Student Of Knowledge
Forum Staff
Moderator
Uploader
Exposer
HistoryLover
Salafi User
পার্থিব এ ক্ষণস্থায়ী জীবনের জন্য আমরা কত কিছুই না করি। ভালো-মন্দ ভুলে গিয়ে নানান পাপ কাজে জড়িয়ে পড়ছি। অথচ একজন মুমিন মুত্তাকি ব্যক্তি পার্থিব জীবনের সুখ-শান্তি, ভোগ-বিলাসে মত্ত না হয়ে আল্লাহ তায়ালা এবং পরকালকে ভালবাসে। এজন্যই মুমিন ব্যক্তি সর্বাবস্থায় আল্লাহর সন্তুষ্টির চেষ্টায় তার ইবাদত ও পুণ্য কাজে রত থাকে। কেননা আল্লাহর ইবাদতের জন্যই আমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে।
[*]এই হাদীসের ব্যাখ্যায় উলামাগণ বলেন, দুনিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়ো না এবং তাকে নিজের আসল ঠিকানা বানিয়ে নিও না। মনে মনে এ ধারণা করো না যে, তুমি তাতে দীর্ঘজীবী হবে। তুমি তার প্রতি যত্নবান হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করো না। তার সাথে তোমার সম্পর্ক হবে ততটুক, যতটুক একজন প্রবাসী তার প্রবাসের সাথে রেখে থাকে। তাতে সেই বিষয়-বস্তু নিয়ে বিভোল হয়ে যেও না, যে বিষয়-বস্তু নিয়ে সেই প্রবাসী ব্যক্তি হয় না, যে স্বদেশে নিজের পরিবারের নিকট ফিরে যেতে চায়। আর আল্লাহই তওফীক দাতা।
এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আপনি আমাকে এমন কর্ম বলে দিন, আমি তা করলে যেন আল্লাহ আমাকে ভালবাসেন এবং লোকেরাও আমাকে ভালবাসে।’
- তিনি বললেন, ‘‘দুনিয়া ত্যাগ কর, আল্লাহ তোমাকে ভালবাসবেন এবং মানুষের কাছে যা আছে, তার প্রতি লালসা করো না, তবে লোকেরা তোমাকে ভালবাসবে।’’━ (ইবনে মাজাহ ৪১০২, প্রমুখ,, সিলসিলাহ সহীহাহ ৯৪৪)
এই মিছে দুনিয়া এই মিছে জীবন আপনাকে আমাকে স্রেফ টিস্যু পেপারের ন্যায় ব্যাবহার করছে, আমরা জীবনের পিছন পিছন দৌড়াতে দৌড়াতে আর হালাল হারামের দিকে ভ্রুক্ষেপ করার সময় পাইনা।
━['নুযহাতুল ফুদালাহ'র অনুবাদ "মহৎ প্রাণের সান্নিধ্যে(১/৫৫)
আমরা তো এই সম্পদের মালিকানায় স্রেফ কিছু কাল স্থায়ী অতপর সব শেষ...
━━━━━━━━━━━━━
❝জীবন হল খারাপ মহিলার মতো। সে কখনই তার স্বামীর প্রতি অনুগত হবে না এবং তার পিছনে পিছনে দৌঁড়ানোতে কোন উপকার নেই৷❞ ━ [আল-মুদহাশ, ২৭০ পৃষ্ঠা]ইবন্ জাওযী [رحمه الله] বলেন:
তুমি এ দুনিয়াতে একজন মুসাফির অথবা পথচারীর মত থাক। আর ইবনে উমার (রাঃ) বলতেন, তুমি সন্ধ্যায় উপনীত হলে আর ভোরের অপেক্ষা করো না এবং ভোরে উপনীত হলে সন্ধ্যার অপেক্ষা করো না। তোমরা সুস্থতার অবস্থায় তোমার পীড়িত অবস্থার জন্য কিছু সঞ্চয় কর এবং জীবিত অবস্থায় তোমার মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ কর। (বুখারী ৬৪১৬, তিরমিযী, মিশকাত ১৬০৪)রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একদা) ইবনে উমার (রাঃ)-এর দুই কাঁধ ধরে বললেন,
[*]এই হাদীসের ব্যাখ্যায় উলামাগণ বলেন, দুনিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়ো না এবং তাকে নিজের আসল ঠিকানা বানিয়ে নিও না। মনে মনে এ ধারণা করো না যে, তুমি তাতে দীর্ঘজীবী হবে। তুমি তার প্রতি যত্নবান হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করো না। তার সাথে তোমার সম্পর্ক হবে ততটুক, যতটুক একজন প্রবাসী তার প্রবাসের সাথে রেখে থাকে। তাতে সেই বিষয়-বস্তু নিয়ে বিভোল হয়ে যেও না, যে বিষয়-বস্তু নিয়ে সেই প্রবাসী ব্যক্তি হয় না, যে স্বদেশে নিজের পরিবারের নিকট ফিরে যেতে চায়। আর আল্লাহই তওফীক দাতা।
এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আপনি আমাকে এমন কর্ম বলে দিন, আমি তা করলে যেন আল্লাহ আমাকে ভালবাসেন এবং লোকেরাও আমাকে ভালবাসে।’
- তিনি বললেন, ‘‘দুনিয়া ত্যাগ কর, আল্লাহ তোমাকে ভালবাসবেন এবং মানুষের কাছে যা আছে, তার প্রতি লালসা করো না, তবে লোকেরা তোমাকে ভালবাসবে।’’━ (ইবনে মাজাহ ৪১০২, প্রমুখ,, সিলসিলাহ সহীহাহ ৯৪৪)
এই মিছে দুনিয়া এই মিছে জীবন আপনাকে আমাকে স্রেফ টিস্যু পেপারের ন্যায় ব্যাবহার করছে, আমরা জীবনের পিছন পিছন দৌড়াতে দৌড়াতে আর হালাল হারামের দিকে ভ্রুক্ষেপ করার সময় পাইনা।
আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলতেন
ما أصبح أحد في الدنيا إلا ضيف، وماله عارية، فالضيف مرتحل، والعارية مؤادة
“দুনিয়াতে সবাই মেহমান, আর তার ধন-সম্পদ হলো আমানত, মেহমান অবশ্যই বিদায় নেবে, আর আমানতকে প্রকৃত মালিকের নিকট আদায় করা হবে”"আবু বকর দুনিয়া চান নি আর দুনিয়াও তাকে চায়নি। 'উমারকে দুনিয়া চাইলেও তিনি দুনিয়াকে চাননি। আর আমরা এর সাথে অষ্টেপৃষ্ঠে ব্যাপকভাবে মিশে গেছি।"মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহু বলেন,
━['নুযহাতুল ফুদালাহ'র অনুবাদ "মহৎ প্রাণের সান্নিধ্যে(১/৫৫)
আমরা তো এই সম্পদের মালিকানায় স্রেফ কিছু কাল স্থায়ী অতপর সব শেষ...
━━━━━━━━━━━━━
জয়নাল বিন তোফাজ্জল
ইসলামিক স্টাডিস(বিভাগ), দনিয়া ইউনিভার্সিটি ঢাকা
ইসলামিক স্টাডিস(বিভাগ), দনিয়া ইউনিভার্সিটি ঢাকা