যায় করার মাধ্যমে তার অবমাননা করা হয় এবং আল্লাহর বাণী যা ইসলামী শরীয়তের ভিত্তি, হিকমত, শিক্ষা এবং নসিহত গ্রহণের মূল তার সম্মানের কোনো খেয়াল করা হয় না। কোনো নেতা বা সম্মানিত লোকদের মিটিংয়ে এবং বক্তব্যের সময় যদি মানুষ আদব কায়দার খেয়াল করে থাকে তাহলে মুসলিমদের মাসজিদ যা ইবাদত ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য তৈরী করা হয়েছে সেখানে বা কুরআন পাঠ, তেলাওয়াত ও তেলাওয়াত শুনার সময় কি ভাবে অন্যায় করার সাহস করে? কাজেই ধূমপান একেবারেই পরিহার করতে হবে, বিশেষ করে যিকির, কুরআন তেলাওয়াত এবং তা শুনার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের সময়।
আর পঞ্চম প্রশ্নে যা বলা হয়েছে যে, ধূমপান বা সিগারেট পান করা আল্লাহর বাণী: “যা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে জবাই করা হয়” এর অন্তর্ভুক্ত। এটি সঠিক নয়। বরং এ থেকে উদ্দেশ্য হলো: জবাই করার সময় আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নাম স্মরণ করা বা এর দ্বারা অন্যের নৈকট্য লাভ করা। কারণ আলী ইবন আবু তালেব রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ(ﷺ) বলেছেন:
«لَعَنَ اللهُ مَنْ ذَبَحَ لِغَيْرِ اللهِ»
“যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে পশু জবাই করবে আল্লাহ তাকে অভিশম্পা করেছেন।”[72] সিগারেট হারামের জন্য এটিই যথেষ্ট যে, তা অপবিত্র এবং তা গ্রহণকারীর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং অপব্যয় ও সম্পদ বিনষ্টকারী। অতএব, তা আল্লাহর বাণী: “তাদের উপর অপবিত্র জিনিসকে হারাম করা হয়েছে” এর অন্তর্ভুক্ত।
অনুরূপভাবে তা নিম্নোক্ত হাদীস,
«لا ضرر ولا ضرار»
“নিজের কোনো অনিষ্টতা বা ক্ষতি এবং অন্য কারো ক্ষতি করা যাবে না” এর অন্তর্ভুক্ত।[73]
তদ্রূপ অন্য হাদীসেরও অন্তর্ভুক্ত, যাতে এসেছে,
«مَلْعُونٌ مَنْ ضَارَّ مُؤْمِنًا»
“যে ব্যক্তি কোনো মুমিনকে কষ্ট দিবে সে অভিশপ্ত”।[74]
আল্লাহ্ সবচেয়ে ভালো জানেন
[72] মুসলিম: ১৯৭৮।
[73] মুসনাদে আহমদ, আলবানী হাদীসটি সহীহ বলেছেন, সহীহ জামে ৭৫১৭।
[74] তিরমিযী: ১৯৪১; এটি আবু বাকরা রাদিয়াল্লাহু আনহুর মাধ্যমে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করছেন। তবে এটি দুর্বল হাদীস। [সম্পাদক]
সংকলন: আমের সালেহ আলাওয়ী নাজী
সূত্র: ইসলামহাউজ।